আজঃ বুধবার ২৬ জুন ২০২৪
শিরোনাম
ছাগলই মতিউরকে চিহ্নিত করেছে : বাহাউদ্দিন নাছিম বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের কল্যাণে কাজ করে: আইজিপি আনার হত্যা: সীতাকুণ্ড পাতাল মন্দিরে ২৩ দিন আত্মগোপনে ছিল ফয়সাল-মোস্তাফিজ আরও এক বছর মুখ্য সচিব থাকছেন তোফাজ্জল হোসেন মিয়া আজিজের ভাইদের এনআইডি জালিয়াতি, সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করবে ইসি মতিউরের বিরুদ্ধে গাজীপুরে বিপুল পরিমাণ সম্পদ ‘জবরদখলের’ অভিযোগ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত আ. লীগ নেতা বাবুলের মৃত্যু এস কে সিনহা ও তার ভাইয়ের মামলায় প্রতিবেদন ২ সেপ্টেম্বর ‘ব্রেস্ট ক্যানসার নিয়ে দেরিতে এলে কিছুই করার থাকে না’ মেডিকেল শিক্ষার্থীর নেতৃত্বে যৌন ব্যবসা, ৭ বছরে আয় শতকোটি

আন্তঃবাহিনী আযান ও ক্বিরাত প্রতিযোগিতা সমাপ্ত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৩ মে ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৩ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আন্তঃবাহিনী আযান ও ক্বিরাত প্রতিযোগিতা-২০২২ এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ঢাকা সেনানিবাসস্থ সেনা কেন্দ্রীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়।

আজ সমাপনী অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি) এর কমান্ড্যান্ট লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ আকবর হোসেন, এসবিপি, এসইউপি (বার), এএফডব্লিউসি, পিএসসি, জি+, পিএইচডি, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় তিন বাহিনীর প্রতিযোগীগণ এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। এই প্রতিযোগিতায় সেনাবাহিনী দল চ্যাম্পিয়ন এবং নৌবাহিনী দল রানারআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে। আযান প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট মোঃ রিয়াজ উদ্দীন আযানে ও সার্জেন্ট মোঃ আনোয়ার হোসেন ক্বিরাতে প্রথম স্থান অর্জন করেন।

এ সময় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণসহ সকল পদবীর সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।

গত ১০ মে ২০২২ তারিখে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় আযানে ১৫ জন এবং ক্বিরাতে ১৫ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন । উল্লেখ্য, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী নৌ বাহিনী প্রধান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ শফিউল আজম, এনইউপি, এনডিসি, পিএসসি।

এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে তিন বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক মনোভাবের বিকাশ ও পারস্পরিক সৌহার্দ্য আরো মজবুত হবে বলে আশা করা যায়।


আরও খবর



লাঠিতে ভর দিয়ে ভাতিজার হাত ধরে ভোট দিলেন ৯২ বছরের ইউনূস

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসাইন, চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি

Image

মো. ইউনূস। বয়স তার ৯২ বছর। এই বয়সেও ভোট দেওয়ার প্রবল ইচ্ছে জাগে তার মনে। অসুস্থ শরীর নিয়ে ঠিকমতো হাঁটতে পারেন না, তারপর ভোট দেবেন তিনি। তার এই আগ্রহ দেখে তার ভাতিজা তাকে ভোট দিতে কেন্দ্রে নিয়ে আসেন। লাঠিতে ভর দিয়ে ভাতিজার হাত ধরে কেন্দ্রে এসে ভোট দেন ইউনূস। ভোট দিতে পেরে অনেক খুশি তিনি।

বুধবার (৫ জুন) সকাল ১০টার দিকে মনপুরা উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড ১১ নম্বর সাকুচিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন ইউনূস। তিনি ওই একই এলাকার বাসিন্দা।

ভোট দেওয়ার পর ইউনূস তার অনুভূতির কথা জানান। তিনি বলেন, বয়স প্রায় শেষ। দীর্ঘদিন ধরে আমি অসুস্থ। ঠিকমতো হাঁটা-চলা করতেও পারি না। ভাবলাম জীবনে শেষবারের মতো উপজেলা নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেই। সেকারণেই কেন্দ্রে আসা। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরে আমি আনন্দিত। আমার ভাতিজা কেন্দ্রে আসতে আমাকে সহযোগিতা করেছে। তার সহযোগিতায় আমি ভোট দিতে পেরেছি।

বৃদ্ধের ভাতিজা মো. শহিদ বলেন, ভোট দেওয়া গণতান্ত্রিক অধিকার। আমার চাচা শেষ বয়সে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে আসেন। তার ভোট দেওয়ার আগ্রহ দেখে তাকে কেন্দ্রে নিয়ে আসি। এই বৃদ্ধ বয়সে, অসুস্থ শরীর নিয়ে তার ভোট দেওয়ার আগ্রহ দেখে পরিবারের সবাই অবাক।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মো.আলমগীর হোসেন জানান, সকাল থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। নির্বাচন সুস্থ ভবে হচ্ছে। তাছাড়া দুইটি উপজেলায় পুলিশ ও আনসার সদস্য ছাড়াও কাজ করছে র‌্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসার, পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। দুইটি উপজেলার একটি পৌরসভাসহ ২৬টি ইউনিয়নে ৩১ জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত আছেন। অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

চরফ্যাশন ও মনপুরা এই দুই উপজেলায় ৩টি পদে মোট ১৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এই দুই উপজলায় ২৬টি ইউনিয়নের ১৫৫টি ভোট কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ চলছে। তা বিরতিহীনভাবে চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। এরপর ব্যালট গণনা শেষে ফল ঘোষণা করা হবে।

নিউজ ট্যাগ: ভোলার চরফ্যাশন

আরও খবর



ঘূর্ণিঝড় রেমাল: ২০ জেলায় ক্ষতি ৭ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দেশের ২০ জেলায় ৬ হাজার ৮৮০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান।

রবিবার (২ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে ঘূর্ণিঝড় রেমালের সার্বিক বিষয় নিয়ে আন্ত:মন্ত্রণালয় সভা শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ২৬ মে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানে। এর প্রভাবে উপকূলীয় বেশকিছু এলাকায় জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়। যার ফলে এসব এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়। এ ছাড়া ১৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। বেশকিছু রাস্তাঘাট, বেড়িবাঁধ, ঘরবাড়ি ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

তিনি বলেন, আমরা গত কয়েকদিন থেকেই দুর্যোগ প্রস্তুতির জন্য নানা কার্যক্রম গ্রহণ করেছি। সরকারের সব বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দুর্যোগপূর্ণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। এখন দুর্যোগ পরবর্তী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছি। ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানার পরদিন আমি ব্যক্তিগতভাবে উপকূলীয় জেলার সংসদ সদস্যদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে স্থানীয়দের খোঁজখবর নিয়েছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত ১৯ জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের অনুকূলে ত্রাণকার্যে নগদ পাঁচ কোটি ৭৫ লাখ টাকা, পাঁচ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল, ৯ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ২০০ বান্ডিল ঢেউটিন, গো- খাদ্যের জন্য দুই কোটি ৪৫ লাখ টাকা এবং শিশু খাদ্য কেনার জন্য দুই কোটি ৪৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বিভাগ, দপ্তর-সংস্থা, স্থানীয় প্রশাসন, বিভিন্ন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ আওয়ামী লীগের এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের পরপরই আমি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা খুলনার কয়রা, ভোলার চরফ্যাশন এবং পটুয়াখালীর কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী পরিদর্শন করেছি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ ও জরুরি সেবা পৌঁছানো নিশ্চিত করেছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত ৩০ জুন প্রধানমন্ত্রী ঘূর্ণিঝড় রেমাল এলাকা পরিদর্শনের জন্য পটুয়াখালীর কলাপাড়া পরিদর্শন করেন এবং ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্তদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন।

তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে সিলেট, সুনামগঞ্জ ও দিনাজপুর জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যার্তদের সাহায্যে সিলেট জেলায় ২০ লাখ টাকা নগদ অর্থ, ৫০০ মে. টন চাল, ১০ লাখ টাকার গো-খাদ্য এবং ১০ লাখ টাকার শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে সুনামগঞ্জ জেলায় ১৫ লাখ টাকা নগদ অর্থ, ৫ লাখ টাকার গো-খাদ্য এবং ৫ লাখ টাকার শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। একইভাবে দিনাজপুর জেলায় ১৫ লাখ টাকার নগদ অর্থ এবং ৩ লাখ টাকার শুকনো ও অন্যান্য খাবার বরাদ্দ করা হয়েছে।


আরও খবর



সম্পত্তি লিখে নিয়ে মাকে মেরে বের করে দিল সন্তান

প্রকাশিত:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৮ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মীর ইমরান, মাদারীপুর

Image

মাদারীপুরের মায়ের সম্পত্তি ও ব্যাংকে থাকা অর্থ হাতিয়ে নিয়ে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বড় ছেলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় বৃদ্ধা সৈয়দা শান্তি নাহার (৭০) ছেলেকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।

শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ডাসার উপজেলার পূর্ব ডাসার গ্রামের শান্তি নাহার নামে এক বৃদ্ধা তার বড় ছেলে সৈয়দ জানে আলম স্বপনের কাছে ছিলেন। অসুস্থ মাকে দেখশোনা করার কথা বলে তার কাছে বেশ কিছুদিন রাখেন। এ সময় মায়ের নামে থাকা মাদারীপুর শহরের একটি বাড়ির জমি স্বপন লিখে নিয়েছেন। এ ছাড়াও তার জমি বিক্রির ব্যাংকে থাকা অর্থ আত্মসাৎ করছেন তার বড় সন্তান সৈয়দ জানে আলম।

বৃদ্ধা মায়ের অভিযোগ, সম্পত্তি ও টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়ে তিন দিন খাবার না দিয়ে বড় সন্তান ও তার স্ত্রী বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন।

এ ঘটনায় প্রতারণা করে সম্পত্তি ও টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলে মাদারীপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন বৃদ্ধা। মামলায় বড় সন্তান সৈয়দ জানে আলম স্বপন ও তার স্ত্রী কাজী শিবলী আক্তার রুমা এবং তার নাতনী সৈয়দ রাহুল আলম শুভকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সৈয়দা শান্তি নাহার নামে ওই বৃদ্ধার স্বামী বছর তিনেক আগে মারা গিয়েছে। ওয়ারিশ হিসেবে রেখে গেছেন, তিন সন্তান, এক মেয়ে। স্বামীর মৃত্যুর পরে চিকিৎসাজনিত কারণে মাদারীপুর শহরে তার বড় ছেলের বাড়িতে থাকেন তিনি। নগদ টাকার প্রয়োজনে ৫২ লাখ টাকার জমি বিক্রি করেন। সেই টাকা বড় সন্তানের কাছে গচ্ছিত রাখেন। কিছুদিন তিনি অসুস্থবোধ করলে চিকিৎসার কথা বলে বড় ছেলে জানে আলম ও তার স্ত্রী রুমা এবং তার সস্তান শুভ অজ্ঞাত একটি বিল্ডিংয়ে নিয়ে যায়। এ সময় হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে বলে কিছু কাগজপত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়। এর কিছুদিন পরে জানতে পারেন তার বাড়ির তিন শতাংশ জমি হেবা দলিলের মাধ্যমে বড় সন্তান জানে আলম তার নামে লিখে নিয়েছেন।

এ ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে তার একাধিক সম্পত্তি প্রতারণা করে অন্যদের দলিল করিয়ে দেন। বিষয়টি জানার পরে তার বড় ছেলের কাছে জমি বিক্রির টাকাসহ মোট ৭১ লাখ টাকা এবং তিন শতাংশ জমি ফেরত চাইলে টাকা ও জমি ফেরত দিতে অস্বীকার করে। পরে মামলা করা হুমকি দিলে সৈয়দ জানে আলম স্বপন বৃদ্ধা শান্তি নাহারকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি ও লাথি মেরে ঘর থেকে বের করে দেয়।

ঘটনার পরে তার মেঝ ছেলে সৈয়দ মুক্তি তার মাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা করেন।

ভুক্তভোগী সৈয়দা শান্তি নাহার বলেন, প্রতারণার মাধ্যমে আমার ছেলে সৈয়দ জানে আলম ও তার স্ত্রী কাজী শিবলী আক্তার রুমা জায়গাজমি অর্থ সম্পদ আত্মাসাৎ করে, আমাকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। এমন কুলাঙ্গার সন্তান আমার দরকার নেই। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

