চাঁদপুরে বিয়ের পর বাসর রাতে স্বামী জানতে
পারলেন নববধূ অন্তঃসত্ত্বা। পরে রাতেই পরীক্ষা করে অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে
স্ত্রীকে তালাক দেন তিনি। আজ শনিবার বিয়ে ও বিচ্ছেদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বালিথুবা
পশ্চিম ইউনিয়নের ১ নম্বর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মো. সেলিম।
এদিকে পরিবারের দাবি ধর্ষণের কারণে ওই
নববধূ অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন। তবে এই বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ করেনি তারা। গত ২ ফেব্রুয়ারি
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পশ্চিম ইউনিয়নের উত্তর সকদিরামপুর গ্রামে বিয়ে
হয় তাদের। বিষয়টি জানাজানি হয় দুই দিন আগে।
ইউপি সদস্য সেলিম বলেন, ‘মেয়ের বাবা একজন
দিনমজুর। তার চার মেয়ের মধ্যে এই মেয়ে তৃতীয়। তার পুরানবাজারে বিয়ে হয়েছে জানতে
পেরেছি। মেয়ের বাবা আমাকে কয়েকদিন আগে জানিয়েছেন, তার মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে।
তখন তিনি তার বাড়ির লিটন নামে এক যুবকের নাম বলেন। এসব বিষয়ে আমি চেয়ারম্যানকে অবগত
করতে এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেই।’
এদিকে ওই নববধূ জানান, বিভিন্ন সময়ে লিটন,
ইলিয়াস, শিমুল ও এলাকার রনি নামে যুবকরা তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছেন। যে কারণে তিনি
অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।
বরের মা জানান, তার ছেলে ঢাকায় একটি প্রাইভেট
কোম্পানিতে চাকরি করেন। ছেলের বিয়ের আগে এমন কোনো তথ্যই তাদের জানা ছিল না। গত ২ ফেব্রুয়ারি
বিয়ের রাতে ছেলের বউয়ের এমন পরিস্থিতি দেখে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করে অন্তঃসত্ত্বা
নিশ্চিত হন। ওই রাতেই ছেলে তালাক দেয়। পরদিন ৩ ফেব্রুয়ারি শহরের একটি ডায়াগনস্টিক
সেন্টারে আবারও পরীক্ষা করে জানতে পারেন নববধূ ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরে মেয়ের পরিবার
এসে তাকে নিয়ে যান।