আজঃ শুক্রবার ০৫ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

আদানি গ্রুপের ভবিষ্যৎ কী?

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আক্রমণের মুখে পড়া গৌতম আদানির জন্য নতুন কিছু নয়। ১৯৯৮ সালে ভারতীয় এ ধনকুবের অপহরণের শিকার হয়েছিলেন। শোনা যায়, কয়েকশ কোটি টাকা মুক্তিপণ দিয়ে সেবার ছাড়া পেয়েছিলেন তিনি। ২০০৮ সালে মুম্বাইয়ের তাজমহল প্যালেস হোটেলে সন্ত্রাসী হামলার সময়ও সেখানে ছিলেন আদানি। গোটা একটা রাত বেজমেন্টে লুকিয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন তিনি। কয়েকদিন যাবৎ আবারও আক্রমণের শিকার হচ্ছেন গৌতম আদানি। তবে এবার শুধু ব্যক্তিগতভাবে নয়, তার নাম জড়িয়ে থাকা কোম্পানিগুলোর ওপর দিয়েও বয়ে যাচ্ছে এই ঝড়।

আদানি গ্রুপের তালিকাভুক্ত ১০টি কোম্পানি মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৯ হাজার ২০০ কোটি মার্কিন ডলার বা দুই-পঞ্চমাংশ বাজারমূল্য হারিয়েছে। আর ব্যক্তিগত সম্পদের দিক থেকে পাঁচ হাজার কোটি ডলারের বেশি হারিয়েছেন আদানি। বছরের শুরুতে যেখানে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ধনী ছিলেন, এখন শীর্ষ দশেও নেই তিনি। তার ওপর গত ১ ফেব্রুয়ারি আদানি এন্টারপ্রাইজেসের প্রায় ২৫০ কোটি ডলারের নতুন শেয়ার (এফপিও) ছাড়ার প্রক্রিয়া হঠাৎ স্থগিত করা হয়েছে। এসবের ফলে ভারতের অন্যতম শক্তিশালী ব্যবসায়িক গোষ্ঠীটির ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

আদানি গ্রুপে এমন করুণ দশার কারণটা দেখলে অনেকটা পাহাড়ের গায়ে তীরের আঘাতে রক্তক্ষরণের মতো মনে হতে পারে। ভারতীয় এ করপোরেট জায়ান্টের বিষয়ে গত ২৪ জানুয়ারি একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিনিয়োগ গবেষণা সংস্থা হিনডেনবার্গ রিসার্চ। এতে করপোরেট জগতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ধোঁকাবাজ আখ্যা দিয়ে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে শেয়ারবাজার কারসাজি, আর্থিক জালিয়াতির মতো গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়। এর জবাব দিতে অবশ্য দেরি করেনি আদানি গ্রুপ। কয়েক দিনের মধ্যেই ৪১৩ পৃষ্ঠার বিশাল বক্তব্য প্রকাশ করে তারা। এতে হিনডেনবার্গের প্রতিবেদনের সব তথ্যকে পুরোপুরি মিথ্যা এবং প্রতিবেদনটিকে সরাসরি ভারতের ওপর আক্রমণ বলে উল্লেখ করা হয়। তাদের দাবি, আদানি গ্রুপ আইন মেনেই সব কিছু করেছে।

তবে এতেও আস্থা ফেরেনি শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের। ১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানায়, সুইস ব্যাংক ক্রেডিট সুইস তার প্রাইভেট ব্যাংকিং ক্লায়েন্টদের মার্জিন ঋণের জামানত হিসেবে আদানি গ্রুপের বন্ড গ্রহণ বন্ধ করে দিয়েছে। আদানি এন্টারপ্রাইজেসের শেয়ারের দর প্রায় ৩০ শতাংশ কমে গেছে। গোষ্ঠীটির অন্য কোম্পানিগুলোও পিছিয়ে পড়েছে।

এমন অভূতপূর্ব বাজার পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত নতুন শেয়ার ছাড়ার পরিকল্পনা স্থগিত করে আদানি গ্রুপ। কিন্তু এরপর কী হবে? উত্তর অনিশ্চিত। বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করতে সারা বিশ্ব ছুটে বেড়াচ্ছেন আদানি গ্রুপের নির্বাহীরা। কোভিড-১৯র ধাক্কা মোকাবিলায় একটি বিশেষ দল গঠন করেছিল গোষ্ঠীটি। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উদ্ভূত সমস্যাগুলো মোকাবিলায়ও কাজ করেছে এই দল। সাম্প্রতিক ধাক্কা মোকাবিলায় তাদের উচ্চ সতর্কতায় রাখা হয়েছে।

