আজঃ শুক্রবার ০৫ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

৬৩ জেলায় সিরিজ বোমা হামলার ১৭ বছর আজ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আজ ১৭ আগস্ট। দেশজুড়ে সিরিজ বোমা হামলার ১৭তম বার্ষিকী। ১৭ বছর আগে এই দিনে মুন্সিগঞ্জ ছাড়া দেশের ৬৩টি জেলায় একযোগে পাঁচ শতাধিক বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিয়েছিলো জামাত-উল-মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)। সেই ঘটনায় করা ১৫৯ মামলাগুলোর মধ্যে এখনো ৪১টি বিচারাধীন রয়েছে।

২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশের ৬৩ জেলার (মুন্সীগঞ্জ ছাড়া) ৪৩৪ স্থানে একযোগে বোমা হামলা চালায় জেএমবি। সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় সারাদেশের বিভিন্ন থানায় ১৫৯টি মামলা দায়ের হয়। এসব মামলায় ৫৬০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। হামলার ১৮ বছরের মধ্যে ১১৮টি মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে। ৪১টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে এসব মামলায় ৭৩৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হয়। ১৯৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয় আদালত। গ্রেপ্তার আসামীদের মধ্যে ২৮১ জনকে অভিযোগ থেকে খালাস দেয়া হয়। মৃত্যুদণ্ড রায় দেয়া হয়েছে ১৫ জনকে।

ঢাকা মহানগর আদালত সূত্র জানায়, ঢাকা মহানগর এলাকায় বোমা হামলার ঘটনায় ওই সময় ১৮টি মামলা দায়ের হয়। এই ১৮টি মামলায় পুলিশ ও র‌্যাব ৯১ জনকে গ্রেপ্তার করে। ৫৬ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ চার্জশিট দেয়। অনেক মামলায় আসামিদের নাম ও ঠিকানা কিছুই নেই বা ছিলো না। সাক্ষীদেরও ঠিকমত পাওয়া যায়নি। অনেক সাক্ষী সাক্ষ্য দিতেও আসেননি। বেশির ভাগ সাক্ষীর ঠিকানাও পরিবর্তন হয়েছে। এ কারণে ১৪টি মামলায় মাত্র ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয় আদালত। বাকি ৪টি মামলা বিচারাধীন পর্যায়ে আছে।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বলেন, ঢাকার আদালতে ১৮টি মামলা ছিলো। বর্তমানে ৪টি মামলা বিচারাধীন আছে। সেগুলোও সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।

মামলার বিচার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়ার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, সাক্ষীদের অনুপস্থিতিই মূল কারণ। অনেক ক্ষেত্রে সাক্ষীদের পাওয়া যায়নি। সাক্ষীদের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে। পুলিশও চেষ্টা করছে সাক্ষীদের খুঁজে বের করতে। চাঞ্চল্যকর এসব মামলা চাইলেই তো শেষ করে দেয়া যায় না। তারপরও সাক্ষী যা হয়েছে, বা আরও কয়েকটা সাক্ষী নিয়ে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ করে এ বছরের মধ্যে বিচার কাজ শেষ করার চিন্তাভাবনা আছে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, র‌্যাবের অভিযানেই জেএমবির আমির শায়খ আবদুর রহমান, সেকেন্ড ইন কমান্ড সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাই, আতাউর রহমান সানি, খালেদ সাইফুল্লাহ, আবদুল আউয়াল, আসাদুল ইসলাম আরিফসহ শীর্ষ জঙ্গি নেতারা গ্রেপ্তার হয়। তাদের বিচারের মুখোমুখিও করা হয়েছে। তাদের ফাঁসির রায়ও সরকার কার্যকর করেছে। জঙ্গিরা এখন সাইবার মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, জাতিগতভাবে বাংলাদেশ জঙ্গিবাদকে পছন্দ করে না। এ কারণে আমরা খুব অল্প সময়ে জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। জঙ্গি কার্যক্রম থেকে ফিরিয়ে এনে তাদেরকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েকজনকে করাও হয়েছে। তাই বলে এটা নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না। অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার সাথে সমন্বয় করে জঙ্গিদের ওপর নজরদারি করা হচ্ছে। আমরা সাইবার ওয়ার্ল্ডে খোঁজখবর ও নজরদারি করছি। এটা নিয়ে আমরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছি।

এদিকে দেশব্যাপী জেএমবির সিরিজ বোমা হামলা মামলার আসামি মো. আল মাসুমকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। তিনি ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি। সোমবার মধ্যরাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার চন্দ্রা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-১৪।

