আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

আজ প্রকৃতিতে কান পাতার দিন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৮ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৮ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাদলা দিনে মনে পড়ে ছেলেবেলার গান

বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এলো বান

ছেলেবেলাটা মধুর ছিল, এ স্বীকার করতেই হবে। বিশেষ করে বৃষ্টির দিনগুলো। আকাশ কাঁপিয়ে মেঘের গা হিম করা গর্জন, টুপটাপ বৃষ্টির পতন, সে বৃষ্টি মাড়িয়ে হেঁটে যাওয়া, এ অনুভূতিগুলো মায়ের মাড় দেওয়া শাড়িগুলোর মতোই যত্ন করে স্মৃতির আলমিরাতে তোলা আছে। মাঝেসাঝে কপাট খুলে একটু উঁকি দিলেই মন ভালো হয়ে যায়। আহা সেই বৃষ্টি! আহা সেই শব্দ!

একটা কথা বলতেই হবে, আমাদের শৈশবে প্রকৃতির সাথে একটা কেমন যেন সম্পর্ক ছিল। আমরা ফুলের সাথে খেলতাম, গাছের সাথে কথা বলতাম, গাছ থেকে টুপ করে যে পাতাটা মাটিতে পড়তো তাকে মায়া করতাম। হয়তো ধরেই নিয়েছিলাম প্রকৃতি আমাদের শোনে।

বড়ো হওয়া অনেককে আজকাল একটু আধটু আফসোসের পাতাটা উল্টাতে দেখা যায়। কেউ আবার আফসোসের ধারেকাছ দিয়েও যান না, তবে ফাঁক পেলেই দৌঁড়ে যান প্রকৃতির কাছে। একা একা উপভোগ করেন প্রকৃতির নিবিড় ভাষা।

বিশ্বের যে প্রান্তেই আপনার অবস্থান হোক না কেন, কিছু না কিছু শব্দ রোজ আপনার কানে আসে যা প্রকৃতির সাথে সম্পর্কিত। ব্যস্ততার যাতাকলে অনেকেই সে-সব শব্দে কান কিংবা মন কোনটাই হয়তো দিতে পারেন না। কিন্তু দিনের কোন না কোন সময়ে মন একটু টানেই। বিশেষ করে এখনের এই বৃষ্টির মরসুমে।

ওদিকে একদল মানুষ আছেন যারা কেবল প্রকৃতির নানান শব্দ খুঁজে বেড়ান। এমনও হয়, হয়তো মাটিতেই শুয়ে থেকে কাটিয়ে দিচ্ছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। যদি মাটি থেকেও কোন শব্দ আসে; মন্দ নয় তো! আবার এমনও হয়, প্রকৃতির শব্দ খুঁজতে পাড়ি জমিয়েছেন গভীর পানির নিচে। যেখানটায় হয়তো আয়েশ করে ঘুরে বেড়ায় হাঙরেরা।

শব্দের মাধ্যমে মানুষ আর পরিবেশের মধ্যকার সম্পর্ক শেখার বিষয়টিকে বলা হয় অ্যাকোস্টিক ইকোলজি। আর যারা এই সম্পর্ক খুঁজতে শব্দের সন্ধান করেন, তাদের বলা হয় অ্যাকোস্টিক ইকোলজিস্ট। তাদের এ কাজের নাম ফিল্ড রেকর্ডিং। যারা কী না প্রকৃতির শব্দ শোনার বিষয়টিকে নিয়ে গেছেন অন্য মাত্রায়। নানান ধরণের শব্দ শোনার জন্য তারা কিন্তু আসলেই সময় নেয় এবং প্রতিটা শব্দের আলাদা একটা অর্থবোধক মানে দাঁড় করায়। আর এই নানান ধরণের শব্দের খোঁজে তারা ছুটে বেড়ান বিভিন্ন ধরণের পরিবেশে। এই পরিবেশের ব্যাপ্তি আসমান থেকে জমিন এবং পানির তল পর্যন্ত।

নানান ধরণের শব্দে ডুবে আছি আমরা। মেট্রোরেইলের শব্দ, ফ্লাইওভার কিংবা নতুন রাস্তা হওয়ার শব্দ, ট্রাফিক জ্যাম, গাড়ির হর্ন, শিশুর কান্না, মায়ের বকুনি, স্কুলে বাচ্চাদের চেচিয়ে পড়া, কি-বোর্ডে টাইপ করা, সবটাই শব্দ। কিছু শব্দ বিরক্তির, কিছু শব্দ প্রশান্তির। কেমন হয় যদি এই শব্দের মাধ্যমে চারপাশের জগতকে বোঝার একটুখানি চেষ্টা করা হয়?

