আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মার্চ ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি

Image

নরসিংদীর রায়পুরায় ভৈরব রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সানিয়া আক্তারকে (১৯) আত্মহত্যায় পরোচনা দেওয়ার অভিযোগে তাঁর স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী।

শনিবার (৪ মার্চ) উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মাহমুদাবাদ নামাপাড়া এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে কয়েক শতাধিক লোকজন অংশ নিয়ে জড়িতদের বিচার দাবি জানিয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, নিহত কলেজছাত্রী সানিয়ার চাচা আব্দুল বাতেন হাজারী, স্থানীয়দের মধ্যে আলমগীর কবির, দেলোয়ার হোসেন, সোলাইমান কাদের, সোবর হাজারী, আব্দুল হামিদ ও একেএম মিলন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বিয়ের পর থেকেই সানিয়াকে চরম অবহেলা ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলেন তাঁর স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির লোকেরা। এ সর্ম্পকও মেনে নেননি তাঁরা। এতে চরম ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন সানিয়া। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে আত্মহননের পথ বেচে নেন তিনি। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছে তাঁর স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি। এ সময় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি জানান তাঁরা।

জানা গেছে, ছয়মাস আগে পরিবারকে না জানিয়ে ভালোবেসে কলেজ ছাত্রী সানিয়া আক্তারকে বিয়ে করেন একই ইউনিয়নের মাহমুদাবাদ এলাকার বাসিন্দা সাজ্জাদ হোসেন সাজিদ। পরে বিয়ের কথা জানাজানি হলে, প্রথমে সাজিদের বাবা সানাউল্লাহ অভি এ সর্ম্পক মেনে নিলেও পরক্ষণে তা অস্বীকার করেন।

এ দিকে স্বামীর অবেহেলা ও শ্বশুরবাড়ি লোকজনের মানসিক নির্যাতনের কারণে ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন ওই কলেজ ছাত্রী। পরে ২৮ ফেব্রুয়ারী ফাঁকা বাসায় আত্মহত্যা করেন সানিয়া। এ ঘটনার পর সাজিদ ও তাঁর মা-বাবাকে আসামি করে রায়পুরা থানায় একটি অভিযোগ করেন নিহত কলেজছাত্রীর মা বিলকিছ বেগম।

রায়পুরা থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। জড়িতদের ধরতে চেষ্টা চলছে।

নিউজ ট্যাগ: নরসিংদী

আরও খবর



জয়পুরহাটে পানির দামে বিক্রি হচ্ছে দুধ!

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের কালাইয়ে দুধের চাহিদা না থাকায় এক লিটার গরুর দুধ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। অথচ উপজেলার অনেক বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের এক লিটার বোতলজাত পানি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। পানির দামে দুধ বিক্রি হওয়ায় উপজেলার শত শত দুগ্ধ খামারিরা দুঃচিন্তা ও হতাশায় ভুগছেন এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

কালাই প্রেসক্লাবের মাঠের সামনে সপ্তাহে পাঁচ দিন দুধের বাজার বসে। সেখানে শুক্রবার দুধ বিক্রি করতে আসা কয়েকজন খামারি ও কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একজন খামারির ১০ লিটার দুধ উৎপাদনে একটি দুগ্ধবর্তী গাভীর জন্য ভুসি, খৈল, ঘাস, ভিটামিন, বিদ্যুৎ বিল, লবণ, মজুরি, চিকিৎসাসহ খরচ হয় প্রায় ৬০০ থেকে থেকে ৬৫০ টাকা। একজন কৃষকের ১০ লিটার দুধ উৎপাদনে খরচ হয় ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা। এক লিটার দুধ বিক্রি করে প্রায় ৩০ টাকা দুগ্ধ খামারির লোকসান হয় এবং একজন কৃষকের এক লিটার দুধ বিক্রি করে প্রায় ২০ টাকা লোকসান হচ্ছে।

দুধ বিক্রি করতে আসা কৃষক সোহেল, আনোয়ার, নুরনবীসহ আরও অনেকে জানান, সিন্ডিকেটের কারণে দুধের বাজার কমে যায়। তারা প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চান।

দুধ কিনতে আসা জাহিদুল, খন্দকার আরিফ, জামাল ও সোহরাব হোসেন জানান, কিছু দিন আগে ঈদুল ফিতরের সময় প্রচুর পরিমাণ দই ও মিষ্টি বিক্রি হওয়ার কারণে মানুষ দই, মিষ্টি কিনছে না। এ কারণে অল্প দিনের জন্য দুধের বাজার কম।

