আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

আলোচিত মিতু হত্যা:রাজসাক্ষী হতে চেয়েছিলেন আসামি ওয়াসিম

প্রকাশিত:বুধবার ২০ এপ্রিল ২০22 | হালনাগাদ:বুধবার ২০ এপ্রিল ২০22 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার চট্টগ্রামের আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু খুনের মাস্টারমাইন্ড- এ তথ্য স্বীকার করে রাজসাক্ষী হতে রাজি হয়েছিলেন কারাবন্দি আসামি মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম। তাকে রাজসাক্ষী করতে সব প্রস্তুতি শেষও হয়েছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমার বদলিতেই পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। ওয়াসিমকে রাজসাক্ষী করার সেই চেষ্টা এখন আর নেই। স্ত্রী খুনে বাবুলের বিরুদ্ধে দালিলিক ও প্রযুক্তিগত প্রমাণ সংগ্রহ করে মামলার তদন্ত গুছিয়ে এনে সমাপ্তির পথেও হাঁটছিলেন সন্তোষ কুমার। কিন্তু পিবিআই থেকে সিএমপিতে তার বদলির সঙ্গে সঙ্গে স্পর্শকাতর এই মামলার তদন্তের গতিপথ চোরাবালিতে হাবুডুবু খেতে শুরু করে। উল্টো খুনের দায় থেকে বাবুল আক্তারকে বাঁচাতে মামলার পেছনে কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ ঢালতে শুরু করে বৃহৎ এক শিল্প গ্রুপ। তাকে জামিন করাতেও গ্রুপটি মরিয়া হয়ে উঠেছে। তদন্তের ফাঁকফোকর খুঁজে তা আদালতে উপস্থাপন করে নতুন নতুন জটিলতা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। কারাগারে নতুন স্ত্রী ইসমত জাহান মুক্তার প্রশংসায় বাবুল সবসময় পঞ্চমুখ থাকলেও মিতুর বিষয়ে থাকেন নিশ্চুপ। কারাগারেও দুই হাতে খরচ করছেন তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে (পিসিতে) জমা করা হাজার হাজার টাকা।

মামলার বর্তমান তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইর পরিদর্শক আবু জাফর মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, মিতুর মামলায় বাবুলের হাতের লেখা পরীক্ষা করা হচ্ছে। আদালতের আদেশ নিয়ে মিতুর সন্তানদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখনও ছোট ছোট বহু তদন্তকাজ বাকি রয়েছে। নিখুঁতভাবে তদন্ত করায় কখন শেষ করা যাবে, তা বলা সম্ভব হচ্ছে না।

আগের তদন্ত কর্মকর্তা বর্তমানে সিএমপির খুলশী থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, বাবুল আক্তার স্ত্রী খুনে মুছাকে যে অর্থ দিয়েছিলেন,  তার প্রযুক্তিগত ও সাক্ষীর ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি সংগ্রহ করে দিয়ে এসেছি। বাবুলের বিরুদ্ধে খুনের সব রকম তথ্য-প্রমাণ মামলার নথিতে রাখা হয়েছে। আমি ৮০-৯০ ভাগ তদন্ত শেষ করেছিলাম। বদলি হওয়ায় বাকি কাজ শেষ করতে পারিনি। এখন নতুন তদন্ত কর্মকর্তা একটি তথ্যের সঙ্গে আরেকটি তথ্যে জোড়া লাগাচ্ছেন। তিনি জানান, বাবুলের বিরুদ্ধে রাজসাক্ষী হতে রাজি হয়েছিলেন আসামি ওয়াসিম। সব প্রস্তুতিও নিয়েছিলাম। এখন মনে হয় সেই প্রক্রিয়া আর এগোয়নি।