অবশ্য আদানি সাম্রাজ্যের জন্য এই হুমকিকে সাদা চোখে বাস্তব বলে মনে হয় না। গৌতম আদানিকে একজন দক্ষ পরিচালক হিসেবে মনে করা হয় এবং তার কোম্পানিগুলো অনেক মূল্যবান সম্পদের মালিক। তারা ভারতের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া, ইসরায়েল ও শ্রীলঙ্কায় কয়েকটি বড় বন্দর চালায়। ভারতের ৩০ শতাংশ শস্য আদানির গুদামে, দেশটির বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের এক-পঞ্চমাংশ পরিচালনা করে গোষ্ঠীটি।

ভারতে বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের এক-চতুর্থাংশ নিয়ন্ত্রণ করে তারা এবং সম্ভবত সিমেন্ট উৎপাদনের এক-পঞ্চমাংশও তাদের হাতে। সিঙ্গাপুরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ভারতের বৃহত্তম খাদ্য সংস্থা হওয়ার চেষ্টায় রয়েছে আদানি গ্রুপ। গত আর্থিক বছরে গোষ্ঠীটির তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মোট আয় ছিল ২ হাজার ৫০০ কোটি ডলার, যা ভারতের মোট জিডিপির ০.৭ শতাংশের সমতুল্য। ওই বছর তাদের নিট মুনাফা ছিল ১৮০ কোটি ডলার।

তবু আদানির এই বিশাল সাম্রাজ্য একটুও প্রভাবিত হবে না তা বিশ্বাস করা কঠিন। আদানি গ্রুপ মুম্বাইয়ের কাছে একটি নতুন বিমানবন্দর তৈরি করছে, তিনটি সমুদ্রবন্দরে ব্যয় করছে মোট ৫০০ কোটি ডলার, দক্ষিণ কোরীয় সংস্থা পোস্কোর সঙ্গেথে অংশীদারত্বে ৫০০ কোটি ডলারের একটি ইস্পাত কারখানা নির্মাণের পরিকল্পনা করছে।

তাদের নবায়নযোগ্য ও হাইড্রোজেন জ্বালানি প্রকল্পগুলো ভারতকে শুদ্ধ জ্বালানির পাওয়ার হাউসে পরিণত করার প্রচেষ্টার ভিত্তি হিসেবে দেখা হয়। এই সব প্রকল্পের জন্য প্রচুর পুঁজি প্রয়োজন। আর সেটি সংগ্রহেই নতুন শেয়ার বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা করেছিল আদানি গ্রুপ। কিন্তু যদি গোষ্ঠীটির বন্ডের দেনা বাড়ে এবং শেয়ারের দাম কমে যায়, তাহলে প্রয়োজনীয় তহবিল জোগাড় করা কঠিনই হবে।

এরই মধ্যে আদানি গ্রুপের এই সংকটের পরোক্ষ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে তার অংশীদারদের ওপরও। গত ১ ফেব্রুয়ারি ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত জীবন বিমা কোম্পানি এলআইসি এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার শেয়ারের দম কমে গেছে যথাক্রমে আট ও পাঁচ শতাংশ। তবে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা কোনো ঝুঁকি নিচ্ছেন না।

গত সপ্তাহে অন্যান্য উদীয়মান বাজারগুলোর তুলনায় ভারতীয় শেয়ারবাজারের পারফরম্যান্স ছিল খারাপ। গত ২৭ জানুয়ারি ও ৩০ জানুয়ারি মাত্র দুই দিনে ভারতীয় শেয়ারবাজার থেকে ১৫০ কোটি ডলার তুলে নিয়েছে বৈশ্বিক তহবিলগুলো৷ এ অবস্থায় পশ্চিমা বহুজাতিক কোম্পানিগুলো হয়তো ভারতীয় টাইকুনদের সঙ্গে নতুন অংশীদারত্ব গড়ে তোলার আগে দুবার চিন্তা করবে।


