আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

২১১ রানের টার্গেটে ব্যাট করছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ মার্চ ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মার্চ ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দেন অভিষিক্ত নাসুম আহমেদ। নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার মার্টিন গাপটিল ও ফিন অ্যালেন দুজনকেই ফেরান তিনি। কিন্তু, নাসুম ছাড়া বাকিদের বোলিং ছিল লাগামছাড়া। সঙ্গে বাজে ফিল্ডিং তো ছিলই। এই সুযোগে বড় পুঁজি পেয়ে গেছে নিউজিল্যান্ড। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ২১১ রানের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে স্বাগতিকেরা।

আজ রোববার তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে তিন উইকেটে ২১০ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। দলের পক্ষে সর্বাধিক ৯২ রান করেন ডেভন কনওয়ে।

নিউজিল্যান্ডের হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নামা বাংলাদেশের শুরুটা ছিল আশা জাগানিয়া। ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাফল্য এনে দেন অভিষিক্ত নাসুম।

নাসুমকে দিয়ে বোলিং ওপেন করায় বাংলাদেশ। নাসুমের করা প্রথম চার বলে কোনো রান নিতে পারেননি মার্টিন গাপটিল। পঞ্চম বলে সিঙ্গেল নিয়ে প্রান্ত বদল করেন। শেষ বলে উইকেটে আসা অভিষিক্ত অ্যালেনকে নিজের প্রথম শিকার বানান নাসুম।

নাসুমের স্টাম্প বরাবর করা বলে বোল্ড হন অ্যালেন। অভিষেকে তিক্ততার স্বাদ পেলেন অ্যালেন। এরপর গাপটিলকেও ফিরিয়ে দেন নাসুম। পাওয়ার প্লে শেষে আবার বোলিংয়ে এসে গাপটিলকে বিদায় করে দিলেন নাসুম। সাজঘরে ফেরার আগে ২৭ বলে ৩৫ রান করেন যান গাপটিল।

এমন ভালো শুরুর পর শুধু হতাশা দেখেছে বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেটে অভিষিক্ত উইল ইয়ংয়ের সঙ্গে শক্ত জুটি বাঁধেন ডেভন কনওয়ে। ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টিতেও বাংলাদেশের আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়ান কনওয়ে। মাঠের চারপাশে খেলেন দারুণ সব শট।

এর মাঝে নাসুমের শেষ স্পেলে আউট হতে পারতেন কনওয়ে। নাসুমের বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে সীমানা ঘেঁষে ক্যাচ তুলে দেন কনওয়ে। সেখানে ছিলেন আরেক অভিষিক্ত শরিফুল ইসলাম। তিনি ক্যাচ ধরেন ঠিকই। কিন্তু সীমানা দড়িতে পা স্পর্শ হয়ে যায় শরিফুলের। আউটের বদলে হয়ে যায় ছক্কা, তাতে কনওয়েও পেয়ে যান হাফসেঞ্চুরি। ৩৭ বলে নিজের চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন কনওয়ে।

কনওয়ের পর হাফসেঞ্চুরি করেন ইয়াং। অভিষেক ম্যাচে মাত্র ২৮ বলে ৫০ স্পর্শ করেন এই ক্রিকেটার। হাফসেঞ্চুরির পর ৫৩ রানের মাথায় তাঁকে সাজঘরে পাঠান মেহেদি হাসান। এরপর শেষের দিকে ফিলিপসকে নিয়ে নির্ধারিত ওভারে কিউইদের বড় সংগ্রহ এনে দেন কনওয়ে। ম্যাচ শেষে ৯২ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। তাঁর ইনিংসে ৫২ বলে ছিল ১১টি বাউন্ডারি ও তিনটি ছক্কা। ১০ বলে ২৪ রানে অপরাজিত ছিলেন ফিলিপস।

বল হাতে চার ওভারে ৩০ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন নাসুম। সমান চার ওভারে ৩৭ রান দিয়ে একটি শিকার করেন মেহেদি হাসান। নাসুমের মতো অভিষেক ম্যাচ ভালো কাটেনি শরিফুল ইসলামের। সবচেয়ে খরুচে বোলিং করেছেন তিনি। ১২.৪০ ইকোনোমিতে চার ওভারে ৫০ রান দিয়েছেন তিনি।

