আজঃ শনিবার ১৮ মে ২০২৪
শিরোনাম

বাড়ছে মাদকের ব্যবহার

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ জুলাই ২০২২ | হালনাগাদ:সোমবার ০৪ জুলাই ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নেশার টাকা জোগাড় করতে মাত্র ২০ হাজার টাকায় দেড় বছরের শিশু সন্তানকে বিক্রি করেন এক মাদকাসক্ত বাবা। গত ৮ জুন চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় এ ঘটনার পর পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধার করে মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয়। পুলিশ জানায়, মতলব দক্ষিণ উপজেলার বাবুপাড়া এলাকার বাসিন্দা ইমরান পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে কাজ করেন। টাকার জন্য তিনি সন্তানকে বিক্রি করে দেয়ার পর শিশুর মা লামিয়া আক্তার থানা পুলিশের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ জানান। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মতলব উত্তর উপজেলার চরলক্ষ্মী গ্রামের এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছ থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। ইমরান হোসেনের স্ত্রী লামিয়া আক্তার দাবি করেন, মূলত মাদকের টাকার জন্যই তাদের শিশুসন্তান অন্যের হাতে তুলে দিয়েছে স্বামী।

গত ২৩ মে রাজশাহীতে নেশার টাকার জন্য ছিনতাই করে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন এক চাকরিজীবী। ৩৬ বছর বয়সী আব্দুল ওয়াদুদ বুলবুল নামের ওই ব্যক্তি সচ্ছল পরিবারের সন্তান। বাণিজ্যে স্নাতক পাস করে একটি বেসরকারি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে চাকরি করেন। রয়েছে স্ত্রী-সন্তান; কিন্তু মাদকের নেশায় তিনি এখন ভয়ংকর ছিনতাইকারী। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের স্ত্রীর ব্যাগ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। নেশার টাকা সংগ্রহ করতেই ছিনতাই করেন বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন ওয়াদুদ। তার বাড়ি নগরীর নওদাপাড়া এলাকায়। ওয়াদুদের বাবা আব্দুল হামিদ গণপূর্ত বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ছিলেন। তাদের চারতলা বাড়ির একটি ফ্ল্যাটে বাস করেন ওয়াদুদ।

পুলিশ জানায়, ওয়াদুদ ভয়ংকর ছিনতাইকারী। তিনি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন, শখ করে এক বন্ধুর সঙ্গে একদিন ফেনসিডিল সেবন করেন। এরপর ইয়াবা ট্যাবলেট। তারপর চেষ্টা করেও আর এসব ছাড়তে পারেননি। মাদকের নেশায় আসক্ত হয়ে টাকা সংগ্রহ করতেই তিনি ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ জগতে পা বাড়িয়েছেন।

পুলিশ জানায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক শাতিল সিরাজের স্ত্রী ইফফাত জাহানের ভ্যানিটি ব্যাগ ছিনতাই হয়। থানায় অভিযোগ হলে ঘটনার পরদিন রাতে ওয়াদুদকে গ্রেপ্তার করে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ। ইফফাত জাহান রিকশায় চড়ে নগরীর রেলগেট থেকে নিউমার্কেটের দিকে যাচ্ছিলেন। তখনই মোটরসাইকেল নিয়ে ইফফাতের ব্যাগ টান দিয়ে নিয়ে যান ওয়াদুদ। পরে ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাকে শনাক্ত করা হয়। পরে লক্ষ্মীপুর মোড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকালে ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেন ওয়াদুদ। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ছিনতাই করা ব্যাগ ও টাকা। তবে ইফফাতের মুঠোফোনটি পাওয়া যায়নি। ছিনতাই করা মুঠোফোনটি তিনি ড্রেনে ফেলে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এর আগেও তিনি এভাবে ছিনতাই করেছেন।

বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, মাদকের নেশার টাকা সংগ্রহের জন্য অনেক সচ্ছল ও শিক্ষিত পরিবারের সন্তানরাও ছিনতাইসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছেন।

