আজঃ শুক্রবার ০৫ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

আদানি পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের আস্থায় ধস

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মাত্র ১০ দিন আগেও ভারতের ব্যবসায়ী গৌতম আদানির সাম্রাজ্যকে মনে হচ্ছিল অজেয় ও অপ্রতিরোধ্য। জ্বালানি থেকে বন্দর ব্যবসাসবকিছুতেই চরম সফল তিনি। কিন্তু গবেষণা সংস্থার একটি প্রতিবেদনেই নাস্তানাবুদ এ ধনকুবের। আদানি এখন তার করপোরেট জীবনের সবচেয়ে খারাপ সংকটের সঙ্গে লড়ছেন। পাশাপাশি বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির অন্যতম চালিকাশক্তি ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের গ্রহণযোগ্য গন্তব্য হিসেবে ভারতের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সবচেয়ে জরুরি ও ভয়াবহ প্রশ্নটিরও জন্ম দিয়েছেন।

হিনডেনবার্গ রিসার্চ ২৪ জানুয়ারির একটি প্রতিবেদনে জালিয়াতির মাধ্যমে শেয়ারের দাম বৃদ্ধির অভিযোগ আনার পর থেকে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের বাজার মূল্য কমেছে ১০ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। চলতি সপ্তাহে এ টাইকুন যখন ২৪০ কোটি ডলার মূল্যের শেয়ার বিক্রি বাতিল করেন, তখন অবশ্য দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবের সম্ভাবনাগুলো স্পষ্ট হয়ে ওঠে। অবস্থান ফেরাতে আদানির যুক্তিগুলো বিনিয়োগকারীদের আশ্বস্ত করতে ব্যর্থ হয়। এরই মধ্যে ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেস্ক তালিকায় বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি থেকে ২১-এ নেমে এসেছেন তিনি।

লাইভ মিন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চলমান পরিস্থিতি মূলত আদানি গ্রুপের করপোরেট শাসন সম্পর্কে পুরনো সন্দেহগুলোকেই পুনরুজ্জীবিত করেছে। ১০০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি ভারতে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আস্থাকে বড় পরিসরে ক্ষুণ্ন করে। প্রতিবেদনের দাবিগুলো সত্য প্রমাণিত হোক বা না হোক ভারতের মতো দেশের নিয়ন্ত্রক কাঠামোকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ও হুমকির মুখে ঠেলে দেয়।

সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও আর্থিক উপদেষ্টা সংস্থা গ্লোবাল সিআইওর সিঙ্গাপুর অফিসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গ্যারি ডুগান বলেন, ভারতীয় ইক্যুইটিতে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের ঝুঁকির সম্ভাবনাগুলো বড় ধরনের পুনর্মূল্যায়নসহ অবস্থার দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে।

৬০ বছর বয়সী আদানি কয়েক দশক ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। এছাড়া তার ব্যবসাগুলোর মধ্যে রয়েছে বিমানবন্দর, পাওয়ার প্ল্যান্ট ও ডাটা সেন্টারের মতো পুঁজি-ঘন প্রকল্পতে বিনিয়োগ, যা একই সঙ্গে মোদির উন্নয়ন এজেন্ডার কেন্দ্রবিন্দু। একজন জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আদানি তার ব্যবসায়িক স্বার্থকে মোদির উন্নয়ন লক্ষ্যের সঙ্গে সংযুক্ত করেছেন। তাছাড়া ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে সম্পদ ও শ্রম দক্ষতার অভাব থাকলেও সেখানে তিনি হাজার হাজার কর্মসংস্থান তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন।

তাই যদি আদানির সম্পদের পতন অব্যাহত থাকে এবং আদানির সাম্রাজ্য ঘিরে বিনিয়োগকারীদের আস্থা আরো নড়বড়ে হয়, তাহলে তা ভারতের প্রবৃদ্ধির গল্পের জন্য একটি বড় ধাক্কা হতে পারে। এইচএসবিসির মতো ব্যাংক কিংবা অ্যাপলের মতো প্রতিষ্ঠান চীনের ওপর নির্ভরতা কাটাতে যখন ভারতের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, তখন আদানির এ কেলেঙ্কারির বিষয়টি সামনে এল। নাটিক্সিস এসএর এশিয়া প্যাসিফিকের প্রধান অর্থনীতিবিদ অ্যালিসিয়া গার্সিয়া হেরেরো বলেন, তবে সত্যটা হচ্ছে, আদানির কেলেঙ্কারি এমন একটা সময়ে উন্মোচিত হয়েছে, যখন চীনের অর্থনীতির পুনরায় চালু হচ্ছে। তাই বিদেশী বিনিয়োগকারীরা স্পষ্টভাবেই বিষয়টি বিবেচনা করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারসংক্রান্ত গবেষণা সংস্থা হিনডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় এক দশক ধরে শেয়ারের মূল্যে কারচুপি করছে আদানি গোষ্ঠী। জালিয়াতি চালিয়ে আসছে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রেও। কৃত্রিমভাবে নিজ প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বহুগুণ বাড়িয়ে আদানিরা বিশাল ধনসম্পদের মালিকে পরিণত হয়েছে। প্রতিবেদনটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে আদানি গোষ্ঠী। সপ্তাহের ব্যবধানে বড় ধরনের সম্পদ খুইয়েছে। আদানি গোষ্ঠীর ১০টি সংস্থার শেয়ারে রীতিমতো ধস নেমেছে। যদিও প্রতিবেদনে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে আদানি।