নিউজ ট্যাগ: বাংলাদেশ দল

আরও খবর



ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিদায় করে সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

জিতলে সেমিফাইনালে, হারলে বিদায়- এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে নবম টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার এইটের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যেখানে ক্যারিবীয়দের কাঁদিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে এইডেন মার্করামের দল।

অ্যান্টিগুয়ার নর্থ সাউন্ডে আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৫ রান সংগ্রহ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে বৃষ্টি বাধায় ডিএলএস মেথডে দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২৩ রান (১৭ ওভারে)। সেই লক্ষ্য তাড়ায় ৩ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে নোঙর করে প্রোটিয়ারা। এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনালের টিকিট পেল দক্ষিণ আফ্রিকা। অন্যদিকে লড়াকু হারে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপে বিদায়ঘণ্টা বাজলো ক্যারিবীয়দের।

রান তাড়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন কুইন্টন ডি কক ও রেজা হেনড্রিকস। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই এ জুটি ভাঙেন রাসেল। তাতে গোল্ডেন ডাক খেয়ে সাজঘরে ফেরেন রেজা। একই ওভারের শেষ বলে রাসেলের শট লেংথের বল বাউন্ডারির বাইরে আছড়ে ফেলতে গিয়ে রাদারফোর্ডের তালুবন্দী হন ডি কক। আউট হওয়ার আগে ৭ বলে ১২ করেন তিনি। এরপরেই বৃষ্টি নামে অ্যান্টিগুয়াতে।

বৃষ্টি থামার পর মাঠে নেমেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন এইডেন মার্করাম। তাতে অবশ্য কপালও পুড়েছে তার। আলজারি জোসেফের ওপর চড়াও হতে গিয়ে নিজের উইকেট খুইয়েছেন তিনি। ব্যাট হাতে ঝড় তুলে প্রোটিয়াদের জয়ের পথ সহজ করেন হেনরিখ ক্লাসেন। তবে ১০ বলে ২২ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। উইকেটে এসে ব্যর্থ হয়েছেন ডেভিড মিলার। ১৪ বলে ৪ রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ধীরে ধীরে ম্যাচ থেকে ছিটকে যাচ্ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লড়াই করে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছেড়েছেন মার্কো জানসেন। ২১ অপরাজিত ছিলেন তিনি। উইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট শিকার করেন রস্টন চেজ। এছাড়া দুটি করে উইকেট নেন আন্দ্রে রাসেল ও আলজারি জোসেফ।

এর আগে টস জিতে উইন্ডিজকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। ব্যাট হাতে বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দিয়েও মাঝারি লক্ষ্য সংগ্রহ করে তাড়া। দলের হয়ে কাইল মেয়ার্স (৩৫) ও রস্টন চেজ (৫২) ছাড়া কেউই সেভাবে পারফর্ম করতে পারেননি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ধীরে ধীরে রানের গতি কমে যায় ক্যারিবীয়দের। স্বাগতিকদের ৬ ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১৩৫ রানে থেমেছে স্বাগতিকরা।

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট শিকার করেছেন তাবরাইজ শামসি। এছাড়া একটি করে উইকেট নিয়েছেন কাগিসো রাবাদা, মার্কো জানসেন, কেশব মহারাজ ও এইডেন মার্করাম।


আরও খবর



বাজেটে কমতে পারে যে সব পণ্যের দাম

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৩তম বাজেট উত্থাপন হতে যাচ্ছে বৃহস্পতিবার। সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার স্লোগানে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এটি হবে তার প্রথম বাজেট ঘোষণা এবং আওয়ামী লীগ সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের প্রথম বাজেট।

আয়-ব্যয়ের বিপুল ঘাটতির তোয়াক্কা না করে প্রতি বছরই বাড়ছে হুড়হুড় করে বাড়ছে বাজেটের আকার। যার প্রভাব পড়ে দেশের সাধারণ মানুষের ওপর।

