আজঃ মঙ্গলবার ০২ জুলাই 2০২4
শিরোনাম

বেনজীর-মতিউরের নামে মামলা এ সপ্তাহেই

প্রকাশিত:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ৩০ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদ ও সদ্য সরিয়ে দেওয়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্মকর্তা মতিউর রহমানকে আইনের আওতায় আনার ক্ষেত্রে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আর সময় নেবে না। এরই মধ্যে দুজনের নামে বিপুল সম্পদের তথ্যপ্রমাণ পেয়েছে সংস্থাটি। এর ভিত্তিতে এ সপ্তাহের মধ্যেই তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে। তাদের পরিবারের অভিযুক্ত সদস্যদেরও মামলায় আসামি করা হবে। দুদকের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

দুদক সূত্র জানায়, এরই মধ্যে তিন দফায় বেনজীর আহমেদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যের বিপুল স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করা হয়েছে। ওই সব সম্পদ তাঁর বৈধ আয়ের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ। এজন্য তাদের অর্থসম্পদকে অপরাধলব্ধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

একইভাবে এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য রয়েছে দুদকের হাতে; যা তাঁর বৈধ আয়ের চেয়ে অস্বাভাবিক। দুদকের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, চাকরিজীবনে তিনি বৈধ অর্থ উপার্জন করেছেন গাণিতিক হারে, আর অবৈধ সম্পদ কামিয়েছেন জ্যামিতিক হারে।

বেনজীর ও মতিউর ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে এবং সেগুলো ভোগদখলে রেখে দুদক আইনে শান্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তারা অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে উপার্জিত অপরাধলব্ধ অর্থ হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনেও শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। ওই সব ধারায় তাদের বিরুদ্ধে আলাদা আলাদা মামলা হবে।

গেল ২৩ ও ২৬ মে আদালতের আদেশে বেনজীর, তাঁর স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে থাকা বিপুল সম্পদ, ব্যাংক হিসাব, শেয়ারসহ অন্য সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করা হয়। তাদের নামে থাকা ৮৩টি দলিলে ৬২১ বিঘা জমি, গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট জব্দ, ৩৮টি ব্যাংক হিসাব ও তাদের মালিকানার কোম্পানিও অবরুদ্ধ করা হয়েছে। ওই দুই দিনে বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সদস্যের নামে থাকা ৩৩ কোটি টাকার বেশি সম্পদ জব্দ ও অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

ঢাকা, সাভার, রূপগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের ওই সব সম্পত্তি বেনজীর, তাঁর স্ত্রী জীশান মীর্জা, দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাশিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে রয়েছে।

বেনজীর ও তাঁর পরিবারের সদস্যের বিরুদ্ধে গত ২২ এপ্রিল জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। গত ৩ মে পর্যন্ত তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা দেশেই ছিলেন। সপরিবারে বেনজীর সিঙ্গাপুর চলে যান গত ৪ মে। এ সময়ের মধ্যে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলে তারা বিদেশে পাড়ি জমাতে পারতেন না।

এদিকে এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে পাওয়া অভিযোগে নামে-বেনামে বিপুল সম্পদের তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে। চাকরিকালীন ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট, প্লট, জমি, ব্যবসা, শেয়ার, ব্যাংকে জমানো টাকা, ব্যাংকে মেয়াদি আমানতসহ অন্য স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মালিক হয়েছেন। অপরাধলব্ধ অর্থ রেখেছেন দুই স্ত্রী ও ছেলেমেয়ের নামেও। ঢাকা, গাজীপুর, সাভার, নরসিংদী, বরিশালসহ বিভিন্ন জায়গায় বাড়ি, জমি, রিসোর্ট, ফ্ল্যাট, প্লটসহ নানা সম্পদ রয়েছে নামে-বেনামে। অন্য স্থাবর সম্পদও রয়েছে। তাঁর প্রথম স্ত্রী নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কনিজ, তাঁর মেয়ে ফারজানা রহমান ইস্পিতা ও ছেলে তৌফিকুর রহমান অর্ণব, দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিবলী ও তাঁর ছেলে মুশফিকুর রহমান সিফাতের নামে রাখা হয়েছে নানা সম্পদ।

