আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

আজ বিশ্ব আনফ্রেন্ড দিবস

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সোশ্যাল মিডিয়ায় যাদের চাইলেও এতদিন আনফ্রেন্ড করতে পারছিলেন না, আজ করে দিন। কেননা এসব বিরক্তিকর এবং অপছন্দের মানুষকে ছাঁটাই করার দিন আজ। আজ যে (শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর) আনফ্রেন্ড দিবস।

বর্তমান সময়ে এসে সব বয়সী মানুষই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন। আর এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে পরিচিতদের পাশাপাশি অপরিচিতদের সঙ্গেও বন্ধুত্ব করা যায় সহজেই। আর এখানে আপনার যাকে ভালো লাগে না, কিংবা কেউ আপনাকে বিরক্ত করেন, এমন ব্যক্তিকে চাইলেই সরিয়ে দিতে পারেন নিজের প্রোফাইল থেকে।

আনফ্রেন্ড শব্দটির সঙ্গে আমরা পরিচিত হয়েছি সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মের মাধ্যমে। তবে ফ্রেন্ড বা বন্ধু শব্দটি অনেক আগে থেকেই আমাদের খুব পরিচিত। জানেন কি? ভাইরাল বা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট শব্দগুলোর মতো আনফ্রেন্ড শব্দটির প্রচলন শুরু হয় এই সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকেই।

অক্সফোর্ড ডিকশনারির ২০০৯ সালের সেরা শব্দ ছিল আনফ্রেন্ড। যার সংজ্ঞা হলো: ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া সাইটে কাউকে বন্ধু তালিকা থেকে বাদ দেয়া।

আনফ্রেন্ড দিবস বিশ্বের অনেক দেশেই পালন করা হয় বেশ আনন্দের সঙ্গে। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় এ দিবসটি নিয়ে নানান স্ট্যাটাস এবং লেখালেখি চোখে পড়ে।

২০১৪ সালে কৌতুক অভিনেতা জিমি কিমেল আনফ্রেন্ড ডে বা বন্ধু ছাঁটাই করার দিন প্রতিষ্ঠা করেন। দিনটি প্রচলনের উদ্দেশ্য ছিল: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপরিচিত ও বিরক্তিকর ব্যক্তিকে বন্ধু তালিকা থেকে বাদ দেয়া। যাদের সারা বছর সহ্য করেছেন বা আজ কাল করে করে বন্ধু তালিকা থেকে বাদ দিতে পারছেন না, আজ করে দিন।

আনফ্রেন্ড দিবস উদযাপন করতে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলের বন্ধু তালিকা স্ক্রল করুন। দেখবেন অনেকেই আছেন যাদের সঙ্গে কখনো কথা কিংবা যোগাযোগ হয়নি। আর ওই মানুষটির সঙ্গে কোনও কথা হবেও না - এসব অপ্রয়োজনীয় প্রোফাইলকে আপনার প্রোফাইল থেকে আনফ্রেন্ড করতে পারেন।

আবার অনেকেই আছেন বন্ধু তালিকায় তবে ওই ব্যক্তির প্রোফাইল দেখে তখন ভালো মনে হলেও দিন দিন তাকে বিরক্ত লাগছে। তার পোস্টগুলোও ভালো লাগছে না। অথবা আপনাকে টেক্সট দিয়ে বিরক্ত করছে, তাদের সবাইকে আনফ্রেন্ড করে দিন।

নিউজ ট্যাগ: আনফ্রেন্ড দিবস

আরও খবর
ব্যাটারি চেক করার দিবস আজ

রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪




হাইব্রিডে বিপ্লব এনেছে হীরা ধান

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ মোছাদ্দেক হাওলাদার, বরিশাল প্রতিনিধি

Image

চলতি বোরো মৌসুমে কৃষকদের মাঝে হাইব্রিডে বিপ্লব এনেছে বাংলাদেশের সবচেয়ে মোটা জাতের হীরা-৬ ধান। অন্যান্য জাতের ধানের তুলনায় চাষীরা রোগ ও পোকার আক্রমন বিহীন হীরা-৬ জাতের হাইব্রিড ধান চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে গৌরনদী উপজেলার পিঙ্গলাকাঠী মিশন পাড়ার অনুষ্ঠিত হীরা ধানের মেগা মাঠ দিবসের আলোচনা সভায় স্থানীয় কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।

