আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম
অমিত শাহকে ফোন করার বিষয়টা প্রমান হলে

আমি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেব: মমতা ব্যানার্জি

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ এপ্রিল ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ এপ্রিল ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

এক সপ্তাহ আগে জাতীয় দলের মর্যাদা হারায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির দল তৃণমূল কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গের বিরোধীদলীয় বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় দলের মর্যাদা যেন কেড়ে না নেওয়া হয় সেজন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কয়েকবার ফোন করেছেন মমতা।

শুভেন্দুর এমন মন্তব্যে বেজায় চটেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, এমন কথা শুনে খুবই বিষ্মিত হয়েছেন এবং হুমকির সুরে বলেছেন, যদি ফোন করার কথা সত্যি হয় তাহলে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করবেন। আর যদি শুভেন্দু মিথ্যা বলে থাকে তাহলে তাকে নাকে খত দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যার দেশ এখন ভারত

এ ব্যাপারে এক সংবাদ সম্মেলনে মমতা বলেছেন, গতকাল আশ্চর্যজনকভাবে কিছু মিথ্যাচার, কুৎসিত, দুর্বিকার, ধ্বংসাত্মক কথাবার্তা বিজেপির একটি মিটিং থেকে শুনছিলাম। আপনারা সবাই টিভিতে দেখাচ্ছিলেন। দেখালেন, বদনাম করলেন আমার। কিন্তু একবারও আমাকে জিজ্ঞাসা করেছেন! আমার অফিসকে জিজ্ঞাসা করেছেন! কোনো এক ভুঁইফোড় নেতা পাবলিক মিটিংয়ে বললেন, তৃণমূলের জাতীয় দলের তকমা চলে যাওয়ার পর আমি নাকি ওদের যিনি সবচেয়ে বড় নেতা, অমিত শাহকে চারবার ফোন করেছি!

তিনি আরও বলেছেন, এটা আপনারা কাল সারাক্ষণ দেখিয়েছেন টিভিতে। কোনো কোনো কাগজেও (পত্রিকায়) লেখা বয়েছে। আমার থেকে একবারও ক্রসচেক করেছেন! আবার বলছি, শাহের পদত্যাগ চেয়েছি আমি। সংবিধানকে চক্রান্ত করে ভাঙার জন্য, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোয় গায়ের জোরে সরকার ভাঙার জন্য, কথাবার্তায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসুলভ আচরণ না করার জন্য পদত্য়াগ দাবি করেছি। আমি তাকে চার বার ফোন করেছি, যিনি এ কথা বলেছেন, জনগণের সামনে নাক খত দিন।

আরও পড়ুন: তীব্র গরমে ভারতের দুই রাজ্যে স্কুল বন্ধ

তিনি আরও বলেছেন, আমি যদি ফোন করে থাকি আমি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেব (পদত্যাগ করব) কথা দিলাম। আর মিথ্যা কথা যারা প্রচার করেছেন, তারা নাক খত দেবেন তো!


আরও খবর



ঈদযাত্রার ১৫ দিনে সড়কে ঝরল ৪০৭ প্রাণ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

ঈদ এলেই সড়কে দুর্ঘটনা বেড়ে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। সদ্য বিদায়ী ঈদে মানুষের যাতায়াতে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ৪০৭ জন মানুষ নিহত হয়েছেন এবং ১ হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছেন।

এ সময়ে রেলপথে ১৮টি দুর্ঘটনায় ২৪ জন নিহত, ২১ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে ২টি দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত, ৫ জন আহত হয়েছেন। সড়ক, রেল ও নৌ পথে সর্বমোট ৪১৯টি দুর্ঘটনায় জন ৪৩৮ নিহত ও ১ হাজার ৪২৪ জন আহত হয়েছেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টর্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরীর এসব তথ্য জানান। সংগঠনটি ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষ্যে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

