আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

৩১ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল উদযাপন হবে জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশের ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে জাটকা রক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টি ও জাটকা আহরণে জেলেদের নিরুৎসাহিত করতে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও আগামী ৩১ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৩ উদযাপন করা হবে।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকালে রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে।

সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, "মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাবারের একটি বড় যোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। আমিষের চাহিদা পূরণ হচ্ছে। মৎস্য উৎপাদন, বিপণন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে এ খাতে সম্পৃক্তদের আয়ের উৎস তৈরি হচ্ছে। এ খাতের মাধ্যমে উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে, বেকারত্ব দূর হচ্ছে। এ খাত বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ভূমিকা রাখছে এবং গ্রামীণ অর্থনীতি সচল করছে। ফলে দেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণই শুধু নয়, প্রায় ৫২টি দেশে আমাদের মাছ রপ্তানি হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, বৈশ্বিক প্রতিবেদন অনুযায়ী করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বে যে তিনটি দেশ মাছ উৎপাদনে ভালো করেছে তার মধ্যে বাংলাদেশ একটি। অপরদিকে মাছ উৎপাদনের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে। জেলে-মৎস্যজীবীসহ মৎস্য খাতে বিভিন্নভাবে সম্পৃক্তদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশের মৎস্য খাতে অভাবনীয় ও বৈপ্লবিক পরিবর্তনের মাধ্যমে দেশ সামনে এগিয়ে যাচ্ছে।

মন্ত্রী আরো যোগ করেন, মৎস্য খাত শুধু মাছ আহরণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, এ খাতের সাথে দেশের উন্নয়ন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, খাবারের যোগান, বেকারত্ব দূর করা, উদ্যোক্তা তৈরি এসব বিষয় সম্পৃক্ত। তাই এ খাতকে কোনভাবেই হেলায় দেখা যাবে না। জাটকা নিধন বন্ধে আমাদের কঠোর পদক্ষেপ রয়েছে। এর ব্যত্যয় যারাই করতে চাইবে এক্ষেত্রে কোন ছাড় দেওয়া যাবে না। যারা আইন লঙ্ঘন করতে চাইবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। জাতীয় স্বার্থ রক্ষা অগ্রাধিকার দেয়া হবে। আমাদের লক্ষ্য মাছ রক্ষা করা।

মাছ বড় হলে মৎস্যজীবীরাই আহরণ করবেন উল্লেখ করে মৎস্যজীবীদের উদ্দেশে এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, মৎস্যজীবীরা বড় মাছ বিক্রি করে বেশি অর্থ আয় করতে পারবে। কাজেই তাদের স্বার্থেই তাদের এক্ষেত্রে আইন মানতে হবে। অসাধু কিছু ব্যবসায়ী নিষিদ্ধ সময়ে দরিদ্র জেলেদের মাছ আহরণে বাধ্য করে। কোন অসাধু ব্যক্তির পরামর্শ বা প্রলোভনে জাটকা আহরণে কোথাও যাওয়া যাবে না।

সভায় জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহে কেন্দ্রীয়ভাবে ও জেলা-উপজেলা পর্যায়ে নানা কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৩-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠান আগামী ৩১ মার্চ পিরোজপুরে অনুষ্ঠিত হবে। উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে এদিন বর্ণাঢ্য নৌর‌্যালি অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে জাটকা সংরক্ষণবিষয়ক ভিডিওচিত্র ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন, বেতার-টেলিভিশনে আলোচনা অনুষ্ঠান আয়োজন, ইলিশ বিষয়ক কর্মশালা, সভা-সেমিনার আয়োজন, ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন মৎস্য আড়ত, বাজার ও অবতরণ কেন্দ্রে বিশেষ অভিযান ও বিশেষ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ব্যাপারে সভায় সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুল কাইয়ূম ও মো. তোফাজ্জেল হোসেন, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী আশরাফ উদ্দীন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ. মাহবুবুল হক, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ, মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও গবেষকবৃন্দ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি, র‌্যাব, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, নৌপুলিশ, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের প্রতিনিধিগণ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, দেশের আপামর জনসাধারণের কাছে ইলিশ তথা মৎস্য সম্পদের উন্নয়নে জাটকা রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরতে ২০০৭ সাল থেকে প্রতিবছর জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ উদযাপন হয়ে আসছে।


আরও খবর



আজিজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা মার্কিন ভিসানীতির প্রয়োগ নয়

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি প্রয়োগ নয়, বরং এপ্রোপিয়েশন আইনের প্রয়োগ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

আজ মঙ্গলবার (২১ মে) বিকেলে ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যেটা বলেছে, বাংলাদেশের মিশনকে জেনারেল আজিজের বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। জেনারেল আজিজের বিষয়ে যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেটা ভিসা নীতির প্রয়োগ নয়। এটি এপ্রোপিয়েশন আইনের প্রয়োগ। সেখানে এপ্রোপিয়েশন একটা আইন আছে, সেটা প্রয়োগ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এটা নিয়ে আমি আর কিছু বলব না। এটা নিয়ে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও কথা বলেছেন। আমরা এতটুকুই জানি, এটুকুই বললাম।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।