স্থানীয় খামারির মালিক আব্দুল আলিম সরকার ও শাহারুল জানান, দুধ বিক্রির জন্য নির্ধারিত ক্রয়কেন্দ্র প্রয়োজন। কিন্তু তাদের এখানে নেই। ক্রেতা না পেয়ে লোকসান করেই দুধ বিক্রি করতে হয়। সরকার যদি খামারিদের দিকে নজর না দেয়, তাহলে অনেকেই দুগ্ধ খামারির পেশা থেকে সরে আসবেন।

কালাই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হাসান আলী জানান, দুধের বাজার স্বাভাবিক রাখতে জয়পুরহাটে দ্রুতই দুধ সংগ্রহকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এতে করে খামারি ও কৃষকরা ন্যায্য দামে দুধ বিক্রি করতে পারবেন।


আরও খবর



জয়পুরহাটে হত্যার ২১ বছর পর ১৯ জনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার হরেন্দা গ্রামের আব্দুর রহমান নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার ২১ বছর পর রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে মামলার ১৯ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের অতিরিক্ত দায়রা জজ নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।

একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জজকোর্টের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) উদয় সিংহ রায়।

তিনি বলেন, পাঁচবিবি উপজেলার আব্দুর রহমান হত্যা মামলার রায়ে ১৯ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়াও তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।


আরও খবর



ধর্ম নিয়ে কটূক্তি: জবি শিক্ষার্থীর পাঁচ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী তিথি সরকারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৩ মে) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ রায় ঘোষণা করেন।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী জুয়েল মিয়া গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে আবু মুসা রিফাত নামে এক ব্যক্তি মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগ বলা হয়, আসামি তিথি সরকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের একজন শিক্ষার্থী। তিনি ১৬ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ইচ্ছাকৃতভাবে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করেন। যা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে।

আসামি তিথি সরকার বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের (জ.বি) শাখার দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার কারণে তাকে সংগঠন থেকে বরখাস্ত করা হয়। একই অভিযোগে ২০২০ সালের ২৬ অক্টোবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত আদেশে তিথি সরকারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়।


আরও খবর



প্রাথমিক বিদ্যালয়ও খুলছে কাল, বন্ধ থাকবে প্রাক-প্রাথমিক

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

আগামীকাল রোববার থেকে খুলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়। আজ শনিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলমান তাপদাহের কারণে কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহ ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারসমূহে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু করতে বিজ্ঞপ্তিতে কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়, আগামীকাল রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চলমান থাকবে; একশিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়সমূহ প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে; দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়সমূহে প্রথম শিফট সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট ৯টা ৪৫ মিনিট থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলমান থাকবে।

তবে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এছাড়া তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




চট্টগ্রামে পাসের হার বাড়লেও কমেছে জিপিএ ৫

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৮২ দশমিক ৮০ শতাংশ। যা গতবছর ছিল ৭৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। সে হিসেবে এ বছর চার দশমিক ৫১ শতাংশ বেড়েছে পাসের হার।

এবার জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ হাজার ৮২৩ জন পরীক্ষার্থী। গত বছর যে সংখ্যা ছিল ১১ হাজার ৪৫০। অর্থাৎ, পাসের হার বাড়লেও চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে এবার কমেছে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা।

রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড মিলনায়তনে ফলাফল ঘোষণা করেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এএমএম মুজিবুর রহমান।

এর আগে, সকাল সোয়া ১০টার দিকে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ফলাফলের সারসংক্ষেপ ও পরিসংখ্যান তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। এরপর ফল প্রকাশের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে ১১টায় ফলাফল নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং অনলাইনে একযোগে ফল প্রকাশ করা হয়।

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এবার ছাত্র পাসের হার ৮২ দশমিক ২৯ শতাংশ ও ছাত্রী পাসের হার ৮৩ দশমিক ২১ শতাংশ। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাঁচ হাজার ৭৩ জন ছাত্র ও পাঁচ হাজার ৭৫০ জন ছাত্রী।

গতবছর ছাত্র পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ ও ছাত্রী পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৭২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ছিল পাঁচ হাজার চারজন। ছাত্রী ছয় হাজার ৪৪৬ জন।

বিভাগভিত্তিক ফলাফলে এগিয়ে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ বিভাগে পাসের হার ৯৪ দশমিক ৫২ শতাংশ। মানবিকে পাসের হার ৭৩ দশমিক ২৩ ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পাসের হার ৮৪ দশমিক ১১ শতাংশ।

এবারের পরীক্ষায় এক হাজার ১২৫টি প্রতিষ্ঠানের জন্য কেন্দ্র ছিল ২১৯টি। পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৬৩ হাজার ৫৮১ জন ও ছাত্রী ৮১ হাজার ৪৪৩ জন। তিন বিভাগেই বেড়েছে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা।


আরও খবর