আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে উঠতে টিকাগ্রহণ বাধ্যতামূলক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image
পাঠদান শুরুর পর স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে ক্লাস-পরীক্ষা নিতে হবে। আবাসিক হলে সাবান, হ্যান্ড স্যানেটাইজার ও নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে

বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে শিক্ষার্থীদের করোনা টিকাগ্রহণ করে নিজ নিজ সিটে উঠতে হবে। টিকা ছাড়া কোনো শিক্ষার্থীকে হলে উঠতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভার্চুয়ালি এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী ২৪ মে (ঈদুল ফিতরের পর) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ১৭ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আবাসিক হল খুলে দেয়া হবে। বর্তমানে বন্ধ থাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আবাসিক হলগুলোতে পরিচ্ছন্নতার কাজ শুরু করতে হবে।

শিক্ষার্থীরা যাতে কোনোভাবেই স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে না পড়েন সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নজর রাখতে বলেছেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, পাঠদান শুরুর পর স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে ক্লাস-পরীক্ষা নিতে হবে। আবাসিক হলে সাবান, হ্যান্ড স্যানেটাইজার ও নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

দীপু মনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগে আমরা সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ শিক্ষার্থীদের করোনা টিকার আওতায় আনবো। যদি কেউ টিকা না নিতে চিকিৎসকের যৌক্তিক কারণ দাখিল করতে পারেন তবে সে টিকা ছাড়াই আবাসিক হলে উঠতে পারবেন। অন্যদের ক্ষেত্রে টিকা বাধ্যতামূলক।

এক শ্রেণির মানুষ বর্তমান সরকারকে নানাভাবে ঝামেলায় ফেলার চেষ্টা করলেও তারা ব্যর্থ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে তাদের মতাদর্শের কিছু শিক্ষার্থীদের দিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধ থাকা আবাসিক হলের তালা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করতে উসকিয়ে দেয়া হচ্ছে। কেউ কেউ বিবিএস পরীক্ষার প্রস্তুতির নেয়ার জন্যও হলে উঠার চেষ্টা করছে। সকলকে দ্রুত হল ত্যাগের নির্দেশ দেন শিক্ষামন্ত্রী।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪

একাদশের ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




ধর্ম নিয়ে কটূক্তি: জবি শিক্ষার্থীর পাঁচ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী তিথি সরকারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৩ মে) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ রায় ঘোষণা করেন।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী জুয়েল মিয়া গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে আবু মুসা রিফাত নামে এক ব্যক্তি মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগ বলা হয়, আসামি তিথি সরকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের একজন শিক্ষার্থী। তিনি ১৬ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ইচ্ছাকৃতভাবে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করেন। যা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে।

আসামি তিথি সরকার বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের (জ.বি) শাখার দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার কারণে তাকে সংগঠন থেকে বরখাস্ত করা হয়। একই অভিযোগে ২০২০ সালের ২৬ অক্টোবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত আদেশে তিথি সরকারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়।


আরও খবর



২৫০ সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিলো যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

উত্তর আমেরিকার দেশ নিকারাগুয়ার সরকারের ২৫০ জনের বেশি কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে নিকারাগুয়ার সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন ও অবৈধ উপায়ে অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থতার দায়ে নিকারাগুয়ার সরকারের ২৫০ জনের বেশি সদস্যের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে নিকারাগুয়ার সরকারি তিনটি সংস্থার বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বলেছেন, ভিসা বিধিনিষেধের আওতায় পড়া নিকারাগুয়ান কর্মকর্তাদের মধ্যে পুলিশ ও আধা-সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তা, পাবলিক প্রসিকিউটর, বিচারক এবং সরকারি উচ্চশিক্ষা কর্মকর্তারা রয়েছেন।

একই সময়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ ও অর্থ বিভাগ নিকারাগুয়া হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসনের ক্ষেত্রে চোরাচালান ও মানবপাচারের বিভিন্ন নেটওয়ার্ক বৈধ পরিবহন সংস্থাগুলোকে কীভাবে ব্যবহার করছে, সে সম্পর্কে বিমান সংস্থা এবং ট্রাভেল এজেন্টদের অবগত করে একটি যৌথ সতর্কতা জারি করেছে।

এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ বলেছে, নিকারাগুয়ার সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলো অত্যন্ত উদ্বেগজনক। প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল ওর্তেগা এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট রোজারিও মুরিলোর নেওয়া অভিবাসন সংক্রান্ত নীতিমালাই অবৈধ অভিবাসনের জন্য অনুমতিমূলক। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি নিকারাগুয়ার সরকার।

বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা ক্রমবর্ধমান হারে নিকারাগুয়ায় পাড়ি জমাচ্ছেন। পরে দেশটির উত্তর ওভারল্যান্ড থেকে মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্তের দিকে যাচ্ছেন তারা। মানবপাচারকারী চক্রের বিভিন্ন নেটওয়ার্ক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর জন্য এই রুটের প্রচার চালায়।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজার হাজার অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর জন্য প্রথমে ব্রাজিল কিংবা দক্ষিণ আমেরিকার অন্যান্য দেশে যাত্রা করছেন। তবে অনেকেই কলম্বিয়া-পানামা সীমান্তের ডারিয়েন গ্যাপ নামে পরিচিত গভীর জঙ্গলের মধ্য দিয়ে বিপজ্জনক যাত্রা এড়াতে নিকারাগুয়ায় যান। পরে সেখান থেকে মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্তে পৌঁছান অভিবাসনপ্রত্যাশীরা।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নেতৃত্বাধীন প্রশাসন রেকর্ডসংখ্যক অভিবাসীর মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্ত পাড়ি দেওয়া ঠেকাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে। আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এই অবৈধ অভিবাসীদের ঢল সামলানোই বাইডেনের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশটির ভোটাররাও বলেছেন, এখন তাদের অন্যতম উদ্বেগের বিষয় অভিবাসন।


আরও খবর



হ্রাস পাচ্ছে ফসল উৎপাদন

রামগঞ্জে ফসলি জমির মাটি গিলে খাচ্ছে ইটভাটা

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নে ফসলি জমিতে গড়ে ওঠা ইটভাটায় বিক্রি করা হচ্ছে কৃষি ও ফসলি জমির মাটি। মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রির ফলে উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের একটি বিলেই রয়েছে প্রায় দুই শতাধীক পুকুর। সরকারি খাল-ডোবা নালা, আবাদি জমির মাটি ভেকু মেশিন দিয়ে কাটার ফলে যত্রতত্রে পুকুরে সয়লাভ। এসব জমির বেশিরভাগই ধানের জমি। এতে দিনদিন কমছে চাষাবাদের জমি। ফলে হ্রাস পাচ্ছে ফসল উৎপাদন।

অন্যদিকে একের পর এক গড়ে ওঠা ইটভাটা গ্রাস করে নিচ্ছে ফসলি জমি। বৈধ-অবৈধ ইটভাটাগুলো এখন কৃষকদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চলতি মৌসুমে ইট ভাটার আশপাশে চলছে মাটি কাটার মহোৎসব। মাটি খেঁকোদের খপ্পরে পড়ে জমির টপ সয়েল যাচ্ছে ইটভাটায়, পুড়ছে আগুনে।

শুক্রবার বিকালে ভোলাকোট ইউনিয়নের একটি মাঠে গিয়ে দেখা যায় মাটি কাটার এ কর্মযজ্ঞ।

রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের দেহলা গ্রামের আমির হোসেন ডিপজলের ইটভাটার পিছনে দেহলা ও সমেষপুর কৃষি জমির চিত্র এটি।

পুরো ফসলি জমির মাঠ জুড়ে বিশাল বিশাল পুকুরে সয়লাভ। এসব পুকুরের কারণে কোন ধরনের ফসল ফলানো স্থানীয় কৃষকদের জন্য অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

স্থানীয় লোকজন জানান, চলতি বছরের জানুয়ারী মাস থেকে উক্ত বিলে ৩০টির বেশী পুকুর খনন করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এলাকার ভুক্তভোগী কৃষক ও এলাকাবাসী কয়েকবার  মানববন্ধন, প্রশাসনের নিকট লিখিত অভিযোগ, গণস্বাক্ষর সম্বলিত স্বারকলিপি প্রদান, সাংবাদিক সম্মেলন করে আসলেও বন্ধ হয়নি মাটি কাটা।