সুপ্রীম সীড কোম্পানীর আয়োজনে হীরা ধানের মেগা মাঠ দিবসে স্থানীয় কৃষক আব্দুল আজিজ মৃধার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কোম্পানীর জোনাল ম্যানেজার কৃষিবিদ মশিউর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অনিতা মজুমদার। কোম্পানীর রিজিওনাল ম্যানেজার কৃষিবিদ আসাদুল আলমের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় পরিবেশক দুলাল রায়, কৃষক শওকত আকন প্রমুখ।

কৃষক শওকত আকন জানিয়েছেন, তিনি তার ৬০ শতক জমিতে হীরা-৬ জাতের বোরো ধান চাষ করে এবার বাম্পার ফলন পেয়েছেন। আগামীতেও তিনি এ জাতের ধান চাষ করবেন।

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে যেসব হাইব্রিড ধান চাষ হয় হীরা-৬ ধান তার মধ্যে অন্যতম। উচ্চ ফলনশীল হওয়ার কারণে এই ধান তাদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করছে।

মাঠ দিবসের আলোচনার শুরুতে অতিথিরা কৃষকদের সাথে নিয়ে হীরা-৬ ধানসহ অন্যান্য জাতের চাষ করা কয়েকটি বোরো ক্ষেত পরিদর্শন করে ধানের চারা সংগ্রহ করেন। পরবর্তীতে গণনা করে হীরা-৬ ধানের প্রতিটি শীষে গড়ে ৩০৬ থেকে ৩১০টি ধান পাওয়া গেছে। অন্যান্য জাতের ধানে সর্বোচ্চ ২০০টি ধান পাওয়া যায়।

এরপর অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিবিদ মশিউর রহমান বলেন, হীরা-৬ বাংলাদেশের সবচেয়ে মোটা হাইব্রিড ধান। এই জাতের ধানে অন্য যেকোন হাইব্রিড ধানের তুলনায় বেশি ফলন হয়। রোগ ও পোকার আক্রমন বিহীন ১৪৫ দিনের জীবন কাল হীরা-৬ ধানের জাতে প্রতি শতকে এক মনের অধিক ধান পাচ্ছেন কৃষক। পাশাপাশি এ ধানের খোসা অত্যন্ত পাতলা হওয়ায় প্রতি ১০০ মন ধানে ৭৩ মনের অধিক চাল পাওয়া যায়। এছাড়াও এ ধানের চাউলের ভাত অন্যান্য জাতের মতো আঠালো হয়না।

সভায় উপস্থিত প্রায় দুই শতাধিক কৃষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বোরো চাষের শুরুতে আগে ভাবতে হবে কোন ধানের বীজ বপন করে ভাল ফলন পাওয়া যাবে। কারণ এটা শুধু বীজ নয়; একটি পরিবারের স্বপ্ন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে যে কয়টি কোম্পানি হাইব্রিড ধানের আমদানির অনুমতি পেয়েছে তাদের মধ্যে একটি সুপ্রীম সিড। কোম্পানিটি বাংলাদেশে প্রথম চীন থেকে বাংলাদেশে হীরা ধানের বীজ এনে বাজারজাত করেন। এরপর তারা নিজস্ব উৎপাদনে যায়। বর্তমানে ৯০ শতাংশ বীজ নিজেরাই উৎপাদন করে বাজারজাত করছেন।

সূত্রে আরও জানা গেছে, হাইব্রিড ধান সাধারণত ৭০-৭৫ শতাংশ পাকলেই কাটতে হয়। কারণ ধান বেশি পাকার ফলে ক্ষেতেই ঝড়ে যায়। তখন হাইব্রিড ধানের বিষয়ে নেতিবাচক প্রচারণা হয়। যে কারণে কৃষকদের সচেতনতার জন্যই মূলত হীরা-৬ ধানের মেগা মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়েছে।


আরও খবর



প্রথম সিনেমা ফ্লপ, যা বললেন মন্দিরা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

