আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

বিশাল জয়, মুখ্যমন্ত্রীই থাকছেন মমতা

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ অক্টোবর ২০২১ | হালনাগাদ:রবিবার ০৩ অক্টোবর ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
ভবানীপুর উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ৫৭ শতাংশের বেশি। গত ২৬ এপ্রিলের বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছিল প্রায় ৬২ শতাংশ

অবশেষে পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জীর ভাগ্য ফিরেছে। আবারও ক্ষমতায় থাকছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী থাকতে হলে মমতার জয়ী হওয়া ছাড়া বিকল্প ছিল না। যদিও তার জয়ী হওয়া নিয়ে সংশয় ছিল না তৃণমূল কংগ্রেসের। তাদের ভাবনা ছিল ভোটের ব্যবধান। এবার সেটিও সফল হলো। ভবানীপুরে ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটে জিতলেন মমতা।

ভবানীপুর বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা ব্যনার্জী। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় বৃহস্পতিবার (৩০সেপ্টেম্বর)। আজ রোববার (৩ অক্টোবর) ভোট গণনা শেষে ফলাফল প্রকাশ করা হলো।

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পদে মমতা আর থাকতে পারছেন কিনা এনিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই শোরগোল চলছিল। সেই ভাবনার অবসান ঘটলো আজ।

ভবানীপুর উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ৫৭ শতাংশের বেশি। গত ২৬ এপ্রিলের বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছিল প্রায় ৬২ শতাংশ। তৃণমূলের প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জয়ী হন ২৮ হাজার ৭১৯ ভোটের ব্যবধানে।

২০১১ সালেও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এই কেন্দ্রেই উপনির্বাচনে জিতে আসেন মমতা। ভোট পড়েছিল ৪৫ শতাংশেরও কম। মমতা জিতেছিলেন ৫৪ হাজারের কিছু বেশি ভোটে। ভবানীপুরে এবার মোট প্রার্থীর সংখ্যা ১২। নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী ছিলেন আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল।


আরও খবর



তিন দিনের জাতীয় রবীন্দ্র উৎসব শুরু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বাজুক প্রাণে বজ্রভেরী/অকূল প্রাণের সে উৎসবে স্লোগান ধারণ করে আজ বৃহস্পতিবার বৃষ্টিস্নান্ত সন্ধ্যায় শুরু হয়েছে তিন দিনের জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত উৎসব। বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থা আয়োজনে এই উৎসবে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের রবীন্দ্রশিল্পীদের মেলবন্ধন ঘটেছে।

১৬৩তম রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে রাজধানীতে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। প্রথমদিনেই ছিল জমকালো উদ্বোধন। অতীতের সব আয়োজন ছাপিয়ে এবারের ৩৫তম আসর বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।  কারণ উৎসব জুড়ে রয়েছে দুজন কিংবদন্তি। এদের একজন হলেন, কলিম শরাফী, অন্যজন সাদি মহম্মদ। উৎসবের মাধ্যমে পালন করা হয় কলিম শরাফীর শততম জন্মদিন। উৎসব উৎসর্গ করা হয়েছে অকাল প্রয়াত সাদি মহম্মদ স্মরণে।

নাচ-গান-আবৃত্তিতে মোড়ানো জন্ম আর মৃত্যুর সুরেলা মেলবন্ধনের প্রতিধ্বনি হবে তিন দিনের অনুষ্ঠানে। যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীতশিল্পী সংস্থার নির্বাহী সভাপতি আমিনা আহমেদ ও সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী পীযুষ বড়ুয়া।

রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এবারের আয়োজনে দেড় শতাধিক শিল্পী অংশ নিচ্ছেন। তিন দিনের উৎসবটি সাজানো হয়েছে চারটি অধিবেশনে। যেখানে অংশ নিচ্ছেন বরেণ্য শিল্পীদের পাশাপাশি সংস্থার নিয়মিত শিল্পীরা। পরিবেশনার পরতে পরতে রয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিভিন্ন পর্যায়ের গান ও কবিতা। আছে দলীয় নৃত্য। আছে জনপ্রিয় বাকশিল্পীদের পরিবেশনা রাবীন্দ্রিক পরিবেশনা।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের লবিতে বিকেল সাড়ে ৫টায় উদ্বোধনী নৃত্য পরিবেশনের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠে উৎসবের। শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায় নৃত্যানন্দের শিল্পীরা পরিবেশন করে বৃন্দ নৃত্য। নৃত্যের সঙ্গে সমবেত সঙ্গীত  আকাশ ভরা সূর্য তারাবিপুল তরঙ্গ রে পরিবেশন করে সংস্থার শিল্পীরা। এরপর মূল অনুষ্ঠান শুরু হয় মিলনায়তনে। সন্ধ্যায় উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতজন রামেন্দু মজুমদার। দুই গুণী কলিম শরাফী ও সাদি মহম্মদ সম্পর্কে আলোচনা করেন উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সহ সভাপতি মাহমুদ সেলিম ও লেখক-আলোকচিত্রী এম এ তাহের। স্বাগতকথনে অংশ নেন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও সঙ্গীত শিল্পী পীযুষ বড়ুয়া।