পাল্টা মার্কিন সংস্থাটির বিরুদ্ধে মিথ্যা বলার অভিযোগ ছুড়ে দিয়েছে তারা। আদানি গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, হিনডেনবার্গ স্বল্পমেয়াদি লাভের জন্য এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এটিকে ভারতের অগ্রগতিকে রুখে দেয়ার চক্রান্ত বলেও দাবি তাদের। যদিও আদানির কার্যক্রম ঘিরে খোদ ভারতীয় বিনিয়োগকারী ও মিডিয়ায় কানাঘুষা চলছিল কয়েক বছর ধরে। ভারতীয় প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও আদানির ব্যবসায়িক সম্পর্ককে বারবার প্রশ্নবিদ্ধ করে আসছে। এদিকে হিনডেনবার্গ আদানি সম্পর্কে সংক্ষেপে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়।


আরও খবর



আদানির কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ভারতের ঝাড়খন্ডের আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে দেশের বিদ্যুৎ সরবরাহে বড় ধরনের ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

এর আগে ঈদের ছুটিতে আদানি কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট রক্ষণাবেক্ষণে যাওয়ায় বন্ধ থাকে বিদ্যুৎ সরবরাহ। আগামী ৫ জুলাই ইউনিটটি উৎপাদনে আসতে পারে। কেন্দ্রটির দুটি ইউনিট থেকে গড়ে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যেত।

কিন্তু এরই মধ্যে কারিগরি ত্রুটিতে দ্বিতীয় ইউনিট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন কার্যত পুরো কেন্দ্রটিই বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। কবে নাগাদ তা উৎপাদনে ফিরবে সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। 

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সূত্রে জানা গেছে, রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ঈদের ছুটিতে কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটির উৎপাদন বন্ধ করা হয়। এটি আগামী ৫ জুলাই উৎপাদনে ফিরতে পারে। কারিগরি ত্রুটির কারণে ২৫ জুন থেকে দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসে। ধীরে ধীরে উৎপাদন বাড়ানো প্রক্রিয়া চলছিল। তবে শুক্রবার সকাল পৌনে ১০ টায় উৎপাদন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৯ মার্চ দেশে আদানির বিদ্যুৎ আসা শুরু হয়। ঝাড়খন্ডের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি থেকে সঞ্চালনের জন্য মোট ২৪৪ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়। এরমধ্যে ভারতে ১০৮ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশে ১৩৬ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন রয়েছে।


আরও খবর



ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ৬৩ সে.মি. ওপরে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাইবান্ধা প্রতিনিধি

Image

টানা ভারি বর্ষণ ও উজানের ঢলে গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া করতোয়া ও তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

এর মধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ৬২ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদীর পানি ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারও মানুষ।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল ৯ টায় গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

অন্যদিকে ঘাঘট নদীর পানি ৫৯ সেমি বৃদ্ধি পেয়ে নিউব্রিজ স্টেশন বিপৎসীমার ১১ সেমি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

জানা যায়, গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে জেলার সবগুলো নদ-নদীর পানি আবারও বাড়তে শুরু করে। এ কারণে নদীর তীরবর্তী ও নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হতে শুরু করেছে।

এসব এলাকার বেশ কিছু ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন ফসলাদি পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারও মানুষ। ফলে এসব এলাকার মানুষের মাঝে বন্যা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

পানিবৃদ্ধির কারণে গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার নদীবেষ্টিত চরাঞ্চলে বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

