দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে উত্তরের এ জেলায়।
শুক্রবার সকালে জেলার বিভিন্ন এলাকায় কুয়াশা থাকলেও ধীরে ধীরে সূর্যের দেখা মিলতে শুরু করে। তবে সূর্য উঠলেও কনকনে শীতের সাথে মৃদু শৈত্যপ্রবাহে নাকাল জনসাধারণরা। শ্রমিক, দিনমজুর থেকে শুরু করে খেটে খাওয়া মানুষরা চরম দুর্ভোগে। কমে গেছে তাদের দৈনন্দিন রোজগার। পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে দিনযাপন করছেন। বিভিন্ন স্থানে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা মিলেছে। অপরদিকে তীব্র শীত উপেক্ষা করেই জীবিকার তাগিদে নিম্ন আয়ের মানুষদের কাজে বের হতে দেখা দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, এ অঞ্চলে দিনের চেয়ে সন্ধ্যার পর শীতের তাণ্ডব বেশি। রাত বাড়তে থাকলে বরফ হয়ে উঠে রাত। সারা রাত কুয়াশার সঙ্গে শিশির বৃষ্টি ঝরে। সে শিশিরও বরফের মতো ঠান্ডা। ভোরে সূর্য উঠে রোদ ছড়ালেও কনকনে শীত। হাত-পা অবশ হয়ে আসে। রাতে ও সকালে খুব ঠান্ডা। ঠান্ডার কারণে ছেলে-মেয়েরা পড়ালেখা করতে পারছে না। সকাল ১০টা পর্যন্ত শীতের কারণে কাজ করতে গিয়ে হাত-পা অবশ হয়ে আসে। ঘরের আসবাবপত্র, বিছানাপত্র, ঘরের মেঝে পর্যন্ত স্পর্শ করলে বরফের মতো ঠান্ডা মনে হয়। ঠাণ্ডার কারণে পড়ালেখায় ব্যাঘাত ঘটছে বলে জানায় বিভিন্ন স্থানের শিক্ষার্থীরা।
এর সাথে বিভিন্ন এলাকায় শীতের কারণে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু থেকে বয়স্ক মানুষ। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে নিরাময় থাকতে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছেন চিকিৎসকরা।
সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রা রেকর্ড অনুসারে এ অঞ্চলে এখন মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দিনের তাপমাত্রা কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে থাকলেও হিমালয়ের নিকটস্থ হওয়ায় সন্ধ্যার পর শীতের তাণ্ডব বেশি অনুভূত হয় এলাকাটিতে।