আজঃ শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪
শিরোনাম

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে কঠোর নজরদারি রয়েছে : সেনাপ্রধান

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি

Image

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কঠোর নজরদারি রয়েছে। পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী ও নৌবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।

শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে শরীয়তপুরের শেখ রাসেল সেনানিবাসে নবগঠিত ১২৯ ব্রিগেড সিগন্যাল কোম্পানির পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

সেনাপ্রধান বলেন, আমাদের কথা একেবারে পরিষ্কার। দেশে যদি ভবিষ্যতে আক্রমণ হয়, সেক্ষেত্রে প্রতিহত করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যে প্রস্তুত সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। বর্ডার ভায়োলেশন, যেমন রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ওইখানে কোস্ট গার্ড ও বিজিবি রয়েছে। তারা বিষয়টি সম্পূর্ণ তদারকি করছে। সরকারের নিদের্শনা অনুযায়ী ব্যবস্থাও নিচ্ছে। আমরা প্রস্তুত আছি, যদি লেভেল ক্লোজ করে তাহলে সমুচিত ব্যবস্থা আমরা নেব।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘ মিশনে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। বর্তমানে কুয়েত ও কাতারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা সফলতার সঙ্গে কাজ করছে। ভবিষ্যতে এসব দেশে সেনাসদস্য সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। পদ্মা সেতুর নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক কাজ করছে শেখ রাসেল সেনানিবাস।

বিদায়ী সেনাপ্রধান বলেন, আমার দায়িত্বকালীন সময়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সেবার মানসিকতা নিয়ে প্রদত্ত দায়িত্বসমূহ যথাযথভাবে পালন করতে পারায় আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের মর্যাদা সমুন্নত ও স্বাধীন ভূখণ্ড নিরাপদ রাখতে অর্পিত সকল দায়িত্ব পালন করতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অঙ্গীকারবদ্ধ। দেশের সংকটময় মুহূর্তসহ যেকোনো পরিস্থিতিতে অকুতোভয় দায়িত্ব পালনে সেনাবাহিনী সদা প্রস্তুত।

অনুষ্ঠান শুরুর আগে দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে আকাশপথে বরিশাল থেকে শরীয়তপুরের শেখ রাসেল সেনানিবাসে আসেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। আগামী ২৩ জুন অবসরে যাবেন তিনি। দীর্ঘ ৪৩ বছর সফলতার সঙ্গে একটি বাহিনীতে কাজ করে প্রধান হিসেবে দায়িত্ব শেষ করা ভাগ্যের ব্যাপার বলে উল্লেখ করেন তিনি।

পতাকা উত্তোলন ও কেক কাটা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নতুন সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, সেনা সদরের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাগণসহ ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাগণ। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর-২ (নড়িয়া-সখিপুর) আসনের সংসদ সদস্য একেএম এনামুল হক শামীম, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন আহম্মেদ ও পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুল আলম।


আরও খবর



ঈদের পর ফের বিস্ফোরণ মিয়ানমারে, কাঁপছে টেকনাফ

প্রকাশিত:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সীমান্ত ঘেঁষে মিয়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মি ও ক্ষমতাসীন জান্তা বাহিনীর মধ্যে চলমান সংঘাতের জেরে আতঙ্কজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ যুদ্ধে বাংলাদেশ যেন আক্রান্ত না হয় সেজন্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে বিজিবি ও কোস্টগার্ডকে।

গতকাল মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকাল আটটার পর থেকে সন্ধ্যা অবধি থেমে থেমে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শুনতে পেয়েছেন টেকনাফ সীমান্তের বাসিন্দারা। তাদের অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ছয়টি ও রাত সাড়ে ১২টার দিকে থেমে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছিল। রোববার ও সোমবার আর কোন শব্দ শোনা যায়নি। মঙ্গলবার সকাল আটটার পর থেকে আবারও বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসছে ওপার থেকে। এতে ভয়ানকভাবে কেঁপে উঠছে টেকনাফ পৌরসভা, সদর ও সাবরাং এলাকার বেশ কয়েকটি অংশ।

ঈদের আগের দিন ও ঈদের দিন ওপার থেকে গোলাগুলি কিংবা বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে না এলেও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছিল সীমান্তে। এ অবস্থায় ঈদের দিন পার হতেই ফের ওপার থেকে বিস্ফোরণের শব্দ ভেসে আসায় দ্বিগুণ হয়েছে এপারের বাসিন্দাদের আতঙ্ক। স্থানীয়রা বলছেন, সীমান্ত ঘেঁষে ক্ষণে ক্ষণে বিস্ফোরণের কয়েকটিতে ভূমিকম্পের মতো কম্পন সৃষ্টি হয়েছে টেকনাফে।

পরিস্থিতির বর্ণনায় সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর হোসেন বলেন, মনে হয় ভূমিকম্প হচ্ছে। যেভাবে বাড়িঘর কেঁপেছে, যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

