আজঃ শুক্রবার ১০ মে ২০২৪
শিরোনাম

বিএনপি কোনভাবেই আস্থা রাখতে পারছে না: নির্বাচন কমিশনার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৬ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

Image

নির্বাচন কমিশনার মোঃ আনিছুর রহমান বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন কমিশনকে মানে না, নির্বাচন কমিশনের উপর আস্থাও রাখতে পারেনা এবং কথা বলতেও রাজি নয়। নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য বিএনপিসহ দেশের ৪৪টি দলকেই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কিন্তু বিএনপি কোনভাবেই নির্বাচন কমিশনের নিমন্ত্রণ গ্রহণ করেননি। এরপর নির্বাচন কমিশনের আর কিছুই করার নেই।

রাজনৈতিক দলগুলোকে দাওয়াত দেয়া হয়েছে, দাওয়াত গ্রহণ করা এবং সাড়া দেয়া না দেয়া তাদের বিষয়। কেউ দাওয়াতে না আসলে নির্বাচন কমিশনের করার কিছুই নেই। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোর। রাজনৈতিক বিষয় সমাধান করা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নয়।

নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আমরা ওই সীমাবদ্ধতার ভেতরে থেকেই কাজ করতে চাই।

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে লক্ষ্মীপুর -৩ (সদর) আসনের উপ-নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় সভার প্রাক্কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি আরও বলেন, নির্বাচন নিয়ে কোন শঙ্কা নেই, প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। সংবিধান অনুযায়ী নভেম্বরের প্রথমার্ধ্বে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। কোন প্রকার দ্বৈব দূর্বিপাক না হলে এর কোন নড়চড় হবেনা।

বর্তমান সময়ে ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি অপেক্ষাকৃত কম হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিত করা নির্বাচন কমিশনের কাজ নয়। এক্ষেত্রে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তাদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। তবে স্থানীয় প্রশাসন নির্বাচনপূর্ব সময়ে এ ব্যাপারে জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে মোটিভেশনাল প্রোগ্রাম করতে পারে। নির্বাচনে কেন্দ্রে কোন সমস্যা না হবার নিশ্চয়তাসহ সব ভোটারদের নির্বিঘ্নে ভোট প্রদানের নিশ্চয়তার বার্তা পৌঁছাতে প্রশাসন কাজ করতে পারে।

লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ নির্বাচনে কোন প্রার্থী বা কোন দল কোনরকম প্রভাববিস্তার বা অনিয়ম করার খবর পেলেই নিয়ম অনুযায়ী শাস্তির আওতায় আনা হবে। প্রয়োজনে ভোট বন্ধ করে দেয়া হবে। এ নির্বাচনে সাদাকে সাদা,আর কালোকে কালো হিসেবেই দেখা হবে।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এই উপ-নির্বাচন বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হবে নির্বাচন কমিশনের জন্য। অতএব উপনির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ার কোন বিকল্প নাই।

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাংগীর আলম। উপস্থিত ছিলেন- পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদ, লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন প্রমুখ।

উল্লেখ্য আগামী ৫ নভেম্বর লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে উপ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন কুমিল্লার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন।

এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৩ হাজার ৭৪৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৯ হাজার ৯৬ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৯৪ হাজার ৬৪৮ জন। মোট ১১৫ টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার দাবিতে ও এর পক্ষে থাকায় নিপীড়নের শিকার যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে দেশজুড়ে সর্ববৃহৎ সংহতি সমাবেশ পালিত হয়েছে। ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের আহ্বানে সারা দিয়ে সোমবার (৬ মে) বেলা ১১টা থেকে দেশজুড়ে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ সংহতি সমাবেশ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক মধুর ক্যান্টিন থেকে এ সংহতি সমাবেশের শুরু হয়। এ সময় ফিলিস্তিনি জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর পদযাত্রা শুরু করেন শিক্ষার্থীরা; যা সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

এ ছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় , ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ও ছাত্রলীগের সংহতি সমাবেশ হয়েছে।

এ সমাবেশে ছাত্রলীগের পাশাপাশি যোগ দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরাও। সমাবেশে শিক্ষার্থীরা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবি জানান। সেইসঙ্গে ইসরায়েলের গণহত্যার নিন্দা জানানো হয়। শিক্ষার্থীরা যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থীদের ওপর দেশটির পুলিশ দ্বারা চলমান দমন ও নিপীড়নের তীব্র নিন্দা জানান। অতি দ্রুত শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে এ ধরণের হামলা বন্ধের আহ্বান জানান তারা।