ওয়াসিমের চোখে খুনের মাস্টারমাইন্ড বাবুল :মিতু খুনে মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম সরাসরি সম্পৃক্ত ও মামলার অন্যতম আসামি। এখন চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সেলে রয়েছেন। মিতু মামলার শুনানিতে কারাগার থেকে আদালতে হাজিরা দিতে আসেন তিনি। সম্প্রতি আদালতে একান্তে ওয়াসিমের সঙ্গে কথা বলে সমকাল। ওয়াসিম বলেন, বাবুল আক্তার গভীর রাতে মুছার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলতেন, যাতে বাবুল আক্তারের কথা রেকর্ড না হয়। কিন্তু মুছা দুষ্ট হওয়ায় তা লাউডস্পিকারে দিয়ে আমাদের শোনাতেন। শুধু বাবুলের সঙ্গে কথা বলার জন্য মুছাকে একটি সিমও দিয়েছিলেন বাবুল। ওই সিম দিয়ে বাবুল আক্তার ছাড়া আর কারও সঙ্গেই কথা বলতে পারতেন না মুছা। একদিন কথা বলার সময় ফোন কল লাউডস্পিকারে থাকায় মিতুকে খুন করার কাজ কতদূর এগিয়েছে তা জানতে চান। মুছা করে দেব বলে জানায়। তারপর বাবুলের পরিকল্পনায়ই মিতুকে খুন করা হয়। মুছা ছিল বাস্তবায়নকারী আর মাস্টারমাইন্ড বাবুল আক্তার। তিনি বলেন, আমি উকিলের সঙ্গে পরামর্শ করে রাজসাক্ষী হওয়ার চিন্তাভাবনা করেছিলাম। সন্তোষ স্যার আমাকে রাজসাক্ষী হওয়ার জন্য রাজি হতে বলেছিলেন। বাবুল আর মুছার কারণে আমরা আজ জেলে বন্দি।

কারাগারে ঢুকেই মুখ বন্ধ রাখার বার্তা পাঠান বাবুল : স্ত্রী খুনের মামলায় আসামি হয়ে চট্টগ্রাম কারাগারে যাওয়ার পর দিনই কারাবন্দি অন্য আসামিদের বিশেষ বার্তা পাঠান বাবুল। কারাগারে বাবুল যে সেলে বন্দি ছিলেন, তার পাশের সেলেই ছিলেন মামলার অপর আসামি ওয়াসিম ও আনোয়ার হোসেন। বাবুল তাদের খোঁজখবর জানার জন্য এক সেবক বন্দিকে দিয়ে বার্তা পাঠান। সঙ্গে ছিল কারা ক্যান্টিন থেকে আনানো চা-বিস্কুটও। বাবুলের বার্তা পাওয়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ওয়াসিম ও আনোয়ার। তারা বার্তাবাহককে বলেন, আমরা কারাগারে আসার পর বাবুল একদিনের জন্যও নিজে কিংবা অন্য কারও দিয়ে আমাদের ও পরিবারের কোনো খবর নেননি। তিনি আমাদের ফাঁসিয়ে দিয়ে নিজে বেঁচে যাবেন মনে করেছিলেন। তাই আমাদের খবর নেননি। আজ নিজে আসামি হয়ে আসার পর আমাদের খবর নিচ্ছেন। মুছাকে কথা দিয়েছিলেন কাজটি (মিতুকে হত্যা) করার পর আমাদের সবার দায়িত্ব নেবেন বাবুল। তিনি তার দেওয়া কথা রাখেননি। এ মেসেজ বাবুলের কাছে পৌঁছানোর পর বাবুল তাদের জামিন করানোসহ সবকিছু দেখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফের মেসেজ পাঠান। সঙ্গে মিতু খুনে বাবুলের সম্পৃক্ততার কথা কোনোভাবেই ১৬৪ কিংবা তদন্ত কর্মকর্তার কাছে বলা যাবে না বলে মুখ বন্ধ রাখার বার্তা পাঠান। একইভাবে কারাবন্দি সাইদুল ইসলাম সিকদার সাক্কু ও শাহজাহান মিয়ার কাছে একই বার্তা পাঠিয়েছিলেন বাবুল। ওয়াসিম ও কারা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য জানা যায়।

বাবুলের মামলার সব খরচ দিচ্ছে এক বৃহৎ শিল্প গ্রুপ :বাবুল আক্তারকে বাঁচাতে মামলা পরিচালনার পেছনে যত খরচ হচ্ছে, তার সবটাই মেটাচ্ছে একটি বড় শিল্প গ্রুপ। চট্টগ্রাম আদালতে নতুন নতুন পিটিশন দাখিল করা, শুনানিতে একাধিক সিনিয়র আইনজীবীকে দাঁড় করানো, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন শুনানি, আদেশের নকল কপি সংগ্রহ, মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন শুনানি ও আদেশের নকল কপি সংগ্রহ, হাইকোর্টে জামিন ফাইল করা ও শুনানি- সবই হচ্ছে ওই শিল্প গ্রুপের টাকায়। খোদ এসব তথ্য জানিয়েছেন বাবুল আক্তার নিজেই। এক শীর্ষ কারা কর্মকর্তা জানান, বাবুল আক্তার তাকে বলেছেন, তিনি একটি শিল্প গ্রুপে বড় পদে চাকরি করতেন। পুলিশে চাকরি যাওয়ার পর ওই প্রতিষ্ঠানে তিনি চাকরি করে আসছিলেন। তিনি যে প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন, সেই প্রতিষ্ঠানে প্রচুর সিস্টেমলস হতো। বাবুল যোগদানের পর সেই সিস্টেমলস অনেকটাই কমিয়ে আনেন। তাই ওই প্রতিষ্ঠানের কর্তাব্যক্তিরা তাকে খুবই পছন্দ করেন। তাকে বলেছেন, তুমি যখনই ফিরে আসবে তোমার জন্য ওই চেয়ার ফাঁকা থাকবে।


