আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বব্যাপী শান্তিরক্ষা ও শান্তি বিনির্মাণ প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বে শান্তিরক্ষায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী দেশ হিসেবে গৌরব ও মর্যাদা লাভ করেছে। আজ সোমবার (২৯ মে) আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উপলক্ষে গতকাল রোববার দেওয়া বাণীতে এ কথা বলেন সরকারপ্রধান।

আরও পড়ুন: এরদোয়ানকে পুতিনের অভিনন্দন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জাতিসংঘে সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। নারীর অধিকার ও জেন্ডার সমতা নিশ্চিতকরণে আমাদের প্রচেষ্টা উইম্যান পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি এজেন্ডা বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখছে। শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারীদের অংশগ্রহণ ও সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

শেখ হাসিনা বলেন,বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২৩ পালিত হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত। এ দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তিনি গর্বভরে স্মরণ করেন এবং শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত বাংলাদেশের সব সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

আরও পড়ুন: দূষিত শহরের তালিকায় আজ আবারও শীর্ষে ঢাকা

প্রধানমন্ত্রী গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন সেসব শান্তিরক্ষীদের যাঁরা বিশ্বশান্তির জন্য অকাতরে নিজেদের জীবন বিসর্জন দিয়ে বিশ্ব দরবারে দেশের পতাকাকে উজ্জ্বলতর করেছেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে আজ সর্বাধিক শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশগুলোর অন্যতম বাংলাদেশ। জাতিসংঘ মিশন এবং বহুজাতিক বাহিনীতে আমাদের শান্তিরক্ষীদের অনন্য অবদান বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে এবং এ দেশকে বিশ্বের বুকে একটি মর্যাদাসম্পন্ন রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। একইসঙ্গে বিশ্বের অর্থনৈতিক ও সামরিকভাবে শক্তিশালী দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের পারস্পরিক কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

করোনা মহামারির মধ্যেও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে শান্তি স্থাপনে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীরা পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে ওই সব দেশের জনগণের আস্থা অর্জন করেছেন বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ সারা বিশ্বে শান্তিরক্ষায় সক্রিয় অংশগ্রহণকারী দেশ হিসেবে যে গৌরব ও মর্যাদা লাভ করেছে, তা আমাদের শান্তিরক্ষীদের অসামান্য পেশাদারিত্ব, সাহস, বীরত্ব ও দক্ষতার অর্জিত ফসল।

বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের প্রতি প্রধানমন্ত্রী তাঁর সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা যাতে আরও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জাতিসংঘের আহ্বানে সাড়া দিতে পারেন, সেজন্য আওয়ামী লীগ সরকারের সব প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।

সরকারপ্রধান আশা প্রকাশ করেন, শান্তিরক্ষী সদস্যরা শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে তাদের দক্ষতা, পেশাদারিত্ব, সাহস ও নিষ্ঠা দ্বারা বাংলাদেশকে বিশ্বে একটি শক্তিশালী শান্তি প্রতিষ্ঠাকারী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করবেন এবং দেশের ভাবমূর্তিকে উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর করবেন।

