আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

বাংলাদেশ নিয়ে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র-চীনের আগ্রহের জায়গা কোথায়?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৩ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ নিয়ে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং রাশিয়া যেসব তৎপরতা এবং বক্তব্য দিয়েছে তাতে নতুন মেরুকরণের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

আসন্ন সাধারন নির্বাচন নিয়ে বর্তমান সরকারের উপর যুক্তরাষ্ট্রর চাপ দৃশ্যমান হলেও চীন এবং রাশিয়ার অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

আন্তর্জাতিক রাজনীতিতেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রাশিয়া ও চীনের বিরোধ এখন দৃশ্যমান। এর প্রভাব বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও পড়ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

বিশ্বের নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণে বাংলাদেশ বৃহৎ শক্তিধর দেশগুলোর আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে কী না তা নিয়ে নানা মত আছে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করেন- বাংলাদেশের ভৌগলিক অবস্থান, সম্ভাবনাময় অর্থনীতি এবং বঙ্গোপসাগরের প্রতি বৈশ্বিক আগ্রহ - এসব কারণে রাজনৈতিক মেরুকরণের নতুন ক্ষেত্র হচ্ছে বাংলাদেশ। এর সঙ্গে দ্বিমতও আছে। বিশ্লেষকদের আরেকটি অংশ মনে করছেন, বাংলাদেশ নিয়ে শক্তিধর দেশগুলোর আগ্রহ থাকলেও সেটা খুব বেশি নয়।

আমেরিকা কী চায়?

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর মনে করেন, বাংলাদেশ আসলে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়ার নতুন মেরুকরণের ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে।

তার বিশ্লেষণ হচ্ছে , বাইডেন প্রশাসনের পররাষ্ট্রনীতির একটি অংশ হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার পক্ষে কাজ করা। এরই অংশ হিসেবে তারা বাংলাদেশের বিষয়ে আগ্রহী হয়েছে।

দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে, আমেরিকার একটা ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল আছে যেটি সক্রিয়ভাবে কার্যকর করতে তারা মনোনিবেশ করেছে। এ কারণেই এশিয়া অঞ্চলে বন্ধু সংগ্রহে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র।

তিনি বলেন, আমেরিকার লক্ষ্য চীন-রাশিয়া বলয় থেকে বাংলাদেশকে গণতান্ত্রিক বিশ্বের বলয়ের সঙ্গে সংযুক্ত করা বা সংযুক্তিকে আরো শক্তিশালী করা।

কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নভূক্ত দেশগুলোও চায় বাংলাদেশে যাতে গণতন্ত্র শক্তিশালী হয়। একই সাথে এসব দেশে বাংলাদেশকে যেসব সুবিধা, বিশেষ করে বাণিজ্য সুবিধা দেয়া হয়, তার পেছনে মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শক্তিশালী রাখা।

কোভিড ও ইউক্রেন যুদ্ধের পর যেহেতু এই অঞ্চলে ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীতা বাড়ছে, তাই এই দেশগুলো বিশেষ করে চীন ও রাশিয়ার মধ্যে আদর্শগত মিল বাড়ছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। আমেরিকা বা পাশ্চাত্যের সাথে যেহেতু তাদের আদর্শগত মিল নেই তাই তারাও এই অঞ্চলে বন্ধু সংগ্রহে আগ্রহী।

আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা এখানে মূল বিষয় হিসেবে কাজ করছে বলে মনে করেন তিনি।

হুমায়ুন কবীর বলেন, আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলোকে আমরা খুব সংগঠিতভাবে ব্যবস্থা না করার সুযোগটা রাশিয়া-চীন নেয়ার চেষ্টা করছে এবং এ কারণেই আমরা বাংলাদেশকে ঘিরে এই তিন-চার কেন্দ্রের প্রতিদ্বন্দ্বিতাটা বেশি দেখতে পাচ্ছি।

এদিকে চীন বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশের অবকাঠামো নির্মাণে চীন ব্যাপকভাবে কাজ করছে। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক মূলত অর্থনৈতিক।