সম্প্রতি মতিউর রহমানের ছেলে ইফাতের ১২ লাখ টাকায় কোরবানির ছাগল কেনার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বেরিয়ে আসে আড়ালে থাকা এ সরকারি কর্মকর্তার সম্পদের পাহাড়।


আরও খবর



এনডিএ জোটকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিনন্দন

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বুধবার (৫ জুন) দুপুরে ঢাকায় সফররত ইন্টারন্যাশনাল রেডক্রস ফেডারেশনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এক ব্রিফিংয়ে এ অভিনন্দন জানান তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা ইন্ডিয়া জোটকেও অভিনন্দন জানাই। তারাও ভালো ফলাফল করেছে। নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অনেক উন্নয়ন হয়েছে। সামনের দিনে আমরা সম্পর্ক আরও উন্নত করব।

এ সময় তিনি বলেন, আমাদের দেশের বিরোধীদলের উচিত ছিল ভূমিকা রাখার কিন্তু সেটা রাখে না। ভারতে যে কোনো সংকটে সরকারি ও বিরোধী দল একসঙ্গে ভূমিকা রাখে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যেসব বিতর্ক আছে সেগুলো সামনের দিনে কেটে যাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গত ফেব্রুয়ারিতে আমার ভারত সফরে কিছু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে, কিছু বিষয়ে আলোচনার জন্য ভারতের নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করা প্রয়োজন ছিল। আসন্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরে সেসব বিষয়ে আলোচনা হবে।

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ। এর সঙ্গে অন্য কোনো দেশের সম্পর্কের তুলনা হয় না বলেও জানান তিনি।


আরও খবর



যাদবপুরে এগিয়ে তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুর লোকসভা আসনে বিজেপির অনির্বান গাঙ্গুলির চেয়ে সাড়ে ছয় হাজারেরও বেশি ভোটে এগিয়ে আছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সায়নী ঘোষ। এই আসনে সিপিআইএম দলের যুব নেতা সৃজন ভট্টাচার্যকে নিয়ে বেশ আলোচনা চলছিল।

এক সময়ের ছাত্রনেতা, বর্তমানে যুবনেতা সৃজন ভট্টাচার্য ভোটের প্রচারে বেশ জনপ্রিয়ও হয়ে উঠেছিলেন। কিন্তু সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত তিনি মাত্র সাড়ে পাঁচ হাজারের কিছু বেশি ভোট পেয়েছেন।

প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, রাষ্ট্রের বেশিরভাগ আসনে বিজেপি এগিয়ে থাকলেও পশ্চিমবঙ্গে এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। ওই রাজ্যের ৪২টি আসনে ৫০৭ জন প্রার্থী লড়াই করছেন।

৫৫টি কেন্দ্রে ভোটগণনা শুরু হয়েছে। প্রাথমিক তথ্য বলছে, পশ্চিমবঙ্গের ১৮টি আসনে এগিয়ে আছে তৃণমূল। ওই রাজ্যে ১১টি আসনে বিজেপি এবং দুইটিতে এগিয়ে আছে কংগ্রেস। সেখানে এখনো একটি আসনেও জয়ী হতে পারেনি সিপিএম।

মঙ্গলবার সকাল ৮টায় পুরো দেশের ৫৪২টি কেন্দ্রে শুরু হয়েছে ভোটগণনা। সুরাত কেন্দ্রে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেছেন বিজেপি প্রার্থী। ফলে গণনা শুরুর আগেই এক আসনে এগিয়ে গেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ।

প্রাথমিক তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত ভোট গণনায় এগিয়ে আছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ। ভোট গণনার প্রথম এক ঘণ্টায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ এগিয়ে আছে ২৫৭টি আসনে। ইন্ডিয়া’ জোট এগিয়ে ১৪৫টি আসনে এবং অন্যরা এগিয়ে ১৯টি আসনে।

বারাণসী লোকসভা কেন্দ্রে প্রাথমিক তথ্যে এগিয়ে আছেন নরেন্দ্র মোদী। অমেঠী কেন্দ্রে এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি ইরানি। অপরদিকে গান্ধীনগরে এগিয়ে আছেন অমিত শাহ। হামিরপুরে এগিয়ে বিজেপি প্রার্থী অনুরাগ ঠাকুর, কনৌজ কেন্দ্রে এগিয়ে আছেন অখিলেশ যাদব। তবে রায়বরেলী এবং ওয়েনাড় দুই কেন্দ্রেই এগিয়ে রয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।


