আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

বাংলাদেশি দুই প্রবাসীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করল সৌদি

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
প্রবাসে বাংলা

Image

সৌদি আরবে দুই বাংলাদেশির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাদের এ সাজা দেওয়া হয়েছে। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সৌদি আরবের আদালত জানিয়েছে, ওই দুই ব্যক্তি এক ভারতীয়কে হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। এরপর আদালতের চূড়ান্ত রায়ের ভিত্তিতে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা বাংলাদেশের নাগরিক।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সাংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ওই দুই বাংলাদেশি কীটনাশক ছিটিয়ে এক ভারতীয়কে হত্যা করেছেন। অর্থসংক্রান্ত বিবাদের জেরে তারা ওই ব্যক্তিকে হত্যা করেন। তবে প্রতিবেদনে ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত কোনো বিবরণ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।

গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা বাংলাদেশের নাগরিক। আর হত্যার শিকার ব্যক্তি ভারতের নাগরিক। ঘটনার দিন তারা ওিই ভারতীয়কে গাড়িতে করে একটি খোলা মাঠে নিয়ে যান। এরপর সেখানে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন তারা। এমনকি অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তার পরিচয় আড়াল করতে তার মুখে কীটনাশক ছিটিয়ে দেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ওই ব্যক্তিরা হত্যার পর লাশ গুম করতে মাটির নিচে পুঁতে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন। তবে তার আগেই তারা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। দীর্ঘ তদন্তের পর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর আদালতে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তাদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তাদের আইনজীবীরা সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন। কিন্তু আপিলেও রায় বহাল রাখেন আদালত। এরপর দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এলাকা জিনান প্রদেশে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।


আরও খবর



স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে গুলি, অবস্থা শঙ্কাজনক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী রবার্ট ফিকো গতকাল বুধবার আততায়ীর গুলিতে মারাত্মক আহত হয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। অন্যদিকে সন্দেহভাজনকে আটক করেছে পুলিশ। খবর বিবিসি।

খবরে বলা হয়, রাজধানীর উত্তর-পূর্বে হ্যান্ডলোভা শহরে একটি সাংস্কৃতিক কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। সেখানে সরকারি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে- পেট, হাত ও পায়ে গুলি লেগেছে ফিকোর। একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তিনি তিনটি গুলির শব্দ শুনেছেন।

ফিকোর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে, প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে একাধিক গুলি ছোড়া হয়েছে এবং তার জীবন আশঙ্কাজনক। তাকে হেলিকপ্টারে করে বাঙ্কসা বায়াসত্রিকাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ঘটনার সময় দেশটির পার্লামেন্টে অধিবেশন চলছিল। প্রধানমন্ত্রী গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর শোনার পর বিষয়টি সংসদ সদস্যদের অবহিত করেন ডেপুটি স্পিকার লুবোস ব্লাহা।

গুলির ঘটনায় দেশটির বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জুজানা ক্যাপুতোভা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ওপর নৃশংস ও নির্মম হামলার ঘটনায় তিনি হতবাক। হামলার নিন্দা জানিয়ে ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেন, আমাদের সমাজে এমন সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এটা গণতন্ত্রকে হেয় করে।


আরও খবর



সিসি ক্যামেরার আওতায় আসছে কক্সবাজার

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিশ্বের দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত হচ্ছে কক্সবাজারে। এবার ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে এ সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। পাশাপাশি বাইনোকুলার দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে সৈকতের নানা বিষয়। এছাড়া ছিল সিসি ক্যামেরা। সেগুলো পরিচালনার জন্য ছিল বড় বড় এলইডি মনিটর।

এবার পুরো শহরটিকেও সিসি ক্যামেরার আওতায় আনতে চায় বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ। এসব সিসি ক্যামেরায় যা ধরা পড়বে তা দেখা যাবে শহরের মোড়ে মোড়ে রাখা বড় এলইডি মনিটরে। ফলে শহরের অপরাধ কমে আসবে অন্যদিকে পর্যটকরা নিরাপদে ঘুরতে পারবেন।

শুধু তাই নয়, পর্যটকরা বিপদে পড়লে যাতে খুব সহজেই স্বজনদের ফোন করতে পারেন তার জন্য বিভিন্ন মোড়ে ইন্টারকম সার্ভিস এবং বসটন টেলিফোন রাখার চিন্তা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দেশে প্রথমবারের মতো দুটি পর্যটন কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে মনিটরিং করা হয়েছে। পরীক্ষামূলক এই কাজে সফলতা পেয়েছে বাংলাদেশ ট্যুরিস্ট পুলিশ। তবে ক্যামেরায় অপ্রীতিকর কিছু ধরা পড়েনি।