আরও খবর



রাজধানীর শ্যামবাজারঘাটে লঞ্চে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর শ্যামবাজার ঘাটে জেটিতে থাকা একটি লঞ্চে আগুন লেগেছে। এমভি বাঙালি নামে লঞ্চটির তিনতলায় এ আগুন লাগে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে এ আগুনের ঘটনা ঘটে। তবে এ সময় লঞ্চে কোনো যাত্রী ছিল না।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা তালহা বিন জসীম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, আগুনের ফোন পাওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভাতে কাজ শুরু করে। বর্তমানে সদরঘাট নদীর ফায়ার স্টেশনের ২টি ইউনিট ও পোস্তগোলা ফায়ার স্টেশনে ২টি ইউনিটসহ মোট ৪টি ইউনিট কাজ করছে।

আগুন লাগার প্রাথমিক কারণ জানা যায়নি।


আরও খবর



সিন্ডিকেটে আটকে আছে হাওড় অঞ্চলের কৃষকের হাসি

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

চলতি বছর কিশোরগঞ্জে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এরইমধ্যে হাওড়ে শতভাগ জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। উঁচু এলাকার ধান কাটাও শেষের পথে। তবে বাজারে দাম কম থাকায় বাম্পার ফলনেও খুশি হতে পারছে না কৃষক। ভেজা ধান বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়। সিন্ডিকেটের কারসাজিতে ন্যায্যমূল্যে ধান বিক্রির সুযোগ পান না বলে অভিযোগ কৃষকদের। তবে কৃষি বিভাগ বলছে, ন্যায্যমূল্যে সরকারি গুদামে ধান বিক্রির পরামর্শ দেয়া হচ্ছে কৃষকদের।

জানা গেছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার ভালোয় ভালোয় শেষ হচ্ছে ধান কাটা। এরইমধ্যে জেলার প্রধান প্রধান হাওড়ের ৯৫ ভাগ জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। আর উজানের ধান কাটা হয়েছে ৮৫ ভাগ। ধান কাটার পর দ্রুত নেয়া হচ্ছে বাড়িতে।

হাওড়ের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত করিমগঞ্জের চামড়া বন্দর ঘাটে প্রতিদিন আসছে ধানবোঝাই শত শত নৌকা। তবে ফলন ভালো হলেও, দাম নিয়ে হতাশ খাদ্যশস্যে উদ্বৃত্ত হাওড় জেলা কিশোরগঞ্জের কৃষকরা। দাম না পেলেও উৎপাদন খরচ মেটাতে জমির পাশেই কম দামে ভেজা ধান বিক্রি করে দিচ্ছেন অনেক কৃষক।

চামড়া বন্দরে নরসুন্দা নদী তীরের বাজারে ভেজা ধান বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৮০০ থেকে সাড়ে ৮০০ টাকায়। শ্রমিক ও পরিবহন খরচ মেটাতে অনেকেই জমির ধান কাটার পর কম দামে বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছেন। এতে লোকসানের মুখে পড়ছেন তারা।

নিয়ামতপুর এলাকার কৃষক মানিক মিয়া জানান, জমিতে ধান লাগানো থেকে শুরু করে কাটা পর্যন্ত যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়, ধান বিক্রি করে তা দিয়ে পোষায় না। বর্তমানে ভেজা ধান সাড়ে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে।

কৃষকরা জানান, তারা কখনও সরকারি খাদ্য গুদামে ন্যায্যমূল্যে ধান বিক্রি করতে পারবেন না। কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার দাবি জানান তারা।

এদিকে ব্যবসায়ীরা জানান, ভেজা ধান কেনার পর তাদের শুকাতে হচ্ছে। তাই বর্তমানে ধানের দাম কম। এছাড়া মিল মালিকরা এখনও ধান কেনা শুরু না করায় কৃষকরা বাজারে ভালো দাম পাচ্ছেন না।

কৃষি বিভাগ বলছে, ভালো দাম না পাওয়ায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তবে কৃষকরা যাতে ভালো দামে ধান বিক্রি করতে পারেন সে জন্য বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. আব্দুস সাত্তার বলেন, এবার হাওড়ে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি যাতে তারা কম দামে ধান বিক্রি না করে, নির্ধারিত তাপমাত্রায় শুকিয়ে সরকারি খাদ্য গুদামে বিক্রির সুযোগ নেন। কৃষকদের ন্যায্য মূল্যে ধান বিক্রি করতে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এবার জেলায় ১ লাখ ৬৭ হাজার; ১৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, ৭ লাখ ৫৭ হাজার ৩৮৭ মেট্রিক টন চাল।


