আজঃ বুধবার ২২ মে ২০২৪
শিরোনাম
লক্ষ্য রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানো

বিদেশে প্রবাসী এলাকা সফর করবেন ব্যাংকাররা

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে বিভিন্ন দেশের যেসব এলাকায় বাংলাদেশিরা থাকেন সেসব এলাকা সফর করবেন ব্যাংক কর্মকর্তারা। তারা সরেজমিন গিয়ে রেমিট্যান্স পাঠাতে প্রবাসীদের কি কি সমস্যা হয়, কিভাবে এসব সমস্যা সমাধান করেন, ব্যাংকিং চ্যানেলে কিভাবে রেমিট্যান্স বাড়ানো যায়- সেসব বিষয় জেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।

বৃহস্পতিবার বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) থেকে ব্যাংকগুলোতে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তারা ব্যাংকের বা যৌথ খরচে বিদেশে গিয়ে বাংলাদেশি প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকাগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করতে পারবেন। এ কাজে বিদেশে যেতে আগ্রহীদের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাফেদার কাছে আবেদন করতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে।

সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমছে। কিন্তু বিদেশে জনশক্তি গমণের প্রবণতা বেড়েছে। বিদেশে যারা যাচ্ছেন, তারা ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন না। হুন্ডি বা ব্যাংকবহির্ভূত বিভিন্ন চ্যানেলে পাঠাচ্ছেন। এতে একদিকে প্রবাসীরা মাঝে মধ্যে টাকা না পেয়ে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। অন্যদিকে দেশ বঞ্চিত হচ্ছে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা থেকে। ফলে দেশে ডলার সংকট প্রকট হচ্ছে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে- মোট রেমিট্যান্সের ৩০ থেকে ৪২ শতাংশ হুন্ডির মাধ্যমে আসছে। এসব রেমিট্যান্সকে ব্যাংকিং চ্যানেলে আনতে পারলে দেশে ডলার সংকটের সমাধান খুব সহজেই করা সম্ভব।

দুই বছর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে গিয়েছিল। তখন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধিদল দেশটিতে গিয়েছিল কারণ অনুসন্ধান করতে। তারা ঢাকায় ফিরে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে সেটি সরকারের উচ্চপর্যায়ে পাঠায়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রবাসীরা বেশকিছু কারণে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারেন না। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- তারা যেখানে কাজ করেন আর যেখানে থাকেন এই দুইয়ের কাছাকাছি কোনো স্থানে ব্যাংকিং সুবিধা নেই। কিন্তু তাদের আশপাশেই রয়েছে হুন্ডি চক্র। এই চক্রের সদস্যরা প্রবাসীদের আবাস স্থলে গিয়ে অর্থ সংগ্রহ করে তা দ্রুত দেশে পাঠায়। অন্যদিকে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠালে আত্মীয়স্বজনরা তা দ্রুত পান না। আর হুন্ডিতে কোনো খরচ লাগে না। কিন্তু ব্যাংকের সার্ভিস চার্জ বাবদ বেশ টাকা কেটে নেওয়া হয়। এসব সমস্যা সমাধানে প্রতিনিধিদলের সুপারিশ ছিল প্রবাসীরা কাজ করেন বা থাকেন এমন এলাকায় বাংলাদেশের ব্যাংকিং সুবিধা বাড়ানো।

বিদেশে যেসব বাংলাদেশিরা রয়েছেন তাদের অনেকের ভাষাগত সমস্যা রয়েছে। ফলে তারা ওইসব দেশের ব্যাংকে গিয়ে লেনদেন করতে পারেন না। অনেকে কাগজপত্রের অভাবে ব্যাংক হিসাবও খুলতে পারেন না। এসব সমস্যা সমাধানে ব্যাংকগুলোকে নজর দিতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সূত্র জানায়, বর্তমানে বিদেশে বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকায় বিভিন্ন ধরনের এক্সচেঞ্জ হাউজ গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশি মালিকানায়ও এক্সচেঞ্জ রয়েছে। তারা প্রবাসীদের কাছ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করে দেশে পাঠায়। আর প্রবাসীরা দেনদরবার করে যাদের কাছ থেকে বেশি দাম পান তাদের মাধ্যমেই অর্থ পাঠান। এতে বিদেশের বাজারে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স নিয়ে একটি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দাম বেশি দিলে রেমিট্যান্স দিচ্ছে, তা না হলে দিচ্ছে না। এতে ডলারের দামের নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে বিদেশি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর হাতে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিদেশে প্রবাসীদের এলাকায় গিয়ে ব্যাংকগুলোর কর্মকর্তারা প্রবাসীসহ এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর সঙ্গে কথা বলে রেমিট্যান্স ব্যাংকিং চ্যানেলে আনার উদ্যোগ নিতে পারে। প্রয়োজনে এক্সচেঞ্জ হাউজের সঙ্গে চুক্তি করতে পারে। ব্যাংক চাইলে ছোট ছোট আকারে বাংলাদেশের এজেন্ট ব্যাংকের মতো বুথ স্থাপন করতে পারে। প্রবাসীদের ব্যাংক হিসাব খুলে দ্রুত রেমিট্যান্স পাঠানোর ব্যবস্থা নিতে পারে।

