আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

আমাজন জঙ্গলে কাজ করছেন ড. ইউনূস

প্রকাশিত:বুধবার ১৬ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:বুধবার ১৬ নভেম্বর ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

অধ্যাপক ইউনূস প্রতিষ্ঠিত ‌ইউনূস এনভায়রনমেন্টাল হাব কলম্বিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে ৩০টি সামাজিক ব্যবসা গড়ে তুলেছে এবং এই ব্যবসাগুলোকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। এগুলোর মধ্যে ১০টি সামাজিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে আমাজনের জঙ্গলে। আমাজনের ক্রমাগতভাবে ধ্বংস হয়ে যাওয়া বনাঞ্চলের বনায়নসহ এলাকায় চক্রাকার অর্থনীতি গড়ে তোলা এই ব্যবসাগুলোর মূল উদ্দেশ্য। বুধবার (১৬ নভেম্বর) ইউনূস সেন্টার থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কলম্বিয়ার আমাজন জঙ্গলে কাজ করছে, এমন কিছু সামাজিক ব্যবসা পরিদর্শন করলেন নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ইকুয়েডরের সীমান্তের নিকটবর্তী এই এলাকাটি কলম্বিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। সেখানে তিনি স্থানীয়দের ভবিষ্যৎ সম্প্রসারণ পরিকল্পনা, কর্মসূচিগুলোর বহুমুখীকরণ এবং সামাজিক ব্যবসা সম্পর্কে ধারণা লাভ করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আমাজন রেইনফরেস্ট কলম্বিয়ার মোট ভূমির প্রায় অর্ধেকজুড়ে বিস্তৃত। শান্তিচুক্তি সই হওয়ার পর এই এলাকায় বিরোধের অবসান হলে ব্যক্তি ও ব্যবসায়িক উদ্যোগে এই রেইনফরেস্টে বৃক্ষনিধন পুরোদমে শুরু হয়ে যায়। কলম্বিয়ার নতুন সরকার এই বনভূমির আরও বিনাশ রোধ করতে এবং একে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তবে সরকার সবেমাত্র তার কাজ শুরু করেছে। দেশটির নতুন ও প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট ফ্রান্সিয়া মারকুয়েজ একজন নিবেদিতপ্রাণ পরিবেশবাদী, যিনি অবৈধ খনি খননের বিরুদ্ধে বহু বছর ধরে সরাসরি সংগ্রাম করে আসছেন।

অধ্যাপক ইউনূস যে এলাকাটি পরিদর্শন করলেন, তার নাম কেকোয়াতা। এলাকাটি ফ্রাকের (রেভল্যুশনারি আর্মড ফোর্সেস অব কলম্বিয়া) সদর দফতর হিসেবে ব্যবহৃত হতো। শান্তিচুক্তির পর এলাকায় কোনও সুস্পষ্ট শাসনব্যবস্থা না থাকায় বন ধ্বংসের প্রক্রিয়া চুক্তি-পূর্ব সময়ের চেয়ে বরং আরও খারাপ হয়েছে। এলাকার গরিব মানুষ বেঁচে থাকার প্রয়োজনে নির্বিচারে গাছ কাটছে, অটেকসই উপায়ে জমি চাষ করছে। আর কোম্পানিগুলো বনের গভীরে গিয়ে পরিবেশ ও দীর্ঘমেয়াদি পরিস্থিতির কথা বিবেচনা না করে বন উজাড় করছে এবং বনাঞ্চল ও মাটির যথেচ্ছাচার ব্যবহার করছে।

সামাজিক ব্যবসাগুলোর একটি ‌আমাজনিয়া এমপ্রেনদ্রে বা এই ফ্লোরেন্সিয়া থেকে এক ঘণ্টার দূরত্বে রেইনফরেস্টের পাহাড়ি এলাকায় গভীর জঙ্গলে অবস্থিত। অধ্যাপক ইউনূস দুজন সামাজিক ব্যবসা উদ্যোক্তা জুলিও আন্দ্রে ও জুলিয়া হেরনেন্দেজের অতিথি হয়ে তাদের কাজ দেখতে গিয়েছিলেন। তারা দুজনেই সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধে ফ্রাংফুর্টের কাছে ওয়েজবাডেনে অবস্থিত ইউনূস এনভায়রনমেন্টাল হাবের সহযোগিতায় সামাজিক ব্যবসা সৃষ্টি ও পরিচালনায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

