আজঃ বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

১১ দেশে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে: ডব্লিউএইচও

প্রকাশিত:শনিবার ২১ মে ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২১ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছেবিশ্বের ১১ দেশে প্রায় ৮০ জন মাঙ্কিপক্সে সংক্রমিত হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এবং আরও আক্রান্তের তথ্য পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে সংস্থাটি সতর্ক করেছে। খবর বিবিসির।

ডব্লিউএইচও কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করে জানিয়েছেআরও ৫০টি সম্ভাব্য সংক্রমণের তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। এর আগে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে প্রথমে ইতালি, সুইডেন, স্পেন, পর্তুগাল, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও যুক্তরাজ্যে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিল। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়াতেও শনাক্ত হয়েছে এ রোগ।

বিবিসি জানিয়েছে, মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে মাঙ্কিপক্স সচরাচর বেশি দেখা যায়।

যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য পরিষেবার তথ্য অনুসারে, মাঙ্কিপক্স একটি বিরল ভাইরাসজনিত সংক্রমণ, যা সাধারণত তেমন মারাত্মক নয়, এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আক্রান্ত ব্যক্তি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এ রোগ থেকে সেরে ওঠে।

ব্রিটিশ স্বাস্থ্য দপ্তর আরও জানিয়েছে, মাঙ্কিপক্স ভাইরাসটি সহজে মানুষ থেকে মানুষে ছড়ায় না। এবং মানুষের মধ্যে এ রোগের ব্যাপক সংক্রমণের ঝুঁকি খুব কম বলেই জানা গেছে।

মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধের জন্য নির্দিষ্ট কোনো টিকা নেই। তবে, বিবিসি বলছেগুটিবসন্তের টিকা নেওয়া থাকলে, তা মাঙ্কিপক্স থেকে ৮০ শতাংশ সুরক্ষা দেয়, কেননা দুটি ভাইরাস অনেকটা একই ধরনের।

সাধারণত যেভাবে ছড়ায়

বিজ্ঞানীদের মতে, মাঙ্কিপক্স গুটিবসন্ত (স্মলপক্স) ভাইরাসের পরিবারভুক্ত ও ছোঁয়াচে। আক্রান্তের সংস্পর্শে এলে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস এক জনের শরীর থেকে অন্য জনের দেহে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।

বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেনবিরল এ ভাইরাস প্রাণীদেহ থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়েছে।

সাধারণত মাঙ্কিপক্স ভাইরাস সাধারণ ফ্লু বা ঠান্ডাজনিত অসুখের মতো অসুস্থতা ও লিম্ফ নোডের (শরীরের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাপনার একটি অঙ্গ) ফোলা দিয়ে শুরু হয়ে ফুসকুড়ি ও ফোসকার মতো ক্রমে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।

মাঙ্কিপক্স ভাইরাসটি প্রধানত মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রেইন ফরেস্ট অঞ্চলে শনাক্তের তথ্য এত দিন ছিল। কিন্তু, এখন ইউরোপ ও আমেরিকা থেকে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণের খবর সামনে আসছে।

কতটা বিপজ্জনক মাঙ্কিপক্স, উপসর্গ কী কী?

মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের প্রধান উপসর্গগুলো হলোজ্বর, মাথাব্যথা, পিঠে ও ঘাড়ে ব্যথা, খিঁচুনি, অবসাদ এবং সারা গায়ে ছোপ ছোপ দাগ।

বেশির ভাগ সংক্রমণ দুই থেকে চার সপ্তাহ স্থায়ী হয়। সাধারণত, এ ভাইরাসের সংক্রমণে জ্বর, ফুসকুড়ি ও লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা যায়।

বিজ্ঞানীদের দাবিজীবিত বা মৃত বন্য প্রাণীর মাংস খেলে এ রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা বহুগুণ বেড়ে যায়।

শরীরের তরল, ঘা, খোলা ক্ষত স্থানের সংস্পর্শে এলে বা দীর্ঘস্থায়ী যোগাযোগের পরে শ্বাস-প্রশ্বাস থেকে নির্গত সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম কণার মাধ্যমে এ ভাইরাস ছড়াতে পারে। রোগের সময়কাল সাধারণত ছয় থেকে ১৩ দিন। তবে, মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের লক্ষণগুলো সংক্রমণের পাঁচ থেকে ২১ দিনের মধ্যেও দেখা দিতে পারে। মাঙ্কিপক্সের লক্ষণগুলো হালকা বা গুরুতর হতে পারে এবং সাধারণত ১৪ থেকে ২১ দিনের মধ্যে নিজে থেকেই চলে যায়। মাঙ্কিপক্সের ফলে ত্বকে সৃষ্টি হওয়া ক্ষতে খুব চুলকানি বা যন্ত্রণা হতে পারে।

যৌনসম্পর্ক থেকেও ছড়ানোর শঙ্কা!

