আজঃ বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম

বিশ্বে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ ২০০ ছাড়িয়েছে: ইসিডিসি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৬ মে ২০২২ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৬ মে ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বিশ্বব্যাপী মাঙ্কিপক্স আক্রান্তের সংখ্যা এখন ২১৯ জন বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ডিজিস এজেন্সি। বুধবার রাতে ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর ডিজিজ প্রিভেনশন অ্যান্ড কন্ট্রোল (ইসিডিসি) মহামারিসংক্রান্ত ওই প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়। খবর সিএনএনের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব দেশে মাঙ্কিপক্স সাধারণত দেখা যায় না, বিশেষ করে ইউরোপের সেসব দেশে অন্তত একজন করে সংক্রমণ শনাক্ত নিশ্চিত করা হয়েছে। আক্রান্তদের বেশিরভাগই যুবক এবং তাদের পুরুষদের সঙ্গে যৌনসম্পর্ক স্থাপনকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

যুক্তরাজ্যে মাঙ্কিপক্স খুব একটা দেখা যায় না। মে মাসের শুরুর দিকে দেশটিতে প্রথম মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়। বর্তমানে দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৭১ জনে দাঁড়িয়েছে। এর পরই ইউরোপের দেশ স্পেনের অবস্থান। দেশটিতে ৫১ জনের দেহে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে। আর পর্তুগালে ৩৭ জনের দেহে শনাক্ত হয়েছে। ইউরোপের বাইরে কানাডায় ১৫ ও যুক্তরাষ্ট্রে ৯ জনের দেহে ভাইরাসজনিত এ রোগটি শনাক্ত হয়েছে। 

চলতি মে মাসের ২০ তারিখে ইউরোপে মাঙ্কিপক্স শনাক্তের তথ্য সংরক্ষণ শুরু হয়। ওই দিন ইউরোপে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৮ জন। ইইউ এজেন্সির প্রতিবেদন অনুসারে, বুধবার পর্যন্ত এই ব্লকে সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে ৫ গুণ।

ইসিডিসি চলতি সপ্তাহের শুরুতে বলেছিল, এটিতে সংক্রমণের ঝুঁকি অত্যন্ত কম। তবে সতর্ক করে দিয়েছিল যে যাদের একাধিক যৌনসঙ্গী (বিপরীত বা সমলিঙ্গ-উভয়ে সঙ্গে যৌন সম্পর্ক) রয়েছে তারা বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে এখনো কারও মৃত্যু হয়নি।


আরও খবর
যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচন আজ

বৃহস্পতিবার ০৪ জুলাই ২০২৪




‘পুলিশ কেন পুলিশকে গুলি করেছে জানতে তদন্ত করা হচ্ছে’

প্রকাশিত:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৯ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোনে অবস্থিত ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে কাউসার আলী নামে এক পুলিশ সদস্য মনিরুল ইসলাম নামে আরেক পুলিশ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করে। কাউসার কি কারণে মনিরুল ইসলামকে গুলি করে হত্যা করেছে তা জানতে পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন। শনিবার (৮ জুন) দিবাগত ২ টা ৩০ মিনিটে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইজিপি এ তথ্য জানান।

আইজিপি বলেন, ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে আমাদের দুইজন কনস্টেবল ডিউটিরত ছিল। এদের মধ্যে কনস্টেবল কাউসার আলীর গুলিতে কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে মারা যান । এ ঘটনায় জাপান দূতাবাসের গাড়ি চালক সাজ্জাদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। তার শরীরে ৩ রাউন্ড গুলি লেগেছে। আক্রমণকারী কনস্টেবলকে থানায় নেওয়া হয়েছে এবং তাকে নিরস্ত্র করা হয়েছে। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। মনিরুল ইসলামের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আমরা কিছু গুলির খোসা এবং বিশ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছি।

প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ডের কারণ কি জানতে চাইলে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বলেন, ঘটনার কারণ জানতে আমরা কাউসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করবো। জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আক্রমণকারীকে আমরা ইতিমধ্যে আটক করেছি, ঘটনার প্রকৃত রহস্য জানাটা খুব কঠিন হবে না।

