আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

বিএনপি নেতারা পাহাড়ের গুহায় বসে কথা বলছে : ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ নভেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপি নেতারা পাহাড়ের গুহায় বসে কথা বলছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। রোববার (৫ নভেম্বর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

কাদের বলেন, বিএনপির নেতারা পালিয়েছেন, তাদের দেখা যায় না। বিএনপির ১ কোটি নেতাকর্মীরা কোথায় গেল? তাদের ৮ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের কথা মিথ্যা। এসব মিথ্যা কথা বলে বিদেশিদের কাছে নালিশ দিচ্ছে।

তিনি বলেন, বিএনপি পুলিশ, সাংবাদিক, ও বিচারপতির বাসায় হামলা করছে। পুলিশ হত্যার পাশাপাশি বাসেও আগুন দিয়েছে। মির্জা ফখরুলসহ কেউ কি এর দায় এড়াতে পারবে? তাদের নির্দেশেই এই সন্ত্রাস হয়েছে। কানাডার আদালত সঠিকই বলেছে, তারা সন্ত্রাসী সংগঠন।

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, যাদের নির্দেশে ২৮ অক্টোবর সন্ত্রাস হয়েছে, তাদের বিচার হতেই হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। জনগণের জানমালের রক্ষায় নিরাপত্তা আমাদের দিতে হবে। যত স্তরের নিরাপত্তা দেওয়া দরকার, সেটা দেওয়া হবে। 

আরও পড়ুন>> ১২ দেশে বাংলাদেশের পোশাক প্রত্যাহারের সংবাদ ভুল: তথ্যমন্ত্রী

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী বাইরে থাকুক। দুয়েকজন কথা বলার লোক থাকা দরকার। তাদের আসল নেতা তারেক রহমান তো আছেই। সে স্কাইপিতে বিদেশ থেকে নির্দেশ দিচ্ছে।

বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংলাপ হয় না। বিএনপি আবারও প্রমাণ করেছে তারা আগুন সন্ত্রাসের দল। এখন তারা যা করছে, এরপর আর সংলাপের পরিবেশ নেই। একসময় বলেছিলাম শর্ত তুলে নিলে সংলাপ হতে পারে, সেই সময় শেষ।

এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



জিয়াউর রহমান বাকশালের সদস্য ছিলেন: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাকশাল সদস্য হয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন। কিন্তু বিএনপি ও মির্জা ফখরুল বাকশালকে গালিতে পরিণত করতে চায়।

শনিবার (১৮ মে) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকের বাংলাদেশের এত উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ হয়েছে সরকারের ধারাবাহিকতায় এবং স্থায়িত্বতার কারণে। এই কারণে বিশ্বের বিস্ময়ে রূপান্তরিত হতে পেরেছে বাংলাদেশ।

দেশে গণতন্ত্রের কোনো ঘাটতি নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোনো দল বা গোষ্ঠীর ওপর দমন-পীড়ন করছে না সরকার। গণতন্ত্রের বিচারে বিশ্বের বহু দেশের তুলনায় ভালো অবস্থানে আছে বাংলাদেশ।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একান্ত বৈঠকে কাতারের আমির

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কূটনৈতিক প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্ত বৈঠকে বসেছেন সফররত কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়।

এর আগে সকাল সোয়া ১০টায় রাজধানীর তেঁজগাওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে টাইগার গেটে তাকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিমুল হলে একান্ত বৈঠকে বসেন দুই নেতা।

একান্ত বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গ্লোব হলে ফটোসেশনে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কাতারের আমির শেখ তামিম।

এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চামেলী হলে দুদেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আমির।

দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে দুদেশের মধ্যে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা।

এর আগে, গতকাল সোমবার বিকালে দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় আসেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে লালগালিচা সংবর্ধনা দিয়ে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।


আরও খবর



বিশ্ববাজারে কমলো জ্বালানি তেলের দাম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইসরাইল উত্তেজনা সাময়িকভাবে প্রশমিত হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম কমেছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে থেকে তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার (২২ এপ্রিল) অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার ব্রেন্ট ক্রুডের দাম আগের দিনের তুলনায় শূন্য দশমিক ৩৩ শতাংশ বা ২৯ সেন্ট কমেছে। এদিন প্রতি ব্যারেল কেনাবেচা হয়েছে ৮৭ ডলারে।