আরও খবর



পাঁচ লাখ অভিবাসীকে বৈধতা দিচ্ছেন বাইডেন

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

নির্বাচনের আগে ৫ লাখ অভিবাসীকে বৈধতা দিতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কমপক্ষে ১০ বছর ধরে যারা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন, তাদের ক্ষেত্রে এ পদক্ষেপ প্রযোজ্য হবে। আসন্ন প্রেসিডেনশিয়াল নির্বাচনের আগে বাইডেন প্রশাসনের এমন নীতিকে বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত হিসেবে চিহ্নিত করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

যতই সময় গড়াচ্ছে, ততই ঘনিয়ে আসছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। কিছুদিন আগেও হান্টার বাইডেনের আগ্নেয়াস্ত্র সংক্রান্ত মামলায় সরগরম ছিল আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। এবার নতুন অভিবাসন নীতি ঘোষণা করে আলোচনায় এলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৮ ‍জুন) হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ করার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কমপক্ষে ১০ বছর ধরে যারা দেশটি বসবাস করছেন এমন ৫ লাখ দম্পতিকে কাজের অনুমতি দেবে প্রশাসন। এই পদক্ষেপ তাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে যারা কোনো মার্কিন নাগরিককে বৈধভাবে বিয়ে করেছেন।

'প্যারোল ইন প্লেস' নামে এ পদক্ষেপটি অভিবাসীদের জন্য গ্রীন কার্ড ও নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ আরো সহজ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা স্নাতক সম্পন্ন করেছেন, তাদেরও আনা হবে এ নীতির আওতায়। বৈধ হতে খুব দ্রুতই প্রার্থীরা আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

 বেশ কয়েক বছর ধরেই অনথিভুক্ত অভিবাসীদের অগ্রাধিকার দেয়ার ব্যাপারে প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়ে আসছিলেন অভিবাসন আইনজীবীরা। নতুন নীতির বিষয়ে তারা বলেছেন, এটি বাইডেন প্রশাসনের একটি বুদ্ধিদীপ্ত রাজনৈতিক পদক্ষেপ। আসন্ন নির্বাচনে নেভাডা ও অ্যারিজোনার মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলোতে লাতিন ভোটারদের সমর্থন পেতে মরিয়া বাইডেন। এর অংশ হিসেবেই তিনি এমন পদক্ষেপ নিলেন বলে মত বিশ্লেষকদের।


আরও খবর



শেয়ারবাজারে দুঃসংবাদ নিয়ে আসছে বাজেট

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের জন্য দুঃসংবাদ নিয়ে আসছে নতুন বাজেট। ক্যাপিটাল গেইন বা মূলধনি মুনাফার ওপর কর বসাতে যাচ্ছে সরকার এতদিন এ খবর ছিল গুঞ্জন আকারে। এবার তা সত্যি হয়ে আসছে। শেয়ার কেনাবেচায় নির্দিষ্ট অর্থবছরে ৫০ লাখ টাকার বেশি যত টাকা মুনাফা হবে, তার ওপর সরকারকে ১৫ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী যে বাজেট পেশ করতে যাচ্ছেন, তাতে এমন প্রস্তাব থাকছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্র এমনটাই জানিয়েছে। সূত্র আরও জানায়, তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার অপরিবর্তিত থাকলেও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির ক্ষেত্রে আড়াই শতাংশ কমানো হচ্ছে। এতে করহার ব্যবধান বর্তমানের সাড়ে ৭ শতাংশের স্থলে ৫ শতাংশে নামবে।

টানা দরপতনে বিনিয়োগকারীদের যখন নাভিশ্বাস উঠছে, দলে দলে সব শেয়ার বেচে বাজার ছাড়ছেন তারা, তখন নীতি-সহায়তার পরিবর্তে করের চাপ বাড়ালে পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করছেন শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, শুধু এ বছরের প্রথম পাঁচ মাসের দরপতনে ৯৪ হাজার বিনিয়োগকারী সব শেয়ার বিক্রি করে বাজার ছেড়েছেন। ফলে বাজারের জন্য এখন দরকার সরকারের নীতি-সহায়তা। অথচ তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির কর ব্যবধান কমিয়ে তালিকাভুক্ত হতে অতালিকাভুক্ত কোম্পানিকে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।