রাশিয়ার সঙ্গেও বাংলাদেশের সম্পর্ক অনেকটা একই রকম। বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎখাতে রাশিয়ার বড় বিনিয়োগ রয়েছে। এছাড়া রাশিয়ার সাথে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্কও রয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে রাশিয়া বাংলাদেশের পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। এছাড়া এই দেশটি থেকে বাংলাদেশ খাদ্য শস্যও আমদানি করে থাকে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. সাহাব এনাম খান মনে করেন, বাংলাদেশ না চাইলেও ভূ-কৌশলগত অবস্থানের কারণে স্বাভাবিকভাবেই সবার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

তিনি মনে করেন, গত বেশ কিছু বছর ধরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশ অগ্রগামী ছিল। বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কোভিড পরবর্তী সময়েও বেশ স্থিতিশীল ছিল যা একে আন্তর্জাতিক অর্থনীতির সাথে সম্পৃক্ত করেছে।

ড. সাহাব এনাম খান বলেন, বাংলাদেশ একদিকে চীন থেকে ব্যাপক আমদানি করে এবং অন্যদিকে আবার পশ্চিমা দেশগুলোতে রপ্তানিও করে। ফলে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে স্বার্থের একটা ভারসাম্য বাংলাদেশ রক্ষা করে আসছে।

কানাডাভিত্তিক অনলাইন প্রকাশনা ভিজ্যুয়াল ক্যাপিটালিস্ট অনুসারে, বাংলাদেশ বিশ্বের ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ।

রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন যদি ধরে রাখা যায় তাহলে মধ্যম শক্তিশালী দেশ হয়ে উঠার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন তিনি। একই সাথে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বড় বাজারও। যার কারণে এর প্রতি সুপার পাওয়ার দেশগুলো বিনিয়োগের আগ্রহ বেড়েছে।

এর পাশাপাশি বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরের অংশ যা ভারত মহাসাগর এবং প্রশান্ত মহাসাগরকে যুক্ত করেছে। ফলে এটি অনেকটা স্ট্রাটেজিক লাইন অব কমিউনিকেশন বা সাপ্লাই লাইন অব কমিউনিকেশন হয়ে উঠেছে বলে মনে করেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এই শিক্ষক। এ কারণে বঙ্গোপসাগেরের গুরুত্ব অনেক।

মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের মালয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং সমর বিশেষজ্ঞ ড. সৈয়দ মাহমুদ আলী মনে করেন, চীন-রাশিয়া-আমেরিকার দ্বন্দ্বে বাংলাদেশ আসলে গৌণ বা উপলক্ষ্য মাত্র।

তার মতে, বাংলাদেশের মেরুকরণের ক্ষেত্রে পরিণত হওয়ার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে চীন ও রাশিয়ার মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আর ঘনিষ্ঠতর হওয়া এবং এর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আমেরিকার অবস্থান।

মাহমুদ আলী বলেন, স্নায়ুযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ৯০ এর দশকে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার পর সারা বিশ্বে ইউনিফর্ম বা একক পরাশক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তাদের সেই আধিপত্য পরবর্তী ২৫ বছর পর্যন্ত চলেছে।

দ্বিতীয় পর্যায়ের শক্তিশালী দেশ ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন, এরা সবাই তখন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রপক্ষের দেশ ছিল। বিপক্ষে কেউ না থাকার কারণে আমেরিকা প্রায় প্রতিদ্বন্দ্বীহীন ছিল।

তার বিশ্লেষণ হচ্ছে, ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া রাশিয়ার অন্তর্ভূক্ত হওয়া এবং দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের সামরিক শক্তি বাড়ানোর মতো ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের কাছে স্পষ্ট হয়ে আসে যে যুক্তরাষ্ট্র আর একচ্ছত্র আধিপত্য বজায় রাখতে পারছে না। এরপর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন-রাশিয়ার মধ্যে একধরণের প্রতিদ্বন্দ্বিতা সামনে আসে।

সৈয়দ মাহমুদ আলী বলেন, যেহেতু ক্ষমতার একটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা এই তিনটি রাষ্ট্রের মধ্যে চলছে, তাই বলা যেতে পারে বাংলাদেশ একটি গৌণ বা পরোক্ষভাবে একটি প্রতিদ্বন্দ্বীতার কেন্দ্র বা স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা


আরও খবর



১১ ম্যাচ নিষিদ্ধ আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক নাহুয়েল গুসমানকে ১১ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মেক্সিকান ফুটবল ফেডারেশন (এফএমএফ)। তার বিরুদ্ধে ম্যাচ চলাকালে ড্রেসিংরুম থেকে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকসহ ফুটবলারদের চোখে লেজার লাইট মারার অভিযোগ রয়েছে।

মেক্সিকোর শীর্ষ প্রতিযোগিতা লিগা এমএক্সে টাইগ্রেস ইউএএনএল ক্লাবের হয়ে খেলেন গুসমান। চোটের জন্য গত রোববার মনটেরির বিপক্ষে ছিলেন না তিনি। স্ট্যান্ড থেকে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক এস্তেবান আন্দ্রাদাসহ অন্যান্য খেলোয়াড়দের দিকে লেজার মারতে দেখা যায় তাকে। তার এই কাণ্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে দ্রুত। পরে অবশ্য ক্ষমাও চান ৩৮ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক। দুই দলের ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র হয়।

এক বিবৃতিতে গুসমানের ক্লাব টাইগ্রেস শাস্তি মেনে নেওয়ার কথা জানিয়েছে। একই সঙ্গে এই ফুটবলারকে আরও সুশৃঙ্খল করার কথাও বলেছে তারা।


আরও খবর



অতিরিক্ত সচিব হলেন ১৩০ কর্মকর্তা

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রশাসনের ১৩০ জন যুগ্ম সচিবকে পদোন্নতি দিয়ে অতিরিক্ত সচিব করেছে সরকার। এক বছরের কিছু কম সময়ের মধ্যে পুনরায় অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পদোন্নতির প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এ পদোন্নতির ফলে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ১৮তম ব্যাচের দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান হলো। ঈদুল ফিতরের আগেই এ ব্যাচের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়ার কথা ছিল। তবে ঈদের আগে সে পদোন্নতি হয়নি।

কর্মকর্তারা জানান, নিয়মিত ব্যাচ হিসেবে ১৮তম ব্যাচের সঙ্গে অতীতে বিভিন্ন সময় পদোন্নতিবঞ্চিত (লেফট আউট) কর্মকর্তাদের বিষয়টি এবারের পদোন্নতির বিবেচনায় নেওয়া হয়। প্রশাসন ক্যাডারের সঙ্গে একীভূত হওয়া ইকোনমিক ক্যাডারের ৪০ জনসহ ১৮তম ব্যাচের পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তা ১১০ জন। এ ছাড়া লেফট আউটে ছিলেন। তাদের সবার মধ্য থেকে ১৩০ জনকে পদোন্নতি দেওয়া হলো।

এর আগে পদোন্নতির বিবেচনায় নেওয়া কর্মকর্তাদের এসিআরের প্রয়োজনীয় নম্বর, চাকরি জীবনের শৃঙ্খলা, অসদাচরণ, পারিবারিক রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা, ছাত্রজীবনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ইত্যাদি বিষয় চুলচেরা বিশ্লেষণের পরই তালিকা চূড়ান্ত করে সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ড বা এসএসবি।

গত বছরের ১২ মে ১১৪ জনকে পদোন্নতি দিয়ে অতিরিক্ত সচিব করা হয়েছিল। বর্তমানে ২৮৮ জন অতিরিক্ত সচিব কর্মরত আছেন। তাদের সঙ্গে যুক্ত হলেন আরও ১৩০ কর্মকর্তা। পদ না থাকায় তাদের আগের পদেই ( ইনসিটু) কাজ করতে হবে বলে জানা গেছে।


আরও খবর



ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দিয়ে ফেসবুকে পোষ্ট দেয়ায় সাংবাদিক গ্রেফতার

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
হযরত আলী হিরু, স্বরূপকাঠি

Image

পিরোজপুরের নেছারাবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিকৃত কার্টুন সম্বলিত ছবি পোষ্টের মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে দেবাশীষ মন্ডল আশিষ নামের এক সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উপজেলার সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের মনিন্দ্রনাথ মন্ডলের ছেলে দেবাশীষ মন্ডল দৈনিক কালাবেলা পত্রিকার নেছারাবাদ উপজেলা প্রতিনিধি।

