আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

১৩৫০ টন কয়লা নিয়ে ভৈরব নদে ডুবল জাহাজ

প্রকাশিত:শনিবার ০৫ মার্চ ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ০৫ মার্চ ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

যশোরের অভয়নগরের ভৈরব নদে এবার ১৩৫০ টন কয়লাবোঝাই এমভি সুরাইয়া নামে একটি কার্গো জাহাজ ডুবে গেছে। শনিবার (৫ মার্চ) দুপুরে উপজেলার ভাটপাড়া খেয়াঘাট সংলগ্ন ইকোপার্কের সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে জাহাজের ১২ জন স্টাফই সাঁতরে তীরে উঠে আসেন।

ডুবে যাওয়া কয়লার কারণে নদের পানি দূষণের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ডুবে যাওয়া কয়লার আনুমানিক মূল্য দুই কোটি ৯৭ লাখ টাকা। ইন্দোনেশিয়া থেকে আফিল ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি প্রতিষ্ঠান এই কয়লা আমদানি করে। এসব কয়লা নওয়াপাড়া নদীবন্দর এলাকায় আফিল ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামে ঘাটে নামানোর কথা ছিল।

এমভি সুরাইয়া জাহাজের মাস্টার সোহাগ হোসেন রাজু বলেন, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়া পয়েন্ট থেকে ১১৬০ টন কয়লা নিয়ে অভয়নগরের নওয়াপাড়া নদীবন্দরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করি। আনলোড পয়েন্টে জায়গা না থাকায় গত ১ মার্চ অভয়নগরের ভাটপাড়া খেয়াঘাট সংলগ্ন ইকোপার্কের সামনে জাহাজ নোঙর করা হয়। শনিবার সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে জাহাজের তলদেশ ফেটে পানি ঢুকতে শুরু করে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জাহাজ ডুবে যায়। আমরা ১২ জন সাঁতরে জীবন রক্ষা করেছি।

তিনি আরও জানান, কাগজে কলমে ১১৬০ টন থাকলেও জাহাজে ১৩৫০ টন কয়লা ছিল। এ ব্যাপারে অভয়নগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

আফিল ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক রাকিবুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, আফিল ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের নামে ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লা আমদানি করা হয়েছে। মোংলা বন্দরের হাড়বাড়িয়া পয়েন্টের মাদার ভেসেল থেকে এমভি সুরাইয়া নামের কার্গো জাহাজে ১৩৫০ টন কয়লা লোড দেওয়া হয়। গত ১ মার্চ অভয়নগরে পৌঁছালে আফিল ট্রেডের ঘাটে নোঙর করানো সম্ভব হয়নি। পরে জাহাজটি ভাটপাড়া ইকোপার্কের সামনে নোঙর করে। শনিবার ৫ মার্চ দুপুরে জাহাজ ডুবে যায়। নদীর নাব্যতা কমার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি দাবি করেন।

নওয়াপাড়া নদীবন্দরের উপ-পরিচালক মাসুদ পারভেজ বলেন, সকালে কয়লা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আমাকে জানানো হয় নদীর মাঝামাঝি স্থানে জাহাজ আটকে গেছে। এ সময় তারা সহযোগিতা চাইলে জাহাজ পাড়ে ভেড়াতে বলা হয়। দুপুরে জানতে পারি জাহাজ ডুবে গেছে। ঘটনাস্থলে একটি টিম পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই স্থানে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি নওয়াপাড়া নদীবন্দর এলাকায় পীরবাড়ী ঘাটে এমভি শারিব বাঁধন নামে একটি জাহাজ ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া জাহাজে ৬৮০ টন সরকারি ইউরিয়া সার ছিল। যে জাহাজের উদ্ধার কাজ এখনও শেষ হয়নি।

 


আরও খবর



মমেক হাসপাতালে কুকুরের সঙ্গে রোগীদের বসবাস

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

Image

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মমেক) তিনগুণের বেশি রোগী ভর্তি হওয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগী ও তাঁদের স্বজনদের। এক হাজার শয্যা বিশিষ্ট ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৃহত্তর ময়মনসিংহের ছয় জেলা ছাড়াও বিভিন্ন জায়গার রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন।

