আজঃ মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

২১ নাবিক ফিরবেন এমভি আবদুল্লাহ নিয়ে, দুজন বিমানে

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হওয়া এমভি আবদুল্লাহতে চড়েই দেশে ফিরবেন জাহাজটির ২১ নাবিক। বাকি দুই নাবিক ফিরবেন বিমানযোগে। জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপ জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হওয়া নাবিকদের ইচ্ছে অনুযায়ী বিমানযোগে অথবা জাহাজে দেশে ফিরতে পারবেন বলে জানিয়েছিল। এরপর নাবিকেরা তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন।

সোমালিয়ার উপকূলে দস্যুদের হাত থেকে মুক্ত হওয়ার পর জাহাজটি এডেন উপসাগর হয়ে ওমান উপকূলের সামনে দিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়া বন্দরের পথে আছে। ওই বন্দরে ২২ এপ্রিল জাহাজটি পৌঁছার কথা রয়েছে। সেখানে কিছু আনুষ্ঠানিকতা আছে। এরপরই দেশের পথে রওনা হবেন নাবিকেরা।

কেএসআরএম গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমরা নাবিকদের ইচ্ছে অনুযায়ী দেশে ফিরতে পারবেন বলে জানিয়েছিলাম। ২১ নাবিক জাহাজে ও বাকি ২ জন বিমানে বাংলাদেশে আসবেন। তবে চাইলে সবাই উড়োজাহাজে আসতে পারবেন, যদি তারা আসতে চান। তবে ২১ নাবিক জানিয়েছেন তারা এমভি আবদুল্লাহকে নিয়েই বাংলাদেশে ফিরবেন।’

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে সোমালি দস্যুদের কবলে পড়ে ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ। যদিওবা তখন সোমালিয়ার উপকূল থেকে ৫৭৬ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল জাহাজটি। জিম্মি করার পর জাহাজটি দস্যুরা নিজেদের উপকূলে নিয়ে যায়। জিম্মির ৩২ দিন পর মুক্তিপণ পেয়ে শনিবার (১৩ এপ্রিল) জাহাজ থেকে নেমে যায় দস্যুরা। এরপর জাহাজটি নিয়ে আরব আমিরাতের পথে রওনা হন নাবিকেরা।


আরও খবর



শুরু হলো শবে কদর তালাশের দশক

প্রকাশিত:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩১ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

পবিত্র রমজান শুরুর পর ইতোমধ্যে প্রথম দুই দশক অর্থাৎ, রহমত ও মাগফিরাত শেষ হয়েছে। আজ থেকে শুরু হয়েছে নাজাতের দশক। এই নাজাতের দশকে এমন একটি রাতের কথা বলা হয়েছে, যেই রাতের ইবাদত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম। কারণ, এ রাতেই প্রথম পবিত্র মক্কার হেরা পর্বতের গুহায় মহান আল্লাহ মুহাম্মাদ (সা.)-এর কাছে পবিত্র কোরআন নাজিল করেন।

আল্লাহ তাআলা বলেন, আমি একে (কোরআন) নাজিল করেছি কদরের রাতে। আপনি কি জানেন মহিমাময় কদর রজনী কী? মহিমান্বিত কদর রজনী হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। (সুরা কদর: ১-৩)

সাধারণত কদর রজনী শেষ দশকে হওয়াই বিশুদ্ধ অভিমত। হজরত আবু সালামা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবু সায়িদকে জিজ্ঞেস করেছি, সে আমার বন্ধু ছিল। তিনি বলেন, আমরা নবী করিম (সা.) এর সঙ্গে রমজানের মধ্য ১০ দিন ইতিকাফে ছিলাম। তিনি ২০ তারিখ সকালে বের হন এবং আমাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন। ভাষণে বলেন, আমাকে কদরের রজনী দেখানো হয়েছিল, অতঃপর ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই তোমরা তা শেষ ১০ দিনের বেজোড় রাতগুলোতে তালাশ করো। আমি নিজেকে মাটি ও পানিতে সিজদা করতে দেখেছি। তাই যারা রাসুলের সঙ্গে ইতিকাফে ছিল, তারা যেন ফিরে আসে। তখন আমরা ফিরে এসেছি। আমরা আকাশে কোনো মেঘ দেখিনি। হঠাৎ একরাতে মেঘ এলো, বৃষ্টি হলো, মসজিদের ছাদ ভেসে গেল। তা ছিল খেজুরগাছের ঢালের এবং নামাজ শুরু হলো, তখন আমি রাসুল (সা.) কে দেখেছি, তিনি পানি ও মাটিতে সিজদা করছেন। এমনকি তার কপালে মাটির চিহ্ন ছিল। (বুখারি, হাদিস : ২০১৬)