বাফেদা মনে করে বিদেশে প্রবাসী এলাকায় সব ব্যাংক একই স্থানে যেতে দেওয়া হবে না। একেক ব্যাংক একেক দেশে বা স্থানে যাবে। এতে প্রবাসীদের কাছে ব্যাংকিং সুবিধা বাড়ার পাশাপাশি সেবা পাওয়া সহজ হবে। দ্রুত রেমিট্যান্স সংগ্রহ করাও সম্ভব হবে।

এদিকে বাফেদা রেমিট্যান্স সংগ্রহের ক্ষেত্রে নিজস্ব তহবিল থেকে প্রণোদনা দেওয়ার ব্যাপারে কোনো হার এবারের চিঠিতে উল্লে­খ করেনি। আগের নিয়মে ব্যাংকগুলো নিজস্ব তহবিল থেকে সর্বোচ্চ আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দিতে পারে। তবে অনেক ব্যাংক এখন ওই হারের চেয়ে বেশি প্রণোদনা দিচ্ছে।


আরও খবর



মোটর ড্রাইভিং প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি)র প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে ড্রাইভার্স টেকনিক্যাল কোম্পানী লিমিটেড এর ৩৬ জন নারী প্রশিক্ষণার্থীদের মোটর ড্রাইভিং প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোঃ তাজুল ইসলাম, চেয়ারম্যান, বিআরটিসি। আরো উপস্থিত ছিলেন বিআরটিসির উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক মিডিয়ার সদস্যগণ, ToT এর প্রশিক্ষণার্থীসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।

স্বাগত বক্তব্যে মোঃ মশিউজ্জামান, ইউনিট প্রধান, বিআরটিসি কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, গাজীপুর বলেন, চেয়ারম্যান মহোদয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও দূরদর্শী চিন্তার ফসল আমাদের বর্তমান স্মার্ট বিআরটিসি। ToT  প্রশিক্ষণার্থীদের  এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মদক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে। প্রকৌশলী ফাতেমা বেগম (জিএম, আইসিডব্লিউএস ও প্রশিক্ষণ) বলেন, বিআরটিসি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে এ ToT  প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ দিতে সক্ষম  হয়েছে। উন্মুক্ত আলোচনায় একজন নারী ToT  প্রশিক্ষণার্থী বলেন, বিআরটিসি থেকে প্রশিক্ষণ  নিতে পেরে আমরা গর্বিত।

পরিচালক (কারিগরি) কর্নেল মোহাম্মদ মোবারক হোসেন মজুমদার, পিএসসি বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ToT প্রশিক্ষণার্থীগণ যোগ্যতা ও নৈপুণ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে দক্ষতার সাথে কার্য সম্পাদন করতে পারবে। পরিচালক (অর্থ, হিসাব ও অপারেশন) ড. অনুপম সাহা বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ToT প্রশিক্ষণার্থীরা আরও দক্ষ হয়ে উঠবে এবং বাস্তব প্রতিফলন ঘটাতে পারবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ তাজুল ইসলাম, চেয়ারম্যান, বিআরটিসি বলেন, বিভিন্ন কাজ সঠিকভাবে সম্পাদন বিষয়ে শিক্ষণ দেওয়াই হলো প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণ হলো সাফল্যের চাবিকাঠি। যার মাধ্যমে ToT প্রশিক্ষণার্থীগণ কার্য সম্পাদন বিষয়ে বাস্তব জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে এবং দক্ষ চালক তৈরিতে ভূমিকা রাখতে পারবে।


আরও খবর



নাইকো দুর্নীতি মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ১১ জুন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতি মামলায় বাপেক্সের সাবেক এমডি মো. আব্দুল বাকী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন। এদিন তার সাক্ষ্য শেষ হয়নি। আগামী ১১ জুন অবশিষ্ট সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