এবারের বাজেটে যে সকল পণ্যের দাম কমবে বলে জানা যায়, তারমধ্যে রয়েছে পেঁয়াজ, রসুন, মটর, ছোলা, চাল, গম, আলু, মসুর, ভোজ্য তেল, চিনি, আদা, হলুদ, শুকনা মরিচ, ভুট্টা, ময়দা, আটা, লবণ, গোলমরিচ, এলাচ, দারচিনি, লবঙ্গ, খেজুর, তেজপাতা, পাট, তুলা, সুতা, সব ধরনের ফলসহ ৩০টি পণ্যে করছাড় দেওয়া হচ্ছে।

৩০টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও খাদ্যশস্য সরবরাহের ওপর কর কমানোর পাশাপাশি শিশুখাদ্যেও কমছে করভার। বর্তমানে আড়াই কেজি ওজন পর্যন্ত গুঁড়া দুধের ওপর করভার ৮৯.৩২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫৮.৬০ শতাংশ করার প্রস্তাব আসছে। বর্তমানে গুঁড়া দুধের বাল্ক আমদানিকারকদের জন্য মোট করভার ৩৭ শতাংশ।

দেশীয় শিল্পের বিকাশে ২০২৩-২৪ বাজেটে ল্যাপটপ-কম্পিউটার আমদানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা হয়। ফলে আমদানিকারকদের বর্তমানে ল্যাপটপ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্কসহ বর্তমানে ল্যাপটপে আমদানি মোট ৩১ শতাংশ শুল্ককর দিতে হয়। তবে নতুন ২০২৪-২৫ বাজেটে এ পণ্যটিতে শুল্ককর ১০ শতাংশ কমিয়ে ২০ দশমিক ৫০ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে।

কৃষিজাত পণ্য বিশেষ করে পোল্ট্রি, গবাদিপশু ও মাছের দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে ভর্তুকি, প্রণোদনা এবং আমদানিকৃত পণ্যে শুল্ককর ও ভ্যাট ছাড় দেওয়া হবে।

সার, বীজ, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ এবং আরও কতিপয় শিল্পের কাঁচামালের ক্ষেত্রে বিদ্যমান শুল্কহার অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করা হতে পারে। তৈরি পোশাক, ক্ষুদ্রঋণ, রেমিট্যান্স, পোলট্রি ও ফিশারি খাতেও করছাড় কমানো হতে পারে বলেও জানা যায়।


আরও খবর



সিন্ডিকেটের ফাঁদে কমছে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এবারও সিন্ডিকেটের কবলে পড়েছে চামড়ার দাম। সরকার নির্ধারিত ন্যায্য দাম পাননি কেউ। হাতেগোনা কিছু মৌসুমি ব্যবসায়ী ও ফড়িয়ারা সামান্য লাভের মুখ দেখলেও কোরবানির চামড়ায় দায় সারা দরে কিনতে সব আয়োজন করেছেন বড় বড় ব্যবসায়ীরা।

ফলে গতবারের চেয়ে এবার প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ঢাকায় ৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৭ টাকা বাড়ানো হলেও কাঙ্ক্ষিত দাম পাননি মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।

বুধবার (১৯ জুন) সরেজমিনে চামড়া কেনাবেচার স্থানগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, সরকার নির্ধারিত লবণযুক্ত চামড়ার দামের অর্ধেক দামেও চামড়া বিক্রি করতে না পেরে লোকসানে হতাশ মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।

খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি বছর এ রকম সিন্ডিকেটের ফাঁদে রংপুরে একদিকে কমছে কোরবানির পশুর চামড়ার আমদানি। অন্যদিকে ন্যায্য দাম না পেয়ে চামড়া মাটিচাপা দেওয়ার ঘটনাও ঘটছে।

এদিকে, সরকারের বেঁধে দেওয়া চামড়া দাম নির্ধারণ শুধুই কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ থাকায় সিন্ডিকেট বলয় এবারও ভাঙতে পারেননি সাধারণ ব্যবসায়ী ও ফড়িয়ারা।

রংপুর নগরীর চামড়া কেনাবেচার সবচেয়ে বৃহৎ এলাকা চামড়াপট্টিতে দেখা গেছে, পুরো চামড়ার বাজার একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণে নেন আড়তদারসহ বড় বড় ব্যবসায়ীরা। তারা সিন্ডিকেট করে দাম কমিয়ে দিয়েছেন। ফলে তাদের বেঁধে দেওয়া দামের বাইরে চামড়া বিক্রি হয়নি।

