আজঃ মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

আ.লীগকে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিলে গণভবনের মতো অবস্থার হুঁশিয়ারি সমন্বয়কদের

প্রকাশিত:সোমবার ১২ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১২ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কোটা সংস্কার আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানে কয়েকশ শিক্ষার্থী-জনতাকে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করার মাধ্যমে শেখ হাসিনার বিচারের দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

সোমবার (১২ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে শেখ হাসিনার বিচার ও ক্যাম্পাসে দখলদারিত্বের রাজনীতি বন্ধের দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে সংগঠনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এই দাবি জানান।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, গণমাধ্যমের সাথে আমাদের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, ছিল ও থাকবে। এই অভ্যুত্থানে গণমাধ্যমেরও উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। কিন্তু কিছু গণমাধ্যম হাসিনাকে পুনর্বাসন করতে চায়। ছাত্র-জনতা তা কোনোভাবেই হতে দেবে না। আমাদের মূল দাবি, হাসিনাকে প্রধান আসামি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আপনারা উপদেষ্টা হয়েছেন। তাই আপনারা বক্তব্য দেওয়ার আগে ৫ আগস্টের গণভবনের চিত্র মনে রাখবেন। খুনিদের পুনর্বাসনের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে বলতে চাই, আমরা যেভাবে স্বৈরাচারকে ক্ষমতা থেকে নামিয়েছি, ঠিক একইভাবে স্বৈরাচারের পুনর্বাসনের চেষ্টাকারীদেরও নামাতে সময় লাগবে না।

ক্যাম্পাসে দখলদারিত্বের রাজনীতির বিষয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসী ছাত্রলীগের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম ছিল। সেই দখলদারিত্বের রাজনীতির পুনর্বাসন করতে দেওয়া হবে না। ক্যাম্পাসকে ছাত্ররাজনীতি মুক্ত রাখতে হবে।

আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, আমরা আজকে আপনাদের কিছু বিষয়ে সতর্ক করতে এসেছি। আমরা ৫ আগস্ট দেশ থেকে স্বৈরাচার তাড়ানোর পর ৫ তারিখ থেকে কিছু কুচক্রী মহল ক্যু করার চেষ্টা করছিল। আমরা ছাত্র-জানতা তা দমন করেছি।

তিনি বলেন, এরপর সর্বশেষ বিচার বিভাগীয় ক্যু করার চেষ্টা করলে আপনাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে তা রুখে দিতে সক্ষম হয়েছি৷ আমাদের বিপ্লবকে নস্যাৎ করতে এখনো একটি মহল ক্যু করার ষড়যন্ত্র করছে। আমরা ছাত্র-জনতা তাদের পরিকল্পনা সফল হতে দেব না। এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ বিচারের দাবি জানান।

ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক আখতার হোসেন বলেন, আমরা সর্বশক্তি দিয়ে হাসিনার সব ষড়যন্ত্রকে রুখে দেব। আওয়ামী লীগ পরাজিত শক্তি নানান কূটকৌশল আঁকছে। আমরা ছাত্র-জনতা কোনোভাবে ১৫ আগস্টের ক্যুর পরিকল্পনা সফল হতে দেব না।


আরও খবর



নাঈমুল ইসলাম খান ও চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের ব্যাংক হিসাব জব্দ

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৬ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব সাংবাদিক নাঈমুল ইসলাম খান এবং আর্থিক খাতের আলোচিত নাম চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের স্ত্রী ও পুত্র-কন্যাদের ব্যাংক হিসাবও স্থগিত করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) রোববার (২৫ আগস্ট) ব্যাংক হিসাব স্থগিতের এ নির্দেশনা দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠিয়েছে।

দুই ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব স্থগিত সংক্রান্ত বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে, উল্লিখিত ব্যক্তি ও তাদের ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো হিসাব পরিচালিত হয়ে থাকলে সেই হিসাবের লেনদেন মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ২৩ (১) (গ) ধারার আওতায় ৩০ দিনের জন্য স্থগিত থাকবে। এ ছাড়া তাদের নামে কোনো লকার সুবিধা থাকলে তার ব্যবহারও ৩০ দিনের জন্য বন্ধ থাকবে। প্রয়োজনে লেনদেন স্থগিত করার এ সময় আরও বাড়ানো হবে।

চিঠিতে চৌধুরী নাফিজ সরাফাত ও নাঈমুল ইসলাম খানসহ তা‌দের পরিবারের সদস্যদের নাম, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেওয়া হয়েছে। অ্যাকাউন্ট স্থগিত হওয়ার ফলে এখন থেকে তারা আর কোনও টাকা তুলতে পারবে না।