এর আগে রোববার (৫ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে স্বাধীন ফিলিস্তিন ইস্যুতে দেশজুড়ে সংহতি সমাবেশ ডাক দেয় আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।

গত অক্টোবরে ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের হামলায় নিরস্ত্র মানুষদের হত্যা ও বেসামরিক বহু মানুষকে জিম্মি করার কথা বলে গাজায় সামরিক অভিযান চলছে। এই অভিযানে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও প্রাণহানির মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পক্ষে বিক্ষোভে নামেন।

যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আন্দোলনে যোগ দিচ্ছেন শিক্ষকরাও। নজিরবিহীন এ আন্দোলন ঠেকাতে মারমুখী দেশটির পুলিশ প্রশাসনও। বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের নির্যাতন, ধরপাকড়ের পাশাপাশি করা হচ্ছে বহিষ্কারও। এত কিছুর পরও দমানো যাচ্ছে না আন্দোলনকারীদের। ধীরে ধীরে আরও তীব্র হচ্ছে আন্দোলন। এমন প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে ক্রমশ।

সাম্প্রতিক ইতিহাসে এত বড় ছাত্র আন্দোলন দেখেনি যুক্তরাষ্ট্র। ক্যালিফোর্নিয়া থেকে বোস্টন, নিউইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটন; হার্ভার্ড থেকে জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি, ওহাইও থেকে নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি একের পর বিশ্ববিদ্যালয় শামিল হচ্ছে গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে।

পাশাপাশি ইসরায়েল ও গাজা যুদ্ধকে সমর্থন করে, এমন কোম্পানির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবিও তোলা হচ্ছে। এ ধরনের বিক্ষোভ প্রথম শুরু হয়েছিল কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে। এরপর অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিক্ষোভ দমনের প্রচেষ্টা চালালেও সফল হয়নি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পুলিশ নির্মম দমন ও পীড়নের চেষ্টা চালায়।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবাদের অধিকার হরণ, বাকস্বাধীনতায় সীমাবদ্ধতা এবং ইহুদিবিদ্বেষের অভিযোগ তুলে গেল ১৮ এপ্রিল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলো থেকে দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ এবং মুখোশধারীদের হামলার কারণে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে।

যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের ওপর দমনপীড়ন এবং ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইউরোপ, এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

গাজায় ইসরায়েলের হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের আঁচ পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়েও। দেশটির মন্ট্রিলের ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে তাঁবু টাঙিয়ে বিক্ষোভ করছেন ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীরা।

অস্ট্রেলিয়ায় শত শত মানুষ সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভে অংশ নেন। সেখানে বিক্ষোভকারীরা তাঁবু স্থাপন করে অবস্থান নেন। তাদের হাতে বড় বড় শব্দে লেখা ফ্রি প্যালেস্টাইন’ প্ল্যাকার্ড। অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয় এবং কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্তত সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁবু টাঙিয়ে অবস্থান নিয়েছেন যুদ্ধবিরোধী ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারীরা। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে শত শত শিক্ষার্থীরা গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। এরমধ্যে ব্রিসবেনে কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় (ইউকিউ) বিক্ষোভের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এই ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনপন্থিদের ১০০ মিটার দূরত্বে ইসরায়েল সমর্থক বিক্ষোভকারীরাও অবস্থান নিয়েছেন। সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রায় ৫০টি তাঁবু টাঙিয়ে অবস্থান নিয়েছেন যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভকারীরা। সেখানে ১০০ জনের মতো বিক্ষোভকারী রাতেও অবস্থান করছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়া ছাত্র বিক্ষোভের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ হয়েছে ভারতেও। দেশটির খ্যাতনামা নয়াদিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়েও (জেএনইউ) কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভকারীরা গাজায় হামলা ও হত্যাযজ্ঞ থামানোর দাবিতে জড়ো হন। ২৯ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়টি পরিদর্শনে যাওয়ার কথা ছিল ভারতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটির। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের কারণে তার ওই কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।

এক বিবৃতিতে জেএনইউ স্টুডেন্ট ইউনিয়ন বলেছে, ইসরায়েলের সন্ত্রাস ও গণহত্যার সঙ্গে যুক্ত প্রশাসন ও দেশের প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিকে জেএনইউর আঙিনা ব্যবহার করতে দেয়া হবে না। বিক্ষোভ থামাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে এক হাজার ২০০ জন নিহত হয়। এরপর থেকে গাজায় বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রায় সাত মাস ধরে চলা এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।


