আজঃ বুধবার ০৩ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

বিদ্যুতায়িত স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ হারালেন স্বামীও

প্রকাশিত:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৩ জুন ২০২৪ | পত্রিকায় প্রকাশিত
শাওন মিয়া (জাজিরা) শরীয়তপুর

Image

শরীয়তপুরের জাজিরায় বিদ্যুতায়িত স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২২ জুন) রাত ৮টার দিকে উপজেলার কুন্ডেরচর ইউনিয়নের মান্নান মল্লিক কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান।

নিহতরা হলেন, জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর ইউনিয়নের মান্নান মল্লিকের কান্দি গ্রামের মৃত নাজিমুদ্দিন মল্লিকের ছেলে আজিজুল মল্লিক (৫০) এবং তার স্ত্রী নিলুফা বেগম (৪৫)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে বৈদ্যুতিক তারের লিকেজ জায়গায় স্কসটেপ লাগাতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে চিৎকার করতে থাকেন নিলুফা বেগম। এ সময় তার স্বামী বাঁচাতে গেলে তিনিও বিদ্যুতায়িত হন। পরে স্থানীয়রা বিদ্যুতের সুইচ বন্ধ করে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।

বিষয়টি নিয়ে নিহতের আপন চাচাতো ভাই বোরহান মল্লিক আজকের দর্পণকে বলেন, সন্ধ্যায় ভাবি পুরোনো তারের লিকেজে স্কচটেপ লাগাতে গেলে বিদ্যুতায়িত হন। পরে তাকে বাঁচাতে আমার ভাই এগিয়ে আসলে তিনিও বিদ্যুতায়িত হন। এতে উভয়ের মৃত্যু হয়।


আরও খবর



ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৭ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে দলীয় নেতাদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।

সোমবার (১৭ জুন) সকালে তিনি তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগ ও দলটির সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলের শীর্ষ নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

এরপর ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগ ও ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।


আরও খবর



অবশেষে চালু দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল

প্রকাশিত:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক

Image

দুই মাস ৮ দিন পর অবশেষে দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল (এসএমডব্লিউ-৫) চালু হয়েছে। গত ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসির (বিএসসিপিএলসি) আওতাধীন দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলটি সিঙ্গাপুর হতে পশ্চিম প্রান্তে ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায় আকস্মিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এই দীর্ঘসময়ের মধ্যে ক্যাবলটির মেরামত সম্পন্ন হয়েছে এবং সার্কিটগুলো চালু করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসির (বিএসসিপিএলসি) মহাব্যবস্থাপক (চালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ) সাইদুর রহমান এ তথ্য জানান।

বিএসসিপিএলসি জানায়, গত ১৯ এপ্রিল দিবাগত রাত ১২টায় বিএসসিপিএলসির আওতাধীন দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলটি (এসএমডব্লিউ-৫) সিঙ্গাপুর হতে পশ্চিমপ্রান্তে ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায় আকস্মিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে ইন্টারনেট সংযোগে বিঘ্ন ঘটে।

সাইদুর রহমান জানান, এসএমডব্লিউ-৫ কনসোর্টিয়াম শুক্রবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ক্যাবলটির মেরামত কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করে। বিএসসিপিএলসির এসএমডব্লিউ-৫ এর মাধ্যমে সংযোগ করা সার্কিটগুলো চালু করা হয়েছে।

কক্সবাজারে অবস্থিত দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল, কুয়াকাটায় অবস্থিত সাবমেরিন ক্যাবল এবং কয়েকটি আইটিসি বা ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্ট্রিয়াল ক্যাবলের মাধ্যমে দেশে ইন্টারনেট সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো সাবমেরিন কেবল এসএমডব্লিউ-৪ এ যুক্ত হয় ২০০৫ সালে, যার মাধ্যমে ২৫০ জিবিপিএস (গিগাবাইট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইথ পাওয়া যাচ্ছে।