মঙ্গলবার র‌্যাব-১৪ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গ্রেপ্তার মাসুম গৌরীপুর উপজেলার মাওহা লক্ষিণগর এলাকার বাসিন্দা ডা. আব্দুস সালামের ছেলে। তিনি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাত-উল-মুজাহিদীনের সদস্য।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলা মামলার আসামি নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি’র সদস্য আল মাসুম পরিচয় গোপন করে দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন।


আরও খবর



সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি: প্লাবিত ১ হাজার ১৭৬ গ্রাম

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

উজানের ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতে সিলেট বিভাগে তৃতীয় দফা বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।গত ২৪ ঘণ্টায় সুরমা ও কুশিয়ারাসহ সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

সুরমা, কুশিয়ারা, সারি ও সারিগাঙ্গ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। প্লাবিত হয়েছে জেলার ৯৭ ইউনিয়নের এক হাজার ১৭৬ গ্রাম। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন ৭ লাখ ১ হাজার ৬৫৮ জন। এছাড়া সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, নেত্রকোণা ও শেরপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

এতে সিলেট বিভাগের চার জেলার ৮৯৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৬ হাজার ২৭১ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় আট হাজার ৪০৭ জন, মৌলভীবাজারে ছয় হাজার ৬৪ জন, সুনামগঞ্জে এক হাজার ৩২৫ জন এবং হবিগঞ্জে ৪৯৩ জন।

আজ বুধবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর পানি সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায় বিপৎসীমার ৮৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং সিলেট নগরীতে দুই সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।কুশিয়ারা নদীর পানি সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার অমলসীদে বিপৎসীমার ১৩৫ সেন্টিমিটার উপরে, বিয়ানীবাজার উপজেলার শেওলায় ৪৩ সেন্টিমিটার উপরে, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় ৯৯ সেন্টিমিটার উপরে এবং মৌলভীবাজারের শেরপুরে ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তবে উজানে বৃষ্টিপাত তুলনামূলক কম হওয়ায় সিলেটে সারি ও গোয়াইন নদীর পানি একদিনে ১০৮ সেন্টিমিটার কমে দ্রুত নেমে জৈন্তাপুর উপজেলার সারিঘাটে বিপৎসীমার ১১১ সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

মৌলভীবাজারে মনু নদীর পানি মনু রেলওয়ে ব্রিজে বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার এবং মৌলভীবাজার সদরে ৪৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

হবিগঞ্জে খোয়াই নদীর পানি বাল্লা পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯০ সেন্টিমিটার এবং হবিগঞ্জ সদরে ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সিলেট বিভাগের চার জেলার ৮৯৮টি আশ্রয়কেন্দ্রের ১৬ হাজার ২৭১ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। এর মধ্যে সিলেট জেলায় আট হাজার ৪০৭ জন, মৌলভীবাজারে ছয় হাজার ৬৪ জন, সুনামগঞ্জে এক হাজার ৩২৫ জন এবং হবিগঞ্জে ৪৯৩ জন।

মানুষ ছাড়াও আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে এক হাজার ৯৬৪টি গবাদিপশু, যার মধ্যে সিলেটে এক হাজার ২০৩টি, মৌলভীবাজারে ৫৪৭টি, সুনামগঞ্জে ১২৩টি ও হবিগঞ্জে ৯১টি।

সিলেট ও ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম থাকায় নিম্নাঞ্চল এলাকা থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর, এতে আবারও পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিলেট জেলার কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। নতুন করে বৃষ্টিপাত না হলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। তবে কিছু এলাকায় এখন বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত অবস্থায় রয়েছে। অনেক জায়গায় ঘর-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট, দোকানপাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভেতরে পানি প্রবেশ করেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা। 

কোম্পানীগঞ্জ থানা সদরের বাসিন্দা মঈন উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার থেকে পানি কমতে শুরু করেছে, এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরছে। তবে বৃষ্টি হলেই মনে আতঙ্ক কাজ করে। কখন যে ঘরের ভেতরে পানি প্রবেশ করে এ চিন্তায়।

গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছানাকান্দি ইউনিয়নের বাসিন্দা নজির মিয়া জানান, নিম্ন এলাকা থেকে পানি নামছে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।

ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা আব্দুস সত্তার জানান, নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে এতে করে আবারও ঘরের ভেতরে পানি প্রবেশ করেছে। ঘরের আসবাবপত্র পানিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, কিছু জিনিস ওপরে তুলে রাখা হয়েছে। এ অবস্থায় চরম বিপাকে পড়েছেন বলে জানান তিনি।

জেলা প্রশাসনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত সিলেট মহানগর ও ১৩টি উপজেলায় ১ হাজার ১৭৬টি গ্রাম প্লাবিত ছিল। বন্যায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৭ লাখ ১ হাজার ৬৫৮। ১৮৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে এখনো ৮ হাজার ৩৫১ জন মানুষ অবস্থান করছেন।

সিলেট আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো. সজীব হোসাইন জানান, সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ মিলিমিটার বৃ‌ষ্টি হয়েছে। পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় সিলেটে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। ভারতের আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ জানান, সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি সবকটি পয়েন্টে বিপদসীমার ওপরে অবস্থান করছেন। বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে নদ-নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পাবে।

তিনি জানান, বুধবার দুপুর ১২টার তথ্য অনুযায়ী সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৮৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ওই পয়েন্টে পানির বিপদসীমা ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। নদীর সিলেট পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ওই পয়েন্টে পানির বিপদসীমা ১০ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার। আমলশীদ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ১৩৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ওই পয়েন্টে পানির বিপদসীমা ১৫ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার। শেওলা পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ওই পয়েন্টে পানির বিপদসীমা ১৩ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার। ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৯৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ওই পয়েন্টে পানির বিপদসীমা ৯ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার। তা ছাড়া লুবা, সারি, সারিগোয়াইন, ডাউকি, ধলাই নদীর পানি বিপদসীমার নিচে অবস্থান করছে।

গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছে, আমাদেরও সেভাবে প্রস্তুতি রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালিক রুমাইয়া জানান, উপজেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। নতুন করে বৃষ্টিপাত না হলে আরও উন্নতি হবে।

সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, জেলায় অব্যাহত ভারী বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের ফলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে প্রশাসন আগে থেকেই সতর্ক অবস্থানে ছিল। যারা পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন তাদেরকে উদ্ধারে প্রশাসন কাজ করছে। আশ্রয়কেন্দ্র ও পানি বন্দিদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ চলমান রয়েছে। তাছাড়া বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য উপজেলা পর্যায়ে ডেডিকেটেড কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন ভিত্তিক ট্যাগ কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে।

সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী বলেন, 'চলমান বন্যা পরিস্থিতির মধ্যেই নতুন করে অতিবৃষ্টির ফলে আবারও বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ায় জনদুর্ভোগ বাড়ছে। প্রশাসন জনদুর্ভোগ লাঘবে আক্রান্ত প্রতিটি পরিবারের কাছে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করছে।'

সিলেট বিভাগে চলতি বন্যা পরিস্থিতিতে এখন পর্যন্ত চার হাজার ২৩৫ টন চাল, এক কোটি ১৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা নগদ, ২৯ হাজার ৮৩০ প্যাকেট শুকনো খাবার, ৪০ লাখ টাকার শিশু খাদ্য এবং ৪০ লাখ টাকার গোখাদ্য ত্রাণ হিসেবে বরাদ্দ পাওয়া গেছে, যা পর্যায়ক্রমে বিতরণ চলছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার।

'নতুন করে সৃষ্ট বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা আরও ত্রাণ সহায়তা চেয়েছি মন্ত্রণালয়ের কাছে। বন্যা শেষে ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথভাবে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হবে', বলেন তিনি।


আরও খবর
জামালপুরে যমুনার পানি বিপদসীমার ওপরে

বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪




জাতিসংঘের কালো তালিকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিস্তিনের গাজায় শিশুদের ওপর হামলার কারণে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে জাতিসংঘ। গাজায় ইহুদিবাদী সেনাদের হামলায় হাজার হাজার শিশু নিহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত নিল বিশ্ব সংস্থাটি।

কালো তালিকায় ইসরায়েলের অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ আরদান। তিনি সামাজিক যোগাযোগামাধ্যম এক্সে বলেছেন, তিনি প্রজ্ঞাপন পেয়েছেন এবং এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ।

তিনি বলেন, এটি একটি লজ্জাজনক সিদ্ধান্ত। আমাদের সেনাবাহিনী হল বিশ্বের সবচেয়ে নৈতিকতাসম্পন্ন বাহিনী। মাত্র এক ব্যক্তি আমাদের বাহিনীকে কালো তালিকাভুক্ত করেছেন। তিনি হলেন জাতিসংঘের মহাসচিব। তিনি সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করছেন। তিনি ইসরায়েলের প্রতি ঘৃণায় পরিচালিত।”

জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলে জাতিসংঘের বার্ষিক চিল্ড্রেন ইন আর্মড কনফ্লিক্ট’ প্রতিবেদনে ইসরায়েলের তালিকাভুক্তির বিষয়টি জানান।

তিনি বলেন, বিষয়টি যাতে ফাঁস না হয়, সেজন্য এমনটা করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি আগামী ১৪ জুন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উপস্থাপন করা হবে।

ডুজারিক বলেন, ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে ফোন কলটি দুঃখজনক এবং অগ্রহণযোগ্য। স্পষ্টভাবেই বলা যায়, এ ধরনের কিছু আমি আমার ২৪ বছরে এই সংগঠনের সাথে দায়িত্ব পালনকালে দেখিনি।”

সশস্ত্র সংঘাতে শিশুবিষয়ক জাতিসংঘের বার্ষিক প্রতিবেদনটিতে শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় পক্ষগুলোর সম্পৃক্ততার’ তালিকা দেওয়া হয়। এতে হত্যা এবং আহত করার প্রমাণ এবং যৌন সহিংসতার তথ্য থাকে।

এই তালিকায় রাশিয়া, গণপ্রজাতান্ত্রিক কঙ্গো, সিরিয়া ও সোমালিয়ার নাম রয়েছে। এছাড়া ইসলামিক স্টেট (আইএস), আল-শাবাব, তালেবান, আল-কায়েদার মতো সংগঠনও আছে।

গাজার সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় উপত্যকায় ১৫,৫৭১ এর বেশি শিশু নিহত হয়েছে।

ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার প্রতি ১০ ফিলিস্তিনি শিশুর ৯জনই ভয়াবহ খাদ্য সঙ্কটে’ রয়েছে। ক্ষুধা, পিপাসা এবং মারাত্মক অপুষ্টির কারণে অনেক ফিলিস্তিনি শিশু মারা গেছে।

বিশ্ব খাদ্য সংস্থা হু গত সপ্তাহে জানিয়েছে, গাজার প্রতি ৫ শিশুর ৪জনই প্রতি তিন দিনে অন্তত একদিন পুরো দিন না খেয়ে থাকে।’


আরও খবর



ইরানে চলছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গণনা, কে এগিয়ে?

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

শেষ হয়েছে ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এখন চলছে ভোট গণনা। এখন পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই নির্বাচনে এগিয়ে রয়েছেন সংস্কারপন্থি নেতা মাসুদ পাজেশকিয়ান। তার পরেই রয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির অনুগত সাঈদ জালিলি।

ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার (২৮ জুন) থেকে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৪০ লাখেরও বেশি ভোট গণনা হয়েছে। তার মধ্যে সংস্কারপন্থি মাসুদ পাজেশকিয়ান পেয়েছেন ৫৯ লাখ ৫৫ হাজার ভোট। অন্যদিকে, কট্টোরপন্থি নেতা সাঈদ জালিলি পেয়েছেন ৫৫ লাখ ৬০ হাজার ভোট।

একাধিক নির্বাচনী কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এবারের নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৪০ শতাংশ, যা দেশটির ধর্মীয় নেতাদের প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম। কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে জানিয়েছেন, রাজধানী তেহরান ও অন্যান্য শহরের ভোটকেন্দ্রগুলো খালি ছিল। ইরানের আধাসরকারি বার্তাসংস্থা তাসনিম নিউজ জানিয়েছে, এই নির্বাচন রানঅফে গড়ানোর সম্ভাবনা খুব বেশি।

দেশটির নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের মধ্যে কেউ যদি সরাসরি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে চান তাহলে তাকে মোট ভোটের ৫০ শতাংশ বা তারও বেশি ভোট পেতে হয়। কোনো প্রার্থী এই সংখ্যায় পৌঁছাতে না পারলে নির্বাচন সর্বোচ্চ ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া দুই প্রার্থীর রানঅফে গড়াবে। এই রানঅফে যে প্রার্থী সর্বোচ্চ ভোট পাবেন তিনিই চূড়ান্তভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন।

রয়টার্স বলছে, যদিও এই নির্বাচন ইসলামী প্রজাতন্ত্রের নীতিতে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে না, তবে এর ফলাফল ১৯৮৯ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা ইরানের ৮৫ বছর বয়সী সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির উত্তরাধিকারকে প্রভাবিত করতে পারে।