আইপিও প্রক্রিয়ায় ১০ শতাংশের বেশি শেয়ার ছেড়ে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানির বর্তমান করপোরেট করহার ২০ শতাংশ। এর কম শেয়ার বিক্রি করে তালিকাভুক্ত হলে, তাদের করহার সাড়ে ২২ শতাংশ। নতুন অর্থবছরে এ করহার আড়াই শতাংশ হারে বাড়িয়ে যথাক্রমে সাড়ে ২২ শতাংশ এবং ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব আসছে। তবে ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন সম্পন্ন করার শর্ত পরিপালন সাপেক্ষে উভয় ধরনের কোম্পানির করপোরেট করহার থেকে আড়াই শতাংশ করে ছাড় দেওয়ারও প্রস্তাব করবেন অর্থমন্ত্রী।

ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেনের শর্তটি হলো ৫ লাখ টাকার বেশি একক যে কোনো লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে করতে হবে এবং বার্ষিক ব্যয়ে নগদ লেনদেন কোনোভাবেই ৩৬ লাখ টাকার বেশি হতে পারবে না। অবশ্য এ শর্ত নতুন নয়। চলতি অর্থবছরেও রয়েছে। এ ক্ষেত্রে পার্থক্য হলো এখনকার নির্ধারিত করহার কম। তবে শর্ত না মানলে তা আড়াই শতাংশ বেশি দিতে হচ্ছে। নতুন কর প্রস্তাবে আগেই করহার বাড়ানো হচ্ছে। শর্ত মানলে করছাড় দেওয়ার কথা বলা হবে।

এদিকে তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার না কমালেও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট করহার আড়াই শতাংশ কমিয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী। বর্তমানে শেয়ারবাজারে অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার সাড়ে ২৭ শতাংশ। তবে তালিকাভুক্ত কোম্পানির মতো ব্যাংকের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন না করলে ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হয়েছে। এবার এ শর্ত পূরণ করতে না পারলে সাড়ে ২৭ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শেয়ারবাজারে নতুন করে কোম্পানি আসা যখন প্রায় বন্ধের পথে, তখন তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত করহার ব্যবধান কমানো হচ্ছে। কয়েক বছর আগেও এ ব্যবধান ছিল ১০ শতাংশ। পরে তা সাড়ে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। এখন তা ৫ শতাংশ করা হচ্ছে। এতে নতুন করে কোনো কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে আরও নিরুৎসাহিত হবে। সরকারের এ নীতির ফলে শেয়ারবাজার সার্বিক অর্থনীতির তুলনায় আরও পিছিয়ে পড়বে ও সংকুচিত হবে।

সরকারের এমন সিদ্ধান্ত শেয়ারবাজারের প্রতি বিমাতাসুলভমড়ার উপর খাঁড়ার ঘা বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্রোকারদের সংগঠন ডিবিএর সভাপতি সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, বাজারকে স্বাভাবিক করতে তারা সরকারের কাছে নীতি-সহায়তা চেয়েছিলেন। সরকার উল্টো করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে।

মূলধনি মুনাফায় করারোপ এবং তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ব্যবধান কমানোর খবরে হতাশা ব্যক্ত করেছেন খোদ শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।

তিনি বলেন, এটা ঠিক হচ্ছে না। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত করতে করপোরেট করহার ব্যবধান বাড়ানো উচিত। মূলধনি মুনাফায় কর আরোপের খবরেও তিনি একই ধরনের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এই কর প্রস্তাব যাতে সরকার প্রত্যাহার করে নেয়, সে লক্ষ্যে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।


আরও খবর



কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে রাবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

বাংলাদেশে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে আন্দোলনে সমবেত হন শত শত শিক্ষার্থী। এসময় কোটাবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয় তারা।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মারুফের সঞ্চালনায় আইন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সানজিদা বলেন, আমি একজন নারী এবং আমার ১ম শ্রেণির কোটা থাকা সত্ত্বেও আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কারণ আমি বিশ্বাস করি আমার মধ্যে যদি মেধা থেকে থাকে, দক্ষতা থাকে তবে আমি আমার মেধা, দক্ষতা দিয়ে প্রথম শ্রেণির চাকরি অর্জন করতে পারব। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের প্রতিটা মেয়েরই এই সক্ষমতা আছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন তার জন্য কোনো কোটার দরকার হয়েছিল? নিশ্চয়ই হয়নি। তাই আমরা যারা মেয়েরা আছি আমাদেরও কোনো কোটা দরকার নেই।

