আজঃ রবিবার ১২ মে ২০২৪
শিরোনাম

বিসিবির আগামী নেতৃত্বে মাশরাফি না সাকিব, প্রশ্নে যা বললেন পাপন

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে নৌকার প্রার্থী। এই আসনে তিনি টানা তিন মেয়াদে সংসদ সদস্য।

সমসাময়িক রাজনীতির নানা ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের পৈতৃক বাসভবন আইভি ভবনে খোলামেলা কথা বলেন বিসিবি সভাপতি।

এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে নাজমুলের কাছে জানতে চাওয়া হয় বিসিবির পরবর্তী সভাপতি হিসেবে মাশরাফি ও সাকিব দুজনই আগ্রহ দেখিয়েছেন। কে আসতে পারে?

জবাবে পাপন বলেন, বলা মুশকিল। এটা বলাও কঠিন। এখানে বলা ঠিক হবে না। এটি সময় আসলে বুঝা যাবে।

সাকিবকে নিয়ে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান বলেন, নির্বাচনে সাকিবের আলাদা প্লাস পয়েন্ট আছে। একটা দলের ভোট, আরেকটা নিউট্রাল (নিরপেক্ষ) ভোট। নিউট্রাল ভোট সাকিবের জন্য প্লাস পয়েন্ট। আমার ধারণা, যারা সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না, তারা সাকিবকে ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবেন।

নির্বাচনের পরও সাকিবকে খেলার মাঠে পাওয়া যাবে কিনা এমন প্রশ্নে বিসিবি সভাপতির জবাব, এ বিষয়ে কথা হয়েছে। তার ২০২৫ সাল পর্যন্ত খেলার কথা।

তিনি আরও বলেন, সাকিব ওখানে (মাগুরা) নামার পর থেকে মানুষ পাগল হয়ে গেছে। আমার ধারণা, প্রায় সবাই তাকে ভোট দেবে।

নিজের রাজনীতিতে আসা ও এবার জয়ের ব্যাপারে প্রশ্নের জবাবে নাজমুল হাসান বলেন, আমি জীবনে কোনো দিন চিন্তাও করিনি রাজনীতি করব। মনে করতাম রাজনীতি অনেক সহজ। কিন্তু আসার পর বুঝলাম অনেক কঠিন। এটার সঙ্গে কোনো কিছুর তুলনা হয় না। আমার বিশ্বাস ভৈরবের মানুষ ভুল সিদ্ধান্ত নেন না। তারা সব সময় বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধুকন্যা, আমার আব্বার পাশেই ছিলেন। এখনো থাকবেন।

প্রসঙ্গত, নাজমুল হাসানের বাবা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান। আর তার মা আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত আইভি রহমান।

২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে জিল্লুর রহমান কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি রাষ্ট্রপতি হওয়ার কারণে আসনটি শূন্য হয়ে পড়লে ২০০৯ সালে উপনির্বাচনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য হন নাজমুল হাসান পাপন।


আরও খবর



অতিরিক্ত গরমে বিশ্বে বছরে ১৯ হাজার শ্রমজীবীর মৃত্যু

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

অতিরিক্ত গরমে কারণে বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ১৮ হাজার ৯৭০ জন শ্রমজীবী মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। সোমবার আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) প্রকাশিত এক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

এনশিউরিং সেফটি অ্যান্ড হেলথ অ্যাট ওয়ার্ক ইন আ চেঞ্জিং ক্লাইমেট (জলবায়ু পরিবর্তনের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা) শিরোনামের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের সব অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি দেখা যাচ্ছে। ৩৪০ কোটি শ্রমশক্তির মধ্যে ২৪০ কোটি মানুষই কোনো না কোনোভাবে অতিরিক্ত তাপের সংস্পর্শে আসছেন। অর্থাৎ, বৈশ্বিক শ্রমশক্তির ৭০ শতাংশের বেশি মানুষ অতিরিক্ত তাপের সংস্পর্শে আসছেন।

আইএলওর প্রতিবেদনে বলা হয়, অতিরিক্ত গরমজনিত প্রায় সোয়া দুই কোটি পেশাগত দুর্ঘটনায় ২০ লাখের বেশি মানুষকে নানা প্রতিবন্ধিতা নিয়ে বাস করতে হচ্ছে। কৃষি, নির্মাণ, পরিবহন খাতের মতো বাইরে কাজ করা কর্মীরা অতিরিক্ত গরমের কারণে মৃত্যু ও প্রতিবন্ধিতার ঝুঁকিতে পড়ছেন। তাঁরা হিটস্ট্রেস, হিটস্ট্রোক, হিটক্র্যাম্পস, র‍্যাশ, ত্বকে ক্যানসার, হৃদ্‌রোগ, শ্বাসজনিত অসুস্থতা, কিডনির রোগ ও মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন। অন্তঃসত্ত্বা নারীরা নানা জটিলতায় পড়ছেন।

প্রতিবেদনে জলবায়ু পরিবর্তনের আরও নানা কারণে কর্মক্ষেত্রসংক্রান্ত মৃত্যুর তথ্য উল্লেখ করা হয়। এতে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে ১৬০ কোটি মানুষ আলট্রাভায়োলেট রেডিয়েশনের ঝুঁকিতে পড়ে। এ কারণে ত্বক ক্যানসারে বছরে মৃত্যু হয় ১৮ হাজার ৯৬০ জনের। বাইরে বা রাস্তাঘাটে কাজ করা ১৬০ কোটি মানুষ বায়ুদূষণের শিকার হয়। এর ফলে ৮ লাখ ৬০ হাজার কর্মীর মৃত্যু হয়। ৮৭ কোটির বেশি মানুষ কৃষিকাজ করেন। এই কাজ করতে গিয়ে তাঁরা বিভিন্ন কীটনাশকের সংস্পর্শে আসেন। বছরে ৩ লাখের বেশি কর্মী কীটনাশকের বিষাক্ততার কারণে মারা যান। পরজীবী, ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসবাহিত রোগের সংস্পর্শে এসে (ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়ার মতো রোগ সৃষ্টিকারী) বছরে ১৫ হাজার কর্মী মারা যান। চরম আবহাওয়ায় ভূমির পরিবর্তন, খাদ্যসংকট ও বিশুদ্ধ পানির অভাবের মধ্যে কাজের নিশ্চয়তা কমে যাওয়ায় মানুষের মধ্যে হতাশা শুরু হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চরম আবহাওয়ায় বাংলাদেশ, ভারত, লাওসসহ অনেক অঞ্চলে গত বছরের এপ্রিলে রেকর্ড পরিমাণ উচ্চ তাপমাত্রা দেখা গেছে। এ ধরনের আবহাওয়াকে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, চরম আবহাওয়ায় বাংলাদেশ, ফিলিপাইন ও ক্যারিবীয় অঞ্চলে দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ, হতাশা, মাদকাসক্তি, আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়েছে।

২০২০ সালের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এই হিসাব তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদন বলা হয়, ২০০০ সালের তুলনায় ২০২০ সালে প্রায় ৩৫ শতাংশ বেশি কর্মী অতিরিক্ত তাপের কারণে ঝুঁকিতে পড়েছেন। তাপমাত্রা ও শ্রমশক্তি বাড়ার কারণে এ সংখ্যা বেড়েছে বলে ধারণা প্রকাশ করা হয় প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদনে অতিরিক্ত তাপ, আলট্রাভায়োলেট রেডিয়েশন, চরম আবহাওয়া, কর্মক্ষেত্রে বায়ুদূষণ, পরজীবী-ব্যাকটেরিয়া-ভাইরাসবাহিত রোগ এবং অ্যাগ্রোকেমিক্যাল (কৃষি খাতে ব্যবহার করা রাসায়নিক)এ ছয় ক্ষেত্রে কর্মীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়, অতিরিক্ত তাপের পাশাপাশি বন্যা, খরার মতো চরম আবহাওয়ায় বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশে হতাশা, উদ্বেগ, সব বয়সীদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা, পোস্টট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার (পিটিএসডি) বা মানসিক আঘাতজনিত দুশ্চিন্তা ও মাদকাসক্তি বাড়ছে। দুর্যোগের মধ্যে জরুরি কাজে নিয়োজিত কর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী, ফায়ার সার্ভিসের কর্মী, জেলে, কৃষি ও নির্মাণশ্রমিকদের মধ্যেও নাজুক মানসিক অবস্থা দেখা যাচ্ছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা যা আছে, তা যথেষ্ট নয়। অনেক দেশ তাপ থেকে সৃষ্ট রোগকে পেশাগত রোগ বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। ঝুঁকির ক্ষেত্রে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় আছে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমজীবীরা। ঝুঁকি থাকলেও আর্থিক কারণে তাঁরা অতিরিক্ত গরমের মধ্যেও কাজ করেন।

প্রতিবেদন প্রসঙ্গে আইএলওর অকুপেশনাল সেফটি অ্যান্ড হেলথ (ওএসএইচ) দলের প্রধান মানাল আজি বলেন, এটা এখন স্পষ্ট যে জলবায়ু পরিবর্তন কর্মীদের উল্লেখযোগ্য হারে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এই ঝুঁকিগুলোর বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া দরকার। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতি মোকাবিলায় নীতি গ্রহণ ও কার্যকলাপবিষয়ক যা যা করা হয়, তার মধ্যে অবশ্যই পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টিকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।