আরও খবর



মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে রাখা অবৈধ: হাইকোর্ট

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। রায়ে আদালত একইসঙ্গে জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করেছেন। সোমবার (১৩ মে) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল নাসিম ইসলাম রাজু।

আইনজীবীরা বলেছেন, এটা একটা ঐতিহাসিক রায়।

এর আগে ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়।

বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।

গত বছরের ৫ এপ্রিল মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কনডেম সেলে থাকা বন্দিদের বিষয়ে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার আগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

চট্টগ্রাম কারাগারে কনডেম সেলে থাকা জিল্লুর রহমানসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন বন্দির পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির এ রিট দায়ের করেন।

রিট আবেদনকারী হলেন চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুর বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই তিন আসামির আপিল হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে।


আরও খবর



শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে ভেতরে বাস, প্রকৌশলী নিহত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনালে বাউন্ডারি ভেঙে রাইদা পরিবহনের একটি বাস ভেতরে ঢুকে যায়।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মাইদুল ইসলাম সিদ্দিকী নামে সিভিল এভিয়েশনের সিনিয়র একজন ইঞ্জিনিয়ার নিহত হয়েছেন। তিনি সিদ্দিকী সিভিল অ্যাভিয়েশনের জ্যেষ্ঠ উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

বিমানবন্দর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুমন চন্দ্র দাস জানান, সকাল ১০টার দিকে রাইদা পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তৃতীয় টার্মিনালের নিরাপত্তা প্রাচীর ভেঙে ভেতরে ঢুকে যায়। এ সময় সড়ক দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন সিভিল অ্যাভিয়েশনের জ্যেষ্ঠ উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাইদুল ইসলাম। তার মোটরসাইকেলটিকে বাসটি চাপা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পর জড়িত বাসচালক, হেলপার পালিয়ে গেছে। তবে বাসটিকে জব্দ করা হয়েছে। এই বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।


আরও খবর



এফডিসিতে সাংবাদিকের ওপর হামলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন বা এফডিসিতে সাংবাদিকের ওপর হামলা চালিয়েছেন শিল্পীরা। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় ২৭ এর বেশি সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এর মধ্যে সাতজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

জানা গেছে, এ হামলার মূল হোতা খল অভিনেতা শিবা শানু। এর পর জয় চৌধুরী ও আলেকজান্ডার বো হামলা চালান। হামলার একপর্যায়ে পুরো এফডিসির ফাইট ডিরেক্টরাও হামলায় অংশ নেন।

তবে ঠিক কী কারণে সাংবাদিকদের ওপর শিল্পীরা হামলা চালান, সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।

এদিন বিকেলে ২০২৪-২৬ এর শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটি শপথ গ্রহণ করে। সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগরকে শপথ বাক্য পাঠ করান প্রধান নির্বাচন কমিশনার খোরশেদ আলম খসরু। এরপর বাকি সদস্যরা মিশা সওদাগরের নেতৃত্বে শপথ গ্রহণ করেন।

শিল্পী সমিতির ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে মিশা-ডিপজল পরিষদ। সভাপতি পদে মিশা সওদাগর পেয়েছেন ২৬৫ ভোট। নিকটতম প্রার্থী মাহমুদ কলি পেয়েছেন ১৭০ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজল পেয়েছেন ২২৫ ভোট। একই পদে ২০৯ ভোট পেয়েছেন নিপুণ আক্তার। মাত্র ১৭ ভোটে পরাজিত হয়েছেন গতবারের এই সাধারণ সম্পাদক।


আরও খবর



ব্রাজিলে ভয়াবহ বন্যায় নিহত বেড়ে ৯০

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে সৃষ্ট বন্যায় ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ রিও গ্র্যান্ডে ডো সুল তলিয়ে গেছে। প্রবল বর্ষণে এখন পর্যন্ত ৯০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এছাড়া আরও ১৩০ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন প্রায় দেড় লাখ মানুষ। আজ বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ রিও গ্র্যান্ডে ডো সুলে ব্যাপক বন্যার কারণে কয়েকশ শহর পানির নিচে চলে গেছে। বন্যায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৯০ জন মারা গেছেন এবং প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার মানুষ তাদের বাড়িঘর থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