শুধু এক ওয়াদুদ বা ইমরান নয়, প্রায় প্রতিদিনই মাদকের টাকার জন্য কেউ হয়ে উঠছেন ছিনতাইকারী, কেউবা খুনি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের বাৎসরিক রিপোর্টে দেখা গেছে, প্রতি বছরই দেশে মাদকের অপব্যবহার আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। দেশে সবচেয়ে বেশি ইয়াবার ব্যবহার ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৬ জুন মাদকদ্রব্য জব্দের পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে, দেশে হেরোইনের অপব্যবহার বেড়েছে। গাঁজার অপব্যবহার ২০১৪-১৭ সাল পর্যন্ত ক্রমবর্ধমান থাকলেও ২০১৮ সাল থেকে গাঁজার অপব্যবহার কিছুটা কমেছে। ফেনসিডিল ২০১৫ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে কিছুটা কমলেও ২০১৭ সালে তা আবারও বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৮ সালে স্থিতিশীল ছিল। ২০১৪ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে ইনজেক্টিং ড্রাগের অপব্যবহার বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৬ সালে কমে ১৭ সালে আবারো বাড়ে।

২০১৪ সাল থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, পুলিশ, বিজিবি, র্যা ব ও কোস্টগার্ড মিলে জব্দ মাদকের পরিমাণে দেখা যায়- ২০১৪ সালে কোকেন ২.০৮৫ কেজি, ফেনসিডিল ৭৪১১৩৭ বোতল ও ৪৩৮.২১৮ লিটার, হেরোইন ৭৮.৩০৩ কেজি, বিদেশি মদ ২৯৩২৫৪ বোতল, গাঁজা, ৩৫৯৮৮.৫৬ কেজি, ইনজেকটিং ড্রাগ ১৭, ৮৮৯ পিস, ইয়াবা ৬৫,১২,৮৬৯ পিস জব্দ করে। ২০১৫ সালে কোকেন ৫.৭৭৮ কেজি, ফেনসিডিল ৮৭০২১০ বোতল ও ৫১০৪.৭৫ লিটার, হেরোইন ১০৭.৫৩৯ কেজি, বিদেশি মদ ৩২২৫৮৯ বোতল, গাঁজা, ৩৯৯৬৭.৫৯ কেজি, ইনজেকটিং ড্রাগ ৮৫, ৯৪৬ পিস, ইয়াবা ২,০১,৭৭,৫৮১ পিস জব্দ করা হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিসংখ্যানে আরো দেখা গেছে- ভারত থেকে ২৩ রুটে, মিয়ানমার থেকে কক্সবাজার ও বান্দরবানের ১৫টি রুট ব্যবহার করে দেশে মাদক ঢুকছে। ২৬ জুন মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক চোরাচালান বন্ধে বাংলাদেশের অনুরোধে সীমান্তের আশাপাশের ফেনসিডিল কারখানা এরই মধ্যে ধংস করেছে ভারত। তবে এখনো যেসব কারখানা আছে সেগুলো ধীরে ধীরে ধংস করার প্রক্রিয়া চলছে। প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে ভয়ংকর যেসব মাসক আসছে, সেগুলো রোধে ভারতের সঙ্গে প্রতিনিয়ত আমাদের যোগাযোগ রয়েছে। আমরা তাদের সব সময় অনুরোধ করছি এবং আমাদের অনুরোধে তারা ফেনসিডিল কারখানা সরিয়ে নিয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের পাশের দেশ মিয়ানমার, যেখান থেকে ভয়ংকর মাদকগুলো আসে। সেই ড্রাগগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা সর্বত্মক প্রচেষ্টা নিয়েছি, তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি, আমাদের ডিজি তাদের ডিজির আলাপ হচ্ছে, আমরা তাদের রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। মিয়ানমারকে যখন আমরা অবহিত করি তখন তারা বুঝেন, পরে আর কিছু করেন না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এ কারণে আমরা সীমান্তে বিজিবিকে শক্তিশালী করছি, আমাদের কোস্টগার্ডকে শক্তিশালী করছি। এই মাদক যাতে দেশে না ঢুকতে পারে সেদিকে নজরদারি করছি। আমরা সীমান্ত এলাকায় সেন্সর বসানোর ব্যবস্থা করছি, যাতে কেউ আসলে বা গেলে তার অস্তিত্ব আমরা টের পাই।

মাদকের চোরাচালান ও অপব্যবহার বর্তমান বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্বের উন্নত-অনুন্নত সব দেশই আজ এ সমস্যায় আক্রান্ত। আমাদের দেশ মাদক উৎপাদনকারী দেশ না হয়েও ভৌগোলিকভাবে বিশ্বের প্রধান দুটি মাদক উৎপাদনকারী বলয়ে অবস্থিত হওয়ায় এটি মাদক চোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছে। এতে দেশের উল্লেখযোগ্য অংশ, বিশেষ করে যুব সমাজের একটি অংশ মেধা ও কর্মশক্তি হারিয়ে ফেলে পরিবার ও সমাজের বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সারা বিশ্বে যেভাবে কাজ করে, আমরাও ঠিক সেভাবে কাজ করি। সাপ্লাই হ্রাস, ডিমান্ড হ্রাস ও হার্ম হ্রাস এই তিন পদ্ধতিতে আমরা কাজ করে থাকি।