বিএফআইইউর নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, কোনো হিসাব স্থগিত করা হলে হিসাবসংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের কাছে পাঠানোর জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয়েছে।

জুলাইয়ে কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এরপর নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে দেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এরপর সাবেক সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী গ্রেপ্তার হয়েছেন। সেই সঙ্গে অনেক মন্ত্রী-এমপির পাশাপাশি আওয়ামী লীগ-ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হচ্ছে।


আরও খবর
আরও ৩৪ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ

মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পেট্রোবাংলায় তিতাস গ্যাস কর্মীদের হামলা

মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪




শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো ধরনের অরাজকতা সহ্য করা হবে না: খন্দকার আবু আশফাক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নাজনীন শিকদার (দোহার-নবাবগঞ্জ)

Image

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো ধরনের অরাজকতা সহ্য করা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার কলাকোপা কোকিল প্যারি উচ্চ বিদ্যালয়ের হল রুমে উপজেলার সমস্ত উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

খন্দকার আবু আশফাক বলেন, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেশের সম্পদ। এই সম্পদ যেনো কেউ কোনো দলের পরিচয়ে নষ্ট পরতে না পারে সেদিকে আমাদের সকলের খেয়াল রাখতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আমরা কোনো অভিযোগ শুনবো না। যদি কোনো ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের নাম ভাঙ্গিয়ে অন্যায় কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, নবাবগঞ্জে কয়েকটি মিশনারি স্কুল আছে যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ থাকায় বিদ্যালয়গুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমি ঢাকা বিভাগের বিশপের সাথে দ্রুত বিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়ার জন্য কথা বলেছি। আমরা চাই নবাবগঞ্জে কোনো বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে না।

বিএনপির এ সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা সরকারি কোনো সম্পদ নষ্ট করবেন না। এই সম্পদ আপনার আমার টাকায় নির্মাণ করা। যদি কোনো ব্যক্তি অন্যায় কাজ করে প্রশাসনের কর্মকর্তারা রয়েছেন তারাই ব্যবস্থা নিবেন।

অনুষ্ঠানে নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান সোহেলের সভাপতিত্বে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ জালাল, উপজেলা শিক্ষক সমিতি সভাপতি দেলোয়ার হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবুল কালাম, সহ-সভাপতি আবু শফিক খন্দকার মাসুদসহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



এবার ঢামেকের পাঁচ চিকিৎসককে ঢাকার বাইরে বদলি

প্রকাশিত:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের পর এবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে কর্মরত পাঁচ চিকিৎসককে ঢাকার বাইরের বিভিন্ন জেলার মেডিকেল কলেজে বদলি করেছে সরকার।

সোমবার (৯ সেপ্টম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের (পার-১) উপসচিব দূর-রে-শাহ্ওয়াজ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বদলির আদেশ পাওয়া চিকিৎসকদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. নুর হোসেন ভূঁইয়াকে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগে, শিশু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. ইফফাত আরা সামসাদকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগে, সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ জেড এম মাহফুজুর রহমানকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগে বদলি করা হয়েছে।

এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ খোরশেদ আলমকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক সার্জারি এবং মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মাদ মুরাদ হোসেনকে নীলফামারী মেডিকেল কলেজে বদলি করা হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডার ও স্বাস্থ্য সার্ভিসের নিম্নবর্ণিত কর্মকর্তাদেরকে তাদের নামের পাশে বর্ণিত কর্মস্থলে বদলি ও পদায়ন করা হলো। পদায়কন করা কর্মকর্তাকে আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান করবেন। অন্যথায় পরবর্তী কর্মদিবসে বর্তমান কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিক অব্যাহতি মর্মে গণ্য হবেন।

এমনকি বদলি/পদায়নকৃত কর্মস্থলে যোগদানের ব্যর্থতায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।


আরও খবর
ডেঙ্গুতে ৮ মাসে মারা গেছেন ৯২ জন

রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪




আলু-পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক কমেছে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

আলু, পেঁয়াজ ও কীটনাশক আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আলুতে ১৩ শতাংশ আমদানি শুল্ক, পেঁয়াজে ৫ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি বা নিয়ন্ত্রণমূলক এবং কীটনাশকে ২০ শতাংশ শুল্ক কমানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন এনবিআরের পরিচালক (জনসংযোগ) সৈয়দ এ মুমেন। চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এই সুবিধা বলবৎ থাকবে।

জানা গেছে, আলুতে কাস্টমস ডিউটি (সিডি) ২৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ কমানো হয়েছে। এছাড়া আগে এ পণ্যটির ওপর প্রযোজ্য থাকা ৩ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি (আরডি) সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর ফলে পণ্যটিতে মোট শুল্ক কমানো হলো ১৩ শতাংশ।