ট্যুরিস্ট পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঈদুল ফিতরে দেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা বসানোর উদ্যোগ নেয় ট্যুরিস্ট পুলিশ। এরই অংশ হিসেবে প্রথম বারের মতো কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ১২টি, পতেঙ্গা বিচে ১২টি ও কক্সবাজারে ২০টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। এসব ক্যামেরা ঢাকায় বসে কন্ট্রোল রুম থেকে নিয়ন্ত্রণ করে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

এছাড়াও কক্সবাজারের প্রতিটি বিচকে ইন্টারকম সিস্টেমের আওতায় আনা হয়েছিল। পর্যটকরা তাদের সমস্যা সরাসরি ইন্টারকমের মাধ্যমে ট্যুরিস্ট পুলিশকে অবগত করতে রাখা হয়েছিল এই সুবিধা। তার ফলও তারা পেয়েছেন। পাশাপাশি লাগনো হয়েছিল কক্সবাজারের প্রতিটি বিচ এলাকায় সিকিউরিটি এলার্মিং বাটন। পর্যটকরা কোনো সমস্যায় পড়ামাত্র বাটনে টিপ দিয়ে তা ট্যুরিস্ট পুলিশের বক্সে আওয়াজ তৈরি করেছে। ফলে দ্রুত সময়ে সেই স্থানে পুলিশ পৌঁছে তাদেরকে উদ্ধার করেছে।


আরও খবর



উন্নয়ন হতে হবে পরিবেশবান্ধব ও ব্যয় সাশ্রয়ী: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উন্নয়ন পরিকল্পনা পরিবেশবান্ধব ও ব্যয় সাশ্রয়ী হতে হবে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যে পরিকল্পনাই হোক, সেটা হতে হবে পরিবেশবান্ধব। কারণ জলবায়ুর অভিঘাত থেকে দেশকে রক্ষা করাই আমাদের লক্ষ্য। পাশাপাশি পরিকল্পনাগুলো যেনো টেকসই হয় এবং খরচের দিকটাও বিবেচনায় নিতে হবে।

আজ শনিবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ-আইইবির ৬১তম কনভেনশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রাচীন পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) ৬১তম কনভেনশনের উদ্বোধন করেন।

এবারের ৬১তম কনভেনশনের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারণ করা হয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ফর স্মার্ট বাংলাদেশ। কনভেনশনে সেমিনারের বিষয়বস্তু নির্ধারণ করা হয়েছে দ্য ইঞ্জিনিয়ার্স ফর ট্রান্সফর্মিং টেকনোলজি ড্রাইভেন স্মার্ট বাংলাদেশ।

তিনি জানান, যথাযথ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের কারণেই সরকার দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।

বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী প্রকৌশলীদের সাফল্য কামনা করে বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নে প্রকৌশলীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

পাঁচ দিনব্যাপী আয়োজিত ৬১তম কনভেনশনে সমাপনী অনুষ্ঠান, জাতীয় সেমিনারের উদ্বোধনী ও সমাপনী পর্ব, শহীদ প্রকৌশলী পরিবারের সংবর্ধনা, চারটি স্মৃতি বক্তৃতাসহ বিদেশি অতিথিদের সংবর্ধণা এবং বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হবে।

আগামী সোমবার দুপুরে জাতীয় সেমিনারের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। বিকাল সাড়ে ৩টায় কনভেনশনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা প্রকৌশলী গোলাম মোহাম্মদ কাদের।


আরও খবর



গ্রীষ্মে নতুন রুপে সেজেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

প্রকৃতি থেকে কিছুদিন আগেই বিদায় নিয়েছে বসন্ত। ‌ঋতুর পালাবদলে আগমন ঘটেছে গ্রীষ্মের। বাংলা বর্ষপঞ্জির বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ দুই মাস গ্রীষ্মকাল। গ্রীষ্মের প্রচন্ড তাপদাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। প্রকৃতিতে দেখা দিয়েছে রুক্ষতার ছাপ। তবে গ্রীষ্ম তার নিষ্প্রাণ রুক্ষতাকে ছাপিয়ে প্রকৃতিতে মেলে ধরেছে অপার সৌন্দর্য।