এছাড়া বাংলাদেশ ছয়টি বিকল্প সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। যেগুলোর মাধ্যমে ভারত থেকে ব্যান্ডউইথ আমদানি করা হয়।

আর ২০১৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালীর কুয়াকাটার কলাপাড়ায় চালু হয়েছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন। এই ল্যান্ডিং স্টেশনের মাধ্যমে সাউথইস্ট এশিয়া-মিডলইস্ট-ওয়েস্টার্ন ইউরোপ (এসএমডব্লিউই-৫) আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়ামের সাবমেরিন ক্যাবল থেকে সেকেন্ডে ১ হাজার ৫০০ গিগাবাইট (জিবি) গতির ইন্টারনেট পাচ্ছে বাংলাদেশ।


আরও খবর



কোটা বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল জবি, ৪ দফা দাবি

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

Image

২০১৮ সারের জারিকৃত পরিপত্র অনুযায়ী কোটা ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে বৈষম্য-বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ছাত্র সমাবেশ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১ জুলাই) ক্যাম্পাসে রফিক ভবনের সামনে এ আন্দোলন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এসময় কোটা বিরোধী একটি মিছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মূল ফটক থেকে শুরু হয়ে রায়সাহেব বাজার প্রদক্ষিণ করে আবার ক্যাম্পাসের রফিক ভবনের নিচে এসে শেষ হয়। পরবর্তীতে আন্দোলনকারীরা ৪ দফা দাবি উল্লেখ করে তাদের আজকের দিনের কার্যক্রমের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

দাবিগুলো হলো: 

১। ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধা-ভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখতে হবে।

২। ১৮ এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে (সকল গ্রেডে) অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দিতে হবে এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।

৩। সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শুন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দিতে হবে।

৪। দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধা-ভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

এছাড়া আন্দোলনকারীরা আরও বলেন, পরবর্তীতে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে তারা তাদের পরবর্তী কর্মসূচি তাদের নিজস্ব প্লাটফর্মে জানিয়ে দেবেন।


আরও খবর



মনটা একটা ট্র্যাপ, কোথায় আটকে যায় জানি না : শোলাঙ্কি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

পরনে বেনারসি শাড়ি, গলায় ভারী গয়না, লম্বা একঢাল চুল, চোখে-মুখে ভয়ের ছাপ। ঠিক এমনভাবেই ভক্ত-অনুরাগীদের মাঝে ধরা দিয়েছেন শোলাঙ্কি রায়। সম্প্রতি এমন লুকেই দেখা গিয়েছে তাকে।

দেবালয় ভট্টাচার্যের নতুন সিরিজ বোকাবাক্সতে বন্দি একটি সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার। সেখানেই নায়িকার চরিত্রে দেখা যাবে শোলাঙ্কি। যদিও ব্যক্তিগত জীবনে শুটিং করতে গিয়ে তেমন কোনও অভিজ্ঞতা হয়নি।

এক সাক্ষাৎকারে শোলাঙ্কি বলেন,আমার সমস্যা একটাই, খুব একটা ভয় পাই না, টেনশন করি বেশি। তবে আমাদের মনটাই একটা ট্র্যাপ, আমরা কোথায় কখন আটকা পড়ে যাই জানি না। তাই আমি চাইব না কখনও আটকা পড়ে যেতে।

টেলিভিশনে একটানা কাজ করতে করতে অনেক সময় আটকা পড়ার বিষরে এ অভিনেত্রী বলেন, আসলে আমি বন্দিদশা বলব না, তবে ছোট পর্দায় কাজের ধরনটা এমন যে অনেকটা সময় দিতে হয়। একটা কাজ মানে এক থেকে দেড় বছর সময় দিতে হয়। অন্য কাজগুলোর দিকে মনোযোগ দেওয়া যায় না। একঘেয়েমি চলে আসে। গত ১০ বছর ধরে এই মাধ্যমটাতে কাজ করছি আমি। তাই এখন অনেক বেশি সিনেমা, ওয়েব শো করতে চাইছি। খুব শীঘ্রই টিভির পর্দায় ফেরার পরিকল্পনাও নেই আপাতত।

