জাতিসংঘ ঘোষিত
বিশ্ব প্রবীণ দিবস আজ। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও রোববার (১ অক্টোবর) পালিত হচ্ছে
দিবসটি। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হলো ‘সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণায় প্রবীণদের জন্যে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি পূরণে
প্রজন্মের ভূমিকা।’
প্রতিবারের মতো এ বছরও রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক), ফোরাম ফর দ্য রাইটস অব দ্য এল্ডারলি, বাংলাদেশ (এফআরইবি) এবং ঢাকা মহানগর প্রবীণ উন্নয়ন ফোরাম যৌথভাবে দিবসটি উদযাপন করবে।
বিশ্বের প্রবীণ
জনগোষ্ঠীর চেতনাকে জাগ্রত করতে ১৯৯১ সাল থেকে প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রবীণ দিবস
পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন পৃথক রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রবীণদের কল্যাণে উন্নত ও আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। প্রবীণ নাগরিকরা যাতে ডিজিটাল প্রযুক্তির সব সুযোগ-সুবিধা ও প্রযুক্তিগত সাম্যতা অর্জন করতে পারেন, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
আরও পড়ুন>> আবারও নতুন অতিথি আসছে বিরাট-আনুশকার ঘরে!
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার প্রবীণ নাগরিকদের প্রতি অত্যন্ত সংবেদন ও শ্রদ্ধাশীল।
তাদের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা সুরক্ষার জন্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেও
এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, তাদের পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী
বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আজকের প্রবীণ নাগরিকরাই স্বাধীনতা
সংগ্রামে লাল-সবুজের পতাকা অর্জন করেন। বঙ্গবন্ধু প্রবীণ নাগরিকদের প্রতি ছিলেন অত্যন্ত
সংবেদনশীল। প্রবীণ নাগরিকদের সামাজিক নিরাপত্তা বিধানের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের
সংবিধানের ১৫(ঘ) অনুচ্ছেদে অসহায় প্রবীণদের জন্য সাংবিধানিক অঙ্গীকার তিনি সন্নিবেশিত
করেন।