আজঃ বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

বাংলাদেশে আরও বিদ্যুৎ রপ্তানির প্রস্তাব আদানি গ্রুপের

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভারতের আদানি গ্রুপ বাংলাদেশে আরও এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানির জন্য সরকারকে একটি নতুন প্রস্তাব দিয়েছে। বিদ্যুত বিভাগের একটি সূত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিদ্যুত বিভাগের একটি উচ্চপদস্থ সূত্র সম্প্রতি বলেন, এই বিদ্যুতের পুরোটি আসবে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে। এর মধ্যে এক হাজার মেগাওয়াট সৌরশক্তি এবং বাকি ৬০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ থেকে।

বর্তমানে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খণ্ডে একচেটিয়াভাবে বাংলাদেশের জন্য নির্মিত গোড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে ২৫ বছরের বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) অধীনে এক হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ রপ্তানি করছে ভারতের জায়ান্ট আদানি গ্রুপ।

আরও পড়ুন: বৃষ্টিহীনবর্ষা, শ্রাবণেও চৈত্রের গরম

সম্প্রতি গ্রুপটির প্রধান গৌতম আদানি ঢাকা সফর করেছেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সূত্রটি নাম প্রকাশ না করার জন্য ইউএনবিকে অনুরোধ করেছেন, কারণ মিডিয়ার সঙ্গে তাদের কথা বলার অনুমতি নেই।

সূত্র জানায়, প্রস্তাবিত জলবিদ্যুতের ৬০০ মেগাওয়াট নেপাল থেকে আসবে, যেখানে আদানি গ্রুপ একটি প্ল্যান্ট স্থাপন করবে। অন্যদিকে, প্রস্তাবিত এক হাজার মেগাওয়াট সৌরশক্তি ভারত থেকে আসবে, যেখানে আদানি এখন নবায়ণযোগ্য বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট স্থাপন করছে। উচ্চপর্যায়ের আরেকটি সূত্র জানায়, আমরা শুনেছি আদানি গ্রুপকে তার প্রস্তাবে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে।

সূত্র আরও উল্লেখ করেন, আদানি গ্রুপের প্রস্তাবে সাড়া দেওয়ার উদ্যোগটি সরকারের ২০৪১ সালের মধ্যে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ ৪০ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনার অংশ। তখন দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার পরিকল্পনা করছে।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সম্প্রতি বলেছেন, বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে নয় হাজার ৯৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

নসরুল হামিদ আরও জানান, সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ আমদানি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নবায়নযোগ্য উৎস থেকে এখন এক হাজার ১৯৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হলেও জাতীয় গ্রিডে আসছে মাত্র ৮২৫ দশমিক ২৩ মেগাওয়াট।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৩০টি প্রকল্পের মাধ্যমে আরও এক হাজার ২৬২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের কাজ চলছে এবং আট হাজার ৬৬৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। গত সপ্তাহে বিদায়ী ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি ইস্ট্রুপ পিটারসন সচিবালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে নসরুল হামিদ এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন: গ্রিসে দাবানল নেভাতে গিয়ে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ২

দুটি ডেনমার্কের নবায়নযোগ্য জ্বালানি সংস্থার একটি যৌথ উদ্যোগে বঙ্গোপসাগরের উপকূলে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ৫০০ মেগাওয়াট প্রাথমিক ক্ষমতাসহ একটি বাণিজ্যিক, ইউটিলিটি-স্কেল অফশোর উইন্ড (উপকূলীয় বায়ু বিদ্যুৎ) প্রকল্প স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে একটি বিনিয়োগ প্রস্তাব জমা দিয়েছে।

প্রস্তাবটি বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ডেডিকেটেড গ্রিনফিল্ড নবায়ণযোগ্য জ্বালানি বিনিয়োগকারী ও নির্মাতা কোপেনহেগেন ইনফ্রাস্ট্রাকচার পার্টনারস (সিআইপি) এবং কোপেনহেগেন অফশোর পার্টনারস (সিওপি) থেকে এসেছে।


আরও খবর



প্রতিরক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ল ৪ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২০২৪-২৫ সালের বাজেটে প্রতিরক্ষা খাতে ৪২ হাজার ১৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। গত অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৩৭ হাজার ৮০২ কোটি টাকা। এটি গতবারের চেয়ে ৪ হাজার ২১২ কোটি টাকা বেশি। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকালে জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিরক্ষা সার্ভিসে ৪০ হাজার ৮২ কোটি, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য সার্ভিসে ১ হাজার ৮৮৬ কোটি ও সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের জন্য ৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়।

অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর উত্থাপিত প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার প্রতিপাদ্যে এ বাজেট বিদায়ী ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেটের তুলনায় ৪ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি। টাকার অংকে ৩৫ হাজার ২১৫ কোটি টাকা বেশি। বিদায়ী অর্থবছরের বাজেটের আকার সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।

নতুন বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরে ছিল ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। নতুন বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয়েছে দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ২ লাখ ৮৩ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে পাঁচ লাখ ৪৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরে ছিল ৫ লাখ কোটি টাকা।

জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী। এটি স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৪তম বাজেট। এছাড়া বর্তমান সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের প্রথম বাজেট, টানা ১৬তম এবং আওয়ামী লীগ সরকারের ২১তম বাজেট এটি।


আরও খবর



ছাগলকাণ্ডে আলোচিত মতিউর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকেরও পরিচালক

প্রকাশিত:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২২ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

কোরবানি উপলক্ষে ১৫ লাখ টাকায় ছাগল কিনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত হয়েছেন মুশফিকুর রহমান ইফাত নামের এক তরুণ। তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা ড. মো. মতিউর রহমানের ছেলে বলে দাবি করা হচ্ছে। যদিও তা অস্বীকার করেন মতিউর।

কিন্তু অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে মতিউর রহমানই ইফাতের বাবা। এবার কোরবানির ঈদে ইফাত রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাদিক এগ্রো থেকে একটি ছাগল ছাড়াও ঢাকার অন্তত সাতটি খামার ও একটি হাট থেকে ৭০ লাখ টাকার গরু কিনেছেন। গত বছরও কিনেছেন ৬০ লাখ টাকার পশু।

আলোচনা এখন মতিউর রহমানের সম্পদের দিকে গড়িয়েছে। তার কত সম্পদ রয়েছে, সেটি নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে। একাধিক বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট ও প্লটের তথ্য বেরিয়ে আসছে। চট্টগ্রাম, গাজীপুর, নরসিংদী ও ময়মনসিংহে রয়েছে তার ও পরিবারের সদস্যদের নামে রিসোর্ট, শুটিংস্পট, বাংলো বাড়ি, জমিসহ নামে-বেনামে রয়েছে অঢেল সম্পত্তি।

ব্যাংক হিসাবে রয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ শেয়ারবাজারে রয়েছে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ। সরকারি কর্মকর্তা হলেও তিনি শেয়ারবাজারে প্লেসমেন্ট শেয়ারের বড় ব্যবসায়ী। ইতোমধ্যে তিনি নিজেও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে দেওয়া (১৯ জুন প্রচারিত) এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি বিভিন্ন কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) ওই কোম্পানির মালিকদের কাছ থেকে কম দামে কিনে নিয়ে পরে বাজারে বেশি দামে বিক্রি করে বড় অঙ্কের মুনাফা করেছেন।

আলোচনায় উঠে আসে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা ড. মতিউর রহমান রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের পরিচালক পদেও রয়েছেন। ২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তিন বছরের জন্য তাকে নিয়োগ দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। রাজস্ব কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের পরিচালক হওয়ার সুবাদে শেয়ারবাজারসহ বিভিন্ন ব্যবসায় সুযোগ সুবিধা নিয়ে গড়ে তুলেছেন বিশাল সম্পদের পাহাড়।

এদিকে মতিউর রহমান ইফাতকে ছেলে হিসেবে অস্বীকার করলেও বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইফাতের মা শাম্মী আখতার শিভলী ওরফে শিবু মতিউর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রী। শাম্মী আখতারের বাবার বাড়ি ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামে। শাম্মী আখতার ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য (ফেনী-২) নিজাম উদ্দিন হাজারীর আত্মীয়।

বাবার অঢেল সম্পদে বিলাসী জীবনযাপন করেন ১৯ বছরের ইফাত। তার ব্যবহার করা মোবাইল ফোনে যে সিমকার্ড ব্যবহার করছেন, সেটি তার বাবার জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে তোলা। ইফাতের স্বজনও বলছেন, মতিউর রহমান তার বাবা। মতিউর রহমান সম্পর্কে ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর মামাতো বোন-জামাই।

নিজাম উদ্দিন হাজারী বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে জানান, ইফাত এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ছেলে, এটাই সত্য। কেন নিজের সন্তানকে অস্বীকার করছেন, সেটা তিনিই ভালো বলতে পারবেন। আমার মামাতো বোন শাম্মী আখতার শিবলীর সঙ্গে মতিউরের বৈবাহিক বিচ্ছেদও হয়নি।