মাদক যখন কেউ গ্রহণ করা শুরু করে দেয়, সেটা থাকে কৌতূহলবসত উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রথমে তারা সিগারেটে এক-দুই টান দেয়। এক দুই টান দিতে দিতেই কোস দিন যে চেইন স্মোকার হয়ে যায় সেটা তার অজান্তেই হয়ে যায়। তার পর শুরু করে দুই এক ছিলিম গাঁজা দিয়ে। তার পরে সে যে উল্কার মতো চলে, সে নিজেও বুঝতে পারে না। আমরা হার্ম হ্রাসের জন্য এই সমস্ত ড্রাগ অ্যাডিক্টেডদের খুঁজে বেড়াই। আমাদের কাছে যে পরিসংখ্যান রয়েছে, বাংলাদেশে প্রায় ৭৫ থেকে ৮০ লাখ মাদকাসক্ত রয়েছে। কারো কারো পরিসংখ্যানে আরো বেশি। মোট মাদকাসক্তের মধ্যে ৪৮ শতাংশ শিক্ষিত। মাদকাসক্তদের মধ্যে ৫৭ শতাংশ আবার যৌন অপরাধী। জেলখানায় যত মানুষ আছে, এর বেশিরভাগই মাদক পাচারকারী কিংবা কারবারি। এটা বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে, আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে মাদকসেবীদের ৮০ শতাংশই যুবক। আমরা সরকারিভাবে বলেছিলাম প্রকাশ্যে কেউ ধূমপান করতে পারবে না। এখনো কিন্তু একটা মেনে চলছে। সমীক্ষা বলছে, ৮ শতাংশ ধূমপায়ী কমেছে কিন্তু আমার মনে হয় আরো কমেছে। সবাই মিলে কাজ করলে আমরা এখান থেকে পরিত্রাণ হতে পারব। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশকে মাদকাসক্ত মুক্ত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতিকে সামনে রেখে আমরা কাজ করছি। পুলিশ, বিজিবি, র্যা ব, কোস্টগার্ড, আনসার ও ভিডিপির পাশাপাশি নোডাল এজেন্সি হিসেবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকে আরো শক্তিশালী করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: মাদকাসক্ত

আরও খবর



আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন ৩ বিচারপতি

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে ৩ বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। তারা হলেন- বিচারপতি মুহাম্মদ আব্দুল হাফিজ, বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে তাদের নিয়োগ দিয়ে বুধবার (২৪ এপ্রিল) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন মন্ত্রণালয়।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার তারা শপথ নেবেন বলে জানা গেছে। এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান তাদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন।

এদিকে আইন সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের, হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত তিনজন বিচারককে তাদের শপথ গ্রহণের তারিখ হতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ করেছেন।

বর্তমানে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে ৫ জন বিচারপতি রয়েছেন। নতুন করে ৩ জনকে নিয়োগ দেওয়ায় আপিল বিভাগের বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়াল ৮ জন।


আরও খবর



মালদ্বীপ নির্বাচন: ভারতবিরোধী মুইজ্জুর দলের নিরঙ্কুশ জয়

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মালদ্বীপের পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর দল পিপলস ন্যাশনাল কংগ্রেস (পিএনসি) বিশাল জয় পেয়েছে, প্রকাশিত প্রাথমিক ফলাফলে এমনটি দেখা গেছে। দেশটির ৯৩ আসনের পার্লামেন্টে পিএনসির প্রার্থীরা দুই-তৃতীয়াংশেরও বেশি আসনে জয়ী হয়েছে।

নির্বাচনের এই ফল ভারত মহাসাগরের দ্বীপ দেশটিকে দীর্ঘ দিনের মিত্র ভারত থেকে দূরে সরিয়ে চীনের আরও ঘনিষ্ঠ করে তুলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মালদ্বীপের ভোটাররা প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুর চীনমুখি নীতির প্রতি ব্যাপক সমর্থন দিয়েছে।

মালদ্বীপের নির্বাচন কমিশন পার্লামেন্টের যে ৮৬টি আসনের ফল প্রকাশ করেছে তার মধ্যে পিএনসির প্রার্থীরা পেয়েছেন ৬৬টি আসন। পার্লামেন্টে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য এ অবস্থান যথেষ্ট।