রবিবার দুপুরে গ্রেফতার দেবাশীষকে পিরোজপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে শনিবার বিকেলে দেবাশীষকে স্বরূপকাঠি পৌরসভা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতার দেবাশীষ শনিবার তার (দেবাশীষ মন্ডল-দৈনিক কালবেলা) নামক ফেসবুক আইডির মাধ্যমে বিকৃত কার্টুন সম্বলিত ছবি দিয়ে একটি স্টাটাস পোষ্ট দেয়। মুহুর্তের মধ্যে ওই পোস্টের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ এলাকায় ব্যপক নিন্দা শুরু হয়। এক পর্যায়ে এলাকার আলেম সমাজ ওই পোস্টের প্রতিবাদ জানিয়ে পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।

এ বিষয়ে জাতীয় ইমাম সমিতি নেছারাবাদ শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ইসলামী ফাউন্ডেশন নেছারাবাদ শাখার তত্ত্বাবধায়ক মোঃ মাসুম বিল্লাহ জানান, ইসলাম ধর্মকে ব্যঙ্গকরে ফেসবুকে এমন কটুক্তি ও উসকানি মূলক স্টাটাসের তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা আইনের মাধ্যমে দোষীর শাস্তি দাবী করছি।

নেছারাবাদ থানার ওসি মো. গোলাম সরোয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতার দেবাশীষকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে রবিবার দুপুরে পিরোজপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে পুলিশের পক্ষ থেকে বিভাগীয় সাইবার ট্রাইবুনাল আদালতে মামলার আবেদন করা হয়েছে।


আরও খবর



দেশীয় খেলাকেও সমান সুযোগ দেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অন্যান্য খেলার পাশাপাশি দেশীয় খেলাকেও সমান সুযোগ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, শুধু ফুটবল বলে নয়, আমাদের দেশীয় অনেক খেলা আছে সেসব খেলাকেও গুরুত্ব দিতে হবে। এতে আমাদের কোমলমতিদের মেধা বিকাশের সুযোগ হবে। কারণ খেলাধুলার মধ্য দিয়েই আমাদের ছেলে-মেয়েদের আরও মেধা বিকাশের সুযোগ হবে।

শনিবার বিকেলে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টবঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি যখনই সরকার এসেছি, তখনই চেষ্টা করেছি ছেলে মেয়েদের খেলাধুলার প্রতি আরও বেশি অনুরাগী করে তুলতে। কেননা খেলাধুলা মানুষের শারীরিক ও মানসিক শক্তির বিকাশ ঘটায়। ডিসিপ্লিন শিখায়, আনুগত্যের শিক্ষা দেয়। সেই সঙ্গে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে। এ খেলাধুলার মধ্যে দিয়ে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। সারা বিশ্বের কাছে পরিচিত করতে পারি।

সরকার প্রধান বলেন, সব ধরনের খেলাধুলার বিকাশে সরকার প্রতিটি উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম করে দিচ্ছে। যাতে করে প্রত্যেকটি উপজেলাতেই খেলাধুলার সুযোগ সৃষ্টি হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি চাই, আমাদের ছেলে মেয়েরা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীর চর্চা ও সাংস্কৃতিক চর্চার মধ্য দিয়ে নিজেদের উপযুক্ত হিসেবে গড়ে তুলবে। সবাই শিক্ষা দীক্ষা খেলাধুলা সবদিক থেকে আরও বেশি উন্নত হবে, সারা বিশ্বে আমরা মাথা উঁচু করে চলব। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলবে আমাদের আজকের এ সোনার ছেলে মেয়েরা। সকলের প্রতি আমার অভিনন্দন ও আশীর্বাদ রইল।


আরও খবর



‘বাস মালিকদের সুবিধা দিতে রেলের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে’

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাস মালিকদের বিশেষ সুবিধা দিতে রেয়াত সুবিধা প্রত্যাহারের নামে বাসের চেয়ে রেলের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরাম খাঁ হলে যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনের মহাসচিব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