আরও খবর



চেম্বার অফ কমার্স নির্বাচন

নেই ব্যবসায়িক লাইসেন্স অথচ ভোটার

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রেদওয়ানুল হক মিলন, ঠাকুরগাঁও

Image

বহু নাটকীয়তার পর ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ঠাকুরগাঁও চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে আলমগীর-মুরাদ-সুদাম প্যানেলে ১৪জন, দুলাল-বাবলু-আরমান প্যানেলে ২২জন ও একক প্যানেলে সৈয়দ আব্দুল করিম'র ছবি সম্মিলিত তালিকা প্রকাশ করে ৩টি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছিলো।

কিন্তু শনিবার (১৩ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলন করে ভোটার তালিকা সংশোধন ও নির্বাচনের তারিখ পেছানোর জন্য নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের কাছে আবেদন করেছিলো আলমগীর-মুরাদ-সুদাম প্যানেলটি। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ান। সে সময় ভোটের মাঠে থাকার কথা জানালেও সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় তারা ভোট বর্জন করেন। সেই সাথে একক প্রার্থী সৈয়দ আব্দুল করিম ও বর্জন করেন। ফলে এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী ছাড়াই অংশ নিয়েছে দুলাল-বাবলু ও আরমান প্যানেল। তবে চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির নির্বাচন নিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ের সচেতন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে।

এবারের নির্বাচনে ৫ হাজারের অধিক ভোটারের মধ্যে অনেকেরই ব্যবসায়িক লাইসেন্স (ট্রেড লাইসেন্স) নেই, অথচ ভোটারের লাইনে দাড়িয়ে ভোট প্রদান করছে এমন ভোটারের সংখ্যাও কম নয়। প্রশ্ন ওঠে নির্বাচনের নামে চেম্বারে হচ্ছে টা কি?।

সদরের জগন্নাথপুর থেকে ভোট দিতে এসেছেন মোটরসাইকেল মেকানিক এক ভোটার। নিজস্ব বৈধ ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের নাম বলতে পারেননি, নেই ট্রেড লাইসেন্স। তবে ঠাকুরগাঁও চেম্বার অব কমার্সের নির্বাচনে ভোট দেন তিনি। এই ভোটার জানান, মুঠোফোনে তাকে জানানো হয়েছে তিনি চেম্বারের ভোটার। এছাড়াও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন হিমাগারে কাজ করে এমন শ্রমিকদের একাংশকে ভোট প্রদান করতে দেখা গেছে। ওষুধ কোম্পানীতে চাকরি করে এমন ব্যক্তিও ভোটার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হিমাগারে কাজ করা এক শ্রমিক বলেন, আমি হিমাগারে কাজ করি। কিন্তু আমার বংশ পরম্পরায় ব্যবসায়ী। তাই আমি চেম্বারের ভোটার। আমার হিমাগার মালিক আমাকে এমন সুযোগ করে দিয়েছেন। ওষুধ কোম্পানীতে চাকরি করা এক ব্যাক্তি ভোট প্রদান করে জানালেন তিনিও মোবাইলে জানতে পেরেছেন ভোটের কথা। এর আগে এলাকার এক ছোট ভাই তার থেকে আইডি কার্ড আর ছবি জমা নিয়েছিলেন।

ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজে রাষ্ট্র বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করছেন দুলালি আক্তার। নিজ বাড়িতে তার একটা দুলালি ফার্মেসি নামের প্রতিষ্ঠান আছে। যার ট্রেড লাইসেন্স আর ড্রাগ লাইসেন্স কোনটিই মনে নেই তার। তিনি বলেন, মামা হিমাগারে ম্যানেজার। তিনি ভোটার হতে সাহায্য করেছেন।

জাতীয় তেল গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি ঠাকুরগাঁও সদস্য সচিব মো: মাহবুব আলম রুবেল সাংবাদিকদের বলেন, ১২ বছর পর ঠাকুরগাঁও চেম্বারের ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু এখানে সাধারণ শ্রমিক সহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ ভোটার হয়েছে। অনেকেই আছে যারা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত না। তাহলে অন্য যে প্যানেলটি অভিযোগ করেছে নিরপেক্ষ ভোটার তালিকা হয়নি। সেটার প্রমাণ পাওয়া গেলো। এই নির্বাচনে ব্যবসায়িরা তাদের সঠিক প্রতিনিধি নির্বাচনে ব্যর্থ হয়েছে।