লিখিত বক্তব্যে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ঈদযাত্রা শুরুর দিন ৪ এপ্রিল থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত বিগত ১৫ দিনে ৩৯৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪০৭ জন নিহত ১ হাজার ৩৯৮ জন আহত হয়েছে। গত ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরে ৩০৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩২৮ জন নিহত ও ৫৬৫ জন আহত হয়েছিল। বিগত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ৩১.২৫ শতাংশ, প্রাণহানি ২৪.০৮ শতাংশ, আহত ১৪৭.৪৩ শতাংশ বেড়েছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, বরাবরের মতো এবারও দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। এবারের ঈদে ১৯৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৫ জন নিহত ও ২৪০ জন আহত হয়েছেন। যা মোট সড়ক দুর্ঘটনার ৪৯.৬২ শতাংশ, নিহতের ৪০.৫৪ শতাংশ এবং আহতের ৩০.৩৭ শতাংশ প্রায়। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির সড়ক দুর্ঘটনা মনিটরিং সেলের সদস্যরা বহুল প্রচারিত ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয়ও আঞ্চলিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের পাশাপাশি জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (পঙ্গু হাসপাতালে) সড়ক দুর্ঘটনায় আহত। ৬৫৮ জনের মধ্যে যাচাই-বাছাই করে ৬০৮ জন আহত রোগীর তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করে।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সড়ক, রেল ও নৌ-পথে গত ১৫ বছরে ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে অবকাঠামো ভালো হওয়ায় যানবাহনের গতি বেড়েছে। গতিকে নিরাপদ করার মতো আইনি কাঠামো, দক্ষ চালক, মানসম্মত যানবাহনের অভাব রয়েছে। আইন প্রয়োগে দুর্নীতির কারণে জাতীয় মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন যানবাহন, নিষিদ্ধ ত্রি-হুইলার, ইজিবাইকের মতো যানবাহন অবাধে চলছে। এছাড়াও ছোট ছোট যানবাহন মোটরসাইকেল, অটোরিকশা, ইজিবাইকের অস্বাভাবিকহারে বেড়ে যাওয়ার কারণে সড়কে বিশৃঙ্খলার পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনা। তিনি মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের আমদানি বন্ধ করে দেশব্যাপী উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি। ফিটনেস বিহীন যানবাহন চলাচল বন্ধ করা, পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী পরিবহন ঠেকানো, আইন প্রয়োগে অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধে ডিজিটাল পদ্ধতি প্রয়োগ, চালকের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনির্দিষ্ট করা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধ করা, সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে গণপরিবহনগুলোতে নগন অর্থ বন্ধ করে ডিজিটাল লেনদেন চালুর দাবি জানাচ্ছি।

সংগঠনটি দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে দেশের সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেলের অবাধ চলাচল; জাতীয় মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কবাতি না থাকায় হঠাৎ ঈদে যাতায়াতকারী ব্যক্তিগত যানের চালকদের রাতে এসব জাতীয় সড়কে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চালানো; জাতীয়, আঞ্চলিক ও ফিডার রোডে টার্নিং চিহ্ন না থাকার ফলে নতুন চালকের এসব সড়কে দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছে; মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্র্যাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা; উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, বেপরোয়া যানবাহন চালানো এবং একজন চালক অতিরিক্ত সময় ধরে যানবাহন চালানো।

দুর্ঘটনার প্রতিরোধে সুপারিশগুলো হচ্ছে জরুরি ভিত্তিতে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক আমদানি ও নিবন্ধন বন্ধ করা; জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় অবাধে চলাচলের জন্য আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা; দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ, যানবাহনের ডিজিটাল পদ্ধতিতে ফিটনেস প্রদান; ধীরগতির যান ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা; সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা; মহাসড়কে ফুটপাত ও পথচারী পারাপারের ব্যবস্থা রাখা, রোড সাইন, রোড মার্কিং স্থাপন করা; সড়ক পরিবহন আইন যথাযথভাবে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রয়োগ করা; উন্নতমানের আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা; মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেইফটি অডিট করা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ গণপরিবহন ও দীর্ঘদিন যাবৎ ফিটনেসহীন যানবাহন স্ক্র্যাপ করার উদ্যোগ নেওয়া।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুরদ্রোচ্ছা খান, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ আব্দুল হক, যাত্রী কল্যাণ সমিতির সহ-সভাপতি তাওহীদুল হক লিটন, যুগ্ম মহাসচিব মনিরুল হক, প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রাসেল, মো. মহসিন প্রমুখ।


আরও খবর



মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রমের দায়িত্ব নিলো শামসুল হক ফাউন্ডেশন

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আলোচিত মিল্টন সমাদ্দারের চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ আশ্রমের সব দায়িত্ব আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশন নিয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।

সোমবার (৬ মে) মিন্টো রোডের গোয়েন্দা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান জানান, আলহাজ সামসুল হক ফাউন্ডেশনের কর্ণধারকে আপাতত মিল্টনের আশ্রমের সব দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আশ্রয় নেয়াদের আশ্রমে রেখেই তিনি চিকিৎসা করাবেন এবং একজন ডাক্তার নিয়োগ দেবেন। এই বিষয়ে ডিবি তাকে নির্দেশনা দিয়েছে।