আরও পড়ুন: রিজার্ভ ডেতে গড়াল আইপিএল ফাইনাল

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করে এবং একই বছর ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলায় প্রদত্ত তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে বলেছিলেন, মানবজাতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্য শান্তি অত্যন্ত জরুরি এবং তাহা সমগ্র বিশ্বের নর-নারীর গভীর আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন ঘটাইবে। সাধারণ অধিবেশনে তিনি বিশ্বের সর্বত্র শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অব্যাহত সমর্থনের বিষয়ে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তখন থেকেই বাংলাদেশ বিশ্বের শান্তিপ্রিয় ও বন্ধুপ্রতীম সব রাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলছে এবং বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় জাতিসংঘের অধীনে পরিচালিত সব শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে আসছে। বিশ্ব শান্তি ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বঙ্গবন্ধুকে ১৯৭৩ সালের ২৩ মে জুলিও-কুরি শান্তি পদক এ ভূষিত করা হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার দর্শন অনুসরণ করে বাংলাদেশ বিশ্বশান্তির একনিষ্ঠ প্রবক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। আমরা ১৯৯৭ সালে জাতিসংঘে শান্তির সংস্কৃতি সংক্রান্ত ঘোষণা এবং কর্মসূচি রেজুলেশন আকারে উত্থাপন করি, যা সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। পরবর্তীতে জাতিসংঘ ২০০০ সালকে ইন্টান্যাশনাল ইয়ার অব কালচার অব পিস হিসেবে ঘোষণা করে এবং ২০০১-২০১০ সালকে দ্য কালচার অব পিস অ্যান্ড দ্য ডিকেড অব নন-ভায়োলেন্স হিসেবে ঘোষণা করে। শান্তির বার্তাকে সর্বাত্মকভাবে সুসংহত করতে এবং এজেন্ডা ২০৩০ বাস্তবায়নে কালচার অব পিস প্রতিষ্ঠা অপরিহার্য বলে মনে করে বাংলাদেশ।

প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২৩ উপলক্ষে নেওয়া সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য এবং সব শান্তিরক্ষীর সাফল্য ও মঙ্গল কামনা করেন।


আরও খবর
দেশে ফিরলেন সেনাবাহিনী প্রধান

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




নেপালকে উড়িয়ে দিয়ে এশিয়া কাপে শুভ সূচনা পাকিস্তানের

প্রকাশিত:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ৩০ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে পর্দা উঠল এশিয়ার ক্রিকেট শ্রেষ্টত্বের লড়াই এশিয়া কাপের। মুলতান ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে অনুমিত জয় দিয়েই আসর শুরু করল শিরোপার অন্যতম দাবিদার পাকিস্তান।

উদ্বোধনী ম্যাচে নেপালকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে বাবর আজমের দল। আগে ব্যাট করে ৩৪২ রান করার পর নেপালকে ১০৪ রানে গুটিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। ফলে বাবর বাহিনী পেয়েছে ২৩৮ রানের বিশাল জয়।

২৪৩ রানের বিশাল টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে নেপাল। শাহিন শাহ আফ্রিদির করা প্রথম ওভারে আউট হন কুশল বুর্তেল (৮) ও অধিনায়ক রোহিত পাডৌলে (০)। পরের ওভারে আসিফ শেখকে (৫) সাজঘরে পাঠান নাসিম শাহ।

শুরুর তোপ দেখে নেপালের ইনিংস পঞ্চাশের নিচে থেমে যাওয়ার শঙ্কা জেগেছিল তবে এই চাপ সামাল দেন আরিফ শেখ ও সম্পাল কামি। তাদের মধ্যকার ৫৯ রানের জুটি নেপালের ইনিংসকে পথ দেখায়।

তবে দলীয় ৭৩ রানে আরিফ শেখের উইকেট হারিয়ে আবার বিপর্যয়ে পড়ে দলটি। সেই বিপর্যয় আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি নেপাল, তাদের ইনিংস থামে মাত্র ১০৪ রানে। পাকিস্তানের পক্ষে স্পিনার শাদাব খান ২৭ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট শিকার করেন। শাহিন আফ্রিদি ও হারিস রউফের শিকার ২টি করে উইকেট।

এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক বাবর আজমের ১৫১ রান এবং ইফতিখার আহমেদের হার না মানা ১০৯ রানে ৩৪২ রানের বিশাল সংগ্রহ করে এবারের আসরের সহ-আয়োজক পাকিস্তান।

শুরুতে ব্যাটিং করা পাকিস্তানকে শুরুতেই চাপে ফেলে নবাগত নেপাল। শুরুতেই ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান পাকিস্তানের দুই ওপেনার। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে কারান এলসির বল ঠিকভাবে খেলতে পারেননি পাক উদ্বোধনী ব্যাটার ফখর জামান। ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় উইকেটের পেছনে। ঝাঁপিয়ে পড়ে দুহাতে ক্যাচ তালুবন্দি করলেন আসিফ শেখ। সাজঘরে ফেরার আগে ২০ বলে ১৪ রান করেছেন ফখর।