এদিকে সাধারণ মানুষ এবং মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, চামড়ার জন্য প্রসিদ্ধ রংপুর নগরীর শাপলা চত্বর টার্মিনাল রোডের চামড়াপট্টি এলাকার ব্যবসায়ীরাসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে এবারও সস্তায় চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন তারা। গরুর চামড়ায় দাম মিললেও ছাগলের চামড়া ফ্রি-তে দিতে হয়েছে। চামড়ার দাম কম দিতে নানা অজুহাতের ফাঁদ গল্প শুনতে হয়েছে তাদের।

নগরীর বিভিন্ন স্থানে দেখা যায়, এবার প্রতি পিস গরুর চামড়া বিক্রি হয়েছে ২৫০ থেকে ৬০০ টাকায়। আর ছাগলের চামড়া বিক্রি হয়েছে মাত্র ৫ থেকে ১০ টাকায়। মৌসুমি চামড়া বিক্রেতারা জানিয়েছে, বিভিন্ন জায়গা থেকে চামড়া কিনে আনার পর আড়তদারদের কাছে চামড়ার ন্যায্য দাম পাওয়া যায়নি। এতে করে হতাশ তারা।

রাশেদুন্নবী জুয়েল নামের একজন জানান, তাদের গরুর দাম ছিল ১ লাখ বিশ হাজার টাকা। কিন্তু সেই গরুর চামড়া বিক্রি করেছেন মাত্র ৪০০ টাকায়। প্রায় চার ঘণ্টা ছিলাম। কোনো ক্রেতাই এর থেকে দাম বেশি বলেনি। উপায় না থাকায় কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছি। এতে করে আমার ক্ষতি না হলেও সাধারণ গরীব-মিসকিনেরতো ঠিকই ক্ষতি হচ্ছে। কারণ কোরবানির পশুর চামড়ার টাকায় তো তাদের হক রয়েছে।

চামড়া নিয়ে আসা মৌসুমি ব্যবসায়ী খায়রুল ইসলাম জানান, প্রতি বর্গফুট মাঝারি গরুর চামড়া সর্বনিম্ন ৭০০ থেকে ৮০০ এবং বড় গরুর চামড়া এক হাজার থেকে বারোশ দাম হওয়ার কথা। তিনি ওই হিসেবে গড়ে ৬০০ টাকা দরে চামড়া কিনেছেন। গাড়ি ভাড়া আনুষঙ্গিক খরচসহ সাড়ে ৬০০ টাকা পড়েছে প্রতি পিস চামড়া কিনতে। কিন্তু আড়তদাররা ৫০০ টাকার বেশি দামে চামড়া কিনতে রাজি না হওয়ায় তাকে মোটা অঙ্কের লোকসান মেনে নিতে হয়েছে।

একই কথা জানিয়েছেন নগরীর সিও বাজার এলাকার মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী সোলায়মান আলী। তিনিও গড়ে ৬০০ টাকা দরে চামড়া কিনে এনে সস্তা দামে বিক্রি করতে বাধ্য হন। তবে আড়তদারদের দাবি, ঢাকার ট্যানারি মালিকদের কাছে পাওনা টাকা তুলতে না পারা, পুঁজি সংকটসহ লবণের দাম বৃদ্ধি ও বিভিন্ন কারণে সরকার নির্ধারিত দামে তারা চামড়া কিনতে পারেননি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছর ১৫-২০ জন ফড়িয়া ও অর্ধশত মৌসুমি ব্যবসায়ী এবং হাতেগোনা ৬-১০ জন ব্যবসায়ী চামড়া কিনলেও এ বছর বেশির ভাগকেই চামড়া কেনাবেচায় দেখা যায়নি। সবমিলিয়ে চার-পাঁচজন ছাড়া চামড়া কেনার মতো বড় কোনো ব্যবসায়ী ও আড়তদার ছিল না এ এলাকায়। অথচ এক সময় চামড়াপট্টি এলাকায় শতাধিকের বেশি চামড়ার গুদাম ছিল।