লিখিত বক্তব্যে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, রেলের রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহার করে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি যাত্রী কল্যাণ সমিতি পর্যবেক্ষণ করে নিম্নে ৫টি রুটের বাস এবং রেলের ভাড়া ও সময়ে তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে, এতে দেখা গেছে

১। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম তূর্ণা নিশিতা ট্রেনে শোভন চেয়ারের আগের ভাড়া ছিল ৩৪৫ টাকা। এখন রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহারের পর ৪০৫ টাকা। এই টিকিট কালোবাজারির কাছ থেকে যাত্রীদের কিনতে হয় ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায়। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে লোকাল বাসের ভাড়া ৪০০ টাকা, ডাইরেক্ট বাসের ভাড়া ৬৮০ টাকা। ঢাকা চট্টগ্রাম তূর্ণা নিশিতা ট্রেনে এসি চেয়ারে আগের ভাড়া ছিল ৬৫৬ টাকা রেয়াত প্রত্যাহারের পরে এখন ৭৭৭ টাকা। এই টিকিট কালোবাজারির কাছ থেকে কিনতে হয় ১০০০ থেকে ১২০০ টাকায়। অথচ এই রুটে এসি বাসের ভাড়া ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা। ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে বাসে যেতে সময় লাগে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা, ট্রেনে সময় লাগে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা।

২। ঢাকা খুলনা রুটে ট্রেনের শোভন চেয়ারে ৫০০ টাকার ভাড়া এখন ৬২৫ টাকা। অথচ এই রুটে বাসে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায় যাতায়াত করেন যাত্রীরা। এই রুটে ট্রেনে এসি চেয়ার ৯৫৫ টাকার টিকিট এখন ১১৯৬ টাকা যা কালোবাজারির কাছ থেকে ১৫০০ টাকায় কিনতে হয়। অথচ ঢাকা-খুলনা রুটে বিলাসবহুল এসি বাসের ভাড়া মাত্র ৯০০ টাকা।

৩। ঢাকা-রংপুর রুটে ট্রেনের শোভন চেয়ার ৫০৫ টাকা টিকিট এখন ৬৩৫ টাকা যা কালোবাজারির কাছ থেকে কিনতে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা লাগে। ঢাকা রংপুর রুটে লোকাল বাসের ভাড়া ৪০০/৫০০ টাকা, ডাইরেক্ট বাসের ভাড়া ৮০০ টাকা। এই রুটে ট্রেনের এসি চেয়ার ৯৬৬ টাকার টিকিট এখন ১২১৪ টাকা যা কালোবাজারির কাছ থেকে কিনতে লাগে ১৫০০ টাকায়। এই রুটে বিলাসবহুল বাসের এসি টিকিট ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকায় পাওয়া যায়। ঢাকা রংপুর ট্রেনের এসি বার্থ ২১৮০ টাকা যা কালোবাজারে কিনতে ৩০০০ টাকা লাগে অথচ বিলাসবহুল বাসে এই রুটে এসি স্লিপার ১৬০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এই রুটে বাসে যেতে সময় লাগে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা, ট্রেনে সময় লাগে ১০ থেকে ১১ ঘণ্টা।

৪। ঢাকা-কুড়িগ্রাম রুটে ট্রেনের ৫১০ টাকার শোভন চেয়ার টিকিট এখন ৬৪৫ টাকা যা কালোবাজারে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকায় কিনতে হয়। অথচ এই রুটে ৬০০ থেকে ৯০০ টাকার উন্নতমানের বাসে যাওয়া যায়। এই রুটে ট্রেনের এসি চেয়ার ৯৭২ টাকার টিকিট এখন ১২৩৭ টাকা যা কালোবাজারির কাছ থেকে ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকায় কিনতে হয়। অথচ বিলাসবহুল এসি বাসের টিকিট ১২০০ টাকায় পাওয়া যায়।

৫। ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে এসি বার্থ এর মূল্য ২৪০০ টাকা। এই রুটে বিলাস বহুলবাসে এসি স্লিপারের ভাড়া ১৮০০ টাকা।


আরও খবর