আরও খবর



ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে মন্ত্রণালয়: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে বড় পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যদি কেউ সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে ওষুধের দাম বেশি রাখে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজ রবিবার সকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যখাতের বড় চ্যালেঞ্জ কি জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ক্যানসারসহ অধিকাংশ মরণঘাতী রোগে আক্রান্ত রোগীরা একদম শেষ সময়ে চিকিৎসা নিতে আসে। যার ফলে সময় মত সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ায় মৃত্যুর হার বাড়ছে। এছাড়া ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর কি করছে, সেটারও মনিটরিং করা হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, মাতৃমৃত্যু রোধ করতে হলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে জেলা ও উপজেলা হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার মান বাড়ালে, সাধারণ মানুষ ঢাকামুখী হবে না। এর ফলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদেরও ভোগান্তি দূর হবে।


আরও খবর



এমপি আনার হত্যাকাণ্ড: ৮ দিনের রিমান্ডে মিন্টু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ভারতের কলকাতায় ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনারকে খুনের উদ্দেশ্য অপহরণের মামলায় গ্রেপ্তার ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুর ২টার দিকে তাকে আদালতে হাজির করে ডিবি পুলিশ।

মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ওয়ারী জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমান।

অপরদিকে আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন আইনজীবীরা। শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।

এর আগে গত ১১ জুন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ধানমন্ডি থেকে সাইদুল করিম মিন্টুকে আটক করে ডিবি পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।


আরও খবর



সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নিলেন জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। রোববার (২৩ জুন) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। আগামী তিন বছরের জন্য তিনি সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ পেলেন।

আইএসপিআর জানায়, সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ১৯৮৫ সালের ২০ ডিসেম্বর ১৩তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। তিনি ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ, মিরপুর এবং যুক্তরাজ্যের জয়েন্ট সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। এ ছাড়া তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স অব ডিফেন্স স্টাডিজ এবং যুক্তরাজ্যের কিংস কলেজ, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে মাস্টার্স অব আর্টস ইন ডিফেন্স স্টাডিজ ডিগ্রি অর্জন করেন।

সুদীর্ঘ ৩৯ বছরের বর্ণাঢ্য সামরিক জীবনে ওয়াকার-উজ-জামান বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদের পাশাপাশি নবম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং এবং সাভার এরিয়ার এরিয়া কমান্ডার, সেনাসদরে সামরিক সচিব এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েরর আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনে প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এরিয়া কমান্ডার সাভার এরিয়া ও জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) নবম পদাতিক ডিভিশন হিসেবে ওয়াকার-উজ-জামান টানা তিন বছর অত্যন্ত সফলভাবে বিজয় দিবস প্যারেড ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬-এর প্যারেড কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। বিরল এই কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি সেনাগৌরব পদক (এসজিপি)-এ ভূষিত হন।

স্টাফ হিসেবে ওয়াকার-উজ-জামান পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়োজিত একটি ব্রিগেড, স্কুল অব ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিকস (এসআইএন্ডটি) এবং সেনাসদরে বিভিন্ন পদবি ও নিয়োগে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি প্রশিক্ষক হিসেবে জেসিও এনসিও একাডেমি (জেএনএ), স্কুল অব ইনফ্যান্ট্রি অ্যান্ড ট্যাকটিকস ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অ্যান্ড ট্রেনিংয়ে (বিপসট) অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে সব পদবির দেশি-বিদেশি সেনাসদস্যদের প্রশিক্ষণ দেন।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জাতিসংঘের ব্যানারে মিলিটারি অবজারভার হিসেবে অ্যাঙ্গোলা এবং সিনিয়র অপারেশন অফিসার হিসেবে লাইবেরিয়াতে দায়িত্ব পালন করেন। সেনাবাহিনীতে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য তিনি অসামান্য সেবা পদক (ওএসপি)-এ ভূষিত হন। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি হিসেবে দেশ-বিদেশে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করেছেন এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন।

ব্যক্তিগত জীবনে ওয়াকার-উজ-জামান ও সারাহনাজ কমলিকা জামান দম্পতি দুই কন্যা সন্তানের বাবা-মা।


আরও খবর