অন্যদিকে, ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের (ডব্লিউটিআই) দাম ২৯ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৩৫ শতাংশ কমেছে। বাজারে এই তেল প্রতি ব্যারেল কেনাবেচা হয় ৮২ ডলার ৮৫ সেন্টে।

এ ব্যাপারে বিশ্বখ্যাত আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইজি মার্কেটের বিশ্লেষক ইয়েপ জুন বলেন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইরানের প্রতিক্রিয়া কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় ব্রেন্ট ক্রুডের দাম কমেছে। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুদ বর্তমানে বিক্রির ওপর চাপ বাড়িয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

গত সপ্তাহের এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ডাটা থেকে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুদ ২৭ লাখ ব্যারেল বেড়েছে, যা বিশ্লেষকদের ১৪ লাখ ব্যারেল বৃদ্ধির পূর্বাভাসের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ।

এদিকে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন ও ইসরাইলের জন্য বড় অঙ্কের সামরিক সহায়তা প্যাকেজ পাস করেছে। ফলে ইরানের জ্বালানি তেল উৎপাদনের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরও প্রসারিত হতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এমনটা হলে ইরানের জ্বালানি তেল উত্তোলন বাধাগ্রস্ত হবে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে আন্তর্জাতিক তেলের বাজারেও।


আরও খবর



ভারতীয় মশলায় ক্ষতিকর জীবাণু, বিভিন্ন দেশে ক্রয়-বিক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সাবেক ভারতীয় অভিনেতা এবং বর্তমানে খাদ্য সংক্রান্ত লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত মাধুর জাফরি তার এক প্রবন্ধে বলেছেন, ভারতীয়দের কাছে মশলা হলো রঙের বাক্সের রঙের মতো। বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে যেমন রঙের ঔজ্জল্য বাড়ানো যায়, ভারতীয়রাও সেভাবে যে কোনো মশলার স্বাদের তারতম্য ঘটানোর কৌশল জানে।’

ব্যাপারটিকে ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, মশলার প্রধান কাজ খাবারের স্বাদ বাড়ানো এবং ভারতীয় ডিশগুলোতে নানাভাবে মশলা ব্যবহার হয়, ফলে স্বাদেরও তারতম্য ঘটে। আপনি যদি একই খাবারের দু’টি ডিশের একটি ভাজা মশলা এবং অপরটি গুঁড়া মশলায় রান্না করেন— সে দু’টির স্বাদ ভিন্ন হবে।’

প্রসঙ্গত, ভারতের প্রায় সব ডিশে মশলার উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। বিপুল পরিমাণ অভ্যন্তরীণ উৎপাদন এবং গত বেশ কয়েক বছর ধরে বহির্বিশ্বে তা রপ্তানির কারণে ইতোমধ্যে মশলা উৎপাদনের বৈশ্বিক কেন্দ্র’ তকমা পেয়েছে ভারত। বিশ্বজুড়ে মোট উৎপাদিত মশলার ১২ শতাংশের উৎপাদন করে ভারত এবং প্রায় ১৮০টি দেশে রপ্তানি হয় বিভিন্ন ভারতীয় মশলা।

ভারতের অভ্যন্তরীণ মশলার বাজারের আকার ১ হাজার কোটি ডলার। এছাড়া বাইরের বিভিন্ন দেশে মশলা রপ্তানি করে প্রতি বছর ৪০০ কোটি ডলার আয় করে দেশটি। ভারতীয় মশলার সবচেয়ে বড় তিন ক্রেতা চীন, যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ। এছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাত, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর এবং হংকংয়েও মশলা রপ্তানি করেন ভারতীয় উদ্যোক্তারা।

বৈশ্বিক বাজারে ভারতীয় যেসব মশলার চাহিদা সবচেয়ে বেশি, সেগুলো হলো— মরিচ-ধনে-হলুদের গুঁড়া, এলাচ এবং মিক্সড মশলা। এসবের বাইরে  হিং, জাফরান, জায়ফল, মৌরি, লবঙ্গ এবং দারুচিনিরও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বিশ্বজুড়ে। আর বিশ্বে ভারতীয় মশলা রপ্তানিতে শীর্ষে রয়েছে দেশটির দুই কোম্পানি— এমডিএইচ এবং এভারেস্ট।