শবে কদর অনুসন্ধান ও আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ লাভে প্রত্যেক পাড়া-মহল্লার মসজিদে ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা ইতোমধ্যে ইতিকাফে বসেছেন।

ইতিকাফ হচ্ছে আল্লাহতায়ালার নৈকট্য ও ক্ষমা লাভের এক অনন্য সুযোগ। রমজানের ইতিকাফ শুরু করতে হয় ২০ তারিখের সূর্যাস্তের আগ থেকে। আর তা শেষ হয় রমজান শেষ হলে। অর্থাৎ ২৯ তারিখে চাঁদ দেখা গেলে বা ৩০ তারিখ পূর্ণ হলে। সুতরাং যারা রমজানের শেষ দশকে আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ, অনুকম্পা, ক্ষমা ও করুণার আশায় মসজিদে ইতিকাফ পালন করবেন, তারা আজ সন্ধ্যার মধ্যে মসজিদে যেয়ে অবস্থান নেবেন।

ইতিকাফের উদ্দেশ্য সম্পর্কে আল্লামা হাফেজ ইবনে রজব বলেছেন, ইতিকাফের উদ্দেশ্য হলো- সৃষ্টির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা এবং স্রষ্টার সঙ্গে সম্পর্ক কায়েম করা। আল্লাহর সঙ্গে পরিচয় যতো গভীর হবে, সম্পর্ক ও ভালোবাসা ততো নিবিড় হবে এবং তা বান্দাকে পুরোপুরি আল্লাহর কাছে নিয়ে যাবে।

শবে কদর তালাশ করতে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি রমজানে ইতিকাফে বসতেন। এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমি কদরের রাতের সন্ধানে (রমজানের) প্রথম ১০ দিন ইতিকাফ করলাম। এরপর ইতিকাফ করলাম মধ্যবর্তী ১০ দিন। তারপর আমার প্রতি ওহি নাজিল করে জানানো হলো যে, তা শেষ ১০ দিনে রয়েছে। সুতরাং তোমাদের যে ইতিকাফ পছন্দ করবে, সে যেন ইতিকাফ করে। তারপর মানুষ (সাহাবায়ে কেরাম) তার সঙ্গে ইতেকাফে শরিক হয়। (মুসলিম শরীফ)

মুহাক্কিক ইমামগণ বলেছেন, আরবিতে লাইলাতুল কদর শব্দদ্বয়ে ৯টি হরফ বা বর্ণ রয়েছে; আর সুরা কদরে লাইলাতুল কদর শব্দদ্বয় তিনবার রয়েছে; নয়কে তিন দিয়ে গুণ করলে সাতাশ হয়, তাই (ছাব্বিশ দিবাগত) সাতাশ রমজানের রাতে শবে কদর হওয়ার সম্ভাবনা প্রবলভাবে বিদ্যমান রয়েছে। (তাফসিরে মাজহারি)।

শবে কদরে নির্ধারিত ফরজ ইবাদতগুলো সযত্নে পালনপূর্বক সামর্থ্যমতো সর্বাধিক নফল ইবাদতের মাধ্যমে রাত্রি জাগরণ করা সুন্নত। রাসুল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি ইমানের সঙ্গে সওয়াবের উদ্দেশ্যে আত্মমূল্যায়নসহ কদরের রাত জেগে ইবাদত করবে, তার অতীতের সকল গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। (বুখারি শরিফ, প্রথম খণ্ড, পৃষ্ঠা: ৩০, হাদিস : ৩৪)।


আরও খবর
কুরবানি ঈদ কবে, জানাল আরব আমিরাত

মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪




জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ও ২৩ নাবিক মুক্ত

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অবশেষে মুক্ত হয়েছে সোমালিয়ান জলদস্যুদের হাতে জিম্মি থাকা বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। জাহাজটিতে থাকা ২৩ নাবিকই সুস্থ রয়েছেন।

জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম শনিবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩টা ৩৫ মিনিটে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অল্প কিছুক্ষণ আগে আমরা সুসংবাদ পেয়েছি। আমাদের জাহাজটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ২৩ নাবিকই অক্ষত অবস্থায় আমরা ফেরত পেয়েছি। আগামীকাল (রোববার) সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে।

জানা গেছে, জলদস্যুদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ নিয়ে একটি বিমান বাংলাদেশ সময় শনিবার বিকেলে জিম্মি জাহাজের ওপর চক্কর দেয়। এসময় জাহাজের ওপরে ২৩ নাবিক অক্ষত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপর বিমান থেকে ডলারভর্তি তিনটি ব্যাগ সাগরে ফেলা হয়। স্পিডবোট দিয়ে এসব ব্যাগ জলদস্যুরা কুড়িয়ে নেয়। জাহাজে উঠে দাবি অনুয়ায়ী মুক্তিপণ গুনে নেয় জলদস্যুরা। তবে চুক্তি অনুযায়ী জাহাজটি যথাসময়ে ছেড়ে দেয়নি দস্যুরা। পরবর্তীতে আশপাশে কেউ আটক করছে কি না, সেটি নিশ্চিত হয়ে জাহাজ থেকে দস্যুরা নেমে যায়।

