বিশ্ব অর্থনীতি টালমাতাল অবস্থার মধ্যে বৃহস্পতিবার (৯জুন) ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট জাতীয় সংসদে ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কৃষি, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ, কর্মসংস্থান ও শিক্ষা খাতসহ বেশ কিছু খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। বাজেট বাস্তবায়নে এক ডজন চ্যালেঞ্জের মুখে সরকার। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়ন হলে দেশের অর্থনীতি আগের তুলনায় অনেক শক্তিশালী হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, এই বাজেট বাস্তবায়ন অনেক কঠিন। তবে বাস্তবায়ন হলে দেশের অর্থনীতি আগের থেকে শক্তিশালী অবস্থায় পৌঁছবে। এ ছাড়া বাজেটে ঘাটতি কিছুটা বাড়িয়ে বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ আরো বাড়ানো যেত। প্রস্তাবিত বাজেটে মূল চ্যালেঞ্জগুলো হলো- মূল্যস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, বেসরকারি বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়ানো, পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখা, জিডিপির প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা, রাজস্ব বৃদ্ধি, ভর্তুকি ও ঘাটতির অর্থের জোগান, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখা, ব্যাংক ঋণের সুদের হার স্থিতিশীল রাখা, রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বাড়ানো, সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতা বাড়ানো এবং নতুন দারিদ্র্য ঠেকানো।
বাজেট জিডিপি প্রবৃদ্ধির টার্গেট বাড়ানো হয়েছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। বিশ্বজুড়েই নিত্যপণ্যের দামে হাহাকার চলছে। বাজেট ঘোষণার দিনই ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানো হয়েছে কেজিতে ৭ টাকা। আগে থেকেই তেলের দামে পুড়তে থাকা সাধারণ মানুষের জ্বালা আরো বাড়িয়েছে এই মূল্য বৃদ্ধি। শুধু তেলেই নয়, সব পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখাই সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। দেশের সর্ববৃহৎ বাজেটে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করে জিনিসপত্রের দাম যেন থাকে নাগালের মধ্যে রাখার প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের। পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরানোর যে সুযোগ দেয়া হয়েছে তা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কর দিয়ে পাচার হওয়া অর্থ বৈধ করাকে অনেকে অনৈতিক বললেও সরকার বলছে, এই দেশে আসলে তো কোনো লস নেই। না এলে দেশের আরো ক্ষতি। যদিও পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফেরা নিয়ে রয়েছে সংশয়।
সূত্র মতে, করোনার কারণে গত দুই অর্থবছর দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য মন্দা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। বিশ্ব বাজারে জ্বালানি ও সারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে সরকারের ভর্তুকির পরিমাণও বাড়াতে হচ্ছে। ভর্তুকির এ অর্থ জোগাতে এবার রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এনবিআর বহির্ভূত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। করবহির্ভূত রাজস্ব (এনটিআর) আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৪৫ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে এ দুই খাতে আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে যথাক্রমে ১৬ হাজার কোটি টাকা ও ৪৩ হাজার কোটি টাকা। সে হিসাবে নতুন বাজেটে আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ছে যথাক্রমে ১৩ শতাংশ ও ৫ শতাংশ। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জ্বালানি ও সারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে চাপ সামলাতে এবার অনেক ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে সরকার। ভর্তুকি ও প্রণোদনায় ৮২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা ব্যয় করার প্রস্তাব করা হয়েছে। যা চলতি অর্থবছরে ছিলো ৫৩ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। যা জিডিপির ১ দশমিক ৯০ শতাংশ। বিভিন্নখাতে এই ভর্তূকি ও প্রণোদনার প্রস্তাব করা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আশা করছেন, ভর্তুকি, প্রণোদনা এবং নগদ ঋণ বৃদ্ধির ইতিবাচক প্রভাব বৈশ্বিক ঝুঁকি থেকে