এর আগে, গুলশান থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম ঘটনা নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে বলেন, ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে এক পুলিশ সদস্য আরেক পুলিশ সদস্যকে গুলি করেছে।


আরও খবর



ঘাটাইল পৌরসভায় ৫০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০১ জুলাই ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:

টাঙ্গাইলের ঘাটাইল পৌরসভায় ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের ৫০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (১ জুন) সকালে পৌরসভার সভাকক্ষে উক্ত বাজেট ঘোষণা অনুষ্ঠিত হয়।

পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রসিদ মিয়ার সভাপতিত্বে বাজেট উপস্থাপন করেন হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. হেলান উদ্দিন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্যানেল মেয়র মো. হেকমত আলী, মো. সোহানুর রহমান (মাজহারুল), পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান, সকল কাউন্সিলরবৃন্দ ও পৌরসভার কর্মকর্তা সহ কর্মচারীরা।

পরে আলোচনা সভা শেষে পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রসিদ মিয়া পৌরসভার উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের ৫০ কোটি ৫৫ লাখ ২৬ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করেন।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রী ডাকল ‘আয় আয়’, ছুটে এলো খরগোশের দল

প্রকাশিত:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কণ্ঠ শুনেই ছুটে এলো খরগোশের দল। শনিবার (১৫ জুন) গণভবনে কৃষক লীগের তিন মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযানের উদ্বোধন উপলক্ষে গণভবন প্রাঙ্গণে বৃক্ষ রোপণ শেষে খরগোশের ঘরের সামনে গেলে এমন দৃশ্য দেখা যায়। এসময় প্রধানমন্ত্রী আয় আয় বলে ডাক দিলে ছুটে আসে খরগোশের দল।

এদিকে গণভবনে কৃষক লীগের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কৃষি অর্থনীতি উন্নত করে আমরা শিল্পায়নে যাব। এজন্য ১০০টা অর্থনৈতিক অঞ্চল করেছি। এর বাইরে যত্রতত্র জমি নষ্ট করে শিল্প করা যাবে না। আমাদের জনসংখ্যা বাড়ছে, ফসল উৎপাদন বাড়াতে হবে। আমরা আমাদের ফসল উৎপাদন করবো, যাতে কারও কাছে হাত পাততে না হয়। আমাদের খুব তিক্ত অভিজ্ঞতা ৭৪ সালের। নগদ টাকায় কেনা খাদ্যও কিন্তু আসতে দেয়নি। কৃত্রিমভাবে সেখানে একটা দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করা হয়েছিল। সেটা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে যেভাবেই হোক মানুষের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে। সেটাতেও যখন সফল হয়নি, তারপরই তো ১৫ আগস্ট ঘটালো। এখনো কিছু লোকের সেই চেষ্টাটা আছে।

কৃষিতে ভর্তুকির বিষয়ে তিনি বলেন, সারের দাম আমরা কমিয়ে দিয়েছি। এখনো ব্যাপক পরিমাণ ভর্তুকি দিচ্ছি। যেহেতু দেশের মানুষের খাদ্য চাহিদার বিষয়, সে ক্ষেত্রে আমরা কখনো কার্পণ্য করি না, বাজেটে সব সময় আমরা ভর্তুকি দেই।

গাছ লাগানোর গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ুর ক্ষতি করে না। কিন্তু জলবায়ু অভিঘাতে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত। গাছ আমাদের প্রাণ, শ্বাস-প্রশ্বাস দেয়। ফল ও ঔষধি গাছের উপকারিতা অনেক। এজন্য গাছ লাগাতে হবে। নদীর পাড়, উপকূলে এবং ঘরবাড়িতে গাছ লাগান। তবে ফসলি জমি নষ্ট করা যাবে না। শহরে ছাদেও ছোট ছোট গাছ লাগাতে পারেন। উপকূলীয় অঞ্চলে সবুজ বেষ্টনি তৈরি করা। কৃত্রিম উপায়ে বৃক্ষরোপণ করা। ঘূর্ণিঝড়সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষকে বাঁচাতে আমাদের ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট করতে হবে।