জানা যায়, মতিউর রহমানই ইফাতের বাবা। মতিউর দুই বিয়ে করেছেন। প্রথম স্ত্রীর নাম লাইলা কানিজ। যিনি বর্তমানে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে। মতিউর প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে থাকেন বসুন্ধরায়। দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আক্তারের সন্তান মুশফিকুর রহমান ইফাত। থাকেন ধানমন্ডির বাসায়। আর তার মা থাকেন কাকরাইলের একটি ফ্ল্যাটে। ইফাতের আরেক বোন ফারজানা রহমান ইস্পিতা থাকেন কানাডায়।


আরও খবর



লোকসভার প্রধান বিরোধী দলনেতা হচ্ছেন রাহুল গান্ধী

প্রকাশিত:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সব জল্পনা-কল্পনার অবসান হলো। দীর্ঘ ১০ বছর পর প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা পেল ভারতের লোকসভা। ভারতে ১৮তম লোকসভায় প্রধান বিরোধী দলনেতা হচ্ছেন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি ও দলটির অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নেতা রাহুল গান্ধীই।

এর আগে গেল শনিবার দল থেকে রাহুল গান্ধীকে সর্বসম্মতভাবে এই পদে মনোনয়ন দেয়া হয়। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন বিরোধীদের ইন্ডিয়া জোটের অন্য শরিকদের সঙ্গে আলোচনার পর এ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাতে এ ঘোষণা দেয় কংগ্রেস। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেনুগোপাল এমন কথাই জানিয়েছেন। একই দিন রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৮তম লোকসভায় রাহুল গান্ধী প্রধান বিরোধী দলনেতা হচ্ছেন বলে মঙ্গলবার রাতে জানিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক কেসি বেনুগোপাল। তিনি বলেছেন, সিপিপি চেয়ারপারসন সোনিয়া গান্ধী প্রোটেম স্পিকার ভর্তৃহরি মাহতাবকে চিঠি লিখে লোকসভার বিরোধী দলনেতা হিসাবে রাহুল গান্ধীকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।

এছাড়া অন্যান্য পদাধিকারীদের বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। মূলত আজ বুধবারই (২৬ জুন) ভারতের ১৮তম লোকসভা সাক্ষী হতে চলেছে এক বড় লড়াইয়ের। বিরোধী এবং শাসক জোটের মধ্যে ভোটাভুটি হবে লোকসভার স্পিকার পদ নিয়ে। তার কয়েক ঘণ্টা আগেই এই সিদ্ধান্ত জানানো হলো।

এদিকে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার আগে দিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাসভবনে ইনডিয়া জোটের লোকসভার নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন রাহুল। সেই বৈঠকেই তাকে লোকসভার প্রধান বিরোধী দলনেতা হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

অবশ্য গত ৯ জুন কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে এই বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছিল। তারপর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার রাহুলের ওপরই দেওয়া হয়েছিল। রাহুল গান্ধী সেসময় জানিয়েছিলেন, সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এই বিষয়ে ভেবে দেখার জন্য তার কিছুটা সময় দরকার।

উল্লেখ্য, রাহুল গান্ধী বিরোধী দলনেতার পদে যাওয়ার মাধ্যমে দীর্ঘ দুই দশক পর লোকসভার প্রধান বিরোধী দলের নেতা পদটি ফিরে পেল কংগ্রেস। ২০১৪ সালের নির্বাচনে, ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার সময় কংগ্রেস মাত্র ৪৪টি আসন জিতেছিল। আর ২০১৯ সালে জিতেছিল ৫২টি আসন।

দুইবারই বিজেপির পর সংসদে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল ছিল কংগ্রেস। কিন্তু সংসদে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পাওয়ার মানদণ্ড পূরণ করতে পারেনি দলটি। নিয়ম অনুযায়ী, লোকসভায় ১০ শতাংশের কম আসন পেলে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা বা প্রধান বিরোধী দলনেতার পদ পাওয়া যায় না।

অবশ্য এ বছরের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ৯৯টি আসনে জয় পেয়েছে।


আরও খবর
যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন আজ

বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪




প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ বেড়েছে ৫১০ কোটি টাকা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জন্য ১ হাজার ২১৭ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ প্রস্তাব করেন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় এ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ বেড়েছে ৫১০ কোটি টাকা।

গত অর্থবছরে (২০২৩-২৪) প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জন্য ১ হাজার ১৮ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব ছিল। পরবর্তীতে সংশোধিত বাজেটে সেটি ৭০৭ কোটি টাকা নির্ধারণ হয়।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, বৈদেশিক কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাওয়ায় রেমিট্যান্স আহরণের গতি বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ ছিল ১০ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরে দ্বিগুণ হয়ে ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বিদেশ ফেরত কর্মীদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের অনুকূলে সরকার ৫০০ কোটি টাকার বরাদ্দ প্রদান করেছে।


