পুলিশের সঙ্গে
সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস এইরেস। স্থানীয় সময় বুধবার
(১২ জুন) এ সংঘর্ষ হয়।
আল জাজিরার
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট জাভিয়ার মিলেইর প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক সংস্কারের প্রতিবাদে
হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে আসেন। তারা সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। বিক্ষোভকারীদের
উপস্থিতি বাড়ার সঙ্গে উত্তেজনাও বাড়ে। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম
জানায়, প্রেসিডেন্টের প্রস্তাবিত বিলের ওপর কংগ্রেসে আলোচনা চলছিল। বাইরে হাজারো বিক্ষোভকারী
জড়ো হয়েছিলেন। প্রথমত তারা রাস্তার বারবিকিউ, পিকেটিং এবং প্রতিবাদী গান দিয়ে দিনটি
শুরু করেন। কিন্তু বিকেলে কংগ্রেস ভবনের অভ্যন্তরে সিনেটরদের মধ্যে বিতর্ক শুরু হলে
বাইরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় বিক্ষোভকারীদের
সরিয়ে দিতে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তারা হেলমেট, লাঠিসোঁটা, ঢাল, অস্ত্রশস্ত্র
নিয়ে জনতার দিকে তেড়ে আসে। এতে বিক্ষোভকারীরাও পুলিশকে আক্রমণ করে। তারা অন্তত দুটি
গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশ ও রাস্তার বেরিকেড ভেঙে ফেলে। পরে বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ
করতে কাঁদানে গ্যাস, রাবার বুলেট ও জলকামান ব্যবহার করা হয়। পুলিশের বিরুদ্ধে পিপার
স্প্রে করারও অভিযোগ উঠেছে।
দেশটির স্বাস্থ্য
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পিপার স্প্রের কারণে সাতজন বিক্ষোভকারীকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে
হয়েছে। আরও বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এদিকে ধরপাকড় চালিয়েছে পুলিশ। তারা অন্তত
১৮ জনকে আটক করেছে। আর্জেন্টিনার নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে,
অর্থনৈতিক সংস্কারের নামে একটি বিল পাস করাতে চাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট জাভিয়ার মিলেইর।
তার সেই বিলের প্রস্তাবে রয়েছে, এক বছরের জন্য দেশটিতে অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা জারি,
রাষ্ট্রীয় উড়োজাহাজ সংস্থাসহ কয়েক ডজন সরকারি প্রতিষ্ঠানকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া,
কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর কার্যক্রম গুটিয়ে নিতে প্রেসিডেন্ট মিলেইকে ক্ষমতা দেওয়াসহ আরও
কিছু বিষয়।