জানা গেছে, হাসপাতালটিতে গড়ে প্রতিদিন ৩০০০-৩২০০ রোগী ভর্তি হয়ে থাকেন। এতে শয্যা সংকটের কারণে মেঝে ও বারান্দায় শুয়ে সেবা নিতে হচ্ছে অনেককে। চিকিৎসা সেবার মান নিয়েও রয়েছে জনমনে নানা প্রশ্ন। এতে করে সরকারি হাসপাতালের সেবা নিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকেই। জরুরি সেবা ছাড়া বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিকগুলোতেই যেন স্বস্তি রোগীদের।

এদিকে, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বারান্দা এবং শয্যাগুলোতে অবাধেই ঘোরাফেরা করছে কুকুর। সিঁড়ির কোনায় কোনায় জমে আছে ময়লার স্তূপ। হাসপাতাল ভবনের ভেতরে কুকুরের অবাধ বিচরণের কারণে রোগী এবং স্বজনদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীন ভূমিকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীরা রয়েছেন চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে।

চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনরা জানান, সরকার যখন পুরো দেশবাসীকে সচেতন এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে নানামুখী কর্মসূচি নিচ্ছে সেই মুহূর্তে হাসপাতালের ভেতরে কুকুরের অবাধ আনাগোনা কাম্য নয়। কারণ কুকুর জলাতঙ্ক রোগ বহন করে। সেই কুকুরগুলো হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে রয়েছে। হাসপাতালটি কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ টেক্স লইয়ার্স এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এডভোকেট সাদিক হোসেন বলেন- এই যদি হাসপাতালে অবস্থা হয় কুকুর এবং মানুষ কি একসাথে বসবাস করতে পারে। এটাতো একটা ভয়াবহ পরিস্থিতি। এটা নিয়ে মন্তব্য করার কোন ভাষা নেই।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উপ-পরিচালক ডা: জাকিরুল ইসলামকে গতকাল রবিবার রাত ফোন দিলে তাকে পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



১৫৩ রোহিঙ্গার ভুয়া জন্ম নিবন্ধন, ইউপি চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

Image

মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার ১নং ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে ১৫৩ রোহিঙ্গার ভুয়া জন্ম নিবন্ধন তৈরির প্রক্রিয়ায় জড়িত থাকার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত ২৪ এপ্রিল সিনিয়র সহকারী সচিব এ কে এম আনিছুজ্জামানের স্বাক্ষারিত প্রজ্ঞাপনে উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাসকে বরখাস্তের এই আদেশ দেওয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মৌলভীবাজা জেলার রাজনগর উপজেলার ১নং ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (নিবন্ধক) নকুল চন্দ্র দাস অসৎ উদ্দেশ্যে রোহিঙ্গাদের জন্ম নিবন্ধন তৈরির জন্য স্থানীয় সরকার আইন, ২০০৯ অনুযায়ী রেজিস্ট্রার জেনারেল, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেন। যেহেতু ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় আইন অনুযায়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে স্বীয় পদ হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব এ কে এম আনিছুজ্জামান বলেন, আমরা রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছ থেকে তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ওই ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত করি।

রাজনগর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাস বলেন, সার্ভার হ্যাক হয়ে ভুয়া নিবন্ধন করা হয়েছে। এসব নিবন্ধনে আমাদের স্বাক্ষর নেই। মন্ত্রণালয় থেকে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে আমার জানা নেই।

জানা যায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর শরীয়তপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আসিয়া বিবি (২৭) নামে একজন রোহিঙ্গা নারী পাসপোর্ট করতে গিয়ে কর্তৃপক্ষের হাতে আটক হন। তার আইডি কার্ড না থাকায় জন্মনিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্ট করতে যান তিনি। আসিয়া আক্তার যে নিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্ট করতে গিয়েছিলেন সেটি রাজনগর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়ন থেকে নিবন্ধিত, যা গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন কার্যালয় থেকে নিবন্ধিত হয়েছে।