তবে সম্প্রতি বিভিন্ন দেশে এ দু’কোম্পানির পণ্যের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মশলায় ভেজাল ও ক্ষতিকর উপাদান মেশানোর অভিযোগে অনেক দেশ সরকারিভাবে নিজেদের অভ্যন্তরীণ বাজারে ভারতীয় মশলা ক্রয়-বিক্রিয়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার কথাও বিবেচনা করছে।

গত মাসে সিঙ্গাপুর এবং হংকয়ের সরকারি প্রশাসন নিজেদের অভ্যন্তরীণ বাজারে এমডিএইচ এবং এভারেস্টের তৈরি পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এ সম্পর্কিত এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রশাসন বলেছে, এ দুই কোম্পানির পণ্যে ইথিলিন অক্সাইড’ নামের একটি ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদানের মাত্রাতিরিক্ত উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়েছে। মানবদেহে দীর্ঘদিন ধরে এই উপাদানটি প্রবেশ করলে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার গুরুতর ঝুঁকি থাকে।

এখানেই শেষ নয়। যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ বিষয়ক সরকারি নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফুডস অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) পরীক্ষাতেও এমডিএইচ এবং এভারেস্টের পণ্যে এথিলিন অক্সাইডের অতিমাত্রায় উপস্থিতি দেখা গেছে। এফডিএ’র একজন মুখপাত্র এ ইস্যুতে বিবিসিকে বলেন, ভারতীয় মশলায় ভেজালের অভিযোগ নতুন নয়। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে যত মশলা রপ্তানি করেছিল ভারত, সেসবের মধ্যে ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ প্যাকেটের মশলায় ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়ার উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়েছিল। এমডিএইচ এবং এভারেস্ট কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে জানানোও হয়েছিল— কিন্তু তারা অস্বীকার করেছে।

একই অভিযোগ করেছে ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ)। ইইউ’র নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, ভারত থেকে আমদানি করা মরিচের গুঁড়া এবং গোলমরিচে ক্যানসার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক উপাদান শনাক্ত হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ, মালদ্বীপ এবং অস্ট্রেলিয়ার খাদ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাও আমদানিকৃত ভারতীয় মশলা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ভারতের মশলার ওপর যে এবারই প্রথম ভেজালের অভিযোগ উঠল— এমন নয়। ২০১৪ সালে কলকাতার জৈবরসায়নবিদ এবং বিশেষজ্ঞ ইপ্সিতা মজুমদার গবেষণাগারে পরীক্ষা করে পশ্চিমবঙ্গে জনপ্রিয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মরিচ, হলুদ, ধনে, গরম মশলার গুঁড়া এবং কারি পাওডারে সীসা শনাক্ত করেছিলেন। পরে তিনি বলেছিলেন, মশলার গুঁড়ার ঔজ্জল্য বাড়াতে যে কৃত্রিম রঙ ব্যবহার করছে; সেসব রঙই সীসার উৎস।

এমডিএইচ গত ১০৫ বছর ধরে গুঁড়া মশলার ব্যবসা করে আসছে। এই কোম্পানির উৎপাদিত ৬০টি ব্র্যান্ডের গুঁড়া মশলা বর্তমানে বাজারে পাওয়া যায়। অন্যদিকে এই ব্যবসার সঙ্গে এভারেস্ট যুক্ত আছে ৫৭ বছর ধরে। অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খানের মতো সুপারস্টাররা এই কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর।

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যদিও বারবার দাবি করে আসছে যে কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ পরীক্ষার পরই মশলার গুঁড়া রপ্তানির ছাড়পত্র দেওয়া হয়, কিন্তু এফডিএ’র অভিযোগ— তারা যেসব নমুনা পরীক্ষা করেছে, সেগুলোকে ছাড়পত্র দেওয়ার আগে মান যাচাই পরীক্ষা করেনি ভারতীয় কৃর্তৃপক্ষ।

নয়াদিল্লি-ভিত্তিক থিংকট্যাঙ্ক সংস্থা গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনশিয়েটিভস সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে—চীন, ইইউ যদি মশলার দূষণের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়— তাহলে ভারতীয় মশলার বৈশ্বিক বাজার গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