ফখরের পর দুর্ভাগ্যজনক রানআউটের শিকার হয়েছেন আরেক তারকা ব্যাটার ইমাম-উল-হক। সোমপাল কামির ফুলার লেন্থের বল মিডঅফে খেলেছিলেন ইমাম। অনায়াসে সিঙ্গেল নেওয়া যায়। ফিল্ডিং প্রান্তে দাঁড়িয়ে থাকা রোহিত কুমারের সরাসরি থ্রোয়িংয়ে শেষ রক্ষা হয়নি ইমামের। আউট হওয়ার আগে ১৪ বলে ৫ রান করেছেন তিনি।

২৫ রানে ২ উইকেট পতনের পর অভিজ্ঞ দুই ব্যাটার বাবর আজম ও রিজওয়ানের ব্যাটে ঘুরে দাড়ায় পাকিস্তান। বাবর - রিজওয়ানের দেখে শুনে ব্যাটিংয়ে দলীয় শতক আসে ২২তম ওভারে। দুই ব্যাটারই ছিলেন অর্ধশতকের কাছে। তবে এরপরই আবার আঘাত হানে নেপাল। ব্যক্তিগত অর্ধশতকের দ্বারপ্রান্তে থাকা রিজওয়ান ইমাম উল হকের পর দিনের দ্বিতীয় রানআউটের শিকার হন। সন্দ্বীপ লামিচানের বল কাভারে ঠেলেই সিঙ্গেল নিতে চেয়েছিলেন। প্রান্ত বদল পূর্ণ করার আগেই দিপেন্দ্রা সিং আইরের থ্রোয়িং থেকে ননস্ট্রাইকিং প্রান্তের স্ট্যাম্প ততক্ষণে উড়ে গেছে। ৫০ বলে ৪৪ করেছেন রিজওয়ান।

রিজওয়ানের পর নামলেন আর উঠলেন তরুণ ব্যাটার আগা সালমান। এবারো বোলার সেই লামিচানে। রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়েছিলেন পাক ব্যাটার। ঠিকঠাক খেলতে পারেননি। কুশাল ভুরটেলের হাতে ধরা পড়ে ১৪ বলে মাত্র ৫ রান করে ফিরে গেছেন তিনি।

তবে উইকেট যেতে থাকলেও এক প্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকেন পাকিস্তানের সেরা ব্যাটার বাবর আজম। পাকিস্তানের হাল ধরার সাথে নতুন রেকর্ডও নিজের করে নেন বাবর আজম। ইনিংসের হিসেবে দ্রুততম সময়ে ১৯টি ওয়ানডে সেঞ্চুরি হলো পাকিস্তান অধিনায়কের। এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে আজ ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৯তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন বাবর। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ইফতিখার আহমেদকে সঙ্গে নিয়ে নেপালের বোলারদের কচুকাটা করেন বাবর। এক সময় মনে হচ্ছিল হয়ত নেপালকে কোনো মামুলি লক্ষ্যই দেবে পাকিস্তান। কিন্তু এই দুজনের ব্যাটে তরতর করে রান বাড়তে থাকে। ২৮তম ওভারের শেষ বলে ক্রিজে আসেন ইফতিখার।

এরপর পঞ্চাশতম ওভারের চতুর্থ বলে যখন বাবর বিদায় নেন ততক্ষণে পাকিস্তানের স্কোরকার্ডে তারা যোগ করেন ২২৪ রান। মাত্র ১৩১ বলে ১৫১ রান করেন বাবর। মাত্র ১০৪ ওয়ানডের ১০২ ইনিংসে ব্যাট করেই ১৯তম সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ইফতিখার সেঞ্চুরি করেন ৬৭ বলে, তিনি অপরাজিত থাকেন ৭১ বলে ১০৯ রানে।

৫০ ওভারে ৬ উইকেটে পাকিস্তান থামে ৩৪২ রানে। নেপালের হয়ে সোমপাল কামী ১০ ওভারে ৮৫ রান দিয়ে ২ উইকেট শিকার করেন। এছাড়া ৯ ওভারে ৫৪ রান দিয়ে ১ উইকেট শিকার করেন করণ কেসিও। নেপালের সেরা বোলার সন্দ্বীপ লামিচানে ১০ ওভারে ৬৯ রান দিয়ে আঘা সালমানের উইকেটটি পান।