 উৎসব সম্পর্কে চুম্বকীয় অংশতুলে ধরেন সংস্থার নির্বাহী সভাপতি আমিনা আহমেদ। এদিন মিলনায়তনের বাইরে বৃন্দ নাচ ও গান শেষে মূল মঞ্চে ঐতিহ্য মেনে পরিবেশন করা হয় জাতীয় সঙ্গীত। এর পর পরিবেশন করা হয় বেদ শ্লোক গচ্ছধ্বং সং বদধ্বং সং বো মনাংসি জানতাম্। এর আগে লবীতে মঙ্গলপ্রদীপ জ্বালানো হয়। এই পর্বে সমবেত গান আনন্দালোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্যসুন্দর  হে নূতন দেখা দিক আর-বার পরিবেশন করা হয়।

 পরে উদ্বোধনী কথনে অংশ নেন অতিথিরা। আলোচনা শেষে শুরু হয় প্রথম দিনের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এদিন শিল্পীরা ছিলেন রফিকুল আলম, চঞ্চল খান, জাফর আহমেদ, অনন্ত বাঁধন, লিটন চন্দ্র বৈদ্য, মিলন দেব, সত্যম দেবনাথ, কুশল রায়, গায়ত্রী আচার্য্য, রবিউল হাসান, সুদীপ্ত চক্রবর্তী, শর্মিলা চক্রবর্তী, বিলু সিদ্দিকী, ফারহানা খান পুরবী, মৌমিতা মমী, নেহরীন হুদা, রায়ান খালিদ  স্যান্দ্রা, রিদওয়ানা আফরিন সুমি, স্মৃতি কণা পাল, তাসনিতা মাহবুব নরিন, উৎপলা দাস পম্পা,  শবরী মজুমদার, ড. বর্ণালী চক্রবর্তী, সুস্মিত শাফি ইসলাম (খুলনা), ফারহানা রহমান কান্তা (ফরিদপুর) সহ আরো অনেকে।

শিল্পীদের কণ্ঠে  শোনা গেলো কেহ কারো মন বুঝে না, হার মানা হার, প্রথম আদি তব শাক্তি, সখী ভাবনারে কারে কয়, মহারাজ একী সাজে, তাই তোমার আনন্দ, সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, নয়ন তোমারে পায় না, লাবণ্য পূর্ণ প্রাণ সহ আরু অনেক গান।

তিন দিনব্যাপী উৎসবটি উৎসর্গ করা হয়েছে সদ্য প্রয়াত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সাদি মহম্মদের পুণ্য স্মৃতির উদ্দেশে। তাই উদ্বোধনী আয়োজনে ছিল তারই অনুজ বাংলাদেশ সরকারের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরষ্কার একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রথিতযশা নৃত্যশিল্পীশিবলী মহম্মদ ও শামীম আরা নীপার নেতৃত্বে ছিল নৃত্যাঞ্চলের শ্রদ্ধা নিবেদন।

উৎসবের দ্বিতীয় দিন আজ শুক্রবার একই স্থানে দ্বিতীয় অধিবেশন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দলীয় পরিবেশনায় অংশ নেবে সুরের ধারা, রবিরাগ, সঙ্গীত ভবন, বাফা, বৈতালিক, সুরতীর্থ ও বিশ্ববীণার শিল্পীরা। কয়েক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে একই স্থানে তৃতীয় অধিবেশনের সূচনা হবে সংস্থার রীতি অনুযায়ী দুটি কোরাসের মধ্য দিয়ে। এদিন সংস্থার শিল্পীরা পর পর পরিবেশন করবেন ওই মহামানব আসেবৈশাখ হে, মৌনী তাপস,  কোন্ অতলের বাণী। তৃতীয় ও  কাল শনিবার বিকাল ৫টায় সমাপনী আয়োজন শুরম্ন হবে। থাকবে সংস্থার শিল্পীদের একক ও দলীয় পরিবেশনা।