তাদের এই সামাজিক ব্যবসাগুলোয় তারা ১৮ হাজার গাছ ও চারা রোপণ করেছেন। এগুলো স্থানীয় ১ হাজার ২৮৫টির মধ্যে ৪৭ প্রজাতির। এই সামাজিক ব্যবসাটি সরকারের কাছ থেকে ৩০ হেক্টর জমির লাইসেন্স নিয়ে তা পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু করে এবং ব্যবসাটির কর্মকাণ্ড ১ লাখ হেক্টর জমিতে সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে। ফ্রাকের অধীনে থাকাকালে এই এলাকায় কেউ প্রবেশ করতে পারতো না এবং কোনও পুনরুদ্ধারকাজও তখন সম্ভবপর ছিল না। সামাজিক ব্যবসাটি একই সঙ্গে হুলবিহীন মৌ চাষ (মেলিপোনিক কালচার অব স্টিংলেস বিস) নিয়েও কাজ করছে, যা আমাজনের অন্যতম প্রাচীন এবং পৃথিবীর সবচেয়ে বিবর্তিত চাষগুলোর একটি, যা এই এলাকায় ব্যাপক হারে বৃক্ষনিধনের কারণে এখন প্রায় হারিয়ে গেছে।

এই ফ্লোরেন্সিয়া সামাজিক ব্যবসা হিসেবে বন পুনরুদ্ধারে প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান দিতে ব্যক্তি ও উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষিত করার উদ্দেশ্যে একটি অরণ্য বিদ্যালয় ও প্রশিক্ষণ শিবির পরিচালনা করছে। এখানে কয়েক দিন ধরে প্রশিক্ষণ চলে। প্রশিক্ষণার্থীদের হোস্টেল হিসেবে তৈরি করা ব্যক্তিগত তাঁবুতে রাত যাপন করতে হয়।

অংশগ্রহণকারীদের একাকী রাত কাটাতে হয়, যাতে তারা অরণ্যের রাত ও ভোরের শব্দের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে। অধ্যাপক ইউনূস ও তার সফরসঙ্গীদের এই তাদের প্রক্রিয়াগুলোর মধ্য দিয়ে নিয়ে যায় এবং তাদের কিছু প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান প্রদর্শন করে।

ইউনূস তাদের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কাটান এবং তাদের ভবিষ্যৎ সম্প্রসারণ পরিকল্পনা, কর্মসূচিগুলোর বহুমুখীকরণ এবং সামাজিক ব্যবসা হিসেবে বনায়নের মাধ্যমে এলাকার মানুষের আয়ের সুযোগ সৃষ্টি, মধু, ফল ও অন্যান্য বনজ দ্রব্য প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং স্থানীয় মানুষকে বাজারজাতকরণ ও আর্থিক সেবাগুলো প্রদান বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চান।

পরিদর্শন শেষে অধ্যাপক ইউনূস এলাকার তিনটি স্থানে আমাজন পুনরুদ্ধার, যার ওপর শুধু কলম্বিয়া বা ল্যাটিন আমেরিকা নয়, বরং সমগ্র পৃথিবী নির্ভরশীল, তার প্রতি সমর্থন ও প্রতিশ্রুতির চিহ্ণ হিসেবে কেকেও চারা রোপণ করেন। এরপর প্রফেসর ইউনূস ও তার সফরসঙ্গীদের এক ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত বেলিন ডে লস অ্যান্ডাকিসে ইসাবেলা গনজালেজ ও তার ২৩ জন নারী সহ-সদস্য পরিচালিত দ্বিতীয় সামাজিক ব্যবসা আয়াকুনা পরিদর্শনে যান।


আরও খবর



বৈদ্যুতিক মিটার চুরির হিড়িক, টাকা চেয়ে চিরকুটে নম্বর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

Image

টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে বৈদ্যুতিক মিটার চুরির হিড়িক পড়েছে। শুধু তাই নয়, মিটার চুরি করে সেখানে আবার বিকাশ নম্বর লিখে যাচ্ছেন চোররা। বিকাশে টাকা ঢুকলেই ফেরৎ দেওয়া হচ্ছে মিটার। এতে করে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সুবিধাভোগীরা।

সোমবার (১৩ মে) রাতে ধনবাড়ী পৌরসভার চালাষ এলাকা থেকে দুটি রাইস মিলের মিটার চুরি করে নিয়ে কাগজে ফোন নম্বর রেখে যায় চক্রটি।

ভুক্তভোগীরা জানান, আইনশৃঙ্খলার ব্যাপক অবনতির কারণেই দিন দিন এই মিটার চুরির ঘটনা বেড়েছে। এতে করে উপজেলার প্রতিটি এলাকার মানুষদের মাঝে মিটার চুরির আতঙ্ক বিরাজ করছে। মিটার চুরি ঠেকাতে পুলিশের টহল ব্যবস্থা জোরদারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে জোর দাবি ভুক্তভোগীদের।

এ বিষয়ে ধনবাড়ী থানার ওসি (তদন্ত) ইদ্রিস আলী বলেন, অভিযোগ পেলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’