অর্থনীতিতে নতুন করে উদ্দীপনা জোগাবে। এটা একদিকে দেশের অর্থনীতির স্থিতিশীলতা রক্ষায় যেমন কাজ করবে, তেমনি উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করে জনগণকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির চাপ থেকেও স্বস্তি দেয়া সম্ভব হবে। ভর্তুকি হিসেবে ব্যয় করা হবে ৪২ হাজার ৪৫ কোটি টাকা, প্রণোদনা হিসেবে ৩০ হাজার ৭০০ কোটি এবং নগদ ঋণ হিসেবে ১০ হাজার কোটি টাকা। আন্তর্জাতিক বাজারে তেল, গ্যাস ও সারের মূল্যের সাম্প্রতিক যে গতি-প্রকৃতি, তাতে ভর্তুকি ব্যয় ১৫-২০ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা বাজেট বাস্তবায়নে একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ হতে পারে। চলতি অর্থবছরের তুলনায় প্রস্তাবিত বাজেটে সার বাবদ ভর্তুকি চার হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়েছে। কারণ চলতি বাজেটে সারে ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছিল সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা; কিন্তু বিশ্বজুড়ে সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় বছর শেষে তা ১২ হাজার কোটি টাকা দাঁড়ায়। মূল্য বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এবার ভর্তুকির পরিমাণ বাড়িয়ে ১৬ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে।
পণ্যমূল্য সহনীয় রাখতে এবং উৎপাদন খরচ কমাতে বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৮ হাজার কোটি টাকা। বিদায়ী অর্থবছরের জন্য এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৯ হাজার কোটি টাকা। পাশাপাশি এবার স্বল্প আয়ের মানুষের খাদ্যনিরাপত্তায় ভর্তুকি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে আরো ৬ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা। এ ছাড়া টিসিবির মাধ্যমে বছরজুড়ে ফ্যামিলি কার্ডের আওতায় সারাদেশে এক কোটি পরিবার তথা পাঁচ কোটি মানুষকে সরবরাহ করা হবে সুলভমূল্যের পণ্য। অন্যান্য খাতেও ১৭ হাজার ৩০০ কোটি টাকা ভর্তুকি প্রদানের মাধ্যমে সরকার মূল্যস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। এ ছাড়া বাজেটের আওতায় নগদ ঋণ দেয়া হবে আরো ১০ হাজার কোটি টাকা। রফতানিমুখী শিল্পের উৎপাদন বাড়িয়ে রফতানি আয়ের মাধ্যমে এবং প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের মাধ্যমে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার চাকাও গতিশীল রাখার লক্ষ্য সরকারের। এর জন্য রফতানিমুখী শিল্পের জন্য নগদ প্রণোদনা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৮ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। পাটজাত দ্রব্যাদি রফতানিতে প্রণোদনা রাখা হয়েছে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা। খাদ্যে ভর্তূকি ৬ হাজার কোটি টাকা, রফতানি সহায়তাসহ বিভিন্নখাতে ১১ হাজার ৩২৫ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। অন্যান্য খাতেও ভর্তুকি ব্যয় হবে ৩৪ হাজার ৩৭২ কোটি টাকা।
বিশাল এ বাজেটের ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ৪১ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে আসছে অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশে বেঁধে রাখার আশা করছে সরকার। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ধাক্কায় ওলটপালট হয়ে যাওয়া বিশ্ব অর্থনীতির প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। জ্বালানি তেল, খাদ্যপণ্যসহ সব ধরনের পণ্যের দাম বৃদ্ধি এবং জাহাজ ভাড়া বাড়ায় আমদানি খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। বাজারে ডলারের সংকট দেখা দিয়েছে; অস্থির হয়ে উঠেছে মুদ্রাবাজার। বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে বিপুল পরিমাণ ডলার ছেড়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। চড়ছে মূল্যষ্ফীতির পারদ। বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৩ শতাংশে বেঁধে রাখার ঘোষণা দিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী, তবে তাতে সফল হননি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ তথ্য বলছে, এপ্রিলে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে (মাসওয়ারি বা মাসভিত্তিক) ৬ দশমিক ২৯ উঠেছে অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচক, যা দেড় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। মূল্যস্ফীতি এখন ৫.