এদিকে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রদেশের রাজধানী পোর্টো আলেগ্রে বন্যায় কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সেখানকার বিমানবন্দর ও বাস স্টেশন বন্ধ হয়ে গেছে। প্রধান সড়কগুলো এখন অবরুদ্ধ।

প্রদেশের সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি বলেছে, বন্যায় ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে।


আরও খবর



এবার অর্থনীতিবিদকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বানাচ্ছেন পুতিন

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেরগেই শোইগুকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার স্থলাভিসিক্ত হতে যাচ্ছেন উপ-প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রে বেলোসোভ, যিনি একজন অর্থনীতিবিদ। তবে তার সামান্য সামরিক অভিজ্ঞতাও রয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, রুশ প্রসিডেন্ট পুতিনের এই পদক্ষেপ ইঙ্গিত দিচ্ছে- রাশিয়ার অর্থনীতিকে তিনি তার যুদ্ধ প্রচেষ্টার সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত করতে চাচ্ছেন।

এ বিষয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, উদ্ভাবনের’ দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই একজন বেসামরিক ব্যক্তিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, জিডিপির একটি বড় অংশ সামরিকখাতে ব্যয় করার পর থেকে রাশিয়া অনেকটা ১৯৮০ সালের মাঝামাঝি সময়ের সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো হয়ে উঠেছিল।

দিমিত্রি পেসকভ বলেন, সামরিক ব্যয়কে রাশিয়ার সামগ্রিক অর্থনীতির সঙ্গে আরও ভালোভাবে সংহত করার বিষয়টি নিশ্চিত করা দরকার। আর যে ব্যক্তি উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে বেশি খোলামনের তিনিই যুদ্ধক্ষেত্রে বিজয়ী হবেন।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শোইগুর স্থলে নতুন কেউ আসার বিষয়টি তেমন আশ্চর্য হওয়ার মতো কিছু নয়। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে শোইগুর অবস্থান বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে। এমনকি এটাও শোনা যাচ্ছিল যে, তাকে পদচ্যুত করানো হতে পারে।

মূলত রাশিয়ার ইউক্রেন অভিযানে সামরিক বিপর্যয় এবং শক্তি ও সম্পদের বড় ধরনের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। এজন্য অনেকে শোইগুকেই দায়ী করে থাকেন।

এক্ষেত্রে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে একজন অর্থনীতিবিদ থাকাটা ক্রেমলিনের পরিবর্তিত অগ্রাধিকার নীতিরই প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে।

রাশিয়ার অর্থনীতি এখন যুদ্ধকালীন সময় পার করছে। তাই যুদ্ধের অর্থায়নের জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যথেষ্ট অর্থ থাকা অত্যাবশ্যক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রুশ সরকারের এক সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে স্বাধীন রুশ ওয়েবসাইট দ্য বেল জানিয়েছে, বেলোসভকে রাষ্ট্রের একজন কঠোর রক্ষক হিসেবে দেখা হয়, যিনি বিশ্বাস করেন- রাশিয়া শত্রু দিয়ে ঘেরা।

পুতিনের মতো তারও রুশ অর্থোডক্স চার্চের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। এমনকি প্রেসিডেন্ট পুতিনের মতো তিনি মার্শাল আর্টের ব্যাপারেও বেশ উৎসাহী। তরুণ বয়সে বেলোসভ কারাতেসহ বিভিন্ন খেলার অনুশীলন করতেন।

উপ-প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সহযোগী হিসেবে বেশ কয়েক বছর কাজ করেছেন। এর আগে অর্থনৈতিক উন্নয়নমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ২০১৪ সালে রাশিয়া যখন ক্রিমিয়া অধিগ্রহণ করে তখন সেটাকে সমর্থন করার জন্য পুতিন একটি অর্থনৈতিক প্রতিনিধি দল গঠন করেছিলেন। বেলোসভ ওই দলের সদস্য ছিলেন।

অপরদিকে ইউক্রেন যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন সেরগেই শোইগু। তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত। পুতিনকে তিনি প্রায়ই নিজের জন্মভূমি সাইবেরিয়ায় মৎস্য শিকারে নিয়ে যেতেন।

তাদের ঘনিষ্ঠতা এমন পর্যায়ে ছিল যে, পূর্ব কোনও সামরিক অভিজ্ঞতা না থাকলেও শোইগুকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্বে দিয়েছিলেন পুতিন। পেশাগত জীবনে শোইগু ছিলেন একজন প্রকৌশলী।


আরও খবর