আরও খবর



সাদুল্লাপুরে ডলার প্রতারক গ্রেফতার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাইবান্ধা প্রতিনিধি

Image

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় আমেরিকান ডলার সদৃশ তিনটি কাগজের নোট জব্দ করেছে পুলিশ। একইসঙ্গে এ ঘটনায় জড়িত নান্নু মন্ডল( ৩৭) নামের এক প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়।

মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে গোপন সংবাদে উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের ভাজাকালাই বাজারে অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ।

গ্রেফতার প্রতারক নান্নু মন্ডল ফরিদপুর ইউনিয়নের মৃত আব্দুল জলিল মন্ডলের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ডলার দেওয়ার কথা বলে সহজ-সরল মানুষের সঙ্গে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণা করে আসছিলেন বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

এ তথ্য নিশ্চিত করে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতার নান্নু মন্ডলের বিরুদ্ধে স্পেশাল পাওয়ার এ্যাক্ট-এ মামলা দায়ের করা হয়। এ আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। এই এলাকার সকল ধরণের অপরাধমূলক কার্যকলাপ প্রতিরোধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।


আরও খবর



সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে, ধোঁয়া দেখলেই পানি স্প্রে

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বাগেরহাট প্রতিনিধি

Image

পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া এলাকায় লাগা আগুন নেভানোর কাজ দ্বিতীয় দিনের মতো শুরু হয়েছে। সকাল ৭টা থেকে আগুন নেভানোর কাজ করছেন বনবিভাগ, নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। আগুন নেভানোর কাজে সহায়তা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। এখন শুধুমাত্র কোথা থেকে সামান্য ধোঁয়া বের হলে ওই স্থানটি দেখা হচ্ছে।

সোমবার (৬ মে) সকাল ৮টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মো. নুরুল করিম।

এদিকে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জ সহকারী বনসংরক্ষক রানা দেব জানান, গত রাত ১টা পর্যন্ত বনবিভাগ এককভাবে আগুন নেভাতে পাম্প মেশিন দিয়ে পানি স্প্রে করেছে। এর ফলে এখন আর কোথাও তেমন একটা আগুন দেখা যাচ্ছে না। যেখানে ধোঁয়া দেখা যাচ্ছে সেখানেই পানি দেওয়া হচ্ছে। নিয়ন্ত্রিত আগুন পুরোপুরি নেভাতে সোমবার সকাল ৭টা থেকে বনবিভাগের সহায়তায় কাজ শুরু করেছেন নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। আগামী আরও দুইদিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখে পানি ছিটানো হবে। তবে আপাতত আর ভয়ের কোনো কারণ নেই। কারণ, আগুন যাতে আর ছড়াতে না পারে সেজন্য রোববার ফায়ার লাইন কেটে সেখানে পানি দিয়ে রাখা হয়েছে। আর আগুনের অস্তিত্ব তেমন একটা নেই, শুধু কিছু কিছু জায়গায় ধোঁয়া রয়েছে।

রোববার (৫ মে) বিকেলে প্রধান বনসংরক্ষক আমির হোসেন চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সন্ধ্যায় বন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২০ সদস্যের সমন্বয়ে পৃথক ২টি টিম করে দেন। আর তারই পরামর্শে রাতে আগুন নেভাতে পানি স্প্রে করে বনবিভাগ। কারণ, রাতে আগুন ভালো দেখা যায়, তাই আগুন দেখে দেখে পানি দেওয়ায় রাতেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

উল্লেখ্য, শনিবার (৪ মে) দুপুরে সুন্দরবনের আমরবুনিয়ার লতিফের ছিলা এলাকায় আকস্মিক এ আগুন লাগে।

নিউজ ট্যাগ: সুন্দরবনে আগুন

আরও খবর



রাঙামাটিতে দুর্বৃত্তের গুলিতে ইউপিডিএফ কর্মীসহ নিহত ২

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি

Image

রাঙামাটির লংগদু উপজেলায় দুর্বৃত্তের গুলিতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) কর্মীসহ ২ জন নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার সকালে উপজেলার কাট্টলী এলাকার ধনপুতি বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ইউপিডিএফ কর্মী বিদ্যাধন তিলক (৪৯) ও স্থানীয় ধন্যমনি চাকমা (৩২)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লংগদু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হারুনুর রশিদ।

তিনি জানান, আমরা শুনেছি সন্তু লারমা জেএসএস কর্তৃক এক ইউপিডিএফ কর্মী ছাড়াও স্থানীয় একজন নিহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানানো যাবে।

ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) দলীয় সূত্র থেকে জানা যায়, আজ সকালে ধনপুতি এলাকায় সাংগঠনিক কাজ করার সময় জেএসএসের হামলায় দুইজন নিহত হন। এর মধ্যে একজন তাদের কর্মী আরেকজন স্থানীয় বাসিন্দা।