মুক্ত হয়ে বাংলাদেশ সময় শনিবার মধ্যরাতে ২৩ নাবিক নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। যদিও মুক্তিপণ কত এবং কীভাবে দেওয়া হয়েছে সেটি নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি জাহাজের মালিকপক্ষের কোনো কর্মকর্তা।

কেএসআরএম গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান বলেন, সমঝোতার পর নাবিকসহ জাহাজটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। জাহাজের চারপাশে একাধিক আন্তর্জাতিক যুদ্ধজাহাজ রয়েছে।

এর আগে গত ১২ মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। ৫৮ হাজার মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে গত ৪ মার্চ আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে এমভি আবদুল্লাহ। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল।

কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন এমভি আবদুল্লাহ আগে গোল্ডেন হক নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এরকম মোট ২৩টি জাহাজ আছে কবির গ্রুপের বহরে।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।


আরও খবর



দাবদাহ : এবার ইংরেজি মাধ্যম স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে দেশের স্কুল কলেজ সাতদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। এরমধ্যে বিদেশি কারিকুলামে পরিচালিত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (ইংলিশ মিডিয়াম) শ্রেণি কার্যক্রম কোথাও কোথাও চলছে বলে জানা গেছে। এ অবস্থায় ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করার জন্য বলা হয়েছে।

শুক্র-শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির কারণে শ্রেণিকার্যক্রম ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে শ্রেণিকার্যক্রম চলবে।

রোববার (২১ এপ্রিল) মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রফেসর মোহাম্মদ আবুল মনছুর ভূঞাঁ সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।

এদিকে গতকাল শনিবার দুপুরে দেশের সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা ৫ দিন বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। তবে যেহেতু এরপর শুক্র-শনিবার রয়েছে তাই বন্ধটা টানা ৭ দিনে গিয়ে ঠেকছে। ২৮ এপ্রিল থেকে খুলবে স্কুল কলেজ।

দুই মন্ত্রণালয় তাদের বিবৃতিতে বলেছে, চলমান তাপপ্রবাহের কারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে পরামর্শক্রমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে আবহাওয়া পরিস্থিতির পরিবর্তন সাপেক্ষে এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হতে পারে। এরপর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সব কলেজে ক্লাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ আলাদা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তাদের আওতাধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন।


আরও খবর



এবার ইসরায়েলি সেনাপ্রধানের পদত্যাগের আভাস

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ব্যর্থতার দায় মেনে নিয়ে এবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী প্রধান হারজি হালেভি পদত্যাগ করতে পারেন। ইসরায়েলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম চ্যানেল টুয়েলভ- এর বরাতে এ খবর প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।

এর আগে গত সোমবার (২২ এপ্রিল), দেশটির সামরিক গোয়েন্দা প্রধান মেজর জেনারেল আহারন হালিভার পদত্যাগ করেন।

গত সাত মাস ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে এরপরও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী ও গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসকে পরাজিত করতে ব্যর্থ হয়েছে ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনী।

সেই সঙ্গে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের মূলভূখণ্ডে হামাসের নজিরবিহীন হামলা ঠেকাতে ব্যর্থতার অভিযোগ ওঠে ইসরায়েলি সামরিক ও প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা বিভাগের বিরুদ্ধে। ইসরায়েলি নাগরিকসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় আড়াই'শ নাগরিককে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া এবং তাদের উদ্ধারে তেল আবিবের ব্যর্থতা সেনাবাহিনী ও সরকার বিরোধী ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর চিফ অব স্টাফ হার্জি হালেভি কিছুদিনের মধ্যে পদত্যাগ করবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, স্থানীয় সংবাদমাধ্যম শনিবার একথা জানিয়েছে।

ইসরায়েলের বেসরকারি সম্প্রচারকারী চ্যানেল টুয়েলভ জানিয়েছে, গত সপ্তাহে দেশটির সামরিক গোয়েন্দা প্রধান মেজর জেনারেল আহারন হালিভার পদত্যাগের পর এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের হামলার পূর্বাভাস দিতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য দায়ী সব কর্মকর্তাকে ঘরে ফিরে যেতে হবে, চিফ অব স্টাফ থেকে শুরু করে সবাইকে।

এর আগে, ২২ এপ্রিল ইসরায়েলের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান মেজর জেনারেল আহারন হালিভা পদত্যাগের ঘোষণা দেন। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাসের গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে চালানো হামলার ঘটনায় গোয়েন্দা ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে পদত্যাগের এই ঘোষণা দেন তিনি।