আরও খবর



বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে বিরল টানাপোড়েনে নেতানিয়াহু

প্রকাশিত:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২১ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অস্ত্র সরবরাহ সংক্রান্ত একটি মন্তব্যকে ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের সঙ্গে নতুন টানাপোড়েনে জড়িয়ে পড়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। গত ৭৭ বছর ধরে যে মাত্রার কূটনৈতিক সম্পর্কে আবদ্ধ দুই দেশ, তাতে এই টানাপোড়েনকে বিরল বলছেন আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকরা।

টানাপোড়েনের শুরু চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর একটি বক্তব্যকে ঘিরে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা একটি ভিডিও চিত্রে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে বলতে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি প্রশাসন তার দেশের জন্য পাঠানো অস্ত্র ও গোলাবারুদের চালান আটকে রেখেছে।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রসঙ্গে সংবাদিকদের বলেন, তার এমন কথাবার্তা আমাদের জন্য খুবই হতাশাজনক এবং বিরক্তিকর। হামাস এবং মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের অন্যান্য শত্রুদের থেকে আত্মরক্ষার জন্য (ইসরায়েলকে) আমরা যে পরিমাণ সামিরক ও অন্যান্য সহায়তা প্রদান করেছি এবং এখনও করছি, অন্য কোনো দেশ এমনটা করেনি।

আগের দিন বুধবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারিন জেন পিয়েরে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন, হ্যাঁ, অস্ত্র-গোলাবারুদের একটি বিশেষ চালানে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে; কিন্তু ওই চালানটি ব্যতীত অন্য কোনো চালানে তো বাধা দেওয়া হয়নি.আমরা সত্যিই বুঝতে পারছি না, তিনি আসলে কী বলতে চাইছেন।

প্রসঙ্গত, গত মে মাসের শুরুর দিকে গাজা উপত্যকার রাফায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় এই শহরটিতে লাখ লাখ বেসামরিক ফিলিস্তিনি আশ্রয় নেওয়ার কারণে ইসরায়েলি বাহিনীর এই অভিযানে ঘোরতর আপত্তি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। তার সেই আপত্তি উপেক্ষা করেই ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীকে (আইডিএফ) রাফায় অভিযানের নির্দেশ দেন নেতানিয়াহু।

এদিকে নেতানিয়াহু এই নির্দেশ দেওয়ার পর ইসরায়েলের জন্য বরাদ্দ একটি মার্কিন সামরিক চালানে স্থগিতাদেশ দেন জো বাইডেন। এটি ছিল ২ হাজার পাউন্ডের বোমার চালান। রাফায় অভিযানের সময় ব্যবহারের জন্য এসব বোমা ওয়াশিংটনের কাছে চেয়েছিল ইসরায়েল।

তবে সম্প্রতিক বক্তব্যকে ঘিরে ক্যাথেরিন জেন পিয়েরে ও জন কিরবির সমালোচনাতে দমে যাননি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার কিরবির বক্তব্যের কিছুক্ষণ পর, আমি ব্যক্তিগত আক্রমণ মেনে নিতে রাজি আছি, কিন্তু তারপরও চাই যুক্তরাষ্ট্র থেকে গোলাবারুদের চালান অব্যাহত থাকুক। কারণ ইসরায়েলের অস্তিত্বরক্ষার জন্য এই গোলাবারুদ জরুরি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৭ সালে মধ্যপ্রাচ্যে প্রতিষ্ঠিত হয় ইসরায়েল। সেই প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ইসরায়েলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। গত ৭৭ বছর ধরে ইসরায়েলকে নিয়মিত আর্থিক, সামরিক, কূটনৈতিক, গোয়েন্দা ও রাজনৈতিক সমর্থন দিয়ে আসছে ওয়াশিংটন।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্ত ও ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস। সেই হামলায় নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন। এর পাশাপাশি ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে গিয়েছিল হামাস যোদ্ধারা। এই হামলার জবাবে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী, যা এখনও চলছে। ইসরায়েলি বাহিনীর গত আট মাসের অভিযানে এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন ৩৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। এই নিহতদের শতকরা ৫৬ ভাগই নারী ও শিশু।

এই অভিযানের শুরু থেকেই ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তার নেতৃত্বাধীন প্রশাসনের কর্মকর্তারা গত আট মাসে বার বার গাজায় বেসামরিক হত্যা হ্রাসের জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তবে প্রতিবারই কোনো না কোনো অজুহাতে সেই আহ্বান এড়িয়ে গেছেন নেতানিয়াহু। এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদও হয়েছে। সেই বাদানুবাদই এখন রূপ নিয়েছে টানাপোড়েনে।


আরও খবর
যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন আজ

বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