চলতি বছরের ২০ মে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এরপর দেশটিতে আগাম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়া হয়।

ইরানের সংবিধানের অভিভাবক পরিষদ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে আগ্রহী ৮০ জনের আবেদন পর্যালোচনা করার পর সংবিধানের ১১৫ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ছয় জনকে যোগ্য প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে।

এরপর এই ছয় প্রার্থী ব্যাপক নির্বাচনী প্রচারণা চালান ও টেলিভিশন বিতর্কে অংশ নেন। তবে এরমধ্যে ৬ জন প্রার্থীর দুইজন অন্যদের প্রতি সমর্থন জানিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন। ফলে এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকেন চার প্রার্থী। তারা হলেন মাসুদ পেজেশকিয়ান, সাইদ জলিলি, মোস্তফা পুরমোহাম্মাদি, ও মোহাম্মদ বাকের কলিবফ।


আরও খবর



দুই বছরে পদ্মা সেতুতে টোল আদায় ১৬৪৮ কোটি টাকা: কাদের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দুই বছরে পদ্মা সেতু থেকে টোল বাবদ আয় হয়েছে ১ হাজার ৬৪৮ কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে সেতু ভবনে বোর্ড মিটিং শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা জানান।

বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতোমধ্যে এই সেতুর সুফল ভোগ করছি। গত দুই বছরে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ৩ কোটি মানুষ ও ১ কোটি ২৭ লাখ যানবাহন এই সেতু দিয়ে পারাপার হয়েছে। যেখান থেকে মোট টোল আদায় হয়েছে ১ হাজার ৬৪৮ কোটি টাকারও বেশি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, অর্থ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী ইতোমধ্যে ৯শ ৪৮ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। আগামী ২৭ জুন ৭ম ও ৮ম কিস্তি বাবদ ৩শ ১৪ কোটি টাকার চেক প্রধানমন্ত্রীর মাধ্যমে অর্থবিভাগকে হস্তান্তর করা হবে।

পদ্মাসেতুর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজকের দিনটি ঐতিহাসিক দিন। দুই বছর আগে আজকের এই দিনে আমাদের অনেক প্রতীক্ষিত সেতু পদ্মা নদীর ওপর পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদ্মা সেতু শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বের সোনালী ফসল। নিজের টাকায় এই সেতু নির্মাণ করে সক্ষমতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।


আরও খবর



ভারতের সঙ্গে বৈরিতা করে দেশের ক্ষতি করেছে জিয়া-খালেদা: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালীন ভারতের সঙ্গে বৈরি সম্পর্ক সৃষ্টি করে দেশের ক্ষতি করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভায় সভাপতির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পৃথিবীর কোথাও কখনো শান্তিপূর্ণভাবে ছিটমহল সমস্যার সমাধান হয়নি। কিন্তু আমাদের দেশে তা শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে, কারণ আমরা সুন্দর সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই। সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ থাকলে আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো সমস্যার সমাধান করা যায়। অথচ জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ভারতের সঙ্গে বৈরিতাপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করেছিলেন। খালেদা জিয়া তো ভারতে গিয়ে গঙ্গার পানিচুক্তির কথা বলতেই ভুলে গিয়েছিলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়া আর খালেদা ভারতের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক তৈরি করে দেশের যে ক্ষতি করেছিল, আমরা তা করতে চাই না। ভারতে সঙ্গে আমাদের সুন্দর কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকবে, এটাই আমরা চাই।

তবে এ সম্পর্ক কোনভাবেই জাতীয় স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে হবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন মন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ভারতের সঙ্গে সব সমস্যা আলোচনার টেবিলে সমাধান করবো। বন্ধুত্বপূর্ণ, ভারসাম্যপূর্ণ ও সম্মানজনক সম্পর্ক চাই। জাতীয় স্বার্থ বিকিয়ে দিয়ে কারো সাথে সম্পর্ক রাখবো না।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটের বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপারে নিয়মিত খোঁজখবর নিচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, সিলেটে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ত্রাণ কার্যক্রম এবং উদ্ধার কার্যক্রমে অংশ নিতে হবে। সিলেট অঞ্চলের জনপ্রতিনিধিদের পানিবন্দি মানুষকে সাধ্যমতো সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, হীরক জয়ন্তী উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভাসহ ১০ দফা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। রাজধানীতে শুক্রবার (২১ জুন) বেলা ৩টায় শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর