আজঃ বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

আরও এক বার বলিউডে প্রভাস

প্রকাশিত:সোমবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৬ জানুয়ারী ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

এক জন সর্বভারতীয় ছবির বাজারে পরিচালকের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন। অন্য জন আবার হিন্দি অ্যাকশন ছবির ঘরানায় চর্চিত নাম। বলা হচ্ছে প্রভাস এবং পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দের কথা। আর সব যদি ঠিক থাকে তা হলে এ বার একই ছবিতে দেখা যেতে পারে এই নতুন জুটিকে। সম্প্রতি, দক্ষিণের একটি জনপ্রিয় চ্যাট শোয়ে ছবির প্রযোজক এই তথ্য সামনে এনেছেন।

তেলুগু ছবির বর্ষীয়ান অভিনেতা নন্দামুরী বালকৃষ্ণর সঞ্চালনায় একটি চ্যাট শো দক্ষিণী বৃত্তে বেশ জনপ্রিয়। এই শো-এ অতিথি হিসাবে হাজির হয়েছিলেন কন্নড় ছবি মিথরির প্রযোজক নবীন ইয়েরনেনি। তাঁর সংস্থাই আবার অল্লু অর্জুনের পুষ্পা ২: দ্য রুল ছবিটির অন্যতম প্রযোজক। সঞ্চালকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, সলমন খানের সঙ্গে তাঁদের সংস্থা একটি ছবি নিয়ে একপ্রস্ত কথাবার্তা সেরেছে। কিন্তু এখনও সেই ছবি চূড়ান্ত হয়নি। কিন্তু প্রভাসের সঙ্গে তাঁরা যে ছবিটি ভেবেছেন সেই ছবির চিত্রনাট্য চূড়ান্ত হয়েছে। দেশের বিভিন্ন লোকেশন ছাড়াও বিদেশে হবে ছবির শুটিং। নবীনের কথায়, এই ছবিটা পরিচালনার জন্য আমরা বলিউড থেকে সিদ্ধার্থ আনন্দকে বেছেছি।

এই মুহূর্তে প্রভাস দুটি ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত। পরিচালক প্রশান্ত নীলের সঙ্গে চলছে সালার ছবি। এছাড়াও নাগ অশ্বিনের পরিচালনায় চলছে প্রোজেক্ট কে ছবির শুটিং। অন্য দিকে সিদ্ধার্থ আপাতত পাঠান ছবির মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছেন। তার পর তিনি হৃতিক রোশনকে নিয়ে শুরু করবেন ফাইটার ছবির শুটিং।


আরও খবর



অপারেশন পরবর্তী ঝুঁকি থেকে এখনো মুক্ত নন খালেদা জিয়া

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কিছু উন্নতি হয়েছে। তবে, অপারেশন পরবর্তী ঝুঁকি থেকে এখনো তিনি মুক্ত নন। সেই কারণে এখনো চিকিৎসকদের বাইরে অন্য কাউকে তার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না।

বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমানে খালেদা জিয়া কেবিনে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবক্ষেণে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিয়মিত তার শারীরিক অবস্থার পর্যালোচনা করছেন চিকিৎসকরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওষুধের পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এখনো তিনি ভারী খাবার খেতে পারেন না। তরল জাতীয় খাবার দেওয়া হচ্ছে তাকে।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত সচিব এবি এম আব্দুস সাত্তার এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ম্যাডামের অবস্থা খুব বেশি ভালো নয়। উনাকে কেবিনে রেখে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা। ম্যাডাম এমনিতে খাবার কম খান। এখন শুধু উনাকে তরল স্যুপ ও জাউ জাতীয় খাবার দেওয়া হচ্ছে।

এর আগে, খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ম্যাডাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। উনার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। উনার শারীরিক অবস্থা আগের চাইতে উন্নতি কিংবা অবনতি হয়নি। আগের মতোই আছেন তিনি।

বিএনপির চিকিৎসক একজন নেতা বলেন, অপারেশনের পর ম্যাডামের অবস্থা এখন কিছুটা উন্নতির দিকে। কিন্তু অপারেশন পরবর্তী ইনফেকশন হওয়ার একটা ভয় থাকে। যার কারণে কাউকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। কেবিনে চিকিৎসকদের বাইরে শুধু তার ব্যক্তিগত স্টাফরা রয়েছেন।

গত ২৩ জুন খালেদা জিয়ার হৃদযন্ত্রে পেসমেকার বসানো হয়। দেশি-বিদেশি চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসা চলছে। গত ২১ জুন মধ্যরাতে খালেদা জিয়ার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়।


আরও খবর



ঈদযাত্রার ১৩ দিনে সড়কে ঝরেছে ২৬২ প্রাণ

প্রকাশিত:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৪ জুন 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল আজহা ঘিরে ১৩ দিনে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ২৬২ জন নিহত এবং ৫৪৩ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (২৪ জুন) রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, ঈদযাত্রার ১১ থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত ২৫১টি সড়ক দুর্ঘটনায় এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১০৪ জন, যা মোট নিহতের ৩৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ।

এ ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে নারী ৩২ জন, শিশু ৪৪ জন, পথচারী ৪৯ জন, যানবাহনের চালক ও সহকারী ২৮ জন রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই সময়ে সাতটি নৌ-দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত এবং ১৬টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত হয়েছেন।

দুর্ঘটনায় ৯৯৮ কোটি ৫৫ লাখ ৩৭ হাজার টাকার মানবসম্পদের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজিকে উল্লেখ্যযোগ্য বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

নয়টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।


আরও খবর



দুই স্ত্রী-দুই সন্তানসহ মতিউরের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ছাগলকাণ্ডে আলোচিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা মতিউর রহমানসহ তার দুই স্ত্রী ও দুই সন্তানের সম্পদের বিবরণ জমা দিতে নোটিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো পৃথক চিঠিতে তাদের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

নোটিশপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন- মতিউরের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ, প্রথম পক্ষের ছেলে আহাম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণব, মেয়ে ফারজানা রহমান (ইপসিতা), দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার। দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নোটিশগুলোতে বলা হয়, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করে দুদকের স্থির বিশ্বাস জন্মেছে যে, আপনারা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত স্বনামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ/সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। নিজ ও আপনাদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তির নামে-বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী কমিশনে দাখিল করবেন।

এ আদেশ পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে সম্পদ বিবরণী দাখিলে ব্যর্থ হলে কিংবা মিথ্যা সম্পদ বিবরণী দাখিল করলে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ৫(২) ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।

মতিউর রহমানের দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য অনুসন্ধানে গত ২৩ জুন তিন সদস্যের টিম গঠন করে দুদক। সংস্থাটির উপপরিচালক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্ব টিম কাজ করছে। গত ৪ জুন তার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ জমা হওয়ার পর কমিশনের পক্ষ থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

গত ২৪ জুন মতিউর রহমান, তার স্ত্রী লায়লা কানিজ ও ছেলে আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।

এনবিআর সদস্য এবং কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে গত দুই যুগে চারবার দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগ পৃথকভাবে অনুসন্ধান করে দুদক। প্রতিবারই দুদক থেকে অব্যাহতি পান তিনি। বর্তমানে তাকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে বদলি করা হয়েছে।

এর আগে গত ৩০ জুন মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদের তথ্য চেয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে চিঠি দিয়েছে দুদক।

সূত্র জানায়, মতিউর ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পদের তথ্য চেয়ে এনবিআর, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), নিবন্ধন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ এবং যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তরে চিঠি দিয়েছে দুদক।


আরও খবর



‘জয় বাংলা ম্যারাথনে’ দৌড়ালেন ৩৫০০ অংশগ্রহণকারী

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর হাতিরঝিলে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল জয় বাংলা ম্যারাথন-২০২৪। বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাথলেটিক্স ও সাইক্লিং ক্লাবের উদ্যোগে এ  হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা তিন হাজার ৫০০ দৌড়বিদ অংশ নিয়েছেন। শুক্রবার (৭ জুন) ভোর ৫টায় শুরু হয়ে ম্যারাথন শেষ হয় সকাল ৯ টায়।

প্রধান অতিথি হিসেবে ম্যারাথন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

পুলিশ জানায়, ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রাত ৩টা থেকে হাতিরঝিলে ৬৫০ জন পুলিশ সদস্যকে আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় মোতায়েন ছিল।

এতে ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে সম্পূর্ণ অনুষ্ঠান পর্যবেক্ষণ করা হয়। স্ট্যান্ডবাই হিসেবে রাখা হয় এক্সপ্লুসিভ রিকভারি অ্যান্ড বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ক্রাইম সিন টিম, ডগ স্কোয়াড এবং সোয়াট টিম।

এদিকে সকাল ১০টার পর হাতিরঝিলে জয় বাংলা ম্যারাথনে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বনজ কুমার মজুমদার এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা করবেন পুলিশ অ্যাথলেটিক্স ও সাইক্লিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান।

আরও খবর



বাজেট: বরাদ্দ কমল বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের গুরুত্ব বিবেচনায় আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এ খাতে মোট ৩০ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ খাতে ২৯ হাজার ২৩০ কোটি টাকা এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ খাতে ১ হাজার ৮৭ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জন্য বরাদ্দ বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ রাখা হয় ৩৪ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা। সে হিসেবে আগামী অর্থবছরে এ খাতে মোট ৪ হাজার ৫০২ কোটি টাকা কম বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে। যদিও সংশোধিত বাজেটে বরাদ্দ কমিয়ে ২৮ হাজার ৩১৮ কোটি টাকা করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ বাজেট প্রস্তাব পেশ করেন।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী জানান, বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এরই মধ্যে শতভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০০৯ সালে ছিল মাত্র ৪ হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট, যা বর্তমানে ৩০ হাজার ২৭৭ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াটে এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উন্নয়ন ও ব্যবহার বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করতে ১০০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দের প্রস্তাব করেন তিনি।

জ্বালানি খাতে অগ্রগতির কথা তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে আমাদের গ্যাসের উৎপাদন ছিল দৈনিক ১ হাজার ৭৪৪ মিলিয়ন ঘনফুট, যা বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে প্রায় ২ হাজার ১০০ মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত হয়েছে। পাশাপাশি দৈনিক প্রায় ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫০ মিলিয়ন ঘনফুট আমদানিকৃত এলএনজি জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হচ্ছে। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি হতে জানুয়ারি ২০২৪ সময় পর্যন্ত প্রায় ১৪ মিলিয়ন টন কয়লা উত্তোলন করা হয়েছে। দেশের ক্রমবর্ধমান গ্যাসের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যে অনশোর এলাকায় তেল/গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের জন্য ৪৮টি কূপ খনন ও ওয়ার্কওভার করার পরিকল্পনা রয়েছে।

সামুদ্রিক খনিজ ও অন্যান্য সম্পদের আহরণ এবং এর সুষ্ঠু ব্যবহারের গুরুত্ব বিবেচনায় সুনীল অর্থনীতি খাতে গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রমের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।


আরও খবর