নাটকের অভিনেত্রী মন্দিরা চক্রবর্তী। প্রথমবার সিনেমায় অভিনয় করেছেন প্রায় তিন বছর আগে। নাম কাজলরেখা। ময়মনসিংহ গীতিকা অবলম্বনে তৈরি এ সিনেমায় নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন মন্দিরা। গিয়াউদ্দিন সেলিম পরিচালিত এ সিনেমাটি ঈদে মুক্তি পেয়েছে।

কিন্তু মুক্তির পর আশানুরূপ সাফল্য পায়নি। ঈদসিনেমার ভিড়ে যে কটি প্রেক্ষাগৃহ ভাগে পেয়েছে, সেখানে দর্শকদের যেতে যেন খুব কষ্ট! মোট কথা, ঈদে কাজলরেখা ফ্লপ। কিন্তু যে কজনই সিনেমাটি দেখেছেন, তারা মন্দিরার অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন। নিজের অভিনীত প্রথম সিনেমা নিয়ে অভিনেত্রীও বেশ সন্তুষ্ট।

তিনি বলেন, জীবনের প্রথম সিনেমায়ই নামভূমিকায় অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছি। এটা আমার জন্য অনেক বড় একটি বিষয় ছিল। সেলিম ভাইয়ের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমার প্রত্যাশা ছিল, সিনেমাটি দর্শকের কাছে ভালো লাগবে। বিশেষত আমার চরিত্রটি। দর্শক আমার অভিনয়ে মুগ্ধ হয়েছেন, এটাই আমার প্রাপ্তি। আমি যে অনেক শ্রম দিয়েছি, কষ্ট করেছি-দর্শকের কাছ থেকে তার বিপরীতে যে ভালোবাসা, যে সম্মান আমি পেয়েছি, তাতে সত্যিই মুগ্ধ।

সেরা নাচিয়ে খ্যাত মডেল, অভিনেত্রী মন্দিরা চক্রবর্তী ২০১২ সাল থেকে মিডিয়াতে কাজ করছেন। ওয়াহিদ আনামের নির্দেশনায় প্রতিযোগিতা নাটকে তিনি প্রথম অভিনয় করেন। এরপর বিভিন্ন পরিচালকের নির্দেশনায় তিনি মোশাররফ করিম, তাহসান, আফরান নিশোর বিপরীতেও অভিনয় করেছেন।


আরও খবর



চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুতে লাইটার জাহাজের ধাক্কা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

তীব্র বাতাস আর জোয়ারে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চট্টগ্রামে কালুরঘাট সেতুতে জাহাজের ধাক্কার লাগার ঘটনা ঘটেছে। এমভি সামুদা-১ নামে ঐ লাইটার জাহাজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটায় বলে জানায় চট্টগ্রাম নৌ থানা পুলিশ।

খবর পেয়ে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে এবং নৌ পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

চট্টগ্রাম নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম উল্লাহ বলেন, কর্ণফুলী নদীর তীরে অবস্থিত একটি ডক ইয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল জাহাজ এমভি সামুদা-১। নদীর মধ্যে বাঁক ঘুরানোর সময় তীব্র বাতাস আর জোয়ারের কারণে এটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং বাতাসের তোড়ে ভাসতে ভাসতে কালুরঘাট সেতুতে এসে ধাক্কা খায়।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সেতু প্রকৌশলী জিসান দত্ত বলেন, আমরা সেতুটি পরিদর্শন করে দেখছি। কী ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।

জানা গেছে, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর ১৯৩০ সালে নির্মাণ করা হয় কালুরঘাট রেলওয়ে সেতু। পরে ১৯৬২ সালে ওই সেতুর উপর দিয়েই সড়ক পথের যান চলাচল শুরু হয়। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার রেললাইন চালুর আগে সেতুটিতে সংস্কার কাজ শুরু হয়। এখনো সংস্কার কাজ চলছে। বর্তমানে কম গতিতে ট্রেন চলাচল করলেও সেতু দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সালে এই সেতুটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। পরে ২০১১ সালে সেতুটিকে চুয়েটের একদল গবেষক আরও একবার ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে।


আরও খবর



চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণ

সিংড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি-সম্পাদককে অব্যাহতি

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নাটোরের সিংড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. হাসান ইমাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. মোহন আলীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ ডলার ও সাধারণ সম্পাদক মো. শফিউল আযম স্বপন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