টেকনাফ পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, ঈদের পরদিন সকাল আটটার পর থেকে মিয়ানমারের ওপারের বিস্ফোরণে এপারের নাইট্যংপাড়া, চৌধুরীপাড়া, জালিয়াপাড়া, কায়ুকখালীয়পাড়া, পল্লানপাড়া, কুলালপাড়া, খানকার ডেইলসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম কেঁপে ওঠে।

এদিকে রাখাইনে বিস্ফোরণের ঘটনায় টেকনাফ সীমান্তের প্রতিটি গ্রামে বিশেষ নজর রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আদনান চৌধুরী। তিনি বলেছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে জলসীমায় বেশ কয়েকটি জলযান এসেছে বলে খবর পেয়েছি।

মিয়ানমারের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও। যেকোন ধরনের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদী ও সীমান্তে বিজিবি আর কোস্টগার্ডের টহল বাড়ানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ।


আরও খবর



ঈদের পর মন্ত্রিসভায় রদবদলের আভাস, বাড়তে পারে আকারও

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রিসভায় রদবদল নিয়ে জোর গুঞ্জন চলছে। একই সঙ্গে জোর গুঞ্জন রয়েছে বর্তমান মন্ত্রিসভার আকার বৃদ্ধির। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগ ঘরানার রাজনীতিতে চলছে আলোচনা।

মন্ত্রিসভার কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সদস্য, আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক নেতা এবং ১৪ দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় এমন ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তারা গণমাধ্যমকে বলেছেন, মন্ত্রিসভার আরেক দফা সম্প্রসারণের সম্ভাবনা নিয়ে কয়েক দিন ধরেই আলোচনা হচ্ছে। ঈদুল আজহার পর এ প্রক্রিয়া দৃশ্যমান হতে পারে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কয়েকজন নতুন মুখ সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে পারেন। তালিকায় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর কয়েক নেতার নামও রয়েছে। এর বাইরে অর্থ, পরিকল্পনাসহ কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে রদবদল হতে পারে। তাতে বর্তমান মন্ত্রিসভার কারও কারও পদোন্নতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। গত ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বিপুল বিজয় পায় আওয়ামী লীগ।

১১ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৩৭ সদস্যের মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। এরপর ১ মার্চ সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন সাতজন। এতে প্রধানমন্ত্রীসহ বর্তমান মন্ত্রিসভা দাঁড়ায় ৪৪ জনে। প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ২৫ মন্ত্রী ও ১৮ প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রী আছেন দু’জন।

অবশ্য সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় কারা ঠাঁই পাচ্ছেন, তা কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। জানতে চাইলে দায়িত্বশীল নেতাদের প্রায় সবাই একবাক্যে বলেছেন, মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ কিংবা রদবদলের এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। ঈদুল আজহার পর মন্ত্রিসভায় পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রীই এটি গঠন করবেন। অবশ্য কেউ কেউ বলেছেন, জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনের পরে মন্ত্রিসভায় অদল-বদল হতে পারে।

সূত্র জানায়, অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালামকে অন্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। বর্ষীয়ান এই দুই নেতা ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয় সামলাতে দক্ষতার পরিচয় দিলেও, বয়সজনিত কারণে তাদের অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হতে পারে। ওই দুই মন্ত্রণালয় থেকেই দায়িত্বশীলরা অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে আসবেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পূর্ণ মন্ত্রী দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের কেউ কেউ সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় জায়গা পেতে পারেন। বিশেষ করে দলের সহযোগী সংগঠনের শীর্ষপদে থাকা ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের দু’জনের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বর্তমান মন্ত্রিসভা থেকে কেউ বাদ পড়ছেন না। তারপরও মন্ত্রিসভার কারও কারও মধ্যে এক ধরনের দুশ্চিন্তা কাজ করছে। আবার প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যে কেউ কেউ পেতে পারেন পদোন্নতি। অন্তত একজন প্রতিমন্ত্রী পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন বলে জোর গুঞ্জন রয়েছে।

ওই সূত্র আরও জানায়, ১৪ দলের শরিকদের মধ্যে জাসদ ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতিনিধি সম্ভাব্য সম্প্রসারিত মন্ত্রিসভায় রাখার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের নাম শোনা গেলেও, উড়িয়ে দিচ্ছে না নতুন মুখ আসার সম্ভাবনা। জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এবং ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশাকে নিয়েও ব্যাপক আলোচনা চলছে। এ ছাড়া নতুন কয়েকজন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেতে পারেন।