নিউজ ট্যাগ: এশিয়া কাপ

আরও খবর
গেইলের রেকর্ড ভেঙে রোহিতের ইতিহাস

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




সাভারে সরকারি গণ কবরস্থান থেকে পাঁচটি কঙ্কাল উধাও

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
সাভার প্রতিনিধি

Image

সাভার একটি সরকারি গণ কবরস্থান থেকে পাঁচটি কবরের কঙ্কাল উধাও। এ ঘটনায় ঐ কবরস্থানের কমিটির সভাপতি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে দুপুরে আশুলিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কবরস্থানের সভাপতি মোখলেছুর রহমান।

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে আশুলিয়ার দরগার পাড় এলাকার গাজীর দরগাঁ সরকারি গণ কবরস্থানের মহিলা কবরস্থান থেকে ওই কঙ্কালগুলো চুরি হয়। চুরি হওয়া কঙ্কালগুলো সবই নারীর কঙ্কাল বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানায়, ওই কবরস্থানে এক পাশে নারী আর এক পাশে পুরুষের মরদেহ কবরস্থ করা হয়। মাহমুদা খানম নামের এক নারীর মা মারা গেলে এই কবরস্থানেই তাকে কবরস্থ করা হয়। প্রায় দেড় বছর যাবৎ প্রতি শুক্রবারে মায়ের জন্য দোয়া করতে কবরস্থানে আসেন তিনি। প্রতি শুক্রবারের ন্যায় আজও আসলে তিনি কবর থেকে কঙ্কাল চুরির বিষয়টি বুঝতে পারেন। পরে আশপাশে আরও ৪টি কবর খুড়ে কঙ্কাল চুরি করার বিষয়টি দেখতে পান। পরে ওই নারী স্থানীয়দের খবর দেন।

কবরস্থানের খাদেমের দায়িত্বে থাকা মনির হোসেন বলেন, খবর পেয়ে কবরস্থানে এসেছি। এখানে ৫ নারীর কঙ্কাল চুরি করেছে দুর্বৃত্তরা। প্রতিটি কবর এক থেকে দেড় বছরের পুরোনো। আমরা স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানিয়েছি।

কবরস্থানে সভাপতি মোখলেছুর রহমান বলেন, আমাদের এই কবরস্থানে যে ঘটনাটি ঘটেছে এটা খুবই ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এমনকি এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আমরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে গিয়েছি তারা সব ব্যবস্থা করবেন।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অপূর্ব জানান, কবরস্থানের সভাপতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর
স্বরূপকাঠিতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




১৩ বছর পালিয়েও হলো না শেষ রক্ষা

প্রকাশিত:শনিবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২3 | হালনাগাদ:শনিবার ০২ সেপ্টেম্বর 2০২3 | অনলাইন সংস্করণ
সুজন কুমার মন্ডল, জয়পুরহাট

Image

দীর্ঘ ১৩ বছর পলাতক থাকার পর মো. রায়হান (৩৮) নামে মাদক মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) ভোরে নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রায়হান জয়পুরহাটের ধলাহার এলাকার ওছিম উদ্দিনের ছেলে।

সকালে র‌্যাব-৫ এর জয়পুরহাটের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার রফিকুল ইসলাম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রায়হান ২০১০ সালের ৩ মার্চ জয়পুরহাট সদর থানার ধলাহার ইউনিয়নের বালিয়াতর গ্রামে ৪৮০ বোতল ফেনসিডিলসহ র‌্যাবের হাতে আটক হন। পরবর্তীতে র‌্যাব বাদী হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় একটি মামলা করে। এরপর জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যান তিনি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, চলতি বছরের ২৯ আগস্ট জয়পুরহাটের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল আদালত রায়হানকে যাবজ্জীবন সাজা দিলে তাকে গ্রেফতার করতে র‌্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোরে ধামইরহাট উপজেলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরে আইনি ব্যবস্থা নিতে তাকে জয়পুরহাট সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর
স্বরূপকাঠিতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