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী আল আমিন বলেন, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও আমি আমার মেধার জোরে চান্স পেয়েছি। কোটায় সাবজেক্ট আসা সত্ত্বেও আমি ভর্তি হয়নি। আমার মেধার ভিত্তিতে যে সাবজেক্ট এসেছে সেটায় ভর্তি হয়েছি। আমি এই কোটা সংস্কৃতির তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সাথে সাথে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাচ্ছি সাধারণ শিক্ষার্থীদের মেধার ভিত্তিতে বিবেচনা করা হোক। আমরা মুক্তিযোদ্ধাদের  বিরুদ্ধে নয়। তবে কোনো বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নিব না।

পপুলেশন সাইন্সের শিক্ষার্থী আমানুল্লাহ আমান বলেন, আজকে এই আন্দোলনের মানে আমাদের দাবি আদায় হয়ে গেছে এমন নয়। যতদিন না আমাদের দাবি আদায় হবে ততদিন পর্যন্ত আমরা আন্দোলন করে যাব। পরবর্তীকালে আমরা রাবি মেইন গেটে দাঁড়াব। যেহেতু শিক্ষার্থীরা বাসায় চলে যাবে আমরা কবিতা, গান, কথা, লেখার মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলন গড়ে তুলব। এজন্য তিনি সকল সাধারণ শিক্ষার্থীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

এসময় 'কোটা বৈষম্য নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক', 'কোটা দিয়ে কামলা নয়, মেধা দিয়ে আমলা চায়'- স্লোগানে দিতে শোনা যায়। আন্দোলন বিভিন্ন বিভাগের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার আলোচিত টিকটকার প্রিন্স মামুন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রবিউল বাশার খান, কুমিল্লা

Image

লায়লা আখতার ফারহাদের ধর্ষণ মামলায় টিকটকার আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে কুমিল্লার পুলিশ। আজ মঙ্গলবার তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করা হবে।

প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে লায়লা আখতার রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় ফৌজদারি বিধির ৩২৩, ৩০৭ ও ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর ০৫(১২)২০২৩)। পরবর্তীতে আইনি পদক্ষেপ হিসেবে আদালত থেকে প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

এ ব্যাপারে সোশ্যাল মিডিয়ার পরিচিত মুখ প্রিন্স মামুন বলেন, গত ডিসেম্বরে মাঝরাতে লায়লা ও আমার দু’জনার মধ্যে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তখন উত্তেজিত হয়ে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। যা পরবর্তীতে মামলায় গড়ায়। বিষয়টি এখন আইনিভাবে মোকাবিলা করব আমি।’

এছাড়া প্রিন্স মামুন বলেন, যিনি মামলা করেছেন তিনি বলেছিলেন মামলাটি তুলে নেবেন। এ কারণে আমিও আর আদালতে কোনো হাজিরা দেইনি। আর আদালতে হাজিরা না দেওয়ার জন্যই আমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে।’

ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীনুর রহমান বলেন, সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুমিল্লার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। প্রিন্স মামুনের বিরুদ্ধে ক্যান্টনমেন্ট থানায় ধর্ষণ মামলা রয়েছে। কুমিল্লার পুলিশ প্রিন্স মামুনকে হস্তান্তর করবে।’

কে এই বহুল আলোচিত টিকটকার প্রিন্স মামুন?

প্রিন্স মামুনের উত্থান মূলত সোশ্যাল মিডিয়া টিকটক’ ও লাইকি’র সুবাদে। বাংলাদেশে এসব অ্যাপ জনপ্রিয়তার পেছনে কিছুটা হলেও মামুনের ভূমিকা আছে। নিজের করা মিউজিক ভিডিও সেখানে পোস্ট দিতেন মামুন। সেখান থেকেই তার পরিচিতি এবং জনপ্রিয়তা।

একটা সময়ে নাচ শিখেছেন মামুন। সেই নাচের ভিডিও অনলাইনে শেয়ার দিতেন। শেয়ার দিতেন অনেক মজার ভিডিও। এভাবেই তার ফলোয়ারের সংখ্যা বাড়তে থাকে। অনলাইন থেকে তার জনপ্রিয়তার ঢেউ এসে পড়লো অফলাইনেও। বলা যায়, বাংলাদেশে টিকটকারদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এই টিকটকার মামুন। তার ফলোয়ার বা অনুসারীর সংখ্যাও অগণিত। এখন তিনি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে শোরুম বা দোকান উদ্বোধন করেন।