বিজ্ঞানীরা এত দিন বলেছিলেন, ভাইরাসটি সহজে মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে না। এ ছাড়া এর আগে মনে করা হতো শিশুদের মধ্যেই বেশি পরিমাণে ছড়ায় এ মাঙ্কিপক্স। কিন্তু, এখন দেখা যাচ্ছে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও ছড়াচ্ছে অসুখটি।

যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র-সিডিসির পক্ষ থেকে বলা হয়েছেযৌনসম্পর্কের সঙ্গে এ রোগের সংক্রমণ ছড়ানোর যোগসূত্র থাকতে পারে। সিডিসি বলছেসমকামী ও উভকামী পুরুষ ও নারীর মধ্যে এ রোগের হার বেশি। মার্কিন স্বাস্থ্য দপ্তর খতিয়ে দেখছে কীভাবে বাড়ছে এ অসুখ।

এখন পর্যন্ত কারও মাঙ্কপক্সে মৃত্যু হয়নি। যাদের স্মলপক্সের টিকা নেওয়া আছে, তাদের ক্ষেত্রে এ রোগ মারাত্মক আকার নেবে না বলে ধারণা অনেকের।


আরও খবর
যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন আজ

বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪




শেখ হাসিনাকে রাজনীতির জাদুকর বললেন ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পয়েট অব পলিটিকস আখ্যায়িত করা হয়েছিল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যাকে আজ আমরা বলি, তিনি হচ্ছেন ম্যাজিশিয়ান অব পলিটিকস (রাজনীতির জাদুকর)।

রবিবার (২৩ জুন) বিকালে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। এ সময় সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্বাধীনতা বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই অর্জনের জনক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এ দেশে দুটি লিগ্যাসির জন্ম হয়েছে। একটা লিগ্যাসি স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু। তিনি আজ নেই, কিন্তু তার লিগ্যাসির মৃত্যু নেই কোনও দিন। আরেকটি লিগ্যাসি আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তি। এটি ধারণ করে আছেন আমাদের সভাপতি শেখ হাসিনা। যত দিন এই বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু নেই, শেখ হাসিনা অমর হয়ে থাকবেন।

এর আগে বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ পাঠ শুরু হয়। জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে কর্মসূচি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে আসা সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানিয়ে কাদের বলেন, যারা স্বাধীনতার আদর্শে বিশ্বাস করেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেন, দেশের সব পর্যায়ের মানুষ, রাজনৈতিক নেতারা, মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি সবার কাছে আমি আহ্বান জানাই, আমাদের ভুল-ত্রুটি নেই, তা আমরা বলবো না। তারপরও শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের জনগণের একমাত্র আস্থার ঠিকানা। আসুন আমরা সবাই মিলে তার হাতকে শক্তিশালী করি।

দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়ন অনেকে দেখতে পায় না। আজ একটি দল অন্তর্জ্বালায় জ্বলছে। তারা দিনের আলোয় রাতের অন্ধকার দেখে। পূর্ণিমার রাতে অমাবস্যার অন্ধকার দেখে। তারা উন্নয়ন দেখতে পায় না।

তিনি আরও বলেন, তারা আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের শত্রু। তারা দেশে স্বৈরশাসন চালু করেছিল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নির্বাসনে পাঠিয়েছিল, জয় বাংলাকে নিষিদ্ধ করেছিল। ১৫ আগস্টের ও ২১ আগস্টের যারা মাস্টারমাইন্ড, সেই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে আমাদের আজ ঐক্যবদ্ধ হতেই হবে।

পরে সমাবেশে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।


আরও খবর



জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার পেলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে কর্মক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানকে বিভাগীয় পর্যায়ে জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার ২০২৩-২৪ প্রদান করা হয়েছে।

সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলামের কাছ থেকে এই সম্মাননা গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক।

জাতীয় শুদ্ধাচার সম্মাননা গ্রহণ শেষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, এই সম্মাননা আমার জন্য নিরন্তর অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। আমি বরাবরের মতই সততা, নিষ্ঠা এবং নির্ভরযোগ্যতার সাথে আমার পেশাগত দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট থাকব।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম বলেন, শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদানে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, চট্টগ্রামের নৈতিকতা কমিটি ও বাছাই কমিটির সভায় সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর কার্যাবলী পর্যালোচনা করা হয়। যাচাই-বাছাইয়ের পর চট্টগ্রাম বিভাগের ১১জন জেলা প্রশাসকের মধ্যে নির্বাচিত হয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক। কর্মক্ষেত্রে তার পদচারণা নিঃসন্দেহে সকলের জন্য অনুসরণীয় এবং একই সাথে অনুপ্রেরণাদায়ক।

