আজঃ বুধবার ২৬ জুন ২০২৪
শিরোনাম
ছাগলই মতিউরকে চিহ্নিত করেছে : বাহাউদ্দিন নাছিম বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের কল্যাণে কাজ করে: আইজিপি আনার হত্যা: সীতাকুণ্ড পাতাল মন্দিরে ২৩ দিন আত্মগোপনে ছিল ফয়সাল-মোস্তাফিজ আরও এক বছর মুখ্য সচিব থাকছেন তোফাজ্জল হোসেন মিয়া আজিজের ভাইদের এনআইডি জালিয়াতি, সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করবে ইসি মতিউরের বিরুদ্ধে গাজীপুরে বিপুল পরিমাণ সম্পদ ‘জবরদখলের’ অভিযোগ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত আ. লীগ নেতা বাবুলের মৃত্যু এস কে সিনহা ও তার ভাইয়ের মামলায় প্রতিবেদন ২ সেপ্টেম্বর ‘ব্রেস্ট ক্যানসার নিয়ে দেরিতে এলে কিছুই করার থাকে না’ মেডিকেল শিক্ষার্থীর নেতৃত্বে যৌন ব্যবসা, ৭ বছরে আয় শতকোটি

বায়তুল মোকাররমে ঈদুল আজহার জামাত ৫টি

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সারাদেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে সোমবার। প্রতি বছরের মতো এবারও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পর্যায়ক্রমে পাঁচটি ঈদের জামাত হবে।

এখানে প্রথম জামাত সকাল ৭টায়, দ্বিতীয় ৮টায়, তৃতীয় ৯টায়, চতুর্থ সকাল ১০টায় এবং পঞ্চম ও সবশেষ জামাত বেলা পৌনে ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, সকাল ৭টায় অনুষ্ঠেয় প্রথম জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক। মুকাব্বির থাকবেন হাফেজ কারি মো. আতাউর রহমান।

সকাল আটটায় দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহীউদ্দিন কাসেম। মুকাব্বির থাকবেন এই মসজিদের খাদেম আব্দুল হাদী।

সকাল নয়টায় তৃতীয় জামাতে ইমামতি করবেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুফাসসির মাওলানা আবু সালেহ পাটোয়ারী। এতে মুকাব্বির থাকবেন জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. জসিম উদ্দিন।

সকাল ১০টায় চতুর্থ জামাতে ইমামতি করবেন জামেয়া আরাবিয়া মিরপুরের মুহতামিম মাওলানা সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান। মুকাব্বির থাকবেন বায়তুল মোকাররমের খাদেম রুহুল আমিন।

বেলা পৌনে ১১টায় পঞ্চম ও সবশেষ জামাতে ইমামতি করবেন ফাউন্ডেশনের মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। মুকাব্বির থাকবেন জাতীয় মসজিদের খাদেম মো. আক্তার মিয়া।

ওই পাঁচটি জামাতের কোনোটিতে ইমাম উপস্থিত না থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন হাইকোর্ট মাজার মসজিদের ইমাম হাফেজ মো. আশরাফুল ইসলাম।


আরও খবর



সিলেট সেনানিবাসে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এস এ শফি, সিলেট

Image

প্রতি বছরের ন্যায় এবছর ও সিলেট সেনানিবাসে ১৭ পদাধিক ডিভিশন ও সিলেট এরিয়ার উদ্যোগে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে যা আগামী ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে।

রবিবার (৯ জুন) দুপুরে বর্ণাঢ্য র‍্যালি শেষে কর্মসূচির উদ্ভোধন করেন জেনারেল অফিসার কমান্ডিং ও এরিয়া কমান্ডারের পক্ষে সিলেট সেনানিবাসের ১১ পদাধিক ব্রিগেড কমান্ডার ফারুক আহমদ এ এফ ডব্লিউ সি, পিএসসি।