রংপুর জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আফজাল হোসেন বলেন, সিন্ডিকেট করে কী লাভ? এমনিতেই চামড়ার বাজারে ধস নেমেছে। ট্যানারি ছাড়া স্থানীয়ভাবে চামড়া সংরক্ষণের বিকল্প কোনো উপায় নেই। এখন আমদানিও কম। লবণের দাম তো বেড়েই চলেছে। এত কিছুর মাঝেও ট্যানারি মালিকেরা সরকারের কাছ থেকে ঋণ পাচ্ছে। কিন্তু আমাদের মতো ব্যবসায়ীরা বছরের পর বছর ধরে ঋণ সুবিধার বাইরে রয়েছি। আমাদের ঋণ দেওয়া হয় না। অথচ বড় বড় ট্যানারি মালিকেরা চামড়া ব্যবসার নামে ঋণ নিয়ে তা অন্যখাতে বিনিয়োগ করছে।

তিনি আরও বলেন, চামড়া কিনে কোথায় বিক্রি করা হবে, এ নিয়েই চিন্তিত বড় ব্যবসায়ীরা। এখন চামড়ার দাম নেই। তার মধ্যে আর্থিকভাবে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে সুস্থ মানুষ দরকার: আতিক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে সুস্থ মানুষ দরকার বলে মন্তব্য করেছেন উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

শুক্রবার (৭ জুন) সকালে রাজধানীর হাতিরঝিলে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিক্স অ্যান্ড সাইক্লিং ক্লাব আয়োজিত জয় বাংলা ম্যারাথনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ছয় দফা আন্দোলনকে স্মরণীয় করে রাখতে এই আয়োজন সবার মাঝে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দিতে ভূমিকা রাখবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে মেধাবী ও সুস্থ মানুষ দরকার। মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে খেলাধুলা ও শরীর চর্চা আবশ্যক।

এ সময় তিনি দেশের ক্রীড়া ও সংস্কৃতির বিকাশে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের অবদানের কথা উল্লেখ করেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে ডিএনসিসি মেয়র ম্যারাথনে নিজে অংশ নিয়ে প্রতিযোগীদের উৎসাহিত করেন। তিনি দীর্ঘ ৭ কিলোমিটার পুরো হাতিরঝিল এক রাউন্ড দৌড়ান।

ম্যারাথন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান।

ঢাকা জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পুলিশ অ্যাথলেটিক্স অ্যান্ড সাইক্লিং ক্লাবের সভাপতি অ্যাডিশনাল আইজিপি বনজ কুমার মজুমদার।


আরও খবর



বাগেরহাটে বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

বাগেরহাটে পৃথক বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও ১ জন, মারা গেছে ১ টি মহিষ ও ৩টি গরু।

বুধবার (১৯ জুন) দুপুরে বাগেরহাট সদর উপজেলা ডেমা ইউনিয়নের পিসি ডেমা ও হেদায়েতপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, ডেমা ইউনিয়নের পিসি ডেমা গ্রামের আমিন হকের ছেলে মোঃ শরিফুল হক (২০) ও হেদায়েতপুর গ্রামের কাওছার হোসেনের ছেলে শেখ সেলিম (৩৫)।

স্থানীয়রা জানান, শরিফুল ইসলাম পঞ্চমালা মাঠে গরু চড়াতে ছিলেন। বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এসময় পিসি ডেমা গ্রামের লিয়াকত হাওলাদারের ছেলে উজ্জল হাওলাদার (২৮) আহত হয়। বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়। এই সময় তিনটি গরু ও একটি মহিষ মারা যায়।

অপর দিকে হেদায়েতপুর মাঠে গরু আসতে গিয়ে মৃত্যু হয় শখ সেলিমের।

বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, বাগেরহাটের ডেমা ইউনিয়নে বজ্রপাতে শরিফুল হক ও সেলিম শেখ নামের দুইজনের মৃত্যু হয়েছে এবং উজ্জল হাওলাদার নামে আরেকজন আহত হয়েছন। আহতকে স্থানীয়রা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে।


আরও খবর