আওয়ামী লীগ ও সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত নীতিনির্ধারক নেতারা জানিয়েছেন, বর্ধিত মন্ত্রিসভায় ক্লিন ইমেজ ও অভিজ্ঞদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে। দলের ত্যাগী ও জ্যেষ্ঠ নেতারা প্রাধান্য পেতে পারেন। তবে প্রবীণ ও তারুণ্যের সমন্বয় রাখা হলেও এগিয়ে থাকবেন একাধিকবার নির্বাচিত এমপিরা।

২০০৮ সালে নবম, ২০১৪ সালে দশম সংসদের মতো ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে টানা তৃতীয়বার সরকারের মন্ত্রিসভা গঠিত হয়। দ্বাদশ সংসদের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা টানা চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের রেকর্ড গড়েছেন।


আরও খবর



ট্রেনে ঈদযাত্রা: অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু

প্রকাশিত:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | হালনাগাদ:রবিবার ০২ জুন 2০২4 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। রবিবার (২ জুন) সকাল ৮টা থেকে এই টিকিট বিক্রি শুরু হয়। আজ দেওয়া হচ্ছে আগামী ১২ জুনের টিকিট। সকালে বিক্রি করা হচ্ছে পশ্চিমাঞ্চলের টিকিট। আর পূর্বাঞ্চলের টিকিট বিক্রি শুরু হবে দুপুর ২টা থেকে।

এবার শতভাগ আগাম টিকিট বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে। কাউন্টার থেকে কোনো টিকিট বিক্রি হচ্ছে না।

আগাম টিকিট বিক্রির প্রথমদিনে রবিবার দেওয়া হচ্ছে ১২ জুনের টিকিট। পরদিন ৩ জুন দেওয়া হবে ১৩ জুনের, ৪ জুন ১৪ জুনের এবং ৫ জুন বিক্রি হবে ১৫ জুনের অগ্রিম টিকিট। এ ছাড়া শেষ দিনে আগামী ৬ জুন ১৬ জুনের অগ্রিম টিকিট দেওয়া হবে।

এরপর চার দিন বিরতি দিয়ে ফিরতি টিকিট দেওয়া হবে ১০ জুন থেকে। ওইদিন ২০ জুনের আগাম ফিরতি টিকিট দেওয়া হবে। পাশাপাশি ১১ জুন ২১ জুনের, ১২ জুন ২২ জুনের, ১৩ জুন ২৩ জুনের এবং ১৪ জুন বিক্রি হবে ২৪ জুনের ফিরতি টিকিট।

যেভাবে কাটবেন টিকিট

এবারও বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইট থেকে সহজেই টিকিট কাটতে পারবেন যাত্রীরা। এজন্য রেলওয়ের ওয়েবসাইটে একবার রেজিস্ট্রেশন করলেই হবে। আর যারা আগেই রেজিস্ট্রেশন করেছেন, তারা সরাসরি লগইন করেই টিকিট কাটতে পারবেন।

যাদের আগে থেকে রেজিস্ট্রেশন করা নেই তারা বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে উপরের দিকে রেজিস্ট্রেশন’ লেখা অংশে ক্লিক করতে হবে। পরে রেজিস্ট্রেশন নামে নতুন একটি পেজ আসবে। সেখানে প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত তথ্য নির্ভুলভাবে দিতে হবে। এরপর মোবাইল নম্বরে একটি ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড (ওটিপি) চলে আসবে। সেটি সঠিকভাবে পূরণ করে ভেরিফাই বাটনে ক্লিক করলেই সফলভাবে রেজিস্ট্রেশন হয়ে যাবে। পরে বাংলাদেশ রেলওয়ে নামে নতুন একটি পেজ আসবে। সেখানে ব্যবহারকারী স্বয়ংক্রিয়ভাবে লগইন হয়ে যাবেন। এরপর টিকিট কাটতে পারবেন।

টিকিট কেনার জন্য প্রথমে রেলওয়ের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। কেউ স্বয়ংক্রিয়ভাবে লগইন না হয়ে থাকলে ই-মেইল ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন করতে হবে। এরপর যে পেজ আসবে তাতে কাঙ্ক্ষিত ভ্রমণ তারিখ, যাত্রা শুরুর স্টেশন, গন্তব্য স্টেশন শ্রেণি পূরণ করে ফাইন্ড টিকিট’ বাটনে ক্লিক করতে হবে। পরের পেজে ট্রেনের নাম, সিট খালি আছে নাকি নেই এবং ট্রেন ছাড়ার সময় দেখাবে। সেখান থেকে ট্রেন অনুযায়ী ভিউ সিটস’ বাটনে ক্লিক করে আসন খালি থাকা সাপেক্ষে পছন্দের আসন নির্বাচন করে কন্টিনিউ পারচেজে’ ক্লিক করতে হবে।