মুম্বাইয়ে কাজ করার বিষয়ে বলেন, নতুন জায়গা। এই শহরটা ছোটবেলা থেকেই আমার ভাল লাগত। এখানে ছোট থেকেই থাকতে চাইতাম। কলকাতায় আমাকে লোকে চেনে, বহু বছর কাজ করেছি, এখানে তুলনামূলক নতুন। অডিশন দিচ্ছি । কলকাতায় সে ভাবে অডিশন দিতেই হয়নি। এই অডিশন দেওয়াটাও একটা শিল্প, সেটা আমি মুম্বাইয়ে শিখছি। আমার তো ভাল লাগে অডিশন শুট করতে। জায়গাটা বড়, প্রতিযোগিতাও অনেক বেশি। সিরিয়ালের প্রস্তাব এসেছিল, তবে রাজি হইনি।

২০২২ সালে শোলাঙ্কির বাবা বেবি ও মুক্তি পাওয়া ছবির বিষয়ে বলেন,এই ছবিটা দর্শক মহলে সাড়া ফেলেছিল। যদিও বাবা বেবি ও ছবির পর প্রস্তাব পাইনি, তার পর শহরের উষ্ণতম দিনে ছবিটা হল। আসলে টেলিভিশন করছিলাম বলে প্রস্তাব আসেনি। ধারাবাহিক করলে অনেক পরিচালকই ছবিতে নেওয়ার কথা ভাবেন না।

উল্লেখ্য, শোলাঙ্কি রায় কালারস বাংলার ধারাবাহিক নাটক কথা দিলাম -এ মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করে টেলিভিশনে অভিষেক করেন। এছাড়াও তিনি স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক ইচ্ছে নদী -এ বিক্রম চ্যাটার্জির বিপরীতে মেঘলা চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন যা দর্শকদের কাছে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছিল।


আরও খবর



কোরবানির ঈদকে ঘিরে শেরপুরে মসলার বাজার অস্থির

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৪ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মো. নাজমুল হোসাইন, শেরপুর

Image

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বাজারে উৎসবের আমেজ আসতেই অস্থির হয়ে উঠেছে শেরপুরের মসলার বাজার।ঈদকে কেন্দ্র করে মসলা ব্যবসায়ীরা জিরা, এলাচ ও লবঙ্গের মতো মসলার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে অস্বাভাবিকভাবে। অথচ এসব মসলা আমদানি হয়েছে ৩-৪ মাস আগেই। ঈদের আগ মসলার দাম বড়ে যাওয়ায় সাধারণ ক্রেতারা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। মসলার আকাশচুম্বী দামে পুড়ছে তাদের পকেট। হঠাৎ করেই মসলার দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই পছন্দের খাবার তৈরি করতে অসুবিধায় পড়ছেন। এ পরিস্থিতিতে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষ বেশি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।

শেরপুরের নয়ানী বাজারে মসলা কিনতে আসা জাকির হোসেন বলেন, সব মসলার দাম বেশী, এভাবে সবকিছুর দাম বাড়লে আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষ কোথায় গিয়ে দাড়াবে?

এনজিও কর্মী ইমন জানান প্রতি কেজি মসলা ১০০ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। চাল-ডাল-আটাসহ বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা। অথচ ধানের মূল্য কম।

