আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

আগামী তিন দিন হোম কোয়ারেন্টিনে বাংলাদেশ দল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ মে ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ মে ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

শ্রীলঙ্কায় টেস্ট সিরিজ শেষে চার্টার্ড ফ্লাইটে মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকায় পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। আগামী তিন দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে সবাইকে।

দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য লঙ্কা সফরে গিয়েছিলেন ২১ ক্রিকেটার। কোচিং ও সাপোর্টস্টাফ মিলে টাইগারদের বহর ছিল ৪১ সদস্যের।

তাদের জন্য স্বস্তির ব্যাপার হলো কলম্বো থেকে ঢাকায় ফিরে হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন করতে হচ্ছে না। সবাই তিন দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে থেকেই পাবেন মুক্তি।

শ্রীলঙ্কা সফরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ হেরে (১-০) এসেছে মুমিনুল হকের দল। এবার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসবে লঙ্কানরা। ঈদুল ফিতরের পর মাঠে গড়াবে দুদলের সাদা বলের লড়াই। ম্যাচের সম্ভাব্য তারিখ ২৩, ২৫ ও ২৭ মে।

নিউজ ট্যাগ: বাংলাদেশ দল

আরও খবর



পাঁচ লাখ অভিবাসীকে বৈধতা দিচ্ছেন বাইডেন

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

নির্বাচনের আগে ৫ লাখ অভিবাসীকে বৈধতা দিতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। কমপক্ষে ১০ বছর ধরে যারা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন, তাদের ক্ষেত্রে এ পদক্ষেপ প্রযোজ্য হবে। আসন্ন প্রেসিডেনশিয়াল নির্বাচনের আগে বাইডেন প্রশাসনের এমন নীতিকে বুদ্ধিদীপ্ত সিদ্ধান্ত হিসেবে চিহ্নিত করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

যতই সময় গড়াচ্ছে, ততই ঘনিয়ে আসছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। কিছুদিন আগেও হান্টার বাইডেনের আগ্নেয়াস্ত্র সংক্রান্ত মামলায় সরগরম ছিল আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। এবার নতুন অভিবাসন নীতি ঘোষণা করে আলোচনায় এলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৮ ‍জুন) হোয়াইট হাউজের এক বিবৃতিতে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ করার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কমপক্ষে ১০ বছর ধরে যারা দেশটি বসবাস করছেন এমন ৫ লাখ দম্পতিকে কাজের অনুমতি দেবে প্রশাসন। এই পদক্ষেপ তাদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে যারা কোনো মার্কিন নাগরিককে বৈধভাবে বিয়ে করেছেন।

'প্যারোল ইন প্লেস' নামে এ পদক্ষেপটি অভিবাসীদের জন্য গ্রীন কার্ড ও নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ আরো সহজ করবে। যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা স্নাতক সম্পন্ন করেছেন, তাদেরও আনা হবে এ নীতির আওতায়। বৈধ হতে খুব দ্রুতই প্রার্থীরা আবেদনপত্র জমা দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

 বেশ কয়েক বছর ধরেই অনথিভুক্ত অভিবাসীদের অগ্রাধিকার দেয়ার ব্যাপারে প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়ে আসছিলেন অভিবাসন আইনজীবীরা। নতুন নীতির বিষয়ে তারা বলেছেন, এটি বাইডেন প্রশাসনের একটি বুদ্ধিদীপ্ত রাজনৈতিক পদক্ষেপ। আসন্ন নির্বাচনে নেভাডা ও অ্যারিজোনার মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলোতে লাতিন ভোটারদের সমর্থন পেতে মরিয়া বাইডেন। এর অংশ হিসেবেই তিনি এমন পদক্ষেপ নিলেন বলে মত বিশ্লেষকদের।


আরও খবর



জীবিত তিনজনকে মৃত্যু সনদ, ভাতা তুলছেন অন্যরা

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নেত্রকোনা প্রতিনিধি

Image

নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার তিন ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জীবিত তিন ব্যক্তিকে মৃতের সনদ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে তাদের বয়স্ক ও বিধবা ভাতা বন্ধ হয়ে গেছে। প্রতিকার চেয়ে ইউএনওর কাছে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউএনও খবিরুল আহসান।

ভুক্তভোগীরা হলেন খলিশাউড় ইউনিয়নের গড়ুয়াকান্দা গ্রামের হযরত আলী (৭১), হোগলা ইউনিয়নের জামিরাকান্দা গ্রামের মৃত সুরুজ আলী ফকিরের স্ত্রী জহুরা খাতুন (৭৭) ও পূর্বধলা সদর ইউনিয়নের উকুয়াকান্দা গ্রামের মৃত মামুদ আলীর মেয়ে খাদিজা আক্তার (৬০)। তাদের মধ্যে হযরত আলী ও জহুরা খাতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। তাদের দাবি, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান, মেম্বার, সমাজসেবা কর্মকর্তা মিলে তাদের মৃত দেখিয়ে অন্য ব্যক্তিদের ভাতা সুবিধা করে দিয়েছেন। তবে চেয়ারম্যানদের দাবি, তাদের ভুলের কারণে এমনটি হয়েছে। অভিযোগের অনুলিপি নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক ও জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক বরাবর দেওয়া হয়েছে।

