![Image](https://cdn.ajkerdarpon.com/images/5aedcbb82071b5f090950d7a36be4698.jpeg)
ভারতের আদানি
গ্রুপ বাংলাদেশে আরও এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানির জন্য সরকারকে একটি নতুন
প্রস্তাব দিয়েছে। বিদ্যুত বিভাগের একটি সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিদ্যুত বিভাগের
একটি উচ্চপদস্থ সূত্র সম্প্রতি বলেন, এই বিদ্যুতের পুরোটি আসবে নবায়নযোগ্য
উৎস থেকে। এর মধ্যে এক হাজার মেগাওয়াট সৌরশক্তি এবং বাকি ৬০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ
থেকে।
বর্তমানে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খণ্ডে একচেটিয়াভাবে বাংলাদেশের জন্য নির্মিত গোড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে ২৫ বছরের বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) অধীনে এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানি করছে ভারতের জায়ান্ট আদানি গ্রুপ।
আরও পড়ুন: বৃষ্টিহীনবর্ষা, শ্রাবণেও চৈত্রের গরম
সম্প্রতি গ্রুপটির
প্রধান গৌতম আদানি ঢাকা সফর করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ
করেন। সূত্রটি নাম প্রকাশ না করার জন্য ইউএনবিকে অনুরোধ করেছেন, কারণ মিডিয়ার সঙ্গে
তাদের কথা বলার অনুমতি নেই।
সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত জলবিদ্যুতের ৬০০ মেগাওয়াট নেপাল থেকে আসবে, যেখানে আদানি গ্রুপ একটি প্ল্যান্ট স্থাপন করবে। অন্যদিকে, প্রস্তাবিত এক হাজার মেগাওয়াট সৌরশক্তি ভারত থেকে আসবে, যেখানে আদানি এখন নবায়ণযোগ্য বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট স্থাপন করছে। উচ্চপর্যায়ের আরেকটি সূত্র জানায়, আমরা শুনেছি আদানি গ্রুপকে তার প্রস্তাবে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে।
সূত্র আরও উল্লেখ
করেন, ‘আদানি গ্রুপের প্রস্তাবে সাড়া দেওয়ার উদ্যোগটি সরকারের ২০৪১ সালের
মধ্যে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ ৪০ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনার অংশ।
তখন দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার পরিকল্পনা করছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি
ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সম্প্রতি বলেছেন, বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য উৎস
থেকে নয় হাজার ৯৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
নসরুল হামিদ
আরও জানান, সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রতিবেশী
দেশগুলো থেকে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ আমদানি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী
বলেন, নবায়নযোগ্য উৎস থেকে এখন এক হাজার ১৯৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হলেও জাতীয়
গ্রিডে আসছে মাত্র ৮২৫ দশমিক ২৩ মেগাওয়াট।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৩০টি প্রকল্পের মাধ্যমে আরও এক হাজার ২৬২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের কাজ চলছে এবং আট হাজার ৬৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। গত সপ্তাহে বিদায়ী ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি ইস্ট্রুপ পিটারসন সচিবালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে নসরুল হামিদ এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গ্রিসে দাবানল নেভাতে গিয়ে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ২
দু’টি ডেনমার্কের নবায়নযোগ্য জ্বালানি
সংস্থার একটি যৌথ উদ্যোগে বঙ্গোপসাগরের উপকূলে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের
৫০০ মেগাওয়াট প্রাথমিক ক্ষমতাসহ একটি বাণিজ্যিক, ইউটিলিটি-স্কেল অফশোর উইন্ড (উপকূলীয়
বায়ু বিদ্যুৎ) প্রকল্প স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে একটি বিনিয়োগ প্রস্তাব
জমা দিয়েছে।
প্রস্তাবটি
বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ডেডিকেটেড গ্রিনফিল্ড নবায়ণযোগ্য জ্বালানি বিনিয়োগকারী ও নির্মাতা
কোপেনহেগেন ইনফ্রাস্ট্রাকচার পার্টনারস (সিআইপি) এবং কোপেনহেগেন অফশোর পার্টনারস (সিওপি)
থেকে এসেছে।