শুক্রবার ২৬ (এপ্রিল) দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ২০ থেকে ২৫টি অবৈধ ট্রলি ও ভেকু মেশিন দিয়ে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করে মাটি নিয়ে যাচ্ছে পার্শ্ববর্তী আল মদিনা ও জেবিএম ইটভাটায়।

আবদুস সালাম, কালা মিয়া, রাজা মিয়াসহ কয়েকজন কৃষক জানান, ভোলাকোট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বশির আহম্মদ মানিক, আওয়ামী লীগ নেতা দুলাল পাটোয়ারী, ইটভাটা মালিক আমির হোসেন ডিপজল, জাহাঙ্গীর কোম্পানী, সিরাজ মিয়াসহ মাটি ব্যবসায়ী এই চক্রটি জমি কিনে নিয়ে ৪০ থেকে ৫০ ফুট গভীর করে মাটি নিয়ে যায়।

এত পার্শ্ববর্তী জমি ভেঙ্গে পড়ে পুকুরে পতিত হয়। পার্শ্ববর্তী জমির মালিক বাধ্য হয়ে মাটি খেকোদের কাছে অল্প দামে জমি বিক্রি করে দিচ্ছেন। আবার অনেক কৃষককে জমির মাটি বিক্রিতেও বাধ্য করা হয় কখনো কখনো। নামমাত্র মূল্যে ২বা ৩ ফুট কাটার কথা বলা হলেও অল্প কদিনেই ভেকু মেশিন দিয়ে কোথাও কোথাও তা ৪০/৫০ ফুট গভীর করে মাটি নিয়ে যায়।

সিরাজ নামের একজন কৃষক জানান, সমস্ত মাঠটাকে যেভাবে ধ্বংস করে ফেলছে, আমরা কৃষক কিভাবে চাষাবাদ করবো, কি খাবো।

শাহ আলম নামের আরেক কৃষক জানান, পুরো মাঠজুড়ে পুকুর। পুকুরের কারণে নিজের জমিতেই যাওয়া যায়না। কিছু কিছু জমির ধান পেকে আছে অথচ ধান কেটে কিভাবে আনবো-নৌকায় করেও আনা সম্ভব নয়।

ভোলাকোট গ্রামের দেহলা, শাহারপাড়া, শাকতলা ও ভাদুর ইউনিয়নের সমেষপুর ও সিরুন্দিসহ ৫ গ্রামের কয়েক হাজার কৃষক যুগ যুগ ধরে এ মাঠে চাষাবাদ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। কয়েক বছর আগে থেকেই এ মাঠটি মাটি খেকোদের কুনজর পড়েছে। এখন চাষাবাদ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই বেশীভাগ কৃষক কৃষিকাজ ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশা জড়িত হতে বাধ্য হচ্ছেন।

মাটিকাটায় অভিযুক্ত দুলাল পাটোয়ারী জানান, সবাই কাটে-আমরা কাটলে দোষ হয়? আপনারা আসছেন, আপনারা নিউজ করেন-আমরা আমাদের কাজ করি।

লক্ষ্মীপুর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক হারুন অর রশিদ পাঠান জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দিলু জানান, আমি অসহায়। আমার কিছু করার নেই মাটিকাটা বন্ধে। আপনারা নিউজ করে দেখেন কিছু করতে পারেন কি না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. শারমিন ইসলাম জানান, সর্বশেষ মাসিকসভায় এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। মাটি কাটা রোধে সরকারি সবধরনের আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

কনক মজুমদার, রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর)


আরও খবর



জিআই সনদ পেল দেশের ১৪ পণ্য

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

টাঙ্গাইল শাড়িসহ ১৪ পণ্যের ভৌগলিক নির্দেশক বা জিআই সনদ দিয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমির মাল্টিপারপাস হলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে সনদ তুলে দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইল শাড়ি, গোপালগঞ্জের রসগোল্লা, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা, টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম, কুমিল্লার রসমালাই, কুষ্টিয়ার তিলের খাজা, বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল, রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা আম, মৌলভীবাজারের আগর, মৌলভীবাজারের আগর আতর, মুক্তাগাছার মণ্ডা, যশোরের খেজুরের গুড়, রাজশাহীর মিষ্টি পান এবং জামালপুরের নকশীকাঁথার জিআই সনদ তুলে দেওয়া হয়।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, এ দেশের মেহনতি মানুষ শৈল্পিক কারুকার্যের মাধ্যমে অনন্য সাধারণ সামগ্রী প্রস্তুত করে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের সুনাম ও খ্যাতি বৃদ্ধি করেছে। মাটি, বায়ু, পানি, পরিবেশ, কারিগরদের দক্ষতা প্রভৃতি স্বতন্ত্র ও অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণে ছোট এ ভূখণ্ডের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব পণ্যকে জিআই হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের পাশাপাশি এর গুণগত মান ও টেকসই সংরক্ষণের দিকে নজর দিতে হবে।