উল্লেখ্য, সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল শিরোনামে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল ২০১২ সালে মন্ত্রীসভা বৈঠকে অনুমোদন করা হয় এবং ২০১৭ সালের ৬ এপ্রিল শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান নীতিমালা-২০১৭ সংক্রান্ত গেজেট জারি করা হয়।

শুদ্ধাচার পুরস্কারের জন্য বিবেচ্য ১৮টি গুনণাবলি হচ্ছে- কর্মচারীর পেশাগত জ্ঞান ও দক্ষতা, সততার নিদর্শন স্থাপন করা, নির্ভরযোগ্যতা ও কর্তব্যনিষ্ঠা, শৃঙ্খলাবোধ, সহকর্মীদের সঙ্গে আচরণ, সেবাগ্রহীতার সঙ্গে আচরণ, প্রতিষ্ঠানের বিধিবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা, সমন্বয় ও নেতৃত্বদানের ক্ষমতা, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে পারদর্শিতা, পেশাগত স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক নিরাপত্তা সচেতনতা, ছুটি গ্রহণের প্রবণতা, উদ্ভাবনী চর্চার সক্ষমতা, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে তৎপরতা, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার, স্বপ্রণোদিত তথ্য প্রকাশে আগ্রহ, উপস্থাপন দক্ষতা, ই-ফাইল ব্যবহারে আগ্রহ, অভিযোগ প্রতিকারে সহযোগিতা করা। বিবেচিত কর্মচারীদের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারী শুদ্ধাচার পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হন।


আরও খবর



দেশে ফিরেছেন ৩৬৭৪৭ হাজি, মৃত্যু বেড়ে ৫৬

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পবিত্র হজ পালন শেষে এখন পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৭৪৭ হাজি দেশে ফিরেছেন। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৫৬ জন। সোমবার (০১ জুলাই) হজ পোর্টালের সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।

সৌদি থেকে ৯৪টি ফ্লাইটে এসব হাজি বাংলাদেশে এসেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ৩২টি ফ্লাইটে ১৩ হাজার ৪৩ জন, সৌদি এয়ারলাইনসের ২০টি ফ্লাইটে ১৪ হাজার ৩৭১ এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইনস ১৮টি ফ্লাইটে ৯ হাজার ৩৩৩ হাজি দেশে ফিরেছেন।

চলতি বছর হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৫৬ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ৪৩ এবং মহিলা ১৩ জন।

হজ শেষে গত ২০ জুন থেকে দেশে ফেরার ফ্লাইট শুরু হয়। ওইদিন বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ৪১৭ হাজি নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত হাজিদের ফিরতি ফ্লাইট অব্যাহত থাকবে।

এবার বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ২২৫ জন (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) হজযাত্রী সৌদি আরবে গেছেন। হজে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৪৭ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে পুরুষ ৩৬ এবং মহিলা ১১ জন।

এদিকে, আগামী বছর (২০২৫) বাংলাদেশের জন্য এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা দিয়েছে সৌদি আরব।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম জানান, নির্ধারিত সংখ্যার মধ্যে কতজন সরকারি ব্যবস্থাপনায় আর কতজন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাবেন তা বাংলাদেশ সরকার পরে নির্ধারণ করে দেবে।


আরও খবর



কর্মবিরতিতে অচল ঢাবি, অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

কোটা বাতিলের দাবিতে একদিকে শিক্ষার্থীদের লাগাতার আন্দোলন চলছে। অন্যদিকে চলছে পেনশন সংক্রান্ত প্রত্যয় স্কিম বাতিলে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের টানা কর্মবিরতি। চলমান এ আন্দোলন ও কর্মবিরতিতে স্থবির হয়ে পড়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম। একই পথে হেঁটেছে দেশের অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ও।

বন্ধ রয়েছে একাডেমিক ক্লাস-পরীক্ষা, স্থবির হয়ে পড়েছে প্রশাসনিক কার্যক্রম। সেবা মিলছে না বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার ও কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে।

সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে চলমান এ কর্মবিরতির মধ্যেই অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর পদত্যাগের দাবিও উঠেছে।    

বুধবার (৩ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদে টানা কর্মবিরতি ও প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে অর্থমন্ত্রীকে পদত্যাগের আহ্বান জানানো হয়েছে।