সবদিকে উন্নয়নের জোয়ার বইছে : আইজিপি

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রংপুর প্রতিনিধি

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের সবখানে উন্নয়নের জোয়ার বইছে বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। উন্নয়নের এই ধারাকে আরও বহুদূর নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

আইজিপি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকার কারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সেক্টরকে যেভাবে  উজ্জীবিত করেছেন, এর মধ্য দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় উন্নয়ন কার্যক্রমের একটা জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এই রংপুর এলাকাতে আলু চাষ হয় বা বিভিন্ন সবজি চাষ হয়। এখানকার মানুষ যা চাষ করছে তার জন্য কোল্ডস্টোরেজ দরকার হয়, এটাও হবে। জিনিসপত্রের দাম, পাওয়া না পাওয়ার বিষয়ে অনেক কথাবার্তা আছে, তবে আমি মনে করি এসব হবে। এখন উৎপাদন বাড়ছে। আগে দক্ষিণবঙ্গের লোকেরা কাজের সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায় যেতো, এখন তাদের এলাকাতে বিভিন্ন বিদেশি ফল চাষাবাদ হচ্ছে। সুন্দরবনে পর্যটন বিকশিত হচ্ছে, রংপুরেও হচ্ছে। সবদিকে একটা উন্নয়নের জোয়ার বইছে।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রংপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সুধী সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য দেন আরপিএমপি কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আবদুল বাতেন, রংপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ডেন্ট বাসুদেব বনিক, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাসিবুর রশিদ।

আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য দরকার টেকসই নিরাপত্তা। টেকসই নিরাপত্তা থাকলে টেকসই শান্তি আসবে, টেকসই শান্তি থাকলে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব। আমরা এই লক্ষ্যে অনেক দূর এগিয়েছি। আরও বহুদূর যেতে হবে। আমরা এগিয়েছি বলেই আমাদের মাথাপিছু আয় ৫০০ ডলার থেকে ৩ হাজার ডলারে পৌঁছাতে পেরেছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা আগামী দিনেও রংপুরসহ দেশবাসীর সহযোগিতার প্রত্যাশা করছি।

তিনি আরও বলেন, কোনো এক সময় এই বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদের হোলি খেলা শুরু হয়েছিল। সারা দেশের মাঝে একসঙ্গে ৬৩ জেলায় বোমা হামলা হয়েছিল। সাধারণ মানুষদের মধ্যে যারা চাকরি করতেন তাদেরকে বিভিন্ন বাহিনীকে ট্যাক্স দিতে হয়েছিল। সেই অবস্থা থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণের পর জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদের প্রতি জিরো টলারেন্সের নীতি গ্রহণ করেন। আমাদের ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি করেছেন। আমাদের লোকবল বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছেন। দেশকে ডিজিটালাইজড করেছেন। আমরা এখন জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে সক্ষমতা অর্জন করেছি। দেশে আজকে স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

পুলিশপ্রধান বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেন তখন এদেশের মাথাপিছু আয় ছিল ৫০০ ডলার। আর এখন আমাদের মাথাপিছু আয় প্রায় ৩০০০ ডলার, আমাদের উন্নতি হয়েছে। আমি যখন নীলফামারীতে ছিলাম ওই সময় একজন পুলিশ সুপার হিসেবে যে বেতন পেতাম, তা দিয়ে নিয়মিত বিমানে যাতায়াত করা সম্ভব ছিল না। আগে একটা বিমান ঢাকা থেকে রাজশাহী হয়ে সৈয়দপুরে আসত, তারপর আবার রাজশাহী হয়ে ঢাকায় ফিরত। আর এখন সৈয়দপুর থেকে প্রতিদিন নিয়মিত ১৮টি ফ্লাইট চলাচল করছে। এর মানে আমাদের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে, আর্থিক সক্ষমতা বেড়েছে।