এব্যাপারে  ঠাকুরগাঁও চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি নির্বাচনী বোর্ডের আহ্বায়ক সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: বেলায়েত হোসেন বলেন, ভোটার তালিকা নিয়ে বেশ কিছু প্রার্থী অভিযোগ করছেন। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর অভিযোগ আপিল কর্তৃপক্ষের নিকট তা জানানোর সুযোগ ছিল। নির্ধারিত সময়ে আপিল কর্তৃপক্ষ বরাবর ভোটার তালিকা নিয়ে যে অভিযোগ করা হয়েছিল তা নিষ্পত্তি হয়েছে। আপিল নিষ্পত্তির পর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের পর অভিযোগ করায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়নি।

ভোটের মাঠে একক ভাবে লড়াই করেছেন দুলাল-বাবলু ও আরমান প্যানেল। মোট ভোটের সংখ্যা ৫ হাজার ৩৩৮ জন।


আরও খবর



লক্ষ্মীপুরের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আটক

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

Image

লক্ষ্মীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব ইমতিয়াজকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১২ টার দিকে সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নের নন্দনপুর থেকে তাকে আটক করা হয়।

জানা গেছে, সদর উপজেলার দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়ন পরিষদসহ ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন আগামীকাল রবিবার (২৮ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টহল দিচ্ছে। শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে জেলা প্রশাসক সুরাইয়া জাহান ও জেলা পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দক্ষিণ হামছাদী ইউনিয়নে টহল দেয়। এ সময় জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ইমতিয়াজ ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী মীর শাহ আলমকে নিয়ে মোটরসাইকেল যাবার পথে পুলিশের গতিরোধ করে। পরে ইমতিয়াজকে আটক করে পুলিশ। সে বহিরাগত হিসেবে নন্দনপুন এলাকায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, এসপি স্যারের নির্দেশে তাকে আটক করা হয়েছে।


আরও খবর



ইউনিক পরিবহনের ছিল না ফিটনেস, রুট পারমিট, এমনকি ট্যাক্স টোকেনও

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর এলাকায় ইউনিক পরিবহনের যে বাসের সঙ্গে পিকআপের সংঘর্ষে ১৪ জন নিহত হন, সেই বাসটি ফিটনেস ছাড়পত্র ও ট্যাক্স টোকেন ছাড়াই তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে চলাচল করছে।

এমনকি যেই ঢাকা-মাগুরা রুটে দুর্ঘটনাটি হয়, সেই রুটে বাসটি (ঢাকা মেট্রো-ব ১১-১৭৫৯) চলাচলের অনুমোদনও ছিল না।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বাসটির চট্টগ্রাম-বগুড়া রুটে চালানোর অনুমোদন থাকলেও ২০২১ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে তা আর হালনাগাদ করা হয়নি।

কিন্তু সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর বেশ কয়েকটি ধারা লঙ্ঘন করে কর্তৃপক্ষের চোখের সামনেই দূরপাল্লার এই বাসটি চলাচল করেছে।

অন্যদিকে যে পিকআপের সঙ্গে বাসটির সংঘর্ষ হয়, পণ্য পরিবহনের সেই পিকআপটিও বিধি লঙ্ঘন করে যাত্রী পরিবহন করছিল।

ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর এলাকায় ঘটা এই দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আরও অনেকে আহতও হয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, হতাহতরা সবাই পিকআপের (যশোর-ন ১১-১৩৩৯) যাত্রী ছিলেন।

বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, বাসটি সর্বশেষ ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বার্ষিক ফিটনেস ছাড়পত্র নেয় এবং ২০২০ সালের ডিসেম্বরে এর মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।

সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর ৭৫ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি ফিটনেস ছাড়পত্র ছাড়া গাড়ি চালালে ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ২৫ হাজার টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

বিআরটিএ সূত্র জানায়, বাসটি সর্বশেষ ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ট্যাক্স টোকেন হালনাগাদ করে, যার মেয়াদ শেষ হয় ২০২০ সালের নভেম্বরে।

সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর ৭৬ ধারা অনুযায়ী, মেয়াদোত্তীর্ণ ট্যাক্স টোকেন নিয়ে গাড়ি চালালে কোনো ব্যক্তিকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।

বাসটি চট্টগ্রাম-বগুড়া রুটে চলাচলের অনুমতি পেয়েছিল। কিন্তু ২০২১ সালের ডিসেম্বরে রুট পারমিটের মেয়াদও শেষ হয়ে যায় বলে সূত্র জানিয়েছে।

সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ এর ৭৭ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি রুট পারমিট ছাড়া গাড়ি চালালে তিন মাসের কারাদণ্ড বা ২০ হাজার টাকা জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

বাসটির মালিক কে?