আরও খবর



চাকরি ছাড়লেন দুদকের ১৫ কর্মকর্তা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ১৫ জন কর্মকর্তা চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুদক সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (ডুসা) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের (বিসিএস) বিভিন্ন ক্যাডারের চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য তারা দুদকের চাকরি ছেড়েছেন। বৃহস্পতিবার  তাদের বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছে ডুসা।

দুদকের সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত মো. আতাউর রহমান (প্রশাসন), আকিব রায়হান (প্রশাসন), শাওন হাসান অনিক (প্রশাসন), তালুকদার ইনতেজার (প্রশাসন), চৌধুরী বিশ্বনাথ আনন্দ (প্রশাসন), আশরাফুল হোসেন (পুলিশ), সুজনুর ইসলাম সুজন (পুলিশ) ও মো. ইমাম হোসেন (পুলিশ) সংশ্লিষ্ট ক্যাডারে যোগ দেবেন। উপ-সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত খাইরুল ইসলাম, শেখর রায়, সিদ্দিকা মারজান, আসিফ আরাফাত, পপি হাওলাদার ও রয়েল হোসেন শিক্ষা ক্যাডারে এবং মাহমুদুল হাসান তিতাস কৃষি ক্যাডারে যোগ দেবেন।

ডুসার সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম পলেন জানান, বিভিন্ন ক্যাডারে গেজেটপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ক্রেস্ট দিয়ে সম্মাননা দেওয়া হয়। বিদায়ী কর্মকর্তারা তাদের সততা, পেশাদরিত্ব ও দক্ষতা দিয়ে জনগণের সেবা করবেন। ডুসার পক্ষ থেকে তাদের ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের সর্বাঙ্গিন সাফল্য কামনা করা হয়। অনুষ্ঠানে ডুসার সিনিয়র সহ-সভাপতি কামরুজ্জামানসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



‘খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য বিএনপি বিক্ষোভ মিছিলও করতে পারেনি’

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য দলটি নেতাকর্মীরা একটা বিক্ষোভ মিছিল করতে পারেনি বলে দাবি করেছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, বেগম জিয়া আটকে আছে আইনের ফাঁদে। তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ কোনো মামলা করেনি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মামলায় তিনি গ্রেপ্তার ও বন্দী হয়েছেন। বিএনপি নেতাদের অবহেলায় বেগম জিয়ার এক বছরের বিচার ১০ বছরেও শেষ হয়নি। এটার জন্য বিএনপির নেতারাই দায়ী। তারা বেগম জিয়ার জন্য আইনি পথে ব্যর্থ হয়েছে, রাজপথে আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে। বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য রাজপথে দেখার মতো বিক্ষোভ মিছিলও করতে পারেনি। 

আজ শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদারতার জন্যই বেগম জিয়ার শাস্তি স্থগিত রেখে বাড়িতে থাকার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এমনকি বিদেশি চিকিৎসক এসে তাকে চিকিৎসা দিচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, বিএনপি নিজেরাই এখন বিভক্ত। তাদের দলে বহুদিন ধরে কাউন্সিল নেই। তাদের ঘরোয়া রাজনীতি ঝিমিয়ে পড়েছে। নেতায় নেতায় মিল নেই। দল ক্ষমতায় আসবে এমন আশা নেতারা করলেও তা কর্মীরা দেখছে না৷ কর্মীরা এখন হতাশ হয়ে পড়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা পজিটিভ রাজনীতি করতে চাই। আজ বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতি সংকট সৃষ্টি হয়েছে। এই সংকট থেকে আমাদের জনগণকে কিভাবে মুক্তি দেওয়া যায় তার জন্য কিছু বাস্তবমুখী কর্মসূচি নিতে হবে। দেশে বেকার সমস্যা সমাধানে আমাদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, তা বাস্তবায়ন করতে হবে। 