আইজিপি বলেন, দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য রংপুরের মানুষ সব সময় সহায়তা করেছেন। রংপুরের মানুষ শান্তিপ্রিয় মানুষ। আমি নীলফামারীতে প্রায় সাড়ে তিন বছর পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। এজন্য এই এলাকার মানুষের আমার একটা আত্মিক সম্পর্ক রয়ে গেছে এবং তাদের সম্পর্কে আমি জানি, আমার সম্পর্কেও তারা জানে। এখানকার মানুষ আইনশৃঙ্খলা ও প্রশাসনের প্রতি আন্তরিক। দেশের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য রংপুরের মানুষ সব সময় সহায়তা করে আসছেন। রংপুরের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সব সময় ভালো থাকে। যারা রংপুরের আবেগকে বুঝতে পারবে, সেরকম অফিসারদেরকে আমরা রংপুরে দিয়ে থাকি।

তিনি বলেন, এই নগরীর প্রধান সমস্যা হলো মাদক, জুয়া ও যানজট। নিয়মিত কাজ করলে এগুলো সমস্যার উন্নতি হবে। মাদকের জন্য আভিযানিক কার্যক্রমের পাশাপাশি সন্তানরা কোথায় যাচ্ছে কার সঙ্গে মিশছে সেটা নজরে রাখতে হবে। অভিভাবকদের সচেতনতা বাড়ানো ও প্রত্যেক নাগরিককে নিজের জায়গা থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আগামী দিনে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে, স্মার্ট পুলিশিং বিনির্মাণে সবার সহযোগিতা চান আইজিপি।

সুধী সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরী, র‌্যাব-১৩ এর কমান্ডার আরাফাত ইসলাম, মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেন, মহানগর কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু।

এর আগে বেলা ১১টায় রংপুর নগরীর সুরভী উদ্যানের সামনে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। এরপর সেখান থেকে একটি বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত সুধী সমাবেশে অংশ নেন অতিথিরা।

অনুষ্ঠানে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কেককাটা পর্ব শেষে একটি স্মরণিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। এছাড়াও বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গৃহীত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এছাড়াও মেট্রোপলিটন পুলিশের কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে একটি গাড়ি উপহার দেন কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামকে।

এ বছর পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিশেষ ট্রাফিক সেবা সপ্তাহ, মাদকবিরোধী ফুটবল টুর্নামেন্ট, বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান, রচনা লেখা প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আরপিএমপি। এছাড়াও পুলিশের সঙ্গে নগরবাসীর যোগাযোগ স্থাপনে হ্যালো আরপিএমপি নামে একটি অ্যাপস উদ্বোধন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এর আগে ২০১০ সালের ২৫ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদের সভায় রংপুর বিভাগ অনুমোদন এবং একই বছর ৯ মার্চ প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে রংপুর বিভাগের কার্যক্রম শুরুর পর এখানে মেট্রোপলিটন পুলিশের দাবি ওঠে। ২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ গঠনের প্রতিশ্রুতি দেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর ১ হাজার ১৮৫টি পদ নিয়ে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কার্যক্রম শুরু হয় এবং ১৯ এপ্রিল তা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশ পুলিশের নবীনতম ইউনিট হিসেবে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদে রংপুর মহানগরী পুলিশ বিল-২০১৮ পাস হয়। প্রায় ১০ লাখেরও বেশি জনসংখ্যা নিয়ে ২৪০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) কার্যক্রম ছয়টি থানা নিয়ে শুরু হয়।


আরও খবর
স্বরূপকাঠিতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩




পাহাড়ধসের কারণে সাজেকের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি

Image

রাঙ্গামাটিতে ভারি বর্ষণে পাহাড়ধসের কারণে সাজেকের সঙ্গে বাঘাইছড়ির সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

সাজেকে সোমবার সন্ধ্যা থেকে ভারি বর্ষণ শুরু হলে দিঘীনালা সাজেক সড়কের শুকনা ছড়া বড়ইতলি এলাকায় সড়কের দুই পাশে মাটি ধসে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে একটি পাথরবোঝাই ট্রাক আটকা পড়ার খবরও পাওয়া গেছে। রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার জানান, সাজেকে ভারি বৃষ্টি হওয়ায় একটি স্থানে রাস্তার দুই পাশে পাহাড় ধসে পড়ে। এতে সাজেকের সঙ্গে সারা দেশের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এখনো বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি কমলে সকালে রাস্তা থেকে মাটি সরানোর কাজ শুরু হবে।


আরও খবর
স্বরূপকাঠিতে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