তেমনই গ্রীষ্মের তীব্র তাপদাহে সূর্যের সবটুকু উত্তাপ কেড়ে নিয়ে সবুজ প্রকৃতি আর লাল ইটপাথরে ঘেরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাস যেন হরেক রকম ফুলের ফসরা সাজিয়ে বসেছে। কৃষ্ণচূড়া, জারুল, সোনালু, কনকচূড়া, বাগানবিলাস, জবা, বেলী কাঠগোলাপ, মাধবীলতাসহ রঙ-বেরঙের বিচিত্র সব বর্ণাঢ্য ফুলের সমারোহ দ্যুতি ছড়াচ্ছে ক্যাম্পাসজুড়ে।

গাছঠাসা ফোটা এসব ফুলের মিষ্টি সুবাসে পাগল প্রায় পাখি আর প্রজাপতিরা। রাজ্যের সব ফুল যেন এখানেই জড়ো হয়েছে। নানা রঙের ফুলে ফুলে ভরে গেছে ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণ। দেখেই মনে হবে, এ যেন এক স্বপ্নের বাগিচা। সেখানে সৌরভ ছড়াচ্ছে নানা রঙের ফুল। যেদিকে তাকানো যায় সেদিকেই বিচিত্র ও বর্ণাঢ্য ফুলের সমারোহ। ক্যাম্পাসের এই নির্মল সৌন্দর্য উপভোগ করছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও দর্শনার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের পাশে, শহীদ মিনার, মুন্নী সরণি, চৌরঙ্গী এলাকা, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ও বিভিন্ন আবাসিক হলের সামনের সড়কসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় সারি সারি কৃষ্ণচূড়ায় সুশোভিত হচ্ছে ক্যাম্পাস। জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনের পুকুরপাড়, শহীদ মিনার ও মুরাদ চত্বর এলাকা সেজেছে হলুদ কনকচূড়ার।

এছাড়াও সুইজারল্যান্ড, শান্তিনিকেতন এলাকা ও মওলানা ভাসানী হল সংলগ্ন পুকুর পাড়ে বেগুনি শোভা ছড়াচ্ছে প্রায় অর্ধশতাধিক জারুল।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ, শহীদ সালাম-বরকত হলের পাশে, ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রর পাশে , বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে ও চৌরঙ্গী এলাকায় শোভা ছড়াচ্ছে সাদা ও গোলাপি রঙের মিশ্রণের ফুল ক্যাশিয়া রেনিজেরা ও ক্যাশিয়া জাভানিকা। ক্যাসিয়া রেনিজেরা ফুল লালন করছে অন্য রকম সৌন্দর্য। শ্বেতশুভ্র ভিনদেশি এ প্রজাতির ফুলগাছের আদি নিবাস জাপান। এর স্নিগ্ধ রূপ ও রং বৈচিত্র থেকে চোখ সরিয়ে নেওয়া কঠিন। এছাড়াও ক্যাম্পাসজুড়ে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে  সোনালু, জবা, বেলী, মাধবীলতাসহ অসংখ্য ফুল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী অরিত্র সাত্তার বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই রঙিন ফুলের সমাহার মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। প্রকৃতির রুক্ষতা ও যান্ত্রিকতার রুদ্ধশ্বাস ভুলিয়ে যা আমাদের দেয় অপার স্বস্তি ও অনাবিল শান্তি। প্রকৃতি আমাদের বাঁচার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ধরনের দৃশ্য মানুষকে প্রকৃতির সংরক্ষণ করার বিষয়টি মনে করিয়ে দেয়।

বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আনিকা ইনতিসার বলেন, গ্রীষ্মের এই তাপদাহে চোখ মেলে তাকানোই যখনই দুষ্কর, তখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রঙিন মন জুড়ানো লাল হলুদ সব ফুল দেখে শান্তি পাচ্ছি। কৃষ্ণচূড়া, রাঁধাচূড়া তাদের লাল কমলা সংমিশ্রণ সবুজের মাঝে সজ্জিত হয়ে আছে। শহীদ শুভ্র স্নিগ্ধ রূপের জাপানি ক্যাসিয়া রেনিজেরো ও শোভা ছড়াচ্ছে। মৃদু হলুদ রঙের সোনালুর ছায়াতে বৈশাখের গান শুনতে বা কবিতা পড়ার আনন্দ অন্যরকম। রং পুকুরে ফুলের ছবি কিংবা রাস্তার ধারে ধারে দৃষ্টি কেড়ে নেওয়া নয়নাভিরাম পুষ্পরাজি যেকোন নিমিষেই ক্লান্ত মনকে দুরন্ত করতে পারে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ও গবেষক অধ্যাপক ড. ছালেহ আহাম্মদ খান বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছোট-বড় মিলে মোট ৯১৭ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে। কিন্তু ক্যাম্পাসে মাত্রাধিক উৎসব পালন এবং ছাত্রদের অসচেতনতার কারণে গাছের নিচে প্রায়ই পলিথিন ব্যাগ, প্লাস্টিক বোতলের মতো অপচনশীল বর্জ্য জমা হয়ে থাকে। এতে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়ছে আমাদের প্রকৃতি।