এর আগে গতকাল রোববার সাংবাদিকদের হারুন অর রশিদ আরও বলেন, মিল্টন সমাদ্দারকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি। এতে ভয়াবহ ও লোমহর্ষক তথ্য বেরিয়ে এসেছে। মাদকাসক্ত মিল্টন মানুষের হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ উপভোগ করতেন।

তিনি বলেন, মিল্টন বিভিন্ন জায়গা থেকে বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী ও রোগাক্রান্তদের ধরে আনতেন। তাদের দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে অনুদান নিতেন, যা এসব মানুষের পেছনে খরচ করতেন না। বরং তারা অসুস্থ হলে নিজেই তাদের চিকিৎসার নামে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেটে ফেলতেন। তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা রয়েছে।’

ডিএমপির ডিবি প্রধান বলেন, মিল্টন সমাদ্দারের মতো সাইকোপ্যাথিক মানুষ কীভাবে মানবতার ফেরিওয়ালা হয়, তা আমাদের বোধগম্য নয়। তিনি যে নির্যাতন করে, ব্লেড ছুরিতে নিজেই অপারেশন করতেন, টর্চার সেলে মানুষকে পেটাতেন তাদের যে বানর বলে অভিহিত করতেন, পিটিয়ে নিস্তেজ করতেন। তিনি স্বীকার করেছেন, এসব করে তিনি পৈশাচিক আনন্দ পেতেন। আমরা তার টর্চার সেল থেকে আলামত জব্দ করেছি। কথিত অপারেশন থিয়েটার থেকে ব্লেড ছুরি জব্দ করেছি।

‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার বিভিন্ন জায়গা থেকে বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী ও রোগাক্রান্তদের ধরে এনে তাদের দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে অনুদান সংগ্রহ করতেন। কিন্তু তাদের পেছনে খরচ না করে তা জমিয়েছেন তার ব্যাংক হিসাবে।

‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার’ নামের বৃদ্ধাশ্রমের আড়ালে মিল্টন সমাদ্দারের নানা অপকর্ম নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর দেশব্যাপী তুমুল সমালোচনার ঝড় ওঠে।

যদিও কয়েকটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেন মিল্টন সমাদ্দার। নিজের পক্ষে কিছু তথ্যপ্রমাণ ও যুক্তিও তুলে ধরেন। কিন্তু তার দাবি এবং উপস্থাপিত তথ্যপ্রমাণ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মিল্টনের দেয়া বেশিরভাগ তথ্যই মিথ্যা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিল্টন সমাদ্দারের সেবামূলক কর্মকাণ্ডের রয়েছে ব্যাপক প্রচারণা।

এতে দেখা যায়, অসহায়-দুস্থ মানুষের সেবায় তিনি গড়ে তোলেন চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ নামে একটি বৃদ্ধাশ্রম। রাস্তা থেকে অসুস্থ ও ভবঘুরেদের কুড়িয়ে এনে আশ্রয় দেন বৃদ্ধাশ্রমে।

জনসেবামূলক এসব কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন সরকারি-বেসরকারি নানা পুরস্কারও। তবে যেটুকু ভালো কাজ করেছেন, প্রচার করেছেন ঢের বেশি।

এ সব অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১ মে রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করে ডিবি। এরপর আশ্রমের মৃত ব্যক্তিদের জাল মৃত্যু সনদ দেয়ার অভিযোগের মামলায় তিন দিনের রিমান্ড নেয়া হয়। রোববার (৫ মে) রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মানবপাচার আইনে মিরপুর মডেল থানার অপর এক মামলায় মিল্টন সমাদ্দারের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।


আরও খবর



প্রাথমিকের শ্রেণি কার্যক্রম শুরুর তারিখ ঘোষণা

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র তাপদাহের কারণে প্রায় দুই সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর আগামীকাল মঙ্গলবার (৭ মে) থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। সোমবার (৬ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

উপসচিব আক্তারুন্নাহারের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামীকাল মঙ্গলবার (৭ মে) থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (প্রাক-প্রাথমিকসহ), শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো পরিচালিত লার্নিং সেন্টারসমূহের শ্রেণি কার্যক্রমসহ সকল কার্যক্রম ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী যথারীতি চালু রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

এর আগে তীব্র তাপদাহের কারণে এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর গত ২৮ এপ্রিল থেকে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো খুলে দেয়া হয়। তবে তাপদাহ স্বাভাবিক পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত ক্লাসের সময় কমিয়ে আনা ছাড়াও প্রাত্যহিক সমাবেশ বা অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার শর্ত জুড়ে দেয়া হয়।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