বিআরটিএর নথি অনুযায়ী, ইউনিক পরিবহনের সেই বাসটির মালিক ঢাকার তেজগাঁও এলাকার ইসহাক মিয়ার ছেলে শামসুল হুদা।

শামসুল হুদার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, পাঁচ-ছয় বছর আগে তিনি নাজমুল হোসেন নামে একজনের কাছে বাসটি বিক্রি করেছেন।

কিন্তু বাসটি শামসুল হুদার কোম্পানি ইউনিক পরিবহনের ব্যানার ব্যবহার করছিল।

নতুন মালিক তার প্রতিষ্ঠানের ব্যানার ব্যবহার করতে পারবেন কি না, জানতে চাইলে শামসুল হক বলেন, তারা এটা ব্যবহার করতে পারবে না। বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তবে, অনেক বাস এই পদ্ধতি অবলম্বন করে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে শামসুল হুদা জানান, তিনি বাসটির নতুন মালিককে বিক্রয় রশিদ দিয়েছেন। কিন্তু নতুন মালিক কেন বিআরটিএতে গিয়ে মালিকানা দলিল পরিবর্তন করেননি, তা তিনি জানেন না।

বিষয়টি নিয়ে করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, বাসটির রুট পারমিট বা ফিটনেস ক্লিয়ারেন্স না থাকার বিষয়টি আমার জানা নেই।

টেলিফোনে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি তদন্ত করব এবং তখন সবকিছু প্রকাশ করা হবে। তবে এখন পর্যন্ত জানতে পেরেছি বাসটির বিরুদ্ধে অন্তত পাঁচটি মামলা হয়েছে।


আরও খবর



আগামীকাল থেকে ভারতের লোকসভা নির্বাচন শুরু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ভারতে ৭ দফার লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ আগামীকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে। এ দফায় উত্তরপ্রদেশে আটটি আসন, বিহারের চারটি আসন ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের তিন আসনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুর ৩৯ আসনের সব কটিতে ভোট হয়ে যাচ্ছে প্রথম দফায়। এরপর রয়েছে বিজেপিশাসিত রাজস্থান, সেখানে ২৫ আসনের অর্ধেক অর্থাৎ ১২টি আসনে এদিন নির্বাচন হবে।

উত্তর প্রদেশের ৮০টি আসনের মধ্যে ভোট হবে ৮টিতে এবং পূর্ব ভারতে প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই। পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে অরুণাচল প্রদেশ, আসাম, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম, ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গ। এ ছাড়া উত্তর-পূর্ব ভারতের সংঘাতবিধ্বস্ত মণিপুরের দুটি আসনেই ভোট হবে আগামীকাল।

এদিকে ৫৪৩ আসনের লোকসভায় বিজেপি এবার দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছে। ক্ষমতাসীন এনডিএ জোটের নেতা ভারতীয় জনতা পার্টি এককভাবে এবার ৩৭০ আসনের টার্গেট নিয়ে এগোচ্ছে। আর জোটগতভাবে তাদের লক্ষ্য ৪০০ আসন। গেলবার বিজেপি-এনডিএ জোট ৩০৩ আসন পেয়েছিল, যেখানে লক্ষ্য ছিল ৩০০ আসন। অর্থাৎ ২০১৯ সালের চেয়ে এবার ১০০টি আসন বেশি পেতে চাইছে জোট।

তবে জনমত জরিপগুলো বলছে, বিজেপি ও এর মিত্ররা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচনে জয়ী হবে। জনমত জরিপে ন্যূনতম ৩৭৩টি আসনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের জয়ের আভাস দিয়েছে এবিপি নিউজ। আর পশ্চিমবঙ্গে ৪২টির মধ্যে ২১টি আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ের ইঙ্গিত দিয়েছে টিভি-নাইনের জনমত জরিপ।

ভারতজুড়ে বিভিন্ন স্থানে ৭ দফায় ভোট গ্রহণ চলবে। প্রথম দফায় ভোট শুরু হচ্ছে ১৯ এপ্রিল। এরপর ২৬ এপ্রিল, ৭ মে, ১৩ মে, ২০ মে, ২৫ মে ও ১ জুন সর্বশেষ দফায় ভোট হবে। ফল ঘোষণা হবে ৪ জুন।


আরও খবর