ফলাফলের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিতে সপ্তাহখানেক সময় লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর মে মাসের প্রথম দিক থেকে নতুন পার্লামেন্টের কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা আছে।

এই নির্বাচনে মোট ৪১ জন নারী প্রার্থী ছিলেন। তাদের মধ্যে মাত্র তিনজন নির্বাচিত হয়েছেন। তারা সবাই মুইজ্জুর দল পিএনসির বলে জানিয়েছে স্থানীয় মিহারু সংবাদপত্র।

গত বছর নির্বাচনে জয়ী হয়ে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হন মুইজ্জু। তিনি নির্বাচনি প্রচার শুরুই করেছিলেন তার দেশের দীর্ঘদিনের ভারত-প্রথম’ নীতির অবসান ঘটনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে। প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি প্রথা ভেঙে প্রথম আন্তর্জাতিক সফরে দিল্লি না গিয়ে বেইজিং যান। যেখান থেকে ফিরে তিনি মালদ্বীপে অবস্থান করা ভারতীয় সব সেনাদের দ্রুত সে দেশ ত্যাগ করতে বলেন। চলতি মাসেই দেশটিতে থাকা ৮৯ জন ভারতীয় সেনা নিজ দেশে ফিরে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।


আরও খবর



ফের দেশজুড়ে ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

হিট অ্যালার্টের (তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা) মেয়াদ আরও ৩ দিন বাড়ছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান এ তথ্য জানান।

মো. আজিজুর রহমান বলেন, আমরা এর আগে তিন দিনের যে হিট অ্যালার্ট জারি করেছিলাম তার মেয়াদ আজ শেষ হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হবে। কারণ, আপাতত বড় পরিসরে বৃষ্টি হয়ে তাপপ্রবাহ দূর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমরা হিট অ্যালার্ট জারি করে সরকারকে জানিয়ে দিই। সরকার সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। সংশ্লিষ্টরা তাদের করণীয় যা সেটা করবে।

তিনি বলেন, সারা দেশের তাপমাত্রা গতকালের থেকে আজ কিছুটা বেড়েছে। চলতি এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহ পুরোপুরি দূর হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমরা দেখছি যে, এটা মে মাসের ২ থেকে ৩ তারিখ পর্যন্ত চলবে। এরপর হয়তো বিভিন্ন অঞ্চলে কিছু বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এর আগ পর্যন্ত বড় পরিসরে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। স্থানীয়ভাবে বিচ্ছিন্নভাবে কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে।


আরও খবর
বৃষ্টির পর আসছে হিট ওয়েভ

শনিবার ১৮ মে ২০২৪




আচরণবিধি ভঙ্গ করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না: ইসি

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেউ নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।

তিনি বলেন, আগামী ৮ মে ১ম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ইতোমধ্যে কমিশনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

শুক্রবার (৩ মে) সকালে সিরাজগঞ্জে শহীদ এম মুনসুর আলী অডিটোরিয়ামে ১ম ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জেলার ৩ টি উপজেলার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, সম্ভাব্য প্রার্থী ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন আচরণবিধি না মানলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সেই সঙ্গে কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে তা খতিয়ে দেখা হবে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ন কবীরের সভাপতিত্বে রাজশাহী রেঞ্জের পুলিশের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক আনিছুর রহমানসহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



‘চার মাসে নির্যাতনে ৩৬ শ্রমিকের মৃত্যু’

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে গতকাল মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) পর্যন্ত ১২৯ জন শ্রমিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এসব ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩৬ জন। আহত হয়েছেন ২১৩ জন।

শ্রমিক নির্যাতনের এসব ঘটনা ঘটেছে কারখানা, বাসাবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং সড়ক ও নৌপথে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর পাশাপাশি মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস) সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এইচআরএসএসের তথ্যে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত দেশে ৯২টি শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনায় ২৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১২৮ জন। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা সরঞ্জামের অভাবে দুর্ঘটনায় ৪৪ জন শ্রমিক মারা গেছেন। এ সময়ে সাতটি গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনায় ছয়জন নিহত হয়েছেন।

এ ছাড়া এপ্রিল মাসে ৩৭টি শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১১ জন শ্রমিক। এ সময়ে নির্যাতনে আহত হয়েছেন ৮৫ জন। এপ্রিল মাসে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং কর্মক্ষেত্রে সুরক্ষা সরঞ্জামের অভাবে দুর্ঘটনায় ১৭ জন শ্রমিক মারা গেছেন।


আরও খবর