আজঃ রবিবার ১২ মে ২০২৪
শিরোনাম

বাংলাদেশে ইন্টারনেট সেবা দিতে চায় ইলন মাস্ক

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুলাই ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুলাই ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেখানে ফাইবার অপটিক্স সংযোগ নেই, সেখানে এই পরিষেবা দেওয়া যেতে পারে। বাংলাদেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা চালুর ইচ্ছা প্রকাশ করেছে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের স্পেসএক্স।

বুধবার যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা দুই সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক করে এই আগ্রহের কথা জানান। স্পেসএক্সের গ্লোবাল গভর্নমেন্ট অ্যাফেয়ার্স ম্যানেজার জোয়েল মেরেডিথ ও গ্লোবাল লাইসেন্সিং অ্যান্ড অ্যাক্টিভেশন ম্যানেজার পার্নিল উর্ধওয়ারেশে, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) ও আইসিটি বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

বিএসসিএল চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেন, সফররত কর্মকর্তারা বাংলাদেশে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। সে কারণেই তারা এখানে এসেছেন। তবে তারা অনুমোদন পাবে কি না, তা সরকারের সিদ্ধান্ত। এটি কঠিন সিদ্ধান্ত হবে। কেননা, স্থানীয় মোবাইল অপারেটর ও ইন্টারনেট পরিষেবা সরবরাহকারীরা (আইএসপি) ইতোমধ্যে ডেটা পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন<< ‘নীল পাখি’ সরিয়ে ‘এক্স’ আনলেন ইলন মাস্ক

শাহজাহান মাহমুদ জানান, স্পেসএক্সের কর্মকর্তারা স্টারলিংকের ইন্টারনেট ও ডাউনলোড স্পিডের নমুনা দেখিয়েছেন। এটি সকালে প্রায় ৫০০ এমবিপিএসে পৌঁছেছিল। তিনি যোগ করেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেখানে ফাইবার অপটিক্স সংযোগ নেই, সেখানে এই পরিষেবা দেওয়া যেতে পারে। প্রযুক্তি বিশ্লেষণের জন্য তারা পাঁচটি স্টারলিংক টার্মিনাল (স্টারলিংক কিটস) সংগ্রহ করেছেন বলেও জানান বিএসসিএল চেয়ারম্যান।

বৈঠকে অংশ নেওয়া এক সরকারি কর্মকর্তা জানান, স্পেসএক্সের কর্মকর্তাদের জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে, ডিজিটাল ক্ষেত্রে অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধে বৈধ হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হলে তারা তা পূরণ করতে পারে কি না। পরে, সন্ধ্যায় স্পেসএক্সের কর্মকর্তারা আইসিটি বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমরা দুইটি স্টারলিংক ডিভাইস পেয়েছি। একটি প্রত্যন্ত এলাকায় শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবে ব্যবহার করা হবে। সেখানে উচ্চগতির ইন্টারনেট পাওয়া যায় না। অন্যটি নারীদের বাসে ব্যবহার করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, তারা আইসিটি বিভাগের ছাদে অ্যান্টেনা বসিয়ে ডিভাইস পরীক্ষা করেছেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে ডিভাইসটি পরীক্ষার সময় ইন্টারনেটের গতি ও সংযোগ ১৫০ এমবিপিএসে স্থিতিশীল ছিল।

আরও পড়ুন<< সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় ৫০০ কোটি মানুষ

জুনাইদ আহমেদ পলক আরও বলেন, স্টারলিংকের সংযোগ কীভাবে দ্বীপ ও দুর্গম চরের মানুষের পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য উপকারী হতে পারে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা তিন মাস ধরে ডিভাইসগুলো পরীক্ষা করব। বৃষ্টি, কুয়াশা ও খারাপ আবহাওয়ার সময় এগুলো কীভাবে কাজ করে তা বিশ্লেষণ করব। তিন মাস পরীক্ষার পর শিক্ষা, গবেষণা ও স্বাস্থ্যখাতে কীভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় সে বিষয়ে স্টারলিংকের সঙ্গে আইসিটি বিভাগের চুক্তি হতে পারে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আগামী সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকের জন্য ইলন মাস্ককে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার জানান, তারা এখনো স্পেসএক্সের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেননি। বিআরটিসি দেশের টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা নিয়ন্ত্রণ ও তদারকি করে।

টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, স্যাটেলাইটের ডাউনলিংকের আগে স্পেসএক্সকে অবশ্যই সরকারের অনুমতি নিতে হবে। এ ছাড়া, দেশে ইন্টারনেট সেবা দিতে স্টারলিংককে অবশ্যই আইএসপি লাইসেন্স নিতে হবে।

আরও পড়ুন<< বাংলাদেশের ৪২ লাখ ভিডিও ডিলিট করেছে টিকটক

বিএসসিএল চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেন, স্টারলিংক ইন্টারনেট পরীক্ষামূলকভাবে চালানোর জন্য বিটিআরসির অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, স্যাটেলাইট ইন্টারনেট চালু হলে তা দেশের জন্য লাভজনক হবে। এলআইআরএনই এশিয়ার সিনিয়র পলিসি ফেলো আবু সাঈদ খান বলেন, দেশে স্যাটেলাইট ব্যবহারের অনেক সুযোগ আছে। কেননা, এখন নতুন নতুন প্রযুক্তি আসছে।

রবি আজিয়াটার সাবেক সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা তখনই ফলপ্রসূ হবে, যখন প্রত্যন্ত অঞ্চলে এর ব্যবহার হবে। কেননা, সেখানে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা ঠিক মতো পাওয়া যায় না। যেখানে ইতোমধ্যে মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ আছে সেখানে এটি চালু হলে প্রতিযোগিতা বাড়বে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, তাই যেসব এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা নেই, সেখানে কম দামে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট দেওয়া গেলে ভালো হয়।


আরও খবর



যমুনায় নানীর সাথে মাছ ধরতে গিয়ে দুই ভাইয়ের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জামালপুর প্রতিনিধি

Image

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় নানীর সাথে যমুনা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে মিনহাজ উদ্দিন (১০) ও মিনাল মিয়া (৮) নামে দুই সহোদর ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার সাপধরী ইউনিয়নের দুর্গম চরশিশুয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

তারা উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের জারুলতলা এলাকার আজাহার মিয়ার ছেলে। এর আগে ঈদের দুইদিন আগে বাবা-মার সাথে তারা নানা দুদু সরকারের বাড়িতে বেড়াতে আসে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ শনিবার দুপুর ১টার দিকে বাড়ির পাশে নানীর সাথে যমুনা নদীতে মাছ ধরতে যায় ওই দুই শিশু। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীর পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয় তারা। অনেক খোঁজাখুঁজির এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর তাদের মৃতদেহ নদীতে ভেসে উঠে।

সাপধরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ্ আলম মন্ডল জানান, তাদের নানা খুবই দরিদ্র। নদীতে মাছ ধরেই জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। দুপুরে নানীর সাথে যমুনা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠকে কাতারের আমির

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্ত বৈঠকে বসেছেন সফররত কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়।

এর আগে সকাল সোয়া ১০টায় রাজধানীর তেঁজগাওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে টাইগার গেটে তাকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিমুল হলে একান্ত বৈঠকে বসেন দুই নেতা।

একান্ত বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গ্লোব হলে ফটোসেশনে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কাতারের আমির শেখ তামিম।

এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চামেলী হলে দুদেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আমির।

দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে দুদেশের মধ্যে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা।

এর আগে, গতকাল সোমবার বিকালে দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দিয়ে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।


আরও খবর



তীব্র তাপদাহে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের পাশে আইজিপি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বৈশাখের তীব্র তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত। কিন্তু প্রখর খরতাপ উপেক্ষা করেও নগরবাসীর যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে নিরলস দায়িত্ব পালন করছেন ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের প্রতিটি সদস্য। তাদের পেশাদারিত্ব ও মনোবল অটুট রাখতে সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তারই নির্দেশনায় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান প্রচণ্ড দাবদাহে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের একটু বাড়তি স্বস্তি দিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ডিএমপির আটটি ট্রাফিক বিভাগের প্রত্যেক সদস্যের জন্য সুপেয় পানির বোতল সরবরাহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি খাবার স্যালাইন, ফলের জুস, লেবুর শরবত প্রভৃতি সরবরাহ করা হচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদেরকে ছাতা সরবরাহ করা হয়েছে। প্রতিটি ট্রাফিক-বক্সে হাত-মুখ ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে ও তাপপ্রবাহের মধ্যেও সুস্থ থাকতে প্রত্যেক ফোর্সকে করণীয়/বর্জনীয় সম্পর্কে ব্রিফিং প্রদান করা হয়েছে।

ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মুনিবুর রহমান বলেন, তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এই মুহূর্তে উত্তপ্ত রোদে ইউনিফর্ম পরে পিচঢালা সড়কে দাঁড়িয়ে নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব একাগ্রচিত্তে পালন করছেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। এ সময় ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মনোবল বাড়াতে আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার নানা ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এ ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে একদিকে ফোর্সের মনোবল যেমন চাঙ্গা হচ্ছে, অপরদিকে তাপদাহের মধ্যেও ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে সম্মানিত নগরবাসী পাচ্ছেন সর্বোত্তম সেবা।

মানবিকতার এসব উদ্যোগ গ্রহণ করায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সকল সদস্যের পক্ষ থেকে আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।


আরও খবর



তীব্র গরমে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

চলমান দাবদাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার (২১ এপ্রিল) থেকে ৭ দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন এ কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, তীব্র গরমের কারণে ২১ থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের বিদ্যালয়সমূহ ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকবে।

এর আগে সকালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, গরমের কারণে স্কুল শুরুর আগে অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে। কিন্তু ক্লাস চলমান থাকবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত কার্যকর থাকবে।

রমজান, ঈদ ও বৈশাখের টানা ২৬ দিনের ছুটি কাটিয়ে রোববার (২১ এপ্রিল) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার কথা ছিল। তবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে ছুটি আরও বাড়ানোর দাবি জানায় অভিভাবক ঐক্য ফোরাম।


আরও খবর



গ্রামাঞ্চলে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং না করে যত দ্রুত পারা যায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশনা দিয়েছেন।

সোমবার (৬ মে) বিকেলে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ তথ্য জানান।

লোডশেডিং প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারা বাংলাদেশে কিছু কিছু অঞ্চলে আমাদের কিছুটা লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে অনেক জায়গাতে। এটা আমরা গত এক মাস যাবৎ পর্যবেক্ষণ করছি।

তিনি বলেন, আমাদের বেশ কিছু পাওয়ার প্ল্যান্ট, বিশেষ করে ওয়েল বেইজড পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো বন্ধ আছে। সেগুলো আমরা ধীরে ধীরে চালু করতেছি। তেলের স্বল্পতা ছিল, আর্থিক স্বল্পতা ছিল- এ বিষয়গুলোকে নজরদারি করে আমরা এখন একটা ভালো পরিস্থিতিতে আছি।

নসরুল হামিদ আরও বলেন, এ বিষয়গুলো সংসদে আলোচনা হয়েছে। সার্বিকভাবে সবাই, যারা সংসদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীও এটা ওয়াকিবহাল রয়েছেন। তিনি আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন যাতে গ্রামাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা করতে। আমরা সেটাই ব্যবস্থা করে এখন একটা ভালো অবস্থায় আছি।

গ্রামে লোডশেডিং প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন (লোডশেডিং) কমে গেছে। কারণ, আমি তো প্রতিদিন নিউজ পাচ্ছি। আজকে যদি দেখেন জিরো লোডশেডিং।

তেলের যে সমস্যা ছিল সেটি কেটেছে কিনা- প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি, আমাদের নিজেদের কাছ থেকে তেল দেওয়ার। বিপিসি থেকে তেল দেওয়ার। এখন সেটাই ব্যবস্থা চলছে।

উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ডের পরও লোডশেডিং প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড আবার সর্বোচ্চ চাহিদাও আছে। সেটার মধ্যে তো একটা পার্থক্য আছে। কারণ এবার আপনারা দেখেছেন বিগত ৫০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। সেই তাপমাত্রার জন্য তো আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না।

তিনি আরও বলেন, আমরা যতটুকু প্রস্তুত ছিলাম সে পর্যন্ত আমরা গেছি। তার ওপরে যাওয়ার জন্য আমাদের চেষ্টা ছিল। আমরা করতে পারতাম। কিন্তু মুশকিলটা হলো অর্থ এবং তেলের সংস্থাপন। তবে সার্বিকভাবে এখন পরিস্থিতি আগের থেকে ভালো।


আরও খবর