সমাপনী অধিবেশনের সূচনা হবে পর পর জগৎজুড়ে উদার সুরে/আনন্দগান বাজেআলোকের এই ঝর্নাধারায় গানের মধ্য দিয়ে। পরে নিয়মিত পর্বে অংশ নেবেন সংস্থার শিল্পীদের পাশাপাশি আমন্ত্রিত শিল্পীরা। তিন দিনের আয়োজন সবার জন্য উন্মুক্ত।


আরও খবর



রাবিতে আবারও ছাত্রলীগের দেশীয় অস্ত্রের মহড়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে শাখা ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও দেশীয় অস্ত্রের মহড়া দিল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

সোমবার দিবাগত রাতে হঠাৎ ই ক্যাম্পাসের ১৭টি হল থেকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ ও সোহরাওয়ার্দী হল এলাকায় জড়ো হন।

ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের সভাপতি ও শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ হলে অবস্থান করছেন বলে খবর উঠে। নিজেদের অবস্থান জানান দিতে সেখানে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিবের অনুসারীরা দেশীয় অস্ত্রসহ মাদার বখশ হলের সামনে অবস্থান নেন।

এমন পরিস্থিতিতে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে অর্ধশতাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ এবং জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রণব কুমার পাণ্ডে উপস্থিত থেকে এসব ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেছেন।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দিলো আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে আগামী ২৬ এপ্রিল, শুক্রবার শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশের সঞ্চালনা করবেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির।

এদিকে, আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। সমাবেশ করতে গত শনিবার (২০ এপ্রিল) ডিএমপি কমিশনারকে অবহিত করে চিঠি দিয়েছে দলটি।

বিএনপি সূত্র জানায়, বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা বেগম জিয়ার মুক্তির দাবি ও দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার এবং সাজার প্রতিবাদে এ সমাবেশ করবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।


আরও খবর



সীমান্তে আবারও বিএসএফের গুলি

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
এম এ রহিম, বেনাপোল (যশোর)

Image

সীমান্তে হত্যা শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিলেও থামছে না ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে প্রাণহানির ঘটনা। প্রতি মাসেই বিএসএফের গুলিতে ঘটছে হত্যাকাণ্ড। সীমান্ত হত্যা নিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে নিয়মিত আলোচনা হয়। কিন্তু তবুও থামছে না সীমান্তে হত্যা। সবশেষ রোববার (১২ মে) দিবাগত রাতে বেনাপোল সীমান্তে বাংলাদেশিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বিএসএফ। এতে আমজেদ আলী নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

পরিবার জানিয়েছে, রোববার রাতে পুটখালী সীমান্ত দিয়ে ভারতে গরু পাচার করার সময় ভারতীয় বিএসএফ গুলি ছুড়লে আমজেদ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পালিয়ে বাড়িতে চলে আসে। পরে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে যশোর জেনারেল হাসপাতালের পুরুষ সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন।

এর আগে, বুধবার (৮ মে) দুই বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ। হত্যার দুই দিন পর শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যার দিকে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা ও ভারতের ফুলবাড়ি জিরো লাইন সীমান্ত দিয়ে ওই দুই বাংলাদেশির মরদেহ তেতুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ভারতের ফাঁসিদেওয়া থানা পুলিশ।

সীমান্তে বছরের পর বছর ধরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলি ও নির্যাতনে প্রাণ হারাচ্ছেন নিরীহ বাংলাদেশিরা। বিগত ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারিতে বিএসএফের গুলিতে নির্মম হত্যার শিকার হয় কিশোরী ফেলানী খাতুন। তার মরদেহ সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। ওই সময় কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলে থাকা কুড়িগ্রামের কিশোরী ফেলানীর মরদেহের ছবি আলোড়ন তুলেছিল দেশে-বিদেশে। ওই ঘটনার পর দফায় দফায় আলোচনায় সীমান্তে হত্যা বন্ধে প্রতিশ্রুতি দেয় বিএসএফ। তবে গত বছরগুলোতে পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করলে পাওয়া যায় একেবারেই উল্টোচিত্র।

বাংলাদেশের মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসেবে ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বিএসএফের হাতে মারা গেছেন ২০০ এর বেশি বাংলাদেশি। নির্যাতনের শিকার হয়েছেন শতাধিক মানুষ। যার মধ্যে গতবছর ২৮ জনের প্রাণহানি ও ৩১ জন মারাত্মক শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