কিছু সময়ের জন্য সময়কে নিজের মতো চলতে দিন। আপনি থেমে যান। মোবাইল, কর্পোরেট জীবনের একঘেয়েমিকে রাস্তায় ফেলে একটু আলাদা হন। কিছুক্ষণের জন্য একটু নির্জনে যান। দীর্ঘ পথে একা হাঁটার অনুভূতি কিন্তু অনবদ্য। কোলাহল নয়, কিছু পুরোনো শব্দ নতুন করে শোনার সৌভাগ্য ভেবে নিন। চোখ বন্ধ করুন আর কান পাতুন। কোন কথা না বলে কিছু শোনার চেষ্টা করুন। ঝরে যাওয়া পাতার শব্দ, পাখির ডাক, পাতার ঘর্ষণ, বাতাসের শব্দ, একটা কাঠবিড়ালি দৌড়ে যাওয়ার শব্দ। বৃষ্টির শব্দ। শুনুন। শোনার চেষ্টা করুন। প্রকৃতিকে শোনার জন্য এর চেয়ে ভালো দিন কিংবা রাত আপনি পেতেও পারেন, না-ও পারেন। কিন্তু যে মূহুর্তেই আপনি প্রকৃতির খুব কাছে অবস্থান করবেন, চেষ্টা করুন প্রকৃতির শব্দ শোনার। শুনতে পাচ্ছেন কিছু? প্রকৃতির এই শব্দের দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগত। মন ভরে আজ একটু এই ডাকে সাড়া দিন। অন্য সব শব্দকে আজ না হয় 'না' করে দিন। একটু সময় নিয়ে আজ সে সব শব্দে কান পাতুন যে-সব শব্দ কখনই মন দিয়ে শোনা হয়নি। একে অপরকে বোঝার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যমটিই যেখানে শোনা, সেখানে আমরা কানে ইয়ারফোন গুজে ডুবে থাকি কৃত্রিম শব্দের ভাণ্ডারে।

বিশ্বের কোথাও না কোথাও প্রতিনিয়তই কোন না কোন শব্দ হচ্ছে। মাঝরাতে হঠাৎ ভাঙা ঘুমটাও হয়তো এ কারণেই কিছু একটার খোঁজ করে। এ খোঁজ একটা নির্দিষ্ট শব্দ শোনার। কোন চামচ পড়ে যাওয়া কিংবা কাঁচের বাটি ভাঙার শব্দ নয়, আবার কোন ভূতের চিৎকারও নয়। একটু অন্যরকম কোন শব্দ। যে শব্দ শুনে মস্তিষ্ক জট পাকিয়ে আবার ঘুম নামাবে দু'চোখের পাতায়।

শোনা, শ্রবণ, শব্দ- এ নিয়ে এত কথার কারণ আজ ১৮ই জুলাই। World Listening Day (ওয়ার্ল্ড লিসেনিং ডে) অর্থাৎ বিশ্ব শ্রবণ দিবস। এই শ্রবণের উদ্দেশ্য কথা কিংবা শব্দ দূষণ নয়, এ শ্রবণের উদ্দেশ্য প্রকৃতিকে শোনা। তাই দিনটিকে যদি বলি- আজ প্রকৃতিতে কান পাতার দিন, সেটাও ভুল হয় না।

বিশ্ব শ্রবণ দিবসটি প্রথম পালিত হওয়া শুরু করেছিল ২০১০ সালে। এরপর থেকে প্রতিবছরই পালিত হয়ে আসছে দিনটি।

১৮ই জুলাই কেন এই দিবস সে প্রসঙ্গে বলা যায়, কানাডিয়ান সুরকার এবং অ্যাকোস্টিক ইকোলজি আন্দোলনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা আর. মারে শ্যাফারের জন্মদিন আজকের দিনটিতে।

আমরা শুনতে চাই তবে তা শব্দ দূষণ না। তাই অবসান হওয়া দরকার শব্দ দূষণের। একই সাথে দরকার মানুষের সাথে পরিবেশের সম্পর্কে সামঞ্জস্য। আমরা চাই, আমাদের কানে শব্দ আসুক, যে শব্দ প্রশান্তি দেবে। কপাল কুঁচকে রাখার মতো বিরক্তিকর শব্দ তো রোজই শুনি।