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে এমপি-মন্ত্রীদের স্বজনদের বিষয়ে ব্যাখ্যা করেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, উপজেলা নির্বাচন সম্পর্কে বিগত সময়ে আমি যে বক্তব্য রেখেছি, তা নিয়ে অনেকে ভেবে ছিল এটা মনে হয় আমি নিজ থেকে নেত্রীর নামে বলে বেড়াচ্ছি। কিন্তু গতকাল আমাদের নেত্রী (শেখ হাসিনা) এমপি-মন্ত্রীদের স্বজনের বিষয়ে খোলাসা করেছেন। স্বজন বলতে তিনি সুনির্দিষ্টভাবে স্ত্রী-সন্তান বুঝিয়েছেন। তিনি এমপিদের বলে দিয়েছেন। নির্বাচনে কোনো প্রকার প্রভাব বিস্তার করা যাবে না। প্রশাসন ও নির্বাচনকে প্রভাবিত করা যাবে না। নেত্রীর সেই গাইড লাইন অনুযায়ী আমরা আমাদের পার্টির কর্মকাণ্ড পরিচালিত করব। উপজেলা নির্বাচনে নেত্রীর গাইড লাইন পালন করব।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় সদস্য আনিসুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আকতার হোসেন, উত্তর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক রানা প্রমুখ।


আরও খবর



দেশজুড়ে বিজ্ঞান জাদুঘরের পৃষ্ঠপোষকতায় বিজ্ঞান মেলা

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Image

জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের অর্থায়নে এবং পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের ৬৪ জেলায় শুরু হয়েছে ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা-২০২৪। গত ২২ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এ বিজ্ঞান মেলায় অংশ নিয়ে নবীন শিক্ষার্থী ও ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা তাদের উদ্ভাবিত বিজ্ঞানের নানা প্রকল্প উপস্থাপন করছে। বিজ্ঞান মেলায় জুনিয়র, সিনিয়র এবং বিশেষ- এ ৩টি গ্রুপে প্রকল্পগুলো উপস্থাপিত হচ্ছে। মূলত: ৪৫তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের আওতায় উপজেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান মেলার বিজয়ী ও সেরা প্রকল্পগুলোই উপস্থাপিত হচ্ছে জেলা পর্যায়ের বিজ্ঞান মেলায়।

আজ (৮ মে) পর্যন্ত মোট ২৮টি জেলায় এ বিজ্ঞান মেলা সম্পন্ন হয়েছে। এতে প্রায় ৮ শতাধিক বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন প্রকল্প উপস্থাপিত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, রোবটিক্সের আধুনিক ব্যবহার, সৌর বিদ্যুতের বিজ্ঞানসম্মত ব্যবহার, বাসাবাড়িতে অগ্নিকাণ্ড ও সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, পরিবেশবান্ধব নগরায়ন, অগ্নি দুর্ঘটনা প্রতিরোধ, আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রযুক্তির ব্যবহারসহ বিভিন্ন প্রকল্প। বিজ্ঞান মেলা ছাড়াও অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, বিজ্ঞান বিষয়ক কুইজ এবং বিজ্ঞান বিষয়ক সভা-সেমিনার।

এ প্রসঙ্গে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, তরুণ প্রজন্মকে সামাজিক অবক্ষয় থেকে সুরক্ষার লক্ষ্যে জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চায় সম্পৃক্ত রেখে তাদের মনস্তাত্বিক উন্নয়ন ও উদ্ভাবনী চেতনার বিকাশ ঘটিয়ে বাংলাদেশকে একটি আধুনিক বিজ্ঞানবান্ধব রাষ্ট্রে রূপান্তরের মহৎ লক্ষ্য নিয়ে বিজ্ঞান জাদুঘর কাজ করছে। বিজ্ঞান মেলা শুধু আনুষ্ঠানিক প্রদর্শনী নয়, মেলায় উদ্ভাবিত প্রকল্পগুলো বিভিন্ন সেক্টরে প্রয়োগ করে জনগণের জীবনমান উন্নত এবং নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করার অন্যতম লক্ষ্য। এখন বছরে কেবল নির্ধারিত সময়ে নয়, সারা বছরই তৃণমূল পর্যায়ে ছোট ছোট বিজ্ঞান মেলা আয়োজনের মাধ্যমে বিজ্ঞানের মহাসমুদ্রে তরুণ প্রজন্মকে অবগাহন করাতে বিজ্ঞান জাদুঘর পরিকল্পনা করছে।


আরও খবর



দ্বাদশ সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন ২ মে

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন আগামী ২ মে আহ্বান করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের লেজিসলেটিভ সাপোর্ট উইং আইন শাখা।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির নিম্নলিখিত আদেশটি সাধারণ অবগতির জন্য প্রকাশ করা হলো বলেও জানিয়েছে সংসদ সচিবালয়।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালামের সই করা চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংসদ সচিবালয় জানায়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ২ মে বিকেল ৫টায় ঢাকার শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত জাতীয় সংসদ ভবনের সংসদ কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের দ্বিতীয় অধিবেশন আহ্বান করেছেন।


আরও খবর