বিপৎসীমার ওপরে থাকায় ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্টিত সদরের কামারজানি, ঘাগোয়া, ফুলছড়ির ফজলুপুর, এরেন্ডাবাড়ি এলাকায় প্লাবিত হতে শুরু করেছে। পানিবৃদ্ধির ফলে নিচু এলাকার ঘরবাড়িগুলোতে পানি জমতে শুরু করেছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। এসব এলাকার পানিবন্দী মানুষরা গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ছেন।

অন্যদিকে তিস্তার পানি আবারও রাড়তে থাকায় সুন্দরগঞ্জের হরিপুর, কাপাসিয়া, তারাপুরের এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করেছে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, ভারি বর্ষণ ও উজনের ঢলে গাইবান্ধায় সবগুলো নদ-নদীর পানি বাড়ছে। তবে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সব ধরনের ঝুঁকি মোকাবেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রস্তুত রয়েছে।


আরও খবর
জামালপুরে যমুনার পানি বিপদসীমার ওপরে

বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪




সব দেশের রাজনীতি এখন কঠিন ঝুঁকির মুখে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সব দেশের রাজনীতি এখন কঠিন ঝুঁকির মুখে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।বুধবার (১৯ জুন) সচিবালয়ে ঈদুল আজহার পর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পুরো বিশ্বই এখন রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। সব দেশের রাজনীতি এখন কঠিন ঝুঁকির মুখে পড়েছে। এ অবস্থায় বিদেশি ফান্ডিং কমে এসেছে। আমাদের এখন শ্যাম ও কুল দুটিই রক্ষা করে চলতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক আমাদের দেওয়া প্রতিশ্রুত অর্থ ছাড়ে দেরি করছে। এটা আমাদের ভোগাচ্ছে। পুরো বিশ্বই এখন অর্থনৈতিক মন্দার কবলে পড়েছে। সবাই ব্যয় সংকোচন করছে। বড় বড় দেশগুলো বিশ্বযুদ্ধের মহড়া দিচ্ছে। আমরাও এর শিকার হচ্ছি। এ কারণে বড় বড় প্রকল্পগুলো অনেকটা স্লো হয়ে গেছে। বিশ্বের অনেক দেশ অর্থ সংকোচন নীতি গ্রহণ করেছে। সারা বিশ্বে অর্থ সংকট কবে শেষ হবে তা বলা যাচ্ছে না।

এ সময় কাদের বলেন, ইদানিং বেপরোয়া ড্রাইভিং, মোটরবাইক ও ইজিবাইকের কারণে দুর্ঘটনা বেড়েছে। এতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও দায় আছে। ভোটের রাজনীতি করতে গিয়ে তারা ইজিবাইকগুলোকে মহাসড়কে চলতে দিচ্ছেন।

সেতুমন্ত্রী বলেন, রাজধানীতে একটি মোটরসাইকেলে দুজন এবং হেলমেট পরার বাধ্যবাধকতা থাকায় দুর্ঘটনা অনেক কমেছে। এটা শুধু শহর নয়, মফস্বল ও‌ গ্রামেও মানছে। নো‌ হেলমেট, নো‌ ফুয়েল কার্যকর করায় এটা সম্ভব হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে দেশের অনেক জেলায় রাস্তা নষ্ট হয়ে গেছে। এসব রাস্তা‌ মেরামত করা জরুরি হয়ে পড়েছে। বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মহাসড়কগুলো শিগগিরই সংস্কার ও মেরামত করা হবে। এ ছাড়া এসব কাজের নিয়মিত মনিটরিং অব্যাহত রাখতে হবে।


আরও খবর



সাজেক ছাড়লেন আটকা পড়া ৭০০ পর্যটক

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

মেঘের রাজ্য খ্যাত সাজেক ভ্যালিতে ভ্রমণে গিয়ে আটকা পড়া ৭ শতাধিক পর্যটক খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। বুধবার (৩ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে সাজেক থেকে পর্যটকবাহী ও ব্যক্তিগত গাড়িতে তারা রওনা দেন।

সাজেক রিসোর্ট-কটেজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মতিজয় ত্রিপুরা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে খাগড়াছড়ি-সাজেকের আশাপাশের সড়কগুলো তলিয়ে যায়। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মঙ্গলবার (২ জুলাই) থেকে সাজেকে আটকা পড়েন ৭ শতাধিক পর্যটক।

মতিজয় ত্রিপুরা বলেন, বাঘাইহাট বাজারে পানি কমতে শুরু করায় পর্যটকরা খাগড়াছড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। আমরা জানতে পেরেছি, পর্যটকরা গঙ্গারামমুখ পর্যন্ত যাবেন। পরে ডুবে থাকা সড়কের অংশ নৌকায় পার হয়ে খাগড়াছড়ি পৌঁছাবেন।