নিউজ ট্যাগ: গ্রীষ্মকাল

আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




এবার অর্থনীতিবিদকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বানাচ্ছেন পুতিন

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেরগেই শোইগুকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার স্থলাভিসিক্ত হতে যাচ্ছেন উপ-প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রে বেলোসোভ, যিনি একজন অর্থনীতিবিদ। তবে তার সামান্য সামরিক অভিজ্ঞতাও রয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, রুশ প্রসিডেন্ট পুতিনের এই পদক্ষেপ ইঙ্গিত দিচ্ছে- রাশিয়ার অর্থনীতিকে তিনি তার যুদ্ধ প্রচেষ্টার সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত করতে চাচ্ছেন।

এ বিষয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, উদ্ভাবনের’ দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই একজন বেসামরিক ব্যক্তিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, জিডিপির একটি বড় অংশ সামরিকখাতে ব্যয় করার পর থেকে রাশিয়া অনেকটা ১৯৮০ সালের মাঝামাঝি সময়ের সোভিয়েত ইউনিয়নের মতো হয়ে উঠেছিল।

দিমিত্রি পেসকভ বলেন, সামরিক ব্যয়কে রাশিয়ার সামগ্রিক অর্থনীতির সঙ্গে আরও ভালোভাবে সংহত করার বিষয়টি নিশ্চিত করা দরকার। আর যে ব্যক্তি উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে বেশি খোলামনের তিনিই যুদ্ধক্ষেত্রে বিজয়ী হবেন।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শোইগুর স্থলে নতুন কেউ আসার বিষয়টি তেমন আশ্চর্য হওয়ার মতো কিছু নয়। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে শোইগুর অবস্থান বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছে। এমনকি এটাও শোনা যাচ্ছিল যে, তাকে পদচ্যুত করানো হতে পারে।

মূলত রাশিয়ার ইউক্রেন অভিযানে সামরিক বিপর্যয় এবং শক্তি ও সম্পদের বড় ধরনের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। এজন্য অনেকে শোইগুকেই দায়ী করে থাকেন।

এক্ষেত্রে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে একজন অর্থনীতিবিদ থাকাটা ক্রেমলিনের পরিবর্তিত অগ্রাধিকার নীতিরই প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে।

রাশিয়ার অর্থনীতি এখন যুদ্ধকালীন সময় পার করছে। তাই যুদ্ধের অর্থায়নের জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যথেষ্ট অর্থ থাকা অত্যাবশ্যক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রুশ সরকারের এক সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে স্বাধীন রুশ ওয়েবসাইট দ্য বেল জানিয়েছে, বেলোসভকে রাষ্ট্রের একজন কঠোর রক্ষক হিসেবে দেখা হয়, যিনি বিশ্বাস করেন- রাশিয়া শত্রু দিয়ে ঘেরা।

পুতিনের মতো তারও রুশ অর্থোডক্স চার্চের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। এমনকি প্রেসিডেন্ট পুতিনের মতো তিনি মার্শাল আর্টের ব্যাপারেও বেশ উৎসাহী। তরুণ বয়সে বেলোসভ কারাতেসহ বিভিন্ন খেলার অনুশীলন করতেন।

উপ-প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সহযোগী হিসেবে বেশ কয়েক বছর কাজ করেছেন। এর আগে অর্থনৈতিক উন্নয়নমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ২০১৪ সালে রাশিয়া যখন ক্রিমিয়া অধিগ্রহণ করে তখন সেটাকে সমর্থন করার জন্য পুতিন একটি অর্থনৈতিক প্রতিনিধি দল গঠন করেছিলেন। বেলোসভ ওই দলের সদস্য ছিলেন।

অপরদিকে ইউক্রেন যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন সেরগেই শোইগু। তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত। পুতিনকে তিনি প্রায়ই নিজের জন্মভূমি সাইবেরিয়ায় মৎস্য শিকারে নিয়ে যেতেন।

তাদের ঘনিষ্ঠতা এমন পর্যায়ে ছিল যে, পূর্ব কোনও সামরিক অভিজ্ঞতা না থাকলেও শোইগুকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি দায়িত্বে দিয়েছিলেন পুতিন। পেশাগত জীবনে শোইগু ছিলেন একজন প্রকৌশলী।


আরও খবর