বৃক্ষরোপন কর্মসূচি ২০২৪ উদ্বোধনের সাথেই সাথেই সিলেট ও জালালাাদ সেনানিবাসের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু হয়। কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন জাতের ফলজ, বনজ, ঔষধি ও সৌন্দর্য বর্ধনমূলক গাছ রোপণ করা হয়। এ কর্মসূচির আওতায় প্রায় ৬ হাজার গাছ রোপণ করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট ও জালালাবাদ সেনানিবাসের সকল কমান্ডার, এরিয়া সদর দপ্তর সিলেট ও ডিভিশন সদর দপ্তরের গ্রেড-১ অফিসার এবং সিলেট এরিয়ার সকল ইউনিটের জুনিয়র কমিশন্ড অফিসার এবং অন্যান্য পদবীর সেনাসদস্য অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, বৃক্ষরোপন কর্মসূচির উদ্বোধন উপলক্ষে সিলেট সেনানিবাসে ১৭ পদাধিক ডিভিশন ও সিলেট এরিয়ার উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালির আয়োজন করা হয়।


আরও খবর



বাউফলে ঝোড়ো হাওয়ায় ঘরচাপায় বৃদ্ধের মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৭ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দূর্জয় দাস, বাউফল (পটুয়াখালী)

Image

পটুয়াখালীর বাউফলে ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ঝোড়ো হাওয়ায় একটি পরিত্যক্ত টিনশেড দোতালা ঘরচাপা পড়ে করিম (৬৫) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (২৬ মে) রাতে ঝড়ের সময় বৃদ্ধ করিম পরিত্যক্ত ওই ঘরে আশ্রয় নেন এবং রাতের যেকোনো সময় ঝোড়ো হাওয়ায় ঘর ভেঙে এ ঘটনা ঘটে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাউফল পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের উপজেলা পরিষদ এলাকার কাছে এ ঘটনা ঘটে।

মৃত বৃদ্ধের বাড়ি পটুয়াখালী বাউফলের নাজিরপুর ইউনিয়নের ধানদি গ্রামে। তিনি ভিক্ষা করতেন। পরিত্যক্ত ঘরটির মালিক বিএনপির সাবেক সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার একেএম ফারুক আহমেদ তালুকাদার। তিনি ঢাকা থাকেন।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাউফলের ইউএনও মো. বশির গাজী খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন। মরদেহ উদ্ধার করে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।

বাউফল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন বলেন, মরদেহের পরিচয় পাওয়া গেছে। আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।


আরও খবর



সেন্টমার্টিন থেকে ট্রলারে ফিরেছে আড়াই শতাধিক মানুষ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোহাম্মদ ফারুক, কক্সবাজার

Image

মিয়ানমার সীমান্ত থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাতায়াতকারী নৌযান লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলিবর্ষণের কারণে সাত দিন বন্ধ থাকার পর বিকল্প পথে ঝুঁকি নিয়ে চারটি ট্রলারে করে সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফে ফিরেছে হোটেলকর্মী, শ্রমিক ও বিভিন্ন কাজে গিয়ে আটকা পড়া আড়াই শতাধিক মানুষ।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেন্টমার্টিন জেটিঘাট থেকে চারটি ট্রলার টেকনাফের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে আড়াইটায় টেকনাফের মুন্ডারডেইল পৌঁছে। অন্যদিকে গোলাগুলি অব্যাহত থাকায় সেন্টমার্টিনবাসীর জন্য জেলা প্রশাসনের খাদ্যসামগ্রী বহনকারী নৌযান যেতে পারেনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানান, মিয়ানমার সীমান্ত থেকে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যাতায়াতকারী নৌযান লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলিবর্ষণের কারণে সাত দিন বন্ধ থাকার পর বিকল্প পথে চারটি ট্রলারে করে সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফে ফিরেছে হোটেলকর্মী, শ্রমিক ও বিভিন্ন কাজে গিয়ে আটকা পড়া আড়াই শতাধিক মানুষ। তবে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে টেকনাফ থেকে যে নৌযান সেন্টমার্টিন যাওয়ার কথা ছিল সেটি যেতে পারেনি। কারণ গতকাল থেকে নাফ নদীর একটি এলাকায় ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। বিকল্প পথে হয়ত আগামীকাল শুক্রবার কক্সবাজার থেকে এসব খাদ্যসামগ্রী পৌঁছাতে পারে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, সাত দিন বন্ধ থাকার পর বিকল্প পথে ঝুঁকি নিয়ে টেকনাফের উদ্দেশ্যে চারটি ট্রলার ছেড়ে গেছে। সেন্টমার্টিনে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। বেশি খাদ্যও মজুদ নেই। দ্বীপের মানুষের আতঙ্ক ছাড়ছে না।