ইউপিডিএফের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের নিরন চাকমা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, সন্তু লারমা আবারও তার খুনি বাহিনীকে দিয়ে ইউপিডিএফের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হত্যাকাণ্ড শুরু করেছেন। পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের কাছে সন্তু লারমা একজন খুনি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবেন।

বিজ্ঞপ্তিতে অবিলম্বে লংগদুতে ইউপিডিএফ কর্মী, সমর্থককে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার এবং মদদদাতা সন্তু লারমাকে গ্রেপ্তারপূর্বক আঞ্চলিক পরিষদ থেকে অপসারণ করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানানো হয়।

তবে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি লংগদু উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মনি শংকর চাকমা বলেন, ওই এলাকায় জেএসএসএর কোনো কার্যক্রম নেই। এটা তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে হয়ে থাকতে পারে। তাদের নিজেদের অপকর্মের দায় আমাদের ওপর চাপাতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে।


আরও খবর



জাজিরায় আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত ঘোড়া নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

শরীয়তপুরের জাজিরায় উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম আমিনুল ইসলামের প্রতীক ঘোড়া। ওই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে মিছিলে জীবন্ত ঘোড়া ব্যবহারের মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। এস এম আমিনুল ইসলাম শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে শরীয়তপুর সদর ও জাজিরা উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত (০২ মে) বৃহস্পতিবার প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পরই প্রার্থীরা জোরেশোরে মিছিল, সভা ও প্রচার-প্রচারণা শুরু করেন। শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম আমিনুল ইসলামের পক্ষে সাহেদ আলী মল্লিক নামে স্থানীয় এক নেতার নেতৃত্বে জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর ইউনিয়নের ভাটকুল বাজার এলাকা থেকে মিছিল বের করা হয়। ওই মিছিলে একটি জীবন্ত ঘোড়া রাখা হয়। কর্মী-সমর্থকেরা ঘোড়াটি সামনে রেখে মিছিল করেন। মিছিলে অন্তত দুই থেকে তিনশত কর্মী-সমর্থক উপস্থিত ছিলেন।

জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, "উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬-এর ১০ ধারায় বলা আছে, নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে প্রতীক হিসেবে জীবন্ত প্রাণী ব্যবহার করা যাবে না। ১১ ধারায় বলা আছে, নির্বাচন-পূর্ব সময়ে কোনো ধরনের মিছিল বা কোনোরূপ শোডাউন করা যাবে না। ওই বিধির ৩৩ নম্বরে বলা আছে, কোনো প্রার্থী নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন করে তা প্রমাণিত হলে রিটার্নিং কর্মকর্তার সুপারিশের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন ওই প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করতে পারেন।"

বিষয়টি নিয়ে জানতে ঐ মিছিলে নেতৃত্ব থাকা সাহেদ আলী মল্লিকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে কথা হয় সাহেদ আলী মল্লিকের ভাতিজা আকাশ মল্লিকের সাথে। তিনি বলেন, আমার কাকা আচরণবিধি সম্পর্কে জানতেন না।

এ বিষয়ে জানতে চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম আমিনুল ইসলামকে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেননি।

শরীয়তপুর সদর ও জাজিরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাইফুদ্দিন গিয়াস বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেউ কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করতে পারবেন না। আর মিছিল বা প্রচার-প্রচারণায় কোনো প্রাণী ব্যবহার করা যাবে না। এসব কার্যক্রম আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। কোনো প্রার্থী এমন করেছেন বলে আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে ওই প্রার্থীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, শরীয়তপুর জাজিরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

চেয়ারম্যান পদ প্রার্থীরা হলেন, "শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজী (মোটরসাইকেল প্রতীক), জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আমিনুল ইসলাম (ঘোড়া প্রতীক), নান্নু মিয়া (আনারস প্রতীক), জাজিরা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন (কাপ পিরিচ প্রতীক), জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. সামচুল হক খান (দোয়াত কলম প্রতীক)।"

ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা হলেন, "মহাব্বত খান(চশমা প্রতীক), জাহাঙ্গীর আলম(মাইক প্রতীক), নুর মোহাম্মদ (উড়োজাহাজ প্রতীক),মোঃ নজরুল ইসলাম মাল(তালা প্রতীক)।"

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হচ্ছেন, "উপজেলা পরিষদের বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পারভীন আক্তার(পদ্মফুল প্রতীক), রেখা আক্তার (ফুটবল প্রতীক), নাসরিন আক্তার(হাঁস প্রতীক), জাহানারা খানম(কলস প্রতীক)।"

শাওন বেপারী, (জাজিরা) শরীয়তপুর


আরও খবর