আটক ওই নারী কক্সবাজারের টেকনাফ থানার আলী যোহার ও আম্বিয়া খাতুন দম্পতির মেয়ে বলে জানিয়েছেন। বিষয়টি যাচাই করার জন্য ওই সময় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠালে ইউএনও ফতেহপুর ইউনিয়নের সচিব পাপড়ি দত্তকে কার্যালয়ে ডেকে আনেন। পরে ওই ইউনিয়নের জন্মনিবন্ধনের আইডি নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়। ওই সময় কয়েক শ’ রোহিঙ্গা নিবন্ধন হয়েছে বলে ধারণা করেন সংশ্লিষ্টরা। যাচাই করে ওই সময় ইউএনও দেখতে পান ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৫৩টি ভুয়া নিবন্ধন হয়েছে। তারা সবাই রোহিঙ্গা হিসেবে সন্দেহ করেন। এ ব্যাপারে ফতেহপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাস রাজনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।


আরও খবর



সিলেট থেকে সরাসরি হজ ফ্লাইট শুরু ২২ মে

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

সিলেট থেকে সরাসরি হজ ফ্লাইট শুরু হচ্ছে ২২ মে। ওই দিন বিকেল সাড়ে ৩ টায় ৪১৯ জন হজযাত্রী নিয়ে বিমানের একটি ফ্লাইট মদিনার উদ্দেশে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যাবে। বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের ডিস্ট্রিক ম্যানেজার শাহনেওয়াজ মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

হজ এজেন্সিস অব বাংলাদেশ (হাব) সিলেট চ্যাপ্টারের সভাপতি ও লতিফ ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী জহিরুল কবির চৌধুরী শীরু জানান, সিলেটের হজযাত্রীদের দুর্ভোগ বিবেচনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের কাছে আমরা সরাসরি হজ ফ্লাইটের দাবি জানিয়ে আসছিলাম। এ ব্যাপারে বিমান কর্তৃপক্ষের কাছে হাব লিখিত আবেদন করে। যার প্রেক্ষিতে বিমান সিলেট থেকে সরাসরি ৫টি ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে, সিলেটের দুই হাজারেরও অধিক হজযাত্রীকে ঢাকায় যেতে হচ্ছে না। এতে হজযাত্রীদেরও দুর্ভোগ অনেকাংশে লাঘব হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বিমানের সিলেট অফিস সূত্র আরো জানায়, সিলেট অঞ্চলের হজযাত্রীদের দুর্ভোগের বিষয়টি মাথায় রেখে এবার সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৫টি হজ ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ৫টি ফ্লাইটে ৪১৯ জন করে মোট ২ হাজার ৯৫ হজযাত্রী পরিবহন করা হবে। প্রথম দিনের ফ্লাইট ছাড়া বাকি ফ্লাইটগুলো সিলেট-জেদ্দা রুটে পরিচালিত হবে। এই চারটি ফ্লাইটের শিডিউল হচ্ছে আগামী ১, ৩, ৬ ও ৯ জুন।

এফবিসিসিআই-এর সাবেক পরিচালক ও সিপার এয়ার সার্ভিসের স্বত্বাধিকারী খন্দকার সিপার আহমদ সিলেটবাসীর দাবি পূরণে ৫টি সরাসরি হজ ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়ায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান। বিমান কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত ওই ৫টি ফ্লাইট পরিচালনায় কোন ব্যত্যয় না ঘটালে সিলেট অঞ্চলের হজযাত্রীদের আসা-যাওয়া আরো সহজ ও নিরাপদ হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

হাব সিলেট চ্যাপ্টারের সভাপতি জহিরুল কবির চৌধুরী শীরু জানান, গত বছরের তুলনায় প্যাকেজের দাম কমলেও এবার সিলেট অঞ্চলে হজযাত্রী তেমন বাড়েনি। অতিরিক্ত খরচের কারণে হজ করা অনেকের সামর্থ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। এবার সিলেট অঞ্চলের ৩৫টি ট্রাভেল এজেন্সির হজযাত্রীর নির্ধারিত কোটা পূরণ করতে হিমশিম খেতে হয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দুতিনটি এজেন্সি মিলে একটির নামে হজের নিবন্ধন চালায়। শেষ পর্যন্ত এবার সিলেট থেকে হজযাত্রীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২৫১ জনে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, করোনা মহামারির কয়েক বছর আগ থেকেই সিলেট অঞ্চলের হজ এজেন্সিগুলো তাদের নির্ধারিত হজযাত্রীর কোটা পূরণ করতে পারছে না। প্রাক নিবন্ধন সংক্রান্ত অসচেতনতাসহ নানা কারণে কমে যায় হজযাত্রীর সংখ্যা।