৬ শতাংশে বেঁধে রাখা খুবই চ্যালেঞ্জের। চলমান বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলা এবং করোনা মহামারি থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে বাজেটে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান। এজন্য কোম্পানির করপোরেট কর হ্রাস, এক ব্যক্তির কোম্পানিতে কর ছাড়, স্টার্টআপ কোম্পানির কর হ্রাসসহ থাকছে নানা উদ্যোগ। এ ছাড়া উদীয়মান শিল্পকে ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি চলমান সুবিধার মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে তৈরি পোশাক খাতে করপোরেট কর সাধারণ গার্মেন্টের জন্য ১২ শতাংশ এবং সবুজ কারখানার জন্য ১০ শতাংশ। অথচ পশ্চাৎপদ শিল্প হিসাবে অ্যাক্সেসরিজ শিল্প বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও তাদের নিয়মিত হারে (৩০ শতাংশ) আয়কর দিতে হয়। পাট, হিমায়িত মাছ, প্লাস্টিক, চামড়া খাতে বৈষম্য আছে। প্রস্তাবিত বাজেটে রফতানি পণ্যের বৈচিত্র্যায়নকে উৎসাহ দিতে সব ধরনের রফতানিমুখী শিল্পের করপোরেট কর তৈরি পোশাক শিল্পের মতো ধার্য করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে বাণিজ্য ঘাটতি নিম্নমুখী হবে। ফলে বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্যের পার্থক্য হ্রাস পাবে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী খাতে বরাদ্দ ও উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এ খাতে নতুন অর্থবছরে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা বাজেটের ১৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ ও জিডিপির ২ দশমিক ৫৫ শতাংশ। দেশে সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনী খাতের আওতায় ১২৩টি কর্মসূচি বা বিষয় রয়েছে। এগুলো বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করছে ২৪টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ। এগুলোর মধ্যে ৮টি কর্মসূচি হচ্ছে নগদ ভাতা, আর ১১টি খাদ্য সহায়তা।
নতুন বাজেটে খাদ্য নিরাপত্তা, সামাজিক কল্যাণ, মানবসম্পদ উন্নয়ন, কর্মসৃজন, অবসর ও পারিবারিক ভাতা এবং অন্যান্য এই মোট ছয় খাতে ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব করা হয়েছে। আগামী বাজেটে খাদ্য নিরাপত্তায় ১৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তায় ওএমএস, ভিজিডি, ভিজিএফ, কাবিখা, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি রয়েছে। নতুন বাজেটে সামাজিক কল্যাণ খাতে ৩৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। যেভাবে ডলারে দাম বাড়ছে তাতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধরে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা বাজেটে বিনিময় হার স্থিতিশীল ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সন্তোষজনক পর্যায়ে রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। যদিও বিষয়টি অনেক বড় চ্যালেঞ্জ মেনে অর্থমন্ত্রী বললেন, এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের অত্যন্ত কৌশলী হতে হবে। কোনো একটি সমস্যা রয়ে গেলে তা সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করতে পারে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, বাজেটে বিভিন্ন খাতে আরো বেশি বরাদ্দ বাড়ানো যায় কি না সেটা ভেবে দেখা যেত। এর ফলে যেটা হতো, বাজেটে ঘাটতির মাত্রা বেড়ে যেতে পারত। ঘাটতির মাত্রা ৫ দশমিক ৫ শতাংশ ধরা হয়েছে, এটা ৬ শতাংশ করা হলেও আমার দিক থেকে আপত্তি থাকতো না। তিনি বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে দেখতে পাচ্ছি, বিশ্বের সব দেশেই বাজেট ঘাটতি বাড়ছে। আর আমাদের তো রাজস্ব আয়সহ নানা ক্ষেত্রে সমস্যা আছে। ফলে অন্য খাতে বরাদ্দ হয়তো বাড়ানো যেত। সেক্ষেত্রে বাজেট ঘাটতি বাড়ত বা বাড়ানো যেত।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, সরকার যে এক্সচেঞ্জ রেটকে কীভাবে সাপোর্ট দিবে, মূলস্ফীতি কীভাবে কমিয়ে আনবে, সেগুলো একেবারেই সুষ্পষ্ট করা হয়নি। এই কারণে এই বাজেটের ম্যাক্রো অবজেক্টিভগুলো নিয়ে আমাদের অনেক সন্দেহ আছে।ভর্তুকির পরিমাণ বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। বাজেটে আরো বাড়ানো দরকার ছিল। অনিশ্চয়তা অনেক জায়গাতেই আছে, যেমন- সাবসিডিতে অনিশ্চয়তা আছে। তা ধরা হয়েছে ৮২ হাজার কোটি টাকা। আড়াইটা পদ্মা সেতুর পরিমাণ অর্থ আমরা সাবসিডিতে দিচ্ছি। তারপরেও এটা বেড়ে যেতে পারে।