এদিন অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে পারেননি। তারপক্ষে আইনজীবী হাজিরা দেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া এসব তথ্য জানান।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।  মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। গত ১৯ মার্চ একই আদালত খালেদা জিয়াসহ ৮ আসামির অব্যাহতির আদালত নাকচ করে চার্জগঠনের আদেশ দেন।

অন্য আসামিরা হলেন-তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম। এদের মধ্য প্রথম তিনজন পলাতক রয়েছেন।


আরও খবর



বাপাউবোর নবনিযুক্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলীদের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

পানি ভবনের সভাকক্ষে নবনিযুক্ত ১৫ জন উপ-সহকারী প্রকৌশলী/শাখা কর্মকর্তাগণের (যান্ত্রিক/বিদ্যুৎ) ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পশ্চিম রিজিয়ন) ও মহাপরিচালক এঁর অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী এ. কে. এম তাহমিদুল ইসলাম উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন।

এছাড়া নবাগত কর্মকর্তাগণের উদ্দেশ্যে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য উপাত্ত সম্পর্কে অবহিত করে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অর্থ) ও যুগ্মসচিব, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার জনাব কাজী নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পূর্ব রিজিয়ন) মোঃ এনায়েত উল্লাহ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা, নকশা ও গবেষণা) প্রকৌশলী মোঃ জহিরুল ইসলামসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ। উক্ত ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে বোর্ডের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। নবনিযুক্ত কর্মকর্তাগণের মধ্যে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আমিনুল ইসলাম।


আরও খবর



মেরিন ড্রাইভ প্রকল্প পরিদর্শনে চউক চেয়ারম্যান

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ কর্ণফুলী নদীর তীর বরাবর কালুরঘাট সেতু থেকে চাক্তাই খাল পর্যন্ত সড়ক অর্থাৎ মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ প্রকল্প সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন।

রবিবার (১২ মে) পরিদর্শনের সময় তিনি চাক্তাই খালের ওপর নির্মাণাধীন স্লুইস গেটের কাজ গুণগতমান ঠিক রেখে দ্রুত সমাপ্তির নির্দেশনা দেন।

এ ছাড়া নির্মাণাধীন বাঁধের স্লোপ অংশে বৃক্ষরোপণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

পরিদর্শনকালে চউকের প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এ এ এম হাবিবুর রহমান, প্রকল্প পরিচালক রাজিব দাশ, ডিসিটিপি আবু ঈসা আনসারী, নির্বাহী প্রকৌশলী-২ মোহাম্মদ শামিম এবং প্রকল্প পরিচালক এফ এম মমতাজ উদ্দিন এবং ডিপিএম কনসালটেন্টের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১০ কোটি টাকা উধাও, গ্রেপ্তার ৩

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

পাবনার সাঁথিয়ায় অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার ভল্ট থেকে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই ব্যাংকের প্রধান তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। দিনভর নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাতে তাদেরকে সাঁথিয়া থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর এলাকার মৃত জান বক্সের ছেলে ও অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার আবু জাফর, সুজানগর দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ব্যাংকের ব্যবস্থাপক হারুন বিন সালাম এবং বেড়া উপজেলার নতুন ভারেঙ্গা গ্রামের মৃত শুশীল চক্রবতীর্র ছেলে ব্যাংকের ক্যাশিয়ার সুব্রত চক্রবতী। ক্যাশিয়ার সুব্রত চক্রবর্তী টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেছেন।

সাঁথিয়া থানা ও অগ্রণী ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে অগ্রণী ব্যাংক রাজশাহী বিভাগীয় ও পাবনা আঞ্চলিক শাখা থেকে পাঁচজন কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে আকস্মিক অগ্রণী ব্যাংক কাশিনাথপুর শাখায় অডিটে আসেন। অডিট শেষে সেখানে ১০ কোটি ১৩ লাখ ৬২ হাজার ৩৭৮ টাকার আর্থিক অনিয়ম দেখতে পান। পরে ওই অডিট কর্মকর্তারা সাঁথিয়া থানায় অবহিত করলে পুলিশ অভিযুক্ত ওই তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় অগ্রণী ব্যাংক পাবনা আঞ্চলিক শাখার উপমহাব্যবস্থাপক রেজাউল শরীফ বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাঁথিয়া থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, ব্যাংকের তিন কর্মকর্তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) আদালতে প্রেরণ করা হবে।

তিনি আরও জানান, অর্থ আত্মসাৎ ও অন্যান্য বিষয়ে দুদক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।


আরও খবর