সম্মিলিতভাবে কর্মবিরতিতে অংশ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, কর্মচারী সমিতি, কারিগরি কর্মচারী সমিতি ও চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের সমন্বয়ে গঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেন। একইসঙ্গে তাদের দাবি, জুলুম হিসেবে প্রত্যয় স্কিম তাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে এই নীতি বাতিল করতে হবে।

সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি কর্মচারীদের নেতা মনিরুজ্জামান বলেন, অবিলম্বে এই পেনশন নীতি বাতিল করতে হবে। অন্যথায় কিভাবে অধিকার আদায় করে নিতে হয় তা আমরা জানি। অর্থমন্ত্রীকে বলতে চাই, অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। প্রধানমন্ত্রী যখন দেশকে উন্নয়নের দিক থেকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তখন আপনাদের মত কুচক্রী মহল অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চান। অবিলম্বে নতুন পেনশন নীতি বাতিল করুন।

গত ৩০ জুন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণ-কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। ওই দিন প্রশাসনিক ভবনের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়। এছাড়া একাডেমিক কার্যক্রম থেকেও বিরত ছিলেন শিক্ষকরা।


আরও খবর



ইউটিউবের শর্টসে আসছে নতুন চমক

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

জনপ্রিয় শর্ট ভিডিও প্ল্যাটফর্ম টিকটককের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে ইউটিউব। ছোট আকারের ভিডিও সহজে তৈরি ও প্রকাশের সুযোগ থাকায় প্রতিনিয়ত তরুণ-তরুণীদের কাছে খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ইউটিউবের স্বল্পদৈর্ঘ্যের ভিডিও (শর্টস)। ফলে নতুন ফিচার আপডেট করে যাচ্ছে ইউটিউব। এবার ইউটিউব শর্টসের জন্য তিনটি নতুন ফিচার নিয়ে আসছে গুগল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিভিত্তিক ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চ এর প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তরুণ-তরুণীদের কাছে প্রতিনিয়তই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ইউটিউবের শর্টস সিগমেন্টটি। তাই নতুন ফিচার আনা হচ্ছে। তবে এসব ফিচার শুধু প্ল্যাটফরমটির প্রিমিয়াম ব্যবহারকারীদের জন্য। এবার ইউটিউবের শর্টসে তিনটি ফিচার যুক্ত হতে যাচ্ছে। ফিচারগুলো হলো ১- স্মার্ট ডাউনলোড, ২- পিক-ইন-পিকচার, ৩- জাম্প আহেড। ফিচারগুলো থেকে যেসব সুবিধা পাওয়া যাবে।

স্মার্ট ডাউনলোড: অনেকেই ইউটিউব থেকে শর্টস ডাউনলোড করে রাখতে চান। আবার অনেকেই লিংক সংরক্ষিত করে রাখে। মূলত ডাউনলোড করার কোনো অপশন না থাকায় লিংক সেভ করে রাখে। তবে স্মার্ট ডাউনলোড ফিচারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিও ডাউনলোড হয়ে যাবে। ডিাউনলোড হয়ে থাকা শর্টসগুলো ইউটিউবের লাইব্রেরিতে থেকে যাবে। এরফলে অফলাইনে সেসব ভিডিও দেখতে পারবেন ব্যবহারকারীরা।

পিক-ইন-পিকচার: সব ধরণের স্মার্টফোনে অ্যাপস মিনিমাইজ করে রাখা যায়। এছাড়া ডিসপ্লেতেও ছোট করে রাখা যায়। এমনই এক ধরণের ফিচারে আনতে যাচ্ছে ইউটিউব শর্টস। এই ফিচারটি হচ্ছে পিক-ইন-পিকচার। যার মাধ্যমে অ্যাপ থেকে বের হয়ে গেলেও শর্টসের ভিডিওগুলো ডিসপ্লেতে ছোট ফ্লোটিং উইন্ডোতে হয়ে থাকবে। এছাড়া এই উইন্ডো ফোনের যে কোনো জায়গায় রাখা যাবে।

জাম্প আহেড: ইউটিউবে একটি ভিডিও দেখা শুরু করলে কনটেন্টের কোনো অংশ ভালো না করলে টেনে দেখা যায় অথবা ডবল ক্লিক করেও টানা যায়। তবে জাম্প আহেড ফিচারের মাধ্যমে এখন থেকে ব্যবহারকারীরা ডাবল ক্লিকের মাধ্যমে রিকমেন্ডেড অংশ থেকে ভিডিও চালু হবে। এর ফলে সবচেয়ে ভালো অংশ থেকে বা অকর্ষণীয় জায়গার থেকে ভিডিওটি চালু হবে।


আরও খবর