যে মূহুর্তে কোন প্রাণির শব্দ আর কানে আসবে না, কোন পাতার ঘর্ষণ বা প্রকৃতির শব্দ ধীরে ধীরে শ্রবণের বাইরে চলে যাবে, সেদিন থেকেই হয়তো বিরাট কিছু হারানোর দলে নাম লিখাতে থাকবো আমরা।


আরও খবর



বাংলাদেশের জলসীমায় এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জলদস্যুর কবল থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ বাংলাদেশের জলসীমায় পৌঁছেছে। সোমবার (১৩ মে) বিকেলে কুতুবদিয়া পৌঁছাবে জাহাজটি। সেখানে কিছু চুনাপাথর খালাস করা হবে। এর দুদিন পর (১৫ মে) জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছাবে। সেখানে বাকি মালামাল খালাস করা হবে।

শনিবার (১১ মে) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম। তিনি বলেন, ৫৬ হাজার টন চুনাপাথর বোঝাই করে গত ২৯ এপ্রিল জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর ত্যাগ করে। গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) এটি বঙ্গোপসাগরের জলসীমায় পৌঁছে।

কার্গো নিয়ে আফ্রিকার মোজাম্বিকের মাপুতো বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ দুপুরে এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। অস্ত্রের মুখে দস্যুরা সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখে। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিম্মিকালীন মালিকপক্ষের তৎপরতায় সমঝোতা হয় জলদস্যুদের সঙ্গে।

১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ৩টা ৮ মিনিটের দিকে এমভি আবদুল্লাহ থেকে দস্যুরা নেমে যায়। এর আগে একই দিন বিকেলে দস্যুরা তাদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বুঝে নেন। একটি বিশেষ উড়োজাহাজে মুক্তিপণ বাবদ ৩ ব্যাগ ডলার এমভি আবদুল্লাহর পাশে সাগরে ছুড়ে ফেলা হয়। স্পিড বোট দিয়ে দস্যুরা ব্যাগ ৩টি কুড়িয়ে নেন। দস্যুমুক্ত হয়ে ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে সোমালিয়ার উপকূল থেকে আরব আমিরাতের পথে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ।

২১ এপ্রিল এমভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হামরিয়াহ পৌঁছে। সেখানে কার্গো খালাস করে জাহাজটি একই দেশের মিনা সাকার থেকে কার্গো লোড করে দেশের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

কবির গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন এমভি আবদুল্লাহ আগে গোল্ডেন হক নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তৈরি বাল্ক কেরিয়ারটির দৈর্ঘ্য ১৮৯ দশমিক ৯৩ মিটার এবং প্রস্থ ৩২ দশমিক ২৬ মিটার। গত বছর জাহাজটি এসআর শিপিং কিনে নেয়। বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক রুটে চলাচলকারী এরকম মোট ২৩টি জাহাজ আছে কবির গ্রুপের বহরে।

২০১০ সালের ডিসেম্বরে আরব সাগরে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশি জাহাজ জাহান মণি। ওই সময় জাহাজের ২৫ নাবিক এবং প্রধান প্রকৌশলীর স্ত্রীকে জিম্মি করা হয়। নানাভাবে চেষ্টার পর ১০০ দিনের চেষ্টায় জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান তারা।


আরও খবর



এমবাপ্পে নিজেই পিএসজি ছাড়ার কথা জানালেন

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

চলতি মৌসুম শেষে কিলিয়ান এমবাপ্পের পিএসজি ছাড়ার বিষয়টি গুঞ্জন উঠেছিল অনেক আগেই। বাকি ছিল শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার। এবার সেটাও সেরে ফেললেন ফরাসি এ তারকা ফুটবলার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে নিজেই জানিয়ে দিলেন সিদ্ধান্তের কথা।

শুক্রবার (১০ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা এক ভিডিওতে এমবাপ্পে নিশ্চিত করেছেন, এটিই ছিল পিএসজির হয়ে তার শেষ মৌসুম। তুলুজের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে পিএসজি ক্যারিয়ারের ইতি টানছেন এই তারকা ফরোয়ার্ড।

ভিডিওতে এমবাপ্পে বলেছেন, আমি আপনাদেরকে জানাতে চাই, পিএসজির হয়ে এটিই ছিল আমার শেষ মৌসুম। আমি আর মেয়াদ বাড়াচ্ছি না, এই যাত্রা আসছে কয়েক সপ্তাহেই শেষ হতে যাচ্ছে। রবিবার পার্ক দে প্রিন্সেসে আমার শেষ ম্যাচ খেলব।

এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে পিএসজির সঙ্গে ৭ বছরের সম্পর্কের ইতি টানলেন এমবাপ্পে। ২০১৭ সালে মোনাকো ছেড়ে ক্লাবটিতে পাড়ি জমিয়েছিলেন তিনি। যোগদানের পর থেকেই পারফর্ম করেছেন নিয়মিত। গোল করা এবং করানোয় নিজের ভান্ডার ক্রমেই সমৃদ্ধ করেছেন এমবাপ্পে। পিএসজির হয়ে সব মিলিয়ে ৩০৬ ম্যাচে ২৫৫ গোল করেছেন এমবাপ্পে। ১০৮টি গোল করিয়েছেনও এই ফরোয়ার্ড। পিএসজির হয়ে ৭ বছর খেলে ৬ বার লিগ আঁ জিতেছেন এমবাপ্পে।

পিএসজি ছেড়ে এমবাপ্পে কোথায় যাচ্ছেন, সে বিষয় নিয়ে কিছু জানাননি তারকা ফরোয়ার্ড। তবে এটা এখন অনেকটাই নিশ্চিত যে রিয়াল মাদ্রিদেই পাড়ি জমাচ্ছেন তিনি। এই ক্ষেত্রেও শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণাই বাকি।


আরও খবর



পাপারাজ্জিদের ওপর চটে গিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য নোরা ফাতেহির

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বিমানবন্দর, রেস্তোরাঁ, ক্যাফে সেলেবরা যেখানেই যাবেন, সেখানেই হাজির হন পাপারাজ্জিরা। অন্যদিকে তারকাদের এক্সক্লুসিব ছবি পাওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকেন ছবি শিকারিরা। সম্প্রতি পাপারাজ্জিদের ওপর চটলেন বলিউডের জনপ্রিয় আইটেম গার্ল নোরা ফাতেহি। এক সাক্ষাৎকারে নোরা জানালেন, মাঝে মধ্যেই ছবি শিকারিরা শরীরের নানা অংশে ক্যামেরা জুম করেন! শুধু তাই নয়, আজব প্রশ্নও নাকি করেন পাপারাজ্জিরা!

নোরা বললেন, মনে হয় আমার মতো নিতম্ব কখনও দেখেনি ওরা। সব সময় এমন হয়। শুধু আমার ক্ষেত্রেই নয়, অন্য অভিনেত্রীদের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে। হয়তো তাদের নিতম্ব নির্দিষ্ট করে ক্যামেরায় দেখানো হয় না, কারণ তাদের নিতম্ব খুব একটা উত্তেজনামূলক নয়। তবে অপ্রয়োজনীয় ভাবে তাদের অন্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ক্যামেরার নজরে আসে। আমার মনে হয়, এটা ক্যামেরায় নির্দিষ্ট করে দেখানোর মতো কিছু নয়। কোন দিকে নজর তাদের?

নোরা ফাতেহি জানান, সামাজিক মাধ্যমে ট্রেন্ড ধরে রাখার জন্য এই সব করা হয়। শরীরের কারণে বার বার শিরোনামে এসেছেন। তবে নিজের শরীর নিয়ে কোনো ছুতমার্গ নেই নোরার। আমার শরীর সুন্দর এবং আমার সম্পদ নিয়ে আমি গর্ববোধ করি। আমি কখনোই আমার শরীর নিয়ে লজ্জিত নই।

ছবি শিকারিদের এই প্রবণতা হয়তো ভুল কিন্তু সেটা আলাদাভাবে আলোচনার বিষয়। আমি এক একজনকে ধরে ধরে ঠিক ভুলের শিক্ষা দিতে পারব না বললেন অভিনেত্রী।

নোরার মতে, বলিউডে তার সফর নিয়ে মানুষ বাহবা দেন। বিশেষত যাদের সঙ্গে তিনি কাজ করেছেন তাদের কাছ থেকে প্রাপ্য সম্মান ও সহযোগিতা পেয়েছেন। কাজ নিয়ে কখনও আপস করেন না অভিনেত্রী।

নিউজ ট্যাগ: নোরা ফাতেহি

আরও খবর



ইন্দোনেশিয়ায় অগ্ন্যুৎপাত: বন্ধ ঘোষণা ৬টিরও বেশি বিমানবন্দর

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি দ্বীপের কাছে রুয়াং আগ্নেয়গিরি থেকে আবারও অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে আগ্নেয়গিরি থেকে লাভা উদ্‌গিরণ ও আশপাশে ছাই ছড়িয়ে পরায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলা হয়।

এদিকে ইন্দোনেশিয়ায় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে ছয়টি’রও বেশি বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