হযরত আলী বলেন, দীর্ঘদিন বয়স্ক ভাতা পেতেন তিনি। ভাতার দুই কিস্তি তাঁর মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে না আসায় বিষয়টি জানতে সমাজসেবা অফিসে খোঁজ নেন। সমাজসেবা কর্মকর্তা জানান খলিশাউড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়রাম্যান কমল কৃষ্ণ সরকারের দেওয়া প্রত্যয়ন মোতাবেক তাঁকে মৃত দেখানো হয়েছে। এ কারণে তাঁর নামে বরাদ্দ বয়স্ক ভাতা অন্য ব্যক্তিকে দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

এ বিষয়ে খলিশাউড় ইউপি চেয়ারম্যান কমল কৃষ্ণ সরকার বলেন, একই গ্রামের হযরত আলী নামে দুই ব্যক্তির একজন মারা গেলে ভুলবশত জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখানো হয়েছে। এই ভুল সংশোধনের জন্য ইতোমধ্যে সমাজসেবা অফিসে কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে।

জহুরা খাতুনের অভিযোগ, তিনিও নিয়মিত বয়স্ক ভাতাভোগী ছিলেন। হঠাৎ ভাতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমাজসেবা অফিসে খোঁজ নেন। পরে জানতে পারেন তাঁকেও ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম আকন্দ খোকনের স্বাক্ষরিত প্রত্যয়নে মৃত দেখানো হয়েছে। এ কারণে তাঁর পরিবর্তে হালিমা খাতুনের নাম অন্তর্ভুক্ত করে এক বছর ধরে ভাতা দেওয়া হচ্ছে।

তবে হোগলা ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম আকন্দ খোকনের দাবি, তাঁর অজান্তে ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ভুলবশত এমনটি করেছেন। তবে ভুল সংশোধনের জন্য ইতোমধ্যে কাগজপত্র নিয়ে সমাজসেবা অফিসে যোগাযোগ করা হয়েছে। অতি দ্রুতই সমস্যার সমাধান হবে।

পূর্বধলা সদর ইউনিয়নের উকুয়াকান্দা গ্রামের মৃত মামুদ আলীর স্ত্রী খাদিজা আক্তার ২০১৯ সালে যাচাই-বাছাই শেষে বিধবা ভাতার কার্ড পান। ২০২৩ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ভাতা পান তিনি। এই ভাতার টাকায় নিজের ব্যয় বহন করতেন। গত বছরের মার্চ মাসের পর থেকে ভাতা পাচ্ছেন না তিনি। কারণ জানতে সমাজসেবা অফিসে খবর নিতে গেলে তাঁকে জানানো হয়, আপনি তো মারা গেছেন। তাই ভাতা বন্ধ হয়ে গেছে।

অভিযোগের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বুলবুল বলেন, বিধবা ভাতা না পাওয়ার ব্যাপারে আমাকে কেউ জানায়নি। এ ধরনের বিষয় অহরহ ঘটছে। এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে সমাধানের জন্য আমরা সমাজসেবা বিভাগে পাঠিয়ে দিই।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানরা মৃত্যু সনদ দিয়ে সুপারিশ পাঠালে ভাতাভোগী দুজনকে মৃত দেখিয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়। প্রকৃত বিষয়টি যেহেতু জানা গেছে, কয়েক দিনের মধ্যে সংশোধনের ব্যবস্থা করা হবে।

পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খবিরুল আহসান জানান, জীবিত ব্যক্তিকে মৃতের সনদ দিয়ে ভাতা কেটে দিয়ে অন্যজনের নামে প্রতিস্থাপনের বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর আগেও হয়রানির বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে খাদিজা আক্তার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সমাজসেবা বিভাগে বিষয়টি সংশোধনের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনার সত্যতাসাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: নেত্রকোনা