আরও খবর



টাঙ্গাইলে ১০ ঘণ্টা পর মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঈদযাত্রায় টাঙ্গাইলে মহাসড়‌কে প্রায় ১০ ঘণ্টা পর যানজট ও প‌রিবহন চলাচলে ধীরগ‌তির অবসান হ‌য়ে‌ছে। এর আগে রাত ১২টার পর থে‌কে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দুর্ঘটনা, টোল আদায় বন্ধ, চালক‌দের বেপ‌রোয়াভা‌বে গা‌ড়ি চালা‌নোর কার‌ণে মহাসড়‌কের যানজট ও ধীরগ‌তির সৃ‌ষ্টি হয়।

শ‌নিবার (১৫) সকাল ১০টা পর্যন্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কের এলেঙ্গা হ‌তে সেতু টোলপ্লাজা পর্যন্ত ১৩ কি‌লো‌মিটার অং‌শে কোথাও যানজট আবার কোথাও ধীরগ‌তির সৃ‌ষ্টি হয়। এরপর বেলা সা‌ড়ে ১১টার পর মহাসড়ক স্বাভাবিক হয়। এখনও বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানা হ‌তে সেতুর টোল প্লাজা পর্যন্ত প‌রিব‌হনের ধীরগ‌তি র‌য়ে‌ছে। তবে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

মহাসড়‌কের এলেঙ্গা, ভুঞাপুর লিঙ্ক রোড, রাবনা বাইপাস এলাকায় দেখা গে‌ছে, স্বাভাবিক দি‌নের মতোই প‌রিবহনগু‌লো কোন বাধা ছাড়াই চলাচল কর‌ছে‌। ত‌বে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব-ভূঞাপুর-টাঙ্গাইল আঞ্চ‌লিক সড়‌কের ক‌য়েক‌টি স্থা‌নে প‌রিবহ‌নের ধীরগ‌তি র‌য়ে‌ছে। এর আগে উত্তরবঙ্গ থে‌কে মহাসড়‌কে যানজট এড়া‌তে ঢাকাগামী প‌রিবহনগু‌লো‌ ওই আঞ্চ‌লিক সড়ক দি‌য়ে ঘু‌রি‌য়ে দেওয়া হ‌য়ে‌ছে। ঈদযাত্রায় প‌রিবহ‌নের সংখ্যা বাড়ায় বঙ্গবন্ধু সেতু‌তে টোল আদায়ও বে‌ড়ে‌ছে। এতে টোল আদা‌য়ে রেকর্ড সৃ‌ষ্টি হ‌য়েছে।

মহাসড়কের যানজট ও ধীরগ‌তির বিষ‌য়ে মহাসড়‌কে দা‌য়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বা‌হিনীর সদস্যরা বলেন, রাতে ও ভো‌রে সেতুর ওপর দুর্ঘটনা ঘ‌টে‌ছিল। এতে এই ঘটনাগু‌লো‌তে হতাহত না হ‌লেও সেতুর ওপর চাপ কমা‌তে টোল আদায় বন্ধ রাখা হয়। এতে চালকদের ওভার‌টেক প্রতি‌যো‌গিতার কার‌ণেও যানজটের সৃ‌ষ্টি হ‌য়ে‌ছিল। যেটা বেলা ১১টার পর্যন্ত ছিল।

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মীর মো. সাজেদুর রহমান বলেন, বর্তমানে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ভোর রাতে যানবাহন বিকল ও টোল প্লাজা কয়েকবার বন্ধ থাকার কারণে এ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রী ডাকল ‘আয় আয়’, ছুটে এলো খরগোশের দল