মূল্যবৃদ্ধির তালিকায় নতুন করে যুক্ত হয়েছে এলাচ, জিরা, লবঙ্গ, পিয়াজ, রসুন, আদা, মরিচ, হলুদ, ধনিয়াসহ বিভিন্ন প্রকারের মসলা। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরাতে ছোট এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৬০০ টাকা, গতসপ্তাহে এলাচ কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৫০০ টাকায়। ভালো মানের বড় এলাজ প্রতি কেজি ৪ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৮০০ টাকায়। লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার টাকায়, লবঙ্গের দাম বেড়েছে প্রায় ১ হাজার টাকা। প্রতি কেজি জিরা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৮০০/৯০০ টাকায়। গোলমরিচ প্রতি কেজি ১ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে, গত সপ্তাহে কেজি ৮৫০ টাকায় বিক্রি হয়। এছাড়াও দারচিনি ৭০০ টাকা, হলুদ ৩৫০ টাকা,কালিজিরা ৪০০ টাকা, কিসমিস ৮০০ টাকা, তেজপাতা ১২০ টাকা, সাদা সরিষা ৩০০ টাকা, এ সবের কেজি প্রতি ৮০- ১০০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি জয়ত্রী বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার টাকায়।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলার সংকট ও ডলারের দাম বাড়ায় মসলার দাম বেড়েছে। তাদের দাবি মসলার দাম বাড়ছে ২কারণে। প্রথমত. দেশে চলছে ডলার সংকট, ডলারের অভাবে এলসি করা যাচ্ছে না। দ্বিতীয়ত. আন্তর্জাতিক বাজারে মসলার দাম বেড়েছে। প্রভাব পড়ছে দেশের বাজারেও। অথচ কোরবানির মসলা ২-৩ মাস আগে থেকেই মজুত করে রেখেছে ব্যবসায়ীরা বলছেন ভোক্তাগণ।

ঝিনাইগাতি মসলার বাজারের ক্রেতা আলহাজ শাহজাহান আকন্দ ও আলহাজ সরোয়ার্দী দুদু মন্ডল বলেন, প্রতিবছরই কোরবানির আগে ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা আয়ের জন্য মসলার দাম বাড়িয়ে দেয়। তারা জানেই কোরবানীর ঈদে মসলা অত্যাবশ্যকীয় পণ্য। কোরবানির গোশত খাওয়ার জন্য সবাইকে মসলা কিনতেই হবে। তারা সাধারণ জনগণকে জিম্মি করে ব্যবসা করছে। সিজনাল সময়গুলোয় চাহিদাসম্পন্ন পণ্যের দাম তুলনামূলকভাবে কম রাখা উচিত। অথচ তারা করছে উল্টো।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মসলা ব্যবসায়ী বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে কিছু মসলার দাম বেড়েছে। মসলাকে বিলাসবহুল পণ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ পণ্য আমদানিতে প্রায় ৫০ শতাংশের বেশি শুল্ক দিতে হয় মহাজনদের। পাশাপাশি ডলারের দাম বাড়ায় মসলার বাজার চড়া। এ কারণে এলাচসহ সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে। আমরা অল্প করে মসলা কিনে আনি। অল্প লাভেই বিক্রি করি। দাম বাড়ে পাইকারি কিনতে গিয়ে। মসলা বিক্রেতারা বলেন, এই মসলা ঢাকা, চট্টগ্রাম ও মৌলভীবাজার থেকে নিয়ে আসা হয়। সেখানকার ব্যবসায়ীরা ডলারসহ বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে দাম বাড়াচ্ছেন। তাই বেশি দামে কিনে-বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। কোরবনীর ঈদে পর্যাপ্ত মসলার প্রয়োজন হয় ও আমদানি করা হয়। ভারত থেকে জিরা ও এলাচ এবং ইন্দোনেশিয়া, চীন, ভিয়েতনাম ও গুয়েতেমালা থেকে লবঙ্গ ও দারচিনি আমদানি করা হয়।

এব্যাপারে অনেক ক্রেতা বলেন, ঈদের চাহিদাকে পুঁজি করে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে।

পূর্বে এসব দেশে উৎপাদন কম হওয়ার অজুহাত দেয়া হলেও বর্তমানে টাকার বিপরীতে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি এ সমস্যায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। কজন ক্রেতা বলেন, বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা।

নিউজ ট্যাগ: মসলা

আরও খবর