ভারতের শিল্প মন্ত্রণালয় কিছুদিন আগে বাংলার টাঙ্গাইল শাড়ি বা টাঙ্গাইল শাড়ি অব বেঙ্গল নামে একটি শাড়িকে জিআই স্বীকৃতি দেয়। ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশন (ডব্লিউআইপিও) এর কাছ থেকে অনুমোদনও পেয়ে যায় তারা। বিষয়টি বাংলাদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। টাঙ্গাইল বাংলাদেশের এলাকা এবং টাঙ্গাইল শাড়ি বাংলাদেশের নিজস্ব পণ্য হওয়ার পরও ভারত কীভাবে তা নিজেদের পণ্য হিসেবে জিআই স্বীকৃতি পায়, সেট প্রশ্ন তোলেন শাড়ির ব্যবসায়ী, আইনজ্ঞ ও অধিকার কর্মীরা।

এরপর বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলো উদ্যোগী হয়। টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসন ৬ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতির আবেদন করে। পরে তা অনুমোদন করে গেজেট প্রকাশ করে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর। এরপর ১১ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল শাড়ি, নরসিংদীর অমৃত সাগর কলা ও গোপালগঞ্জের রসগোল্লার ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির সনদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেন শিল্পমন্ত্রী।


আরও খবর



চেয়ারম্যান পদে জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালনে বাধা নেই

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দায়িত্ব পালনের বিরুদ্ধে দায়ের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরে কার্যক্রম চালাতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

রোববার (১২ মে) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে হাইকোর্টের দেয়া রুল নিষ্পত্তি করতে বলেছেন আপিল বিভাগ।

আদালতে জি এম কাদেরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. অজি উল্লাহ, অ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম। অপরপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা।

এর আগে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দায়িত্ব পালনে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিল দায়ের করা হয়।

২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি রুল জারি করেছন আদালত।

বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়ালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে জিএম কাদেরের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম। পরে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়।

২০২২২ সালের ৪ অক্টোবর জাপা থেকে বহিষ্কৃত নেতা দলটির সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করেন। বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ৩১ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের দলীয় যাবতীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞার অস্থায়ী আদেশ দেন।

পরে শেখ সিরাজুল ইসলাম, কলিম উল্যাহ মজুমদারসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী জি এম কাদেরের পক্ষে এ আবেদন করেন। আবেদনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের ওপর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রত্যাহার চাওয়া হয়েছে। গত ২৪  নভেম্বর এই আবেদনের শুনানির জন্য জেলাজজ আদালতে মিস আপিল দায়ের করা হয়। সেই আবেদন নামঞ্জুর করেন জেলা জজ আদালত। জেলা জজ আদালতের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন জিএম কাদের।

মামলায় বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এরপর বিবাদী জিএম কাদের হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছর ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন।

জিয়াউল হক মৃধার মামলায় বলা হয়, গত ৫ মার্চ গাজীপুর মহানগর কমিটির উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শিকদার, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক রফিকুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মো. আজিজকে বহিষ্কার করেন। এছাড়া গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাদী মশিউর রহমান রাঙ্গাকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করেন। অন্যদিকে গত ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকেও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করেন, যা অবৈধ।

তাই ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরের কাউন্সিলসহ চলতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহিষ্কার আদেশ অবৈধ ঘোষণা করতে এবং হাইকোর্ট বিভাগের রিট ১৫০৫১/২০১৯ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় পার্টির পরবর্তী কাউন্সিল স্থগিত রাখতে মামলায় আদেশ চাওয়া হয়েছে।


আরও খবর