খবর অনুসারে, আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ছাই মালয়েশিয়ার বোর্নিও দ্বীপ পর্যন্ত ছড়িয়ে গেছে। সুনামি আশঙ্কায় কর্তৃপক্ষ হাজার হাজার লোককে অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে।

বুধবার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মাউন্ট রুয়াং থেকে মঙ্গলবার তিন দফা অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে। লাভা ও ছাই আকাশের পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে।

কর্তৃপক্ষ ১২ হাজার স্থানীয়কে অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ জারি করেছে। অগ্ন্যুৎপাতের পর ছাই ও লাভা সমুদ্রে পড়ার কারণে সুনামির আশঙ্কা করা হচ্ছে।


আরও খবর



খোলাবাজারে ডলার ১২৫ টাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ডলারের দাম ১১০ থেকে ১১৭ টাকা বেঁধে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে ক্রলিং পেগ নামের নতুন পদ্ধতিতে ডলার কেনাবেচা হবে। এই পদ্ধতিতে ডলারের রেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১১৭ টাকা। এর সঙ্গে এক টাকা যোগ বা বিয়োগ করতে পারবে ব্যাংকগুলো। সেক্ষেত্রে ডলারের দাম আরও বেড়ে হতে পারে ১১৮ টাকা।

অন্যদিকে ডলারের দাম ব্যাংকে ৭ টাকা বাড়লেও মানি এক্সচেঞ্জলোতে বেড়েছে ৯ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে মানি এক্সচেঞ্জগুলোতে প্রতি ডলার বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা। ডলারের সঙ্গে অন্য মুদ্রায়ও এর প্রভাব পড়েছে কার্ব মার্কেটে (খোলাবাজার)। বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাজধানীর ফকিরাপুল, পল্টন, মতিঝিল এলাকার মানি এক্সচেঞ্জগুলো ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

খোলাবাজারের পাশাপাশি ব্যাংকের এলসি খোলার দামও বেড়েছে। বুধবার (৮ মে) ১১৫ টাকায় এলসি খুলেছিল যেসব ব্যাংক তারাও আজ বৃহস্পতিবার ১১৭ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১৮ টাকা দর নিচ্ছে বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে।

উল্লিখিত এলাকাগুলোতে বুধবার প্রতি ডলার কেনার রেট ছিল ১১৪ টাকা ৫০ পয়সা, বিক্রি হয়েছে ১১৬ টাকায়। বৃহস্পতিবার বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকা। আর কেনার ক্ষেত্রে এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো যে যার মতো করে দর ঠিক করে দিচ্ছে।

এদিন পল্টন এলাকায় মিলন নামে একজনের সঙ্গে কথা হয়। একটি মানি এক্সচেঞ্জের নির্বাহী হিসেবে আছেন তিনি। ক্রেতা সেজে মিলনের কাছে ডলার কিনতে চাইলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত হয়েছে বিকেলে। এখনো সিদ্ধান্তই নিতে পারিনি কত দামে বিক্রি করবো। বিকেলের দিকে ভিসা-পাসপোর্ট নিয়ে আসেন দেখি কী করা যায়।

পরে চলে আসার সময় পেছন থেকে ডাক দেন তিনি। বলেন, মামা যদি কিনতে চান এক দাম লাগবে ১২৫ টাকা। যদি নিতে চান তাহলে ওই চায়ের দোকানে আসেন।

সাইদুল নামে অন্য একজন বলেন, মামা এখন গোয়েন্দা-এনএসআই-ডিজিএফআই আছে। আপনি সত্যিকারের ক্রেতা নাকি গোয়েন্দা বুঝি কেমনে। এখনো বিক্রি শুরু করিনি, অল্প পরিমাণ আছে, সন্ধ্যায় কল দিয়ে আসবেন। দোকানের বাইরে গিয়ে দিয়ে আসবো।

তবে দাম কত নেবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে আসেন, তারপর বাধবে না (দাম নিয়ে)। তবে ১২৫ টাকার নিচে দেওয়া যাবে না।

এদিকে ডলারের সঙ্গে অন্য মুদ্রা বিনিময় দামও বেশি চাওয়া হচ্ছে। বেশিরভাগ মানি একচেঞ্জের কর্মকর্তারা বলেন, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় অন্য মুদ্রার দামও বেড়েছে। বুধবার পর্যন্ত ভারতীয় মুদ্রা এক টাকা ৪০ পয়সা ছিল, আজ (বৃহস্পতিবার) এক টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। অন্য দেশের মুদ্রার দামও বাড়িয়েছেন তারা।


আরও খবর