প্রসঙ্গত, ৯ মে ঢাকা থেকে এ বছরের হজ ফ্লাইট শুরু হচ্ছে। ঢাকা থেকে ওইদিন হজযাত্রীদের নিয়ে প্রথম ফ্লাইট সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দেবে। এরপর শিডিউল অনুযায়ী পরবর্তী ফ্লাইটগুলো ছাড়া হবে। এ বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করতে যাবেন ৮৩ হাজার ২০২ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৪ হাজার ৩০৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১৬ জুন পালিত হতে পারে হজ।

নিউজ ট্যাগ: সিলেট

আরও খবর



জাতিসংঘে বাংলাদেশ উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাব গৃহীত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বৃহস্পতিবার (২ মে) বাংলাদেশ উত্থাপিত শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত বাংলাদেশের পক্ষে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন।

এ সময় তিনি বলেন, আজ বিশ্ব ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্ব এবং মানবিক মর্যাদা অবজ্ঞার মুখোমুখি। এই সংঘাত ও সহিংসতা উত্তরণে মানবমনে সম্প্রীতি ও সহমর্মিতার ভাবকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। যুদ্ধের চেয়ে শান্তিকে লাভজনক করে তুলতে হবে।

যুদ্ধ ও ধ্বংসযজ্ঞে বাংলাদেশের নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির ধারণা প্রবর্তনের বাংলাদেশের উদ্যোগটি আমাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা থেকে অনুপ্রাণিত। বৈষম্য, বর্ণগত অসহিষ্ণুতা এবং পরাধীনতা আমাদের একটি ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য করে। এ কারণেই আমরা শান্তির প্রসারকে আমাদের পররাষ্ট্রনীতির একটি মৌলিক নীতিতে পরিণত করেছি।

১১২টি দেশ বাংলাদেশের এই রেজুল্যুশনটিকে কো-স্পন্সর করেছে, যা শান্তির সংস্কৃতি’ শীর্ষক রেজ্যুলেশনটির প্রতি জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অব্যাহত সমর্থনের সাক্ষ্য বহন করে।

রেজ্যুলেশনটির বিবেচনার পূর্বে শান্তির সংস্কৃতির ওপর সাধারণ পরিষদে বহু সদস্য রাষ্ট্র বক্তব্য প্রদান করে। এ সময় তারা জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতির ধারণাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদের সরকারের সময় ১৯৯৯ সালে সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি প্রথমবারের মতো গৃহীত হয়। এরপর থেকে প্রতিবছর বাংলাদেশ শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাবটি সাধারণ পরিষদে উপস্থাপন করে আসছে।

এছাড়া সাধারণ পরিষদের সভাপতির নেতৃত্বে ২০১২ সাল থেকে শান্তির সংস্কৃতি’ বিষয়ে বাংলাদেশ জাতিসংঘে একটি উচ্চ পর্যায়ের ফোরামের আয়োজন করে আসছে।


আরও খবর



২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার মূল বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি) সভায় এ উন্নয়ন বাজেট অনুমোদন দেয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) প্রণয়নে গত ১৪ মার্চ নির্দেশনা দেয় পরিকল্পনা কমিশন। সেই নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে সব বাস্তবায়নকারী মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাছ থেকে এডিপির জন্য মোট দুই লাখ ৭৬ হাজার ৪০২ কোটি ৪৬ লাখ টাকার প্রাথমিক চাহিদা পাওয়া যায়। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন এক লাখ ৮৫ হাজার ৩৯১ কোটি ১৯ লাখ টাকা ও প্রকল্প ঋণ-অনুদান ৯১ হাজার ১১ কোটি ২৭ লাখ টাকা।

পরে অর্থ বিভাগ থেকে পাঠানো নির্দেশনা অনুযায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের এডিপির আকার দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণপূর্বক কার্যক্রম বিভাগকে অবহিত করা হয়। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন এক লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা বা ৬২ দশমিক ২৬ শতাংশ। উন্নয়ন ব্যয় মেটাতে বৈদেশিক ঋণ-অনুদানের টার্গেট এক লাখ কোটি টাকা বা ৩৭ দশমিক ৭৪ শতংশ।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ছিল ৮৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। সে হিসাবে এডিপিতে এক অর্থবছরের ব্যবধানে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ বাড়ছে ১৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।


আরও খবর