আসকের তথ্য অনুযায়ী, সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে ২০২০ সালে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশিকে হত্যা করে বিএসএফ। ওই বছর ৪৮ জন বাংলাদেশি প্রাণ হারান, যার মধ্যে ৪২ জন বিএসএফের গুলিতে ও ছয়জন শারীরিক নির্যাতনে মারা যান। এর আগের বছর যে ৪৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন তাদের মধ্যে ৩৭ জন বিএসএফের গুলিতে এবং ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে নির্যাতনে। গত সাত বছরের মধ্যে বিএসএফের গুলিতে সবচে কম বাংলাদেশির মৃত্যু হয় ২০১৮ সালে ১৪ জনের।

সরকারের হিসেবে বলছে, ২০০৯ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ৯ বছরে বিএসএফের হাতে ২৯১ জন বাংলাদেশি নিহত হন। এ ৯ বছরের মধ্যে সবচে বেশি প্রাণ হারিয়েছেন ২০০৯ সালে। আর সবচে কম ১৭ জন হত্যার শিকার হয়েছেন ২০১৭ সালে।

ভারতীয় কর্তৃপক্ষের মতে, বিএসএফ আত্মরক্ষার জন্য হত্যা করে। কিন্তু হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) ট্রিগার হ্যাপি’ নামে এক প্রতিবেদনে সীমান্তে গুলি থেকে বেঁচে যাওয়া এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ ছিল, বিএসএফ তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা না করে বা সতর্ক না করেই নির্বিচারে গুলি চালায়। কিন্তু আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, সীমান্তরক্ষী বাহিনী আত্মরক্ষার প্রয়োজনে প্রথমে সতর্ক করতে ফাঁকা গুলি ছুড়তে হবে। যদি এতে হামলাকারী নিবৃত না হয় এবং জীবনের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায় সেক্ষেত্রে গুলি ছোড়া যাবে, তবে সেটা হতে হবে অবশ্যই হাঁটুর নিচের অংশে। কিন্তু এসবের কোনো তোয়াক্কাই যেন নেই বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর। ফেলানী হত্যার দৃশ্যই কি মনে করিয়ে দেয় না, বিএসএফ গুলি ছোড়ে স্রেফ হত্যার উদ্দেশ্যেই। বিএসএফ কোনো ক্ষেত্রেই প্রমাণ করতে পারেনি যে, হতাহতের শিকার মানুষগুলোর মাধ্যমে তাদের প্রাণ সংশয় বা গুরুতর আহত হওয়ার ঝুঁকি ছিল।

সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যার অন্যতম প্রধান কারণ দেশটির সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর অতিরিক্ত বল প্রয়োগ। এ ছাড়াও দুই দেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলগুলো ঘনবসতিপূর্ণ। এখানকার একশ্রেণির মানুষ কৃষি ও অন্যান্য পেশার পাশাপাশি আন্তঃসীমান্ত গবাদি পশু ও পণ্য পাচারের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে। এই হত্যার শিকার অধিকাংশই বিভিন্ন চোরাচালান কর্মের সঙ্গে জড়িত বলেই অভিযোগ বিএসএফের। কিন্তু দুই দেশের আইন অনুযায়ী, কেউ সীমান্তে অনুপ্রবেশ করলে, কাঁটাতার কাটলে বা পাচারের চেষ্টা করলে তাদের গ্রেপ্তার করে ওই দেশের আইনানুযায়ী বিচার করতে হবে। কিন্তু কোনো অবস্থাতেই গুলি ছোড়া বা নির্যাতন করা যাবে না।


আরও খবর



রাফা ছেড়ে পালিয়েছে প্রায় তিন লাখ ফিলিস্তিনি: জাতিসংঘ

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে বাধ্য হয়ে গাজা থেকে ১০ লাখ মানুষ রাফা শহরে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানেও হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। এমন অবস্থায় শরহটি ছেড়ে অন্তত ৩ লাখ মানুষ পালিয়ে গেছেন।

ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর বরাত দিয়ে রোববার (১২ মে) রাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এদিকে, আন্তর্জাতিক সতর্কতা সত্ত্বেও রাফা শহরে আক্রমণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বলছে, লাখ লাখ ফিলিস্তিনির আশ্রয়স্থল হয়ে ওঠা ওই শহরে আক্রমণ হবে বিপর্যয়কর

এর আগে, গত ১১ মে রাফাহ ছাড়তে ফিলিস্তিনিদের নির্দেশ দেয় ইসরায়েল। ব্যাপক আকারে সামরিক অভিযানের লক্ষ্যেই এই নির্দেশ দিয়েছে তারা।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, এখানে (রাফা) হামাসের শীর্ষ নেতা ও বাহিনী রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৮ হাজার ৭৫৫ জন ফিলিস্তিনি।


আরও খবর