সাভারে অবস্থিত বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি গবেষণা কেন্দ্রের ৬৭৫ কোটি টাকার প্রজেক্টের একটি ভবনের, নির্মাণাধীন ছাদ ধসে পড়ে অন্তত ১৬ জন নির্মান শ্রমিক আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় তাদের তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানো হয়। ১২ তলা নির্মাণাধীন ভবনের দশ তলার ছাদ ধসে পরেছে বলে জানায় ডি, ইপিজেড ফায়ার সার্ভিস।
শুক্রবার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় সাভার উপজেলার গনকবাড়ি এলাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ পরমানু শক্তি গবেষণা কেন্দ্রের ভিতরে, প্রজেক্ট ডিরেক্টর ড. মঞ্জুর আহসান এর অধীনে নির্মাণাধীন ভবনে এই ধসের ঘটনা ঘটে। ভবনটির পুরোকাজ হেমায়েত উদ্দিন নামের এক কন্ট্রাক্টর করছিলেন।
বাংলাদেশ পরমানু শক্তি গবেষণা কেন্দ্রের এডমিন অফিসার আনিস উদ্দিন বলেন এটি ৬৭৫ কোটি টাকার একটি প্রজেক্ট, ক্যান্সার হাসপাতাল হবে, এখানে সাইপ্রোটোন মেশিন বসবে, এছাড়াও ময়মনসিংহ পরমাণু ও চিটাগাংয়ে ও হবে, এখানে মেইন ভবন হবে। যারা ভবনটির কাজ করছিল তারা বরাবরই ভাল কাজ করে। আমি ঘটনাস্থলে নেই, প্রজেক্ট ডিরেক্টর বিষয়টি দেখছেন।
ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের ফায়ারম্যান আহাদ জানায়, ১২ তলা ভবনের ১০ তলার নির্মাণাধীন ছাঁদের ঢালাইয়ের জন্য রড দিয়ে কাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছিল। ওই কাঠামোই ধসে পড়েছে। এতে অন্তত ১৬জন নির্মাণ শ্রমিক আহত হয়। সেখানে মোট ২৫ জন শ্রমিক কাজ করছিলো। তারা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
সাভারের ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার জহিরুল ইসলাম জানান, আহতদের উদ্ধার করে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অনেকেই মাথায় ও শরীরে আঘাত পেয়েছেন। আমরা সবাইকে জীবিত উদ্ধার করেছি। তবে ঘটনার পরপরই সেখানে গিয়ে নির্মানাধীন ভবনটির প্রকৌশলী ও ঠিকাদার কাউকে পাওয়া যায়নি। শ্রমিকদের সাথে কথা বলে আমরা শ্রমিক সংখ্যা নিশ্চিত হয়েছি।সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে নির্মাণাধীন ভবনের প্রকৌশলী ও ঠিকাদার কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানটির সিকিউরিটি ইনচার্জ শফিকুল আলম বলেন, বিকেলে ছাদের কিছু অংশ ভেঙে যায়। এতে কেউ নিহত হয়নি। আহত হয়েছেন ৭ জনের মত। ফায়ার সার্ভিস ও আমরা আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ভবনটি হাসপাতালের জন্য করা হচ্ছিলো। ২০১৬ সাল থেকে এই ভবনের কাজ শুরু হয়েছে। ঠিকাদারির কাজটি করছিলেন স্টার লাইট কোম্পানি নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ঘটনার পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাউকে আর দেখা যায়নি।
বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি গবেষণা কেন্দ্রের মহা-পরিচালক দেবাশীষ পাল বলেন, মুলত এই ভবনটি মেডিক্যাল থিসিস করার জন্য মেডিকেল ইনিস্টিউট করা হচ্ছে। আমি ঘটনাটি শুনেছি। বাইরে ছিলাম এখন যাচ্ছি। আর এ প্রকল্পটির পরিচালক যে আছেন, বিষয়টি তিনি দেখছেন।