নির্যাতনের শিকার বৃদ্ধার দেবর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আলমগীর বলেন, আমার ভাতিজা স্বপন আমার সামনে ওর মাকে মারধর করেছে। এমন কুলাঙ্গার সন্তান আমি কখনো দেখিনি। ওর দৃষ্টান্তমূলক বিচার হওয়ার উচিত। যাতে কেউ মায়ের গায়ে হাত তুলতে না পারে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সৈয়দ জানে আলম স্বপন বলেন, এ ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমার মা মিথ্যা কথা বলছে। জমি বিক্রি করে তার টাকা তাকে দেওয়া হয়েছে। সে তার টাকা তুলে চিকিৎসার জন্য খরচ করছে। তার জমি বিক্রির বাকি টাকা তার অ্যাকাউন্টেই আছে।

ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, বৃদ্ধা মাকে পুলিশের পক্ষ থেকে আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ডাসারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কানিজ আফরোজ বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। মাকে তার সন্তান মারধর করবে এটা সভ্য সমাজে মেনে নেওয়ার মতো নয়। অভিযুক্ত সন্তানের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

নিউজ ট্যাগ: মাদারীপুর

আরও খবর



উত্তর কোরিয়া সফর শেষে ভিয়েতনামে পুতিন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২০ জুন ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

উত্তর কোরিয়া সফর শেষে ভিয়েতনাম গেলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দুদিনের সফরে আজ বৃহস্পতিবার ভোরে হ্যানয়ে পৌঁছান তিনি।

এ সময় বিমানবন্দরে পুতিনকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। অভ্যর্থনা জানান ভিয়েতনামের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ত্রান হং হা এবং কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষ কূটনীতিকরা।

এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো ভিয়েতনাম সফরে গেলেন পুতিন। সফরে তিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট তু লাম, প্রধানমন্ত্রী ও কমিউনিস্ট পার্টি প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এছাড়াও আলোচনা করবেন বাণিজ্য, আঞ্চলিক রাজনীতি ও পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে।

উল্লেখ্য, গত মে মাসে পঞ্চম মেয়াদে দায়িত্বগ্রহণের পর এটি পুতিনের তৃতীয় বিদেশ সফর। এর আগে, বুধবার বহুল আলোচিত উত্তর কোরিয়া সফরে যান পুতিন। গার্ড অব অনারসহ জমকালো সংবর্ধনা দেওয়া হয় তাকে। দুপক্ষের কৌশলগত নিরাপত্তা বিষয়ক চুক্তি হয় বলেও জানা গেছে।


আরও খবর



নতুন কোচ নিয়োগ দিলো বিসিবি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ৩০ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

গত ফেব্রুয়ারিতে টাইগারদের ব্যাটিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ডেভিড হেম্প। এরপর থেকেই এইচপির প্রধান কোচের পদটি ফাঁকা ছিলো। সেই পদ পূরণের জন্য কোচের খুঁজে ছিলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। অবশেষে সেই পদে নতুন কোচ নিয়োগ করেছে বিসিবি।

এইচপির হেড কোচ চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিলো বিসিবি। যার প্রেক্ষিতে আগ্রহী প্রার্থীরা দিতে থাকে আবেদনপত্র। সেখান থেকে দুইজন প্রার্থীকে চূড়ান্ত সংক্ষিপ্ত তালিকায় রাখেন হেড অব প্রোগ্রাম ডেভিড মুর। এইচপির প্রধান কোচ হওয়ার দৌড়ে ছিলেন জিম্বাবুয়ের ডিওন ইব্রাহিম এবং অস্ট্রেলিয়ার নাথান মিচেল হরিতজ। দুজনের শেষ লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত জিতলেন নাথান।

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারকে প্রাধান্য দিয়ে বিসিবি শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার সাবেক স্পিনার নাথানকেই বেছে নিয়েছে এইচপির প্রধান কোচ হিসেবে। নতুন এই কোচ নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিসিবির এইচপি চেয়ারম্যান নাঈমুর রহমান দুর্জয়।

৪২ বছর বয়সী নাথান অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে ৫৮ ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ৬৩ উইকেট। ১৭ টেস্টে তার রয়েছে ৬৩টি উইকেট। এছাড়া ক্যারিয়ারের শেষ দিকে তিন টি-টোয়েন্টি খেলার সুযোগও পেয়েছিলেন তিনি। ২০২৩ সালে আয়ারল্যান্ড জাতীয় দলের স্পিন বোলিং কোচ ছিলেন তিনি।


আরও খবর