চীন এবং ইইউ যদি এ ব্যাপারটি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে এবং আইনী পথ অবলম্বন করে, তাহলে ভারতীয় মশলার বৈশ্বিক বাজার অর্ধেক ধ্বংস হয়ে যাবে।


আরও খবর



গরমে গ্লুকোজ পানি পান করা কি ভালো না ক্ষতিকর

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

তাপদাহের মধ্যে প্রচণ্ড গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত। একদিকে গরমের তীব্রতা অসহ্য, আরেক দিকে প্রচুর ঘাম। আর ঘামের কারণেই পানিশূন্যতা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে তৃষ্ণার কারণে এই সময়ে কম-বেশি সবাই শরীর ঠান্ডা থাকে এমন পানীয় পান করেন। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে গ্লুকোজ পানি পান।

তীব্র গরমে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। এই সময়ে বেশি বেশি পানি পান এবং স্যালাইন পানি পানের প্রয়োজন হয়। এ জন্য কেউ বিকল্প হিসেবে গ্লুকোজ পানি পান করেন। গ্লুকোজ পানি উপকারী। কিন্তু কেউ কেউ গ্লুকোজ পানি অনেক বেশি পান করেন। তবে গ্লুকোজ পানি বেশি পরিমাণে পান করা ঠিক কিনা- এ প্রশ্ন অনেকের। এবার তাহলে এই চিকিৎসকের ভাষ্যমতে গ্লুকোজ পানি পানের বিষয়ে জেনে নেয়া যাক।

গ্লুকোজ পানি পান করা উচিত কি: বাজারে সচরাচর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গ্লুকোজ পাওয়া যায়। প্রতিষ্ঠানগুলোর দাবি, গরমের সময় এ ধরনের গ্লুকোজ পানি শরীরকে সুস্থ রাখে বিভিন্নভাবে। এই গ্লুকোজ শরীরের পানিশূন্যতা দূর করে, লবণের ঘাটতি মেটায় ও শরীরে শক্তি সরবরাহ করে- এমন বিজ্ঞাপন দেখে অনেকেই তা নেন।

সাধারণ মানুষের বিশ্বাস, এ জাতীয় এনার্জি ড্রিংক শরীরের জন্য বেশ উপকারী। কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য শরীরের জন্য গ্লুকোজ পানি উপকারী। যেমন, গরমের সময় যদি হাইপোগ্লাইসেমিয়া অর্থাৎ, রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমে যায়, তাহলে গ্লুকোজ পানি পান করা যেতে পারে। তবে মনে রাখতে হবে, এ জাতীয় গ্লুকোজ পানিতে বিদ্যমান পাউডারে চিনি বা শর্করা থাকে। যা দ্রুত রক্তে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে দেয় এবং রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণও বাড়ায়। এ ক্ষেত্রে ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য গ্লুকোজ পানি ভালো নয়। আর এ ধরনের শর্করা পরবর্তীতে চর্বিতে রূপ নেয়। তাই রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকলে তাদের ক্ষেত্রেও ক্ষতিকর গ্লুকোজ।

এছাড়া একজন সুস্থ মানুষ যদি নিয়মিত গ্লুকোজ পানি পান করেন, তাহলে পেটে মেদ জমে এবং মোটা হয়ে যায়। শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বেশি পরিমাণে গ্লুকোজ পানি পানে দাঁতেরও ক্ষয় হয়। সেই সঙ্গে সুগার হার্টের রোগ, ডিমেনশিয়ার মতো জটিল রোগের জন্যও গ্লুকোজ ক্ষতিকর বলে গবেষণায় দেখা গেছে। এ জন্য খুব বেশি প্রয়োজন না হলে এ ধরনের গ্লুকোজ পানি পান না করাই উচিত।

বিকল্প উপায় ও করণীয়: গরমে পানি পান করা হচ্ছে ভালো উপায়। এ জন্য বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পানে গরমে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা রোধ করা যায়। পাশাপাশি স্যালাইন ও ডাবের পানি পান করা যেতে পারে। দুটি পানীয়তেই প্রয়োজনীয় খনিজ লবণ রয়েছে। যা শরীরে দরকারি লবণের ঘাটতি মিটিয়ে থাকে। এছাড়া রকমারি ফলের জুস খেতে পারেন। তবে সেটি ঘরোয়াভাবে তৈরি হলে উত্তম।


আরও খবর