সাজেক জিপ সমিতির লাইনম্যান ইয়াসিন আরাফাত বলেন, সড়কের পানি কমে যাওয়ায় আটকে থাকা পর্যটকবাহী গাড়িগুলো খাগড়াছড়ির উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। নতুন করে আর বৃষ্টি না হওয়ায় সড়কগুলো যান চলাচলের জন্য স্বাভাবিক হয়ে উঠছে।


আরও খবর
জামালপুরে যমুনার পানি বিপদসীমার ওপরে

বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪




বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তার পানি বণ্টন সম্ভব নয় : মমতা

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তার রাজ্যের অংশগ্রহণ ছাড়া বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা ও গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে কোনো আলোচনা হওয়া উচিত নয়। সোমবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে লেখা এক চিঠিতে এই মন্তব্য করেছেন তিনি।

চিঠিতে মমতা বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তার পানি ভাগাভাগি করা সম্ভব নয়। কারণ পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলের মানুষের সেচ ও পানীয়র জন্য পানির প্রয়োজন। তিনি বলেন, গত কয়েক বছর ধরে তিস্তায় পানির প্রবাহ কমে গেছে এবং ধারণা করা হচ্ছে যদি বাংলাদেশের সাথে পানি ভাগাভাগি করা হয়, তাহলে উত্তরবঙ্গের লাখ লাখ মানুষ সেচের পানির অপ্রতুলতার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

মোদিকে লেখা চিঠিতে মমতা বলেছেন, ‘‘এছাড়া উত্তরবঙ্গের বাসিন্দাদের পানীয় জলের চাহিদা মেটাতেও তিস্তার পানির প্রয়োজন। তাই বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তার পানি ভাগাভাগি করা সম্ভব নয়।’’

নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে আলোচনার একদিন পর সোমবার ওই চিঠি লিখেছেন মমতা। এতে তিনি বলেছেন, রাজ্য সরকারের পরামর্শ এবং মতামত ছাড়া এই ধরনের একতরফা আলোচনা ও পরামর্শ গ্রহণযোগ্য কিংবা কাম্য নয়।

মমতা লিখেছেন, ‘‘আমি বুঝতে পেরেছি, ভারত সরকার ভারত-বাংলাদেশ ফারাক্কা চুক্তি (১৯৯৬) পুনর্নবায়নের প্রক্রিয়ায় রয়েছে; যার মেয়াদ ২০২৬ সালে শেষ হতে চলেছে। আপনি জানেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানি বণ্টনের পরিমাণ নির্ধারণের এই চুক্তির পশ্চিমবঙ্গের মানুষের ওপর বিশাল প্রভাব রয়েছে।’’ পশ্চিমবঙ্গের জনগণ এই ধরনের চুক্তিতে ‌‌সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন তিনি।

ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল বিনিময়, ভারত-বাংলাদেশ রেলপথ ও বাস পরিষেবা চালুর দিকে ইঙ্গিত করে পশ্চিমবঙ্গের এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অতীতে বাংলাদেশের সাথে কয়েকটি বিষয়ে সহযোগিতা করেছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য।

তবে পানি অত্যন্ত মূল্যবান এবং মানুষের জীবন বাঁচানোর হাতিয়ার। আমরা এমন একটি সংবেদনশীল ইস্যুতে আপস করতে পারি না; যা জনগণের ওপর মারাত্মক এবং বিরূপ প্রভাব ফেলে, চিঠিতে লেখেন তিনি।

পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলীয় নদী তিস্তার পানি বন্টনের প্রস্তাবের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, সিকিমে কয়েকটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ এবং নদীর ঊর্ধ্ব জলাভূমি এলাকায় বন উজাড়ের কারণে ভারতের দিকে তিস্তা ইতিমধ্যে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এখন ভাগাভাগি করার মতো পর্যাপ্ত পানি নেই।

মমতা লিখেছেন, বৈঠকে ভারত সরকার বাংলাদেশে তিস্তাকে পুনরুজ্জীবিত করার ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার প্রস্তাব দিয়েছে। আমি অবাক হয়েছি যে, জলশক্তি মন্ত্রণালয় ভারতে নদীটিকে তার আসল রূপে ফেরানোর জন্য কোনও দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়নি।

এর আগে, গত শনিবার নয়াদিল্লিতে গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি নবায়নসহ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ১০টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। ওই সময় নরেন্দ্র মোদি বলেন, বাংলাদেশের দিকে তিস্তার পানি সংরক্ষণ ও পরিচালন পদ্ধতি উন্নয়নের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ দল শিগিগিরই বাংলাদেশ সফর করবে।


আরও খবর