৬৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদনের রেকর্ড

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

এবার লবণের উৎপাদন ৬৩ বছরের আগের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। মৌসুম শেষ হওয়ার সপ্তাহ দুয়েক বাকি থাকতেই এখন পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছে ২২ লাখ ৩৯ হাজার মেট্রিক টন।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) কক্সবাজার লবণ শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভুঁইয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সর্বশেষ ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি ২২ লাখ ৩২ হাজার ৮৯০ মেট্রিক টন লবণ উৎপাদিত হয়েছিল।

বিসিক সূত্র জানায়, রোববার ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, পটিয়া, কক্সবাজার, খুলনা, ঝালকাঠি ও চাঁদপুর এই আটটি জোনে উৎপাদন হয় ৩৮ হাজার ৯৭০ টন লবণ। গত বছরের একই দিনে উৎপাদন ছিল ৩০ হাজার ৮৯৫ টন। এবার এক লাখ টন লবণ উৎপাদন হওয়ার আশা করছে সংস্থাটি। মে মাসের মাঝামাঝি সময়কে চলতি মৌসুমের শেষ ধরে এই হিসাব করা হয়েছে।

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা লবণ চাষি কল্যাণ সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শফিক মিয়া বলেন, জানুয়ারির অর্ধেক পর্যন্ত লবণ উৎপাদন তেমন হয়নি; কিন্তু এখন বেশি হচ্ছে। কারণ খরা খুব বেশি। আরও ১০ থেকে ১৫ দিন এমন খরা থাকলে লবণ উৎপাদন বাড়বে।

বিসিকের কক্সবাজার লবণ শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভুঁইয়া বলেন, মৌসুমজুড়ে দাবদাহ, ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর জমির শতভাগে আধুনিক পলিথিন প্রযুক্তিতে চাষাবাদ এবং অতিরিক্ত ১ হাজার ৯৩৩ একরের বেশি জমিতে লবণ চাষের কারণে উৎপাদনে নতুন রেকর্ড হয়েছে।

জানা যায়, দেশের আটটি লবণ জোনে এবার চাষ করেছেন ৪০ হাজার ৬৯৫ জন, যা গত বছরের ৩৯ হাজার ৪৬৭ জনের চেয়ে ১ হাজার ২২৮ জন বেশি। একই সঙ্গে বেড়েছে লবণের আবাদি জমির পরিমাণও। এবার চাষ হয়েছে ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর জমিতে, যা গতবারের ৬৬ হাজার ৪২৪ একরের তুলনায় ১ হাজার ৯৩৩ একর বেশি।


আরও খবর



মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে কনডেম সেলে নয়: রায় স্থগিত

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

‘মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে ফাঁসির আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা যাবে না’ হাইকোর্টের এই রায় ২৫ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

বুধবার (১৫ মে) আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।

গতকাল (১৪ মে) আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় হাইকোর্টের এই রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

এর আগে ১৩ মে মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। দীর্ঘ সাড়ে ৩ ঘণ্টাব্যাপী রায় ঘোষণা করা হয়।

রায়ে বলা হয়েছে, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির আপিল, রিভিউ, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনার ধাপগুলো নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না। বর্তমানে মৃত্যুদণ্ড চূড়ান্ত হওয়ার আগে সারা দেশে যত আসামিকে কনডেম সেলে রাখা হয়েছে তাদের দুই বছরের মধ্যে ক্রমান্বয়ে সাধারণ সেলে রাখার কথা বলা হয়েছে। তবে, বিশেষ কারণে (স্বাস্থ্যগত কারণ, সংক্রামক রোগ) কোনো ব্যক্তিকে নির্জন কক্ষে রাখতে পারবে কারা কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির উপস্থিতিতে শুনানি হতে হবে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এমএমজি সারোয়ার পায়েল, নাসিম ইসলাম রাজু।

গত বছরের ১২ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়।

বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখেন।

গত বছরের ৫ এপ্রিল এ বিষয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কনডেম সেলে থাকা বন্দিদের বিষয়ে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয় সেদিন। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন।

২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার আগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

চট্টগ্রাম কারাগারে কনডেম সেলে থাকা জিল্লুর রহমানসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন বন্দির পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির এ রিট দায়ের করেন।

রিট আবেদনকারীরা হলেন- চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুল বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই তিন আসামির আপিল হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে।


আরও খবর