পেমেন্টের ক্ষেত্রে ভিসা, মাস্টার কার্ড কিংবা বিকাশে পেমেন্ট করলে একটি ই-টিকিট অটো ডাউনলোড হবে। পাশাপাশি যাত্রীর ই-মেইলেও টিকিটের একটি কপি চলে যাবে। পরে ই-মেইলের ইনবক্স থেকে টিকিট প্রিন্ট করে ফটো আইডিসহ ই-টিকিট প্রদত্ত টিকিট প্রিন্ট দিয়ে সংশ্লিষ্ট সোর্স স্টেশন থেকে যাত্রার আগে ছাপানো টিকিট সংগ্রহ করা যাবে। তবে টিকিট প্রিন্ট না করলেও সমস্যা নেই, মোবাইল থেকে দেখালেও হবে।


আরও খবর



হজের খুতবায় ফিলিস্তিনিদের জন্য দোয়ার আহ্বান

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

হজের খুতবায় ফিলিস্তিনি মুসলমানদের জন্য বিশেষভাবে দোয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মসজিদুল হারামের ইমাম ও খতিব শায়েখ মাহের আল মুয়াইকিলি।

খুতবায় ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে তুলে ধরে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের মুসলমানেরা যুদ্ধের কবলে। তারা বিপর্যস্ত। তাদের খাওয়ার পানি নেই, বিদ্যুৎ নেই, খাবার নেই, পৃথিবীর সবধরনের আরাম ও সুখ থেকে তারা বঞ্চিত। তাদের জন্য দোয়া করুন। বিশ্ব মুসলিমের কাছে এটা তাদের পাওনা।

তিনি বলেন, যারা ফিলিস্তিনিদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছেন, সহযোগিতার চেষ্টা, অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে সহযোগিতা করছেন, করছেন তারাও দোয়ার হকদার। এছাড়াও যারা হজযাত্রীদের সেবা করছেন তারাও দোয়ার হকদার।

হজের খুতবায় তিনি আরও বলেন, ইবাদত শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য এবং বিধান শুধুমাত্র আল্লাহর জন্য। আর যে ব্যক্তি তাকওয়া অবলম্বন করবে সে এমন জায়গা থেকে রিজিক পাবে যেখান থেকে সে কল্পনাও করতে পারবে না। আল্লাহ তায়ালা সবকিছুর মালিক। তিনি আমাদের জন্য রহমত হিসেবে কোরআন অবতীর্ণ করেছেন। কোরআন এমন একটি গ্রন্থ যার প্রতিটি আয়াত প্রজ্ঞায় পরিপূর্ণ। এই কোরআন মানুষকে সরল পথ দেখায়।

অবলম্বনকারীরা কিয়ামতের দিন দুঃখ-কষ্ট থেকে মুক্ত থাকবেন। সে তাকওয়া অবলম্বন করবে আল্লাহ তায়ালা তাকে এমন জায়গা থেকে রিজিক দেবেন যেখান থেকে সে কল্পনাও করতে পারবে না। সে তাকওয়া অবলম্বন করবে আল্লাহ তার গুনাহ মাফ করে তাকে প্রতিদান দেবেন।

তিনি বলেন, আল্লাহ তায়ালা হজরত মুহাম্মদ সা.-কে বিশ্ববাসীর জন্য রহমত হিসেবে প্রেরণ করেছেন। তারা নবীজি সা.-কে সম্মান করবে, ঈমান আনবে এবং আল্লাহ হেদায়েত স্বরূপ যে কোরআন নাজিল করেছেন তার বিধান মেনে চলবে তারাই সফল।


আরও খবর
ঈদুল আজহার চার সুন্নত

সোমবার ১৭ জুন ২০২৪




তাড়াশে পুকুরে ডুবে প্রাণ গেল দুই বোনের

প্রকাশিত:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
তাড়াশ প্রতিনিধি

Image

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে পুকুরে ডুবে ইয়াফি খাতুন (৮) ও ইসা খাতুন (৫) নামের দুই আপন বোনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার দুপুর ৩টার দিকে তাড়াশ পৌর এলাকার কোহিত তেতুলিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে তাড়াশ পৌর মেয়র মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, নিহত ইয়াফি ও ইসা ওই এলাকার হযরত আলীর মেয়ে।

স্থানীয়রা জানান, দুপুরের দিকে কোহিত তেতুলিয়া মহল্লায় হযরত আলীর মেয়ে ইয়াফি খাতুন ও ইসা খাতুন বাড়ির উঠানে খেলছিল। এ সময় বাড়ির লোকজন অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এরই ফাঁকে তারা দুই বোন বাড়ির পাশের পুকুরে নেমে পড়ে ও পানিতে তলিয়ে যায়। পরে দুপুর ২টার দিকে শিশু দুটিকে বাড়িতে না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। একপর্যায়ে তারা বাড়ির পাশের পুকুরের পানিতে নেমে ঘণ্টাখানেক খোঁজাখুঁজি করে ডুবন্ত অবস্থায় দুই বোনকে উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারের পর দুই শিশুকে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।


আরও খবর