আমদানি পর্যায়ে পেঁয়াজে ৫ শতাংশ রেগুলেটরি ডিউটি বা নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হয়েছে। অন্যদিকে কীটনাশকের ওপরে প্রযোজ্য ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া পণ্যটির ওপর সমুদয় রেগুলেটরি শুল্ক ও মূল্য সংযোজন কর প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর আগে পেঁয়াজ, আলু, ডিমে শুল্ক কর প্রত্যাহার চেয়ে এনবিআরে চিঠি দেয় এনবিআর।

এনবিআর জানায়, বিগত জুলাই ও আগস্ট মাসে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট পরিস্থিতির কারণে দেশে পণ্য পরিবহন ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটেছে, যা এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেনি। উপরন্তু দেশের পূর্বাঞ্চলে চলমান বন্যা পরিস্থিতির কারণে পণ্য পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সার্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কীটনাশক, আলু ও পেঁয়াজের মতো গুরুত্বপূর্ণ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য কমানোর ব্যবস্থা নিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে অনুরোধ করেছে।

এ পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সার্বিক বিশ্লেষণপূর্বক কর ছাড়ের মাধ্যমে উল্লিখিত পণ্যগুলোর আমদানি সহজ করে সরবরাহ বৃদ্ধি করার উদ্যোগ গ্রহণ করে।

এসব পণ্যের শুল্ক কমানো কারণ হিসেবে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আলু এবং পেঁয়াজ অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদনের মাধ্যমে যেহেতু দেশের মোট চাহিদার সিংহভাগ মেটানো হয়। আমদানি শুল্ক কম থাকলে দেশীয় উৎপাদনের ওপর প্রযোজ্য প্রতিরক্ষণ হ্রাস পায়, ফলে কৃষককে আলু ও পেঁয়াজ উৎপাদনে উৎসাহিত হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নেওয়া কার্যক্রমের ফলে উল্লিখিত পণ্য দুটির বাজারমূল্য সহনশীল পর্যায়ে থাকবে। দীর্ঘমেয়াদে কৃষকদের আলু ও পেঁয়াজ উৎপাদনে প্রণোদনা অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতেও যেকোনো রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে নীতি সহায়তা প্রদানে এবং দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় রাজস্ব যোগানে মূল ভূমিকা পালনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড একইভাবে সচেষ্ট থাকবে।

এর আগে ১১টি জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এসব বিবেচনায় আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের ওপর বিদ্যমান শুল্ক-কর কমানোর প্রস্তাব করেছিল ট্যারিফ কমিশন।


আরও খবর
ভারত থেকে এলো ২ লাখ ৩১ হাজার ডিম

সোমবার ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪




এবার সরানো হচ্ছে সিটি কর্পোরেশন মেয়রদের

প্রকাশিত:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৯ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অধ্যাদেশ অনুযায়ী এবার সিটি কর্পোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করা হচ্ছে। তাদের জায়গায় বসছে প্রশাসক, তারাই দায়িত্ব পালন দেখভাল করবেন সিটি কর্পোরেশনগুলোর।

স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এর আওতায় তাদের অপসারণ করা হচ্ছে।

জানা গেছে, বর্তমানে দেশের ১২ সিটি কর্পোরেশনে ১২ জন মেয়র রয়েছেন। ১২ জনকে অপসারণের বিষয়ে প্রজ্ঞাপন প্রস্তুত করে রেখেছে স্থানীয় সরকার বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখা। একইসঙ্গে প্রশাসক নিয়োগের প্রজ্ঞাপনও প্রস্তুত করা হয়েছে। যে কোনো সময় প্রজ্ঞাপন জারি করা হতে পারে।

এরই মধ্যে দেশের সব (৪৯৩টি) উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ৩২৩ পৌরসভার চেয়ারম্যান ও ৬০ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অপসারন করেছে সরকার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, উপজেলা, পৌরসভা ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের মতো সিটি কর্পোরেশনের মেয়ররাও অপসারণ হতো পারে। এখন পর্যন্ত ১২ সিটির মেয়রকেই অপসারনের সিদ্ধান্ত আছে, সে সংক্রান্ত ফাইল এরই মধ্যে উঠেছে। ফাইল এখন প্রধান উপদেষ্টার দফতরে আছে। সেখান থেকে চূড়ান্ত হয়ে আসলেই তাদের অপসারণ করে সেখানে প্রশাসক নিয়োগ হতে পারে।


আরও খবর
আরও ৩৪ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ

মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পেট্রোবাংলায় তিতাস গ্যাস কর্মীদের হামলা

মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