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কণ্ঠ শুনেই ছুটে এলো খরগোশের দল। শনিবার (১৫ জুন) গণভবনে কৃষক লীগের তিন মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযানের উদ্বোধন উপলক্ষে গণভবন প্রাঙ্গণে বৃক্ষ রোপণ শেষে খরগোশের ঘরের সামনে গেলে এমন দৃশ্য দেখা যায়। এসময় প্রধানমন্ত্রী আয় আয় বলে ডাক দিলে ছুটে আসে খরগোশের দল।

এদিকে গণভবনে কৃষক লীগের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কৃষি অর্থনীতি উন্নত করে আমরা শিল্পায়নে যাব। এজন্য ১০০টা অর্থনৈতিক অঞ্চল করেছি। এর বাইরে যত্রতত্র জমি নষ্ট করে শিল্প করা যাবে না। আমাদের জনসংখ্যা বাড়ছে, ফসল উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমরা আমাদের ফসল উৎপাদন করবো, যাতে কারও কাছে হাত পাততে না হয়। আমাদের খুব তিক্ত অভিজ্ঞতা ৭৪ সালের। নগদ টাকায় কেনা খাদ্যও কিন্তু আসতে দেয়নি। কৃত্রিমভাবে সেখানে একটা দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করা হয়েছিল। সেটা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে যেভাবেই হোক মানুষের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে। সেটাতেও যখন সফল হয়নি, তারপরই তো ১৫ আগস্ট ঘটালো। এখনো কিছু লোকের সেই চেষ্টাটা আছে।

কৃষিতে ভর্তুকির বিষয়ে তিনি বলেন, সারের দাম আমরা কমিয়ে দিয়েছি। এখনো ব্যাপক পরিমাণ ভর্তুকি দিচ্ছি। যেহেতু দেশের মানুষের খাদ্য চাহিদার বিষয়, সে ক্ষেত্রে আমরা কখনো কার্পণ্য করি না, বাজেটে সব সময় আমরা ভর্তুকি দেই।

গাছ লাগানোর গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ুর ক্ষতি করে না। কিন্তু জলবায়ু অভিঘাতে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত। গাছ আমাদের প্রাণ, শ্বাস-প্রশ্বাস দেয়। ফল ও ঔষধি গাছের উপকারিতা অনেক। এজন্য গাছ লাগাতে হবে। নদীর পাড়, উপকূলে এবং ঘরবাড়িতে গাছ লাগান। তবে ফসলি জমি নষ্ট করা যাবে না। শহরে ছাদেও ছোট ছোট গাছ লাগাতে পারেন। উপকূলীয় অঞ্চলে সবুজ বেষ্টনি তৈরি করা। কৃত্রিম উপায়ে বৃক্ষরোপণ করা। ঘূর্ণিঝড়সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষকে বাঁচাতে আমাদের ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট করতে হবে।

মাটির গুণ রক্ষায় পরামর্শ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, বারবার একই ফসল করতে করতে মাটির গুণ নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য মাঝখানে আরেকটা করলে মাটি পুষ্টি ফিরে পায়। যেমন- আমরা বারবার ধান করছি, এটার মাঝখানে আরেকটা করতে পারলে মাটির পুষ্টি বাড়বে।

শেখ হাসিনা বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে এত ঝামেলা। আমরা কেন উৎপাদন করি না? ৪০ শতাংশ আমরা জোগান দেই। এটা আরও বাড়বে। পেঁয়াজ উৎপাদন করে কৃষাণী অনেক টাকা আয় করে। ভুট্টাও চাষ হতো না, সেটাও করছি। আগে সবজি শীতকালে পাওয়া যেত, কিন্তু এখন আমরা গবেষণা করে বারোমাসি সবজির জাত উদ্ভাবন করেছি। এখন এটার ফল পাওয়া যাচ্ছে।

কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটুসহ মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, আওয়ামী লীগের নেতা, সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা ও কৃষক লীগের নেতারা অংশ নেন।


আরও খবর