আরও খবর



সুপারসনিক মিসাইল নিয়ে ভূমধ্যসাগরে রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরাইলের ভূখণ্ডে ইরানের কয়েকশ ড্রোন এবং মিসাইল হামলার জেরে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ভূমধ্যসাগরে যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে রাশিয়া।

রবিবার (১৪ এপ্রিল) রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে আলজাজিরা জানিয়েছে, মার্শাল শাপোশনিকভ নামে রাশিয়ার ফ্রিগেটটি মিশরের সুয়েজ খাল হয়ে ভূমধ্যসাগরে প্রবেশ করেছে। এই ফ্রিগেট কিনঝাল সুপারসনিক মিসাইল দিয়ে সজ্জিত।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, পরিকল্পিত নৌ মহড়ার অংশ হিসাবে কিনঝাল সুপারসনিক মিসাইল সজ্জিত রাশিয়ান নৌবাহিনীর একটি ফ্রিগেট ভূমধ্যসাগরে প্রবেশ করেছে।

পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মার্শাল শাপোশনিকভ তার ওপর অর্পিত কাজগুলি সম্পাদন করে যাবে বলেও বিবৃতিতে জানিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে এর বাইরে আর বিস্তারিত তথ্য দেয়া হয়নি।

গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরাইল। এতে বিপ্লবী গার্ডের দুই কমান্ডারসহ ৭ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিহত হন।

ওই ঘটনার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজন বিরাজ করছে। এই ইস্যুতে আঞ্চলিক বিশৃঙ্খলা এড়াতে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল ক্রেমলিন।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‌এই অঞ্চলের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ অস্থিতিশীলতার দিকে যাতে চলে না যায় সেজন্য এখনই সব পক্ষের সংযম বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এদিকে দামেস্কের কনস্যুলেটে হামলার উপযুক্ত জবাব দেয়ার যে হুঁশিয়ারি ইরানের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছিল তা রোববার (১৪ এপ্রিল) বাস্তবায়ন করেছে দেশটি। ইসরাইলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান।

ইরানের এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাজ্য, জার্মানিসহ পশ্চিমা দেশগুলো। যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্সসহ অনেক দেশ ইরানের হামলা ঠেকাতে ইসরাইলকে সহায়তা করেছে। ইসরাইলের নিরাপত্তার জন্য সবকিছু করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

এক বিবৃতিতে ইসরাইলে ইরানি হামলার শক্ত ভাষায় নিন্দা জানিয়েছেন বাইডেন। বিবৃতিতে তেল আবিবকে ওয়াশিংটনের লোহবর্মের মতো সুরক্ষা দেয়ার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যাক্ত করেন বাইডেন।

এই অঞ্চলে মার্কিন বাহিনী এবং তাদের কোনো স্থাপনা ইরানের লক্ষ্যবস্তু না হলেও সমস্ত হুমকির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক রয়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়।

বাইডেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের দিক থেকে আসা সব ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করতে ইসরাইলকে সহায়তা করেছে।

এদিকে ইসরাইলে ইরানের এ হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ সলজের মুখপাত্র ইরানকে সতর্ক করে বলেছেন, এটি আঞ্চলিক যুদ্ধের ঝুঁকিতে রয়েছে।

জার্মানি ইসরাইলের পাশে থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, এই দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং অযৌক্তিক হামলার মাধ্যমে ইরান একটি আঞ্চলিক সংঘর্ষের ঝুঁকিতে পড়ল।

এদিকে এই ঘটনায় তৃতীয় কোনো পক্ষ নাক গলাতে এলে কিংবা ইসরাইলের পাল্টা পদক্ষেপে সহায়তা করলে তার বিরুদ্ধেও হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইরান। ওয়াশিংটন ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর পদক্ষেপে সমর্থন জানালে মার্কিন ঘাঁটিও লক্ষ্যবস্তু করা হবে বলে জানিয়েছে ইরান।

এদিকে হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চীন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসরাইলের ওপর ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার প্রতিক্রিয়ায় জারি করা এক বিবৃতিতে সব পক্ষকে শান্ত ও ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছে।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্রের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলমান পরিস্থিতিতে গাজা সংঘাত আরও দীর্ঘ হবে। সংঘাত এখনই শেষ হওয়া উচিত।

মুখপাত্র আরও বলেন, গত ২৫ মার্চ জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে যে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে তা বাস্তবায়নে আর বিলম্ব করা উচিত নয়। ওই অঞ্চলে শান্তি এবং গঠনমূলক ভূমিকা পালন করার জন্য প্রভাবশালী দেশগুলোর প্রতিও আহ্বান জানানো হয়েছে।


আরও খবর