আরও খবর



চট্টগ্রামে পূর্ণাঙ্গ কৃষি সংস্কৃতি গড়ে তুলছে গ্রীন হার্ভেস্ট এগ্রো: আব্দুর রহমান

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

Image

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান এমপি বলেছেন, চট্টগ্রামে একটি পূর্ণাঙ্গ কৃষি সংস্কৃতি গড়ে তুলছে গ্রীন হার্ভেস্ট এগ্রো। নতুন প্রজন্ম যেভাবে দেশের প্রাণিসম্পদ খাতে এগিয়ে আসছে, তা খুবই আশাপ্রদ। শিক্ষিত তরুণরা যেন কেবল চাকরির পেছনে না ছুটে নিজে ও দেশকে স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য উদ্যোগী হয়ে ওঠে, তার অনুপ্রেরণা যোগাচ্ছে এই খামার।

রবিবার (৫ মে) সকালে চট্টগ্রামের দুই নম্বর গেটস্থ মেয়র গলিতে অবস্থিত গ্রীন হার্ভেস্ট এগ্রো পরিদর্শনে এসে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় তাকে বরণ করে নেন এগ্রোর স্বত্বাধিকারী বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন। তিনি এগ্রোর সবদিকে ঘুরিয়ে দেখান।  এগ্রোতে থাকা প্রাণীসমূহের পরিচর্যায় ব্যবহৃত খাবার ও অন্যান্য সামগ্রীগুলোর মান নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন মৎস্য মন্ত্রী। পরে গ্রীন হার্ভেস্ট এগ্রোর দুগ্ধজাত নানান পদের খাবারও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর হাতে তুলে দেন বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের অন্যতম খ্যাতনামা পরিবারের সন্তান বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন ইংল্যান্ড থেকে পড়াশোনা করেন। দেশে বড় বড় শিল্পে যোগ দিতে পারতেন। কিন্তু তিনি খামারী হয়ে উঠেছেন, তার জ্ঞান ও মেধাকে কৃষি ও পশুপালন ক্ষেত্রে কাজে লাগিয়ে দেশকে স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য কাজ করছেন। পশুদের প্রতি তার প্রেম আমাকে মুগ্ধ করেছে। তার এ দৃষ্টান্ত দেশের তরুণদের অনুপ্রাণিত করবে। এতে দেশ উপকৃত হবে।

এগ্রোর স্বত্বাধিকারী বোরহানুল হাসান চৌধুরী সালেহীন বলেন, চট্টগ্রামসহ সারাদেশে তরুণরা বর্তমানে কৃষি ও পশুপালনে এগিয়ে আসছে। কিন্তু একটি পূর্ণাঙ্গ কৃষি সংস্কৃতি গড়ে না ওঠায় দেশবাসী ও খামারীরা এর সুফল পুরোপুরি পাচ্ছে না। গ্রীন হার্ভেস্ট এগ্রো এক্ষেত্রে সচেষ্ট। আমাদের খামার একইসাথে পশু মোটাতাজাকরণ এবং পুষ্টিগুণ ও মানসম্মত দুগ্ধজাত পণ্য তৈরিতে সমান গুরুত্ব আরোপ করেছে। চট্টগ্রামের নানান এতিমখানায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের পুষ্টি নিশ্চিত করতে বিনামূল্যে দুধ বিতরণ করছি আমরা।


আরও খবর



সংসদ নির্বাচনের চেয়ে উপজেলা ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে: সিইসি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে উপজেলা নির্বাচনের ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে। নির্বাচন যাতে প্রভাবিত না হয় সে ব্যাপারে কমিশনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

সিইসি বলেন, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে সেটাই বড় কথা। কোনো দল এলো কি এলো না, সেটা বড় কথা নয়। জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে এ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে। নির্বাচন যাতে প্রভাবিত না হয় সে ব্যাপারে কমিশন চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ভোটে কেউ যাতে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে, সে ব্যাপারে ইসির অবস্থান স্পষ্ট। প্রমাণ পেলেই ব্যবস্থা। ভোটকেন্দ্রে অনুপ্রবেশকারীরা যাতে ঢুকতে না পারে সে ব্যাপারে রিটার্নিং অফিসারকে কঠোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। ইসি কেন্দ্রীয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে। উৎসাহ-উদ্দীপনা থেকে ভোটের মাঠে যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকার নির্দেশনা রয়েছে কমিশনের।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ভোটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথভাবে মোতায়েন করা সম্ভব হবে। প্রার্থী ও প্রার্থীদের কর্মীদের নির্বাচনে সহযোগিতার আহ্বান জানান ‍তিনি। গণমাধ্যমের মাধ্যমেও শৃঙ্খলা ভঙ্গের চিত্র দেখা গেলে কমিশন তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান সিইসি।

বুধবার (৮ এপ্রিল) প্রথম ধাপে ১৪০টি উপজেলায় ভোট হবে। প্রথম ধাপে পাঁচটি উপজেলার প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেছে বলে জানান সিইসি।


আরও খবর