একই বিজ্ঞপ্তিতে বিএমএম ওয়াহিদুজ্জামান পিন্টুকে সিংড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সোহেল রানা মুন্নুকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য, সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিমন্ত্রীর শ্যালক রুবেল এবং দেলোয়ার হোসেন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। গত ১৫ এপ্রিল নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের ভেতর থেকে পলকের শ্যালক রুবেলের নির্দেশে দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ ও নির্যাতন করা হয়।

এ ঘটনায় পুলিশের তদন্তে অব্যাহতি পাওয়া এ ২ সেচ্ছাসেবক লীগ নেতার সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ। এ ঘটনায় দেশব্যাপী সমালোচনা শুরু হলে পলকের নির্দেশে তার শ্যালক মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। ফলে নির্যাতিত দেলোয়ারকে মঙ্গলবার বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচনি কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ।


আরও খবর



লোকচক্ষুর আড়ালে আন্তদেশীয় তৎপরতায় কুকি চিন

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ। মাত্র দুই বছর আগে আত্মপ্রকাশ করা সশস্ত্র এই গোষ্ঠীটি কায়েম করেছে ত্রাসের রাজত্ব। দেশের পার্বত্য অঞ্চলে হঠাৎ মাথাচাড়া দেয়া এই পাহাড়ি সংগঠন এখন যেন এক ত্রাসের নাম।নিজেদের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে নিয়মিতই আপলোড করে থাকে চোরাগোপ্তা হামলার ছবি-ভিডিও।

শুধু বাংলাদেশের পাহাড়ই নয়; কুকি জনগোষ্ঠীর সশস্ত্র হামলায় বিপর্যস্ত ভারতের মণিপুর রাজ্য। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা ছাড়াও তারা জড়িয়ে পড়েছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায়। মিয়ানমারের চিন প্রদেশেও সশস্ত্র তৎপরতা চালিয়ে আসছে, স্থানীয় কুকি-চিন জনগোষ্ঠী।

দুর্গম সীমান্ত আর তিন দেশের জটিল একটি ভৌগলিক সীমায় অবস্থানের সুযোগে, এক দেশে অভিযানের মুখে পড়লে সহজেই আশ্রয় নিচ্ছে অন্য দেশে। যাতে আঞ্চলিক ঝুঁকির মুখে পড়ছে গোটা অঞ্চল। বিশ্লেষকদের আশংকা অদূর ভবিষ্যতে আন্ত:দেশীয় সংগঠনে পরিণত হতে পারে, কেএনএফ। দেশে দেশে খুলতে পারে সশস্ত্র শাখা।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর অব. এমদাদুল ইসলাম এ বিষয়ে বলেন, ত্রিদেশীয় একটি সম্মেলন এখানে আছে। চীনের একটি স্টেটের অংশ এসে মিশছে ওইদিকের মিজোরাম এবং বান্দরবান দিয়ে। ওখানে নোম্যানস ল্যান্ডের মত একটি এলাকা আছে, যেখানে তারা চাইলেই যোগাযোগ করতে পারে। এটা যদি এখন থেকেই দমন করা না হয় তবে আমাদের সার্বিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে।

কেএনএফের পেছনে কোনো আন্তর্জাতিক মদদ রয়েছে কি না, প্রশ্ন উঠছে সে বিষয়টি নিয়েও। ভারত, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে বসবাসরত কুকি-চিনরা খ্রিস্ট ধর্ম মেনে চলায়; এ সব অঞ্চল নিয়ে আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো কোন দাবার চাল চালছে কি না তা খতিয়ে দেখার পরামর্শ বিশ্লেষকদের। এজন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কার্যক্রম নজরদারিতে রাখার কথাও বলছেন তারা।

এমদাদুল ইসলাম বলেন, পাহাড়ে বেশ কিছু এনজিও যারা সবসময় এদেরকে মদদ দেয়, উৎসাহ দেয়। এ বিষয়গুলো নজরদারিতে রাখা অবশ্য উচিত।

কেএনএফের তৎপরতা রুখতে সীমান্তে গোয়েন্দা নজরদারি ও তথ্য বিনিময় বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন, এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক।

নিউজ ট্যাগ: কুকি চিন

আরও খবর