আরও খবর



ঈদুল আজহায় ১৩ দিনে সড়কে প্রাণ গেছে ২৩০ জনের

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

এবারের ঈদুল আজহায় ১৩ দিনে সারা দেশে ২৩৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত আরও ৩০১ জন।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন। গত ১১ জুন থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত সংগঠিত দুর্ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, ঈদ পূর্ববর্তী ১১ জুন থেকে ১৬ জুন পর্যন্ত ৬ দিনে সারা দেশে ১১২টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১০৯ জন নিহত ও ১২৩ জন আহত হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৯টি দুর্ঘটনায় প্রায় ১৮ জন নিহত ও প্রায় ২১ জন আহত হয়। আর ঈদ পরবর্তী ১৮ জুন থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত ৭ দিনে সারা দেশে ১২১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১২৩ জন নিহত ও ১৭৪জন আহত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, ঈদ যাত্রাকে কেন্দ্র করে গত ১৩ জুন থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত বিআরটিএর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ ৬৪টি জেলার জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটদের সমন্বয়ে সারা দেশে মোট ৩ হাজার ৭৩৯টি মামলায় ৮৫ লাখ ৪১ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং ৫৭টি গাড়ি ডাম্পিং স্টেশনে পাঠানো হয়।

ব্যাটারিচালিত রিকশা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মানবিক বিবেচনায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানোর সুযোগ করে দিয়েছেন। তবে আগে যেমন প্রধান সড়কে রিকশা চলত না, এখনো তেমন চলবে না।

সড়ক দুর্ঘটনা মৃত্যুর তুলনায় আহতের সংখ্যা কেন কম হয়- এমন প্রশ্নের জবাবে বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, আসলে বড় যানবাহনের সঙ্গে ছোট যানের দুর্ঘটনার সংখ্যা বেশি। এসব দুর্ঘটনায় আহতের সংখ্যা কম থাকে। ছোট যানবাহনের যাত্রীরা ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রেই মারা যান। একটা সিএনজি বা ইজিবাইকের দুর্ঘটনা হলে ৫-৭ জনের মৃত্যু হয়। আহত থাকে না বললেই চলে।


আরও খবর



তিস্তা প্রকল্প নিয়ে দু’দেশই প্রস্তাব দিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তিস্তা প্রকল্প নিয়ে চীন-ভারত দুদেশই প্রস্তাব দিয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিস্তার পানি বণ্টন নয়; মহাপরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে ভারতের সঙ্গে। তবে যাদের প্রস্তাব লাভজনক হবে, সেই প্রস্তাবই গ্রহণ করবে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) গণভবনে ভারতে দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের পর সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এ সব কথা বলেন তিনি।

তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়, সকলের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেই আমরা এগিয়ে যাব। বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকায় তারা যেসব সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে, সেটা দেশকে উন্নয়ন করার। আমার কাছে সেটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে যে, আমার দেশের মানুষের কল্যাণে বিশেষ করে দেশের উন্নয়নে যার সঙ্গে যতটুকু সম্পর্ক রাখা দরকার, সেটা করে যাচ্ছি। ভারত আমাদের চরম দুঃসময়ের বন্ধু, তারা রক্ত দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করে স্বাধীনতা এনে দিয়েছে; কাজেই তাদের গুরুত্বটা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। আবার চীন যেভাবে নিজেকে উন্নত করেছে, সেখান থেকে আমাদের শেখার আছে। সব কিছু ভেবেই আমরা সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। প্রস্তাব তো অনেক আসে, তবে যেখান থেকে যে প্রস্তাবই আসুক না কেন, সেই প্রস্তাবটা আমার দেশের জন্য কতটুকু প্রযোজ্য হবে এবং কল্যাণকর হবে সেটা ভেবেই গ্রহণ করা হবে।

বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে ভারতের রেলপথ ব্যবহারের সমালোচনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এটা নিয়ে কেন সমালোচনা হচ্ছে আমি বুঝতে পারছি না। ইউরোপে তো এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের কোনো বর্ডার নেই, তারা কী বিক্রি হয়ে গেছে? এতে বরং তাদের যোগাযোগ সুবিধা বেড়েছে। ব্যবসা-বাণিজ্য বেড়েছে। আমাদেরও বাড়বে। রেলপথ ব্যবহারের ফলে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ হচ্ছে। ওইসব এলাকার মানুষের জন্য যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হচ্ছে। ইউরোপে তো বর্ডারই নেই, তারা কী তাহলে বিক্রি করে দিচ্ছে? প্রত্যেকটা দেশই তো স্বাধীন দেশ, তারা তো বিক্রি হয়নি। তাহলে সাউথ এশিয়ায় কেন এটা বাঁধা হয়ে থাকবে এমন পাল্টা প্রশ্ন রাখেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা বলে দেশে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে, তারা বলুক বিক্রিটা কিসের মাপে হচ্ছে? মাপটা কিসের মাধ্যমে হয়, বাংলাদেশে স্বাধীন দেশ, আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছি। সারা বিশ্বে একটিমাত্র মিত্র শক্তি ভারত। যারা আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধ করে স্বাধীন করে দিয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই কোন দেশ যুদ্ধে সহযোগিতা করতে এলে, তারা সেখানেই থেকে যায়। বিজয়ী হওয়ার পরও তারা দেশ ছাড়ে না। এরকম অসংখ্য নজির আমরা দেখেছি। অথচ ভারত আমাদের মিত্র হিসেবে যুদ্ধ করেছে এবং জাতির পিতার আহ্বানে আবার তারা ফিরেও গেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীন দেশ করেছি। তাহলে বাংলাদেশ কীভাবে বিক্রি হয়? আমি বলবো যারাই বলছে দেশ বিক্রি হয়ে যাচ্ছে, তারাই বরং দেশকে বিক্রি করতে চেয়েছে। আমি দেখেছি, যখন মিলিটারি শাসন এসেছে জিয়া, এরশাদ এবং খালেদা জিয়া তারা উপরে উপরে ভারত বিরোধী কথা বলেছেন। আর সেখানে গিয়ে পা ধরে বসে থেকেছেন। এগুলো আমার নিজের দেখা ও জানা। কাজেই এ ধরনের কথা বলার কোনো অর্থ হয় না। আমাদের দেশ স্বাধীন সার্বভৌম দেশ, যতই ছোট হোক, এটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। সেই সার্বভৌম রক্ষা এবং সক্রিয়তা বজায় রেখেই এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ধরে রেখেই কাজ করছি। এখন যারা দেশ বিক্রির কথা বলে, তারাই মুক্তিযদ্ধের সময় পাকিস্তানের দালালি করেছে।’

তিনি আরও বলেন, এ যে যোগাযোগ ব্যবস্থা খুলে দেয়া হলো, সব থেকে লাভবান তো আমার দেশের মানুষ। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নত হবে, ব্যবসার ক্ষেত্রটাও উন্মুক্ত হবে। দেশ বিক্রি আমরা করি না, যারা কথা বলে তারা বিক্রি করা জন্য অথবা ইউজ মি মানে ব্যবহার করুন আমাকে, এ নিয়ে বসেই থাকে; এটা হলো ব্যস্তবতা। শেখ হাসিনা এই দেশকে বিক্রি করে না। কারণ এই স্বাধীন করেছে আওয়ামী লীগ।’

একটা সময় ছিল নোম্যান্স ল্যান্ড যা আমরা ইউরোপ সফরে দেখেছি। এক জায়গাতে গাড়ি গিয়ে থামত। গাড়ি থেকে নেমে সেখানে থেকে আবার পাঁয়ে হেঁটে গিয়ে কাস্টমস চেক করিয়ে আবার পাঁয়ে হেঁটে গিয়ে গাড়িতে উঠতে হতো। এখন কিন্তু সেসব কিছুই নেই। এখন সব উঠে গেছে। কিন্তু প্রতিটি দেশ স্বাধীন দেশ। কোথাও কেউ কাউকে তো বিক্রি করে নাই। আমাদের দেশের মানুষের কথা চিন্তা করতে হবে। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাটাই আমাদের প্রধান কাজ বলেন শেখ হাসিনা।


আরও খবর



বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে জাবি শিক্ষার্থীসহ নিহত ৩

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রংপুর প্রতিনিধি

Image

রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন পাঁচজন।

শনিবার (৮ জুন) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার খলেয়া গঞ্জিপুর চেয়ারম্যান মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- জাবির ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞানবিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষ ও বেগম রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মোছা. আজমুদা আক্তার (রুমু)। তিনি উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের ভেরভেরী গ্রামের বাসিন্দা।

অন্য দুজন হলেন- কিশোরগঞ্জ উপজেলার ইউএনও কার্যালয়ের আনসার সদস্য ও তারাগঞ্জ উপজেলার বসুনিয়া হাজীপাড়া গ্রামের মেহেরুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ সরকারি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ও গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের গণেশের বাজার এলাকার দিবা রানী সরকার। তারা সবাই অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন।

গঙ্গাচড়া মডেল থানার ওসি মাসুমুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, নীলফামারীর জলঢাকা থেকে রংপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা একটি বাস এবং রংপুরের পাগলাপীর থেকে কিশোরগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা একটি অটোরিকশা খলেয়া গঞ্জিপুরের চেয়ারম্যান মোড় এলাকায় আসলে দুটির মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশায় থাকা মেহেরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে নিহত হন। এ সময় বাসের হেলপারসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হলে তাদের রংপুর মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে পাঠায় স্থানীয়রা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই দিবা রানী সরকার ও রিমু আক্তারের মৃত্যু হয়।

ওসি মাসুমুর রহমান বলেন, বাস ও অটোরিকশার সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে একজনের মৃত্যু হয়। আমরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আহতদের উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাই। হাসপাতালে পাঠানোর পথে আরও দুজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরও খবর