প্রিন্স মামুন ও লায়লা আক্তার ফারহাদ টিকটকের আলোচিত নাম। ফেসবুক-ইউটিউবের সামাজিক মাধ্যমে লায়লাকে সঙ্গে করে বিনোদনভিত্তিক কন্টেন্ট বানিয়ে বরাবরই আলোচনায় ছিলেন মামুন। এই জুটি নানা সময়ে আলোচনায় থেকেছেন। কখনও ঝগড়া করে, কখনও মামুনের নামে টাকা নেয়ার অভিযোগ তুলে। আবার কখনও মামুনের নামে লায়লা অভিযোগ তুলেছেন শারীরিক অত্যাচারেরও। তবে এবার সব ছাপিয়ে লায়লা মামুনের নামে করলেন বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা!

মামলার এজাহারে লায়লা লিখেছেন, মামলার বিবাদী আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে প্রিন্স মামুনের সঙ্গে আমার গত তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে মামুন আমাকে বিয়ে করবে মর্মে প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে। সে আমাকে জানায়, তার ঢাকায় থাকার মত নিজস্ব কোনো বাসা নেই। যেহেতু প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয় এবং মামুন আমাকে বিয়ে করবে বলে জানায়, তাই তার কথা সরল মনে বিশ্বাস করে তাকে আমার বাসায় থাকার অনুমতি দিই।

তিনি আরও লিখেছেন, ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারি মামুন তার মাকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাসায় এসে বসবাস করতে থাকে। ওইদিন থেকে সে আমার বাসায় আমার সঙ্গে একই রুমে থাকতে শুরু করে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। মামুন আমার বাসায় থাকাকালে তার বাবা-মা মাঝেমধ্যেই সেখানে এসে অবস্থান করতো। আমি মামুনকে একাধিকবার বিয়ের বিষয় বললে সে বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে।

সর্বশেষ চলতি বছরের ১৪ মার্চ মামুন আমাকে আবার ধর্ষণ করে। পরবর্তী সময়ে আমি তাকে বিয়ের বিষয়ে বললে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। আমাকে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।


আরও খবর
জামালপুরে যমুনার পানি বিপদসীমার ওপরে

বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪




মেহেরপুর ক্লিনিক মালিকে এক বছর কারাদণ্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আব্দুল আলিম, মেহেরপুর

Image

মেহেরপুরের গাংনীর বামন্দী বাজারের করবী ক্লিনিকের স্বত্তাধিকারী জাহিদুল ইসলাম বিদ্যুতকে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিম ও গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাদির হোসেন শামিম এ দণ্ড প্রদান করেন। দণ্ডিতকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলা হাড়াভঙ্গা গ্রামের আরিফুল ইসলাম তার স্ত্রীকে ডেলিভারির জন্য ওই ক্লিনিকে নিয়ে আসেন। ক্লিনিক কতৃর্পক্ষ ডাক্তার না থাকা স্বত্ত্বেও রোগিকে বিভিন্ন তালবাহানা করে ভর্তি রাখে। এতে গর্ভের সন্তান মারা যায়। দুপুরে করবী ক্লিনিকে চিকিৎসক এসে সিজারিয়ানের পর ওই নারী মৃত সন্তান প্রসব করে।

বিষয়টি জানার পর গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাদির হোসেন শামিম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার সুপ্রভা রাণী ঘটনাস্থলে যান। ওই দম্পতি কোন অভিযোগ না করলেও ক্লিনিকে নানা অবস্থাপনার কারণে ক্লিনিক মালিক জাহিদুল ইসলাম বিদ্যুতকে এক বছর কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী হাকিম নাদির হোসেন শামিম জানান, এই ক্লিনিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে অনুযায়ি অভিযান চালানো হয়। এসময় অব্যবস্থাপনার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ এর ৫২ ধারায় ক্লিনিক মালিককে উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।

নিউজ ট্যাগ: মেহেরপুর

আরও খবর
জামালপুরে যমুনার পানি বিপদসীমার ওপরে

বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