মাটির গুণ রক্ষায় পরামর্শ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, বারবার একই ফসল করতে করতে মাটির গুণ নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য মাঝখানে আরেকটা করলে মাটি পুষ্টি ফিরে পায়। যেমন- আমরা বারবার ধান করছি, এটার মাঝখানে আরেকটা করতে পারলে মাটির পুষ্টি বাড়বে।

শেখ হাসিনা বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে এত ঝামেলা। আমরা কেন উৎপাদন করি না? ৪০ শতাংশ আমরা জোগান দেই। এটা আরও বাড়বে। পেঁয়াজ উৎপাদন করে কৃষাণী অনেক টাকা আয় করে। ভুট্টাও চাষ হতো না, সেটাও করছি। আগে সবজি শীতকালে পাওয়া যেত, কিন্তু এখন আমরা গবেষণা করে বারোমাসি সবজির জাত উদ্ভাবন করেছি। এখন এটার ফল পাওয়া যাচ্ছে।

কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটুসহ মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, আওয়ামী লীগের নেতা, সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা ও কৃষক লীগের নেতারা অংশ নেন।


আরও খবর



চবিতে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত

প্রকাশিত:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৫ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

করবো ভূমি পুনরুদ্ধার, রুখবো মরুময়তা, অর্জন করতে হবে মোদের খরা সহনশীলতা এ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বনবিদ্যা ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে বুধবার দিনব্যাপি কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মোঃ সেকান্দর চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে ও আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সালামত উল্লাহ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উক্ত ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. খালেদ মিসবাহুজ্জামান।

চবি বনবিদ্যা ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ আকতার হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন উক্ত ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন। সেমিনারের উপর আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বনবিদ্যা ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সফিউল আলম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উক্ত ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী কিশোয়ার জাহান চৌধুরী।

প্রফেসর ড. মোঃ সেকান্দর চৌধুরী বলেন, পরিবেশের গুরুত্ব অনুধাবন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বনবিদ্যা ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছে। যা এতদ্অঞ্চল তথা দেশের পরিবেশ সুরক্ষায় অবদান রেখে চলেছে। পরিবেশ সুরক্ষার অন্যতম উপাদান হলো ভুমি, বৃক্ষ ও জীববৈচিত্র। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য ধরীত্রি সুন্দর ও সুরক্ষিত রাখতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব থেকে মুক্ত রাখতে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

তিনি আরও বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষ রোপনের কোন বিকল্প নেই। তাই পরিবেশ সুরক্ষায় প্রচুর বৃক্ষ রোপনের পাশপাশি পরিবেশ বিধ্বংশী যে কোন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সকলকে সোচ্চার হতে হবে।

তিনি এই ধরীত্রি সুরক্ষায় সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহবান জানান।

ইনস্টিটিউটের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্যোগে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি এবং চবি ঝুলন্ত সেতুর কাছে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি উদ্বোধন করেন চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মোঃ সেকান্দর চৌধুরী

এসময় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে, চবি বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নাসিম হাসান, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সালামত উল্লাহ সহ উক্ত ইনস্টিটিউটের সম্মানিত শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিকবৃন্দ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



৯৫০ কেজির 'জায়েদ খান'র সঙ্গে ছাগল ফ্রি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৬ জুন ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ফিরোজ মাহমুদ, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)

Image

ওজন প্রায় ৯৫০ কেজি। ডিগবাজি দেয় বলে নাম রাখা হয়েছে জায়েদ খান। লাল রঙের শাহিওয়াল জাতের জাহেদ খান নামের ষাঁড়টির দাম হাঁকানো হচ্ছে ১২ লাখ টাকা। ষাঁড়টির সঙ্গে একটি ছাগল ফ্রি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মালিক। তবে দরকষাকষির মাধ্যমে দাম কমানোর সুযোগ রয়েছে। আরও রয়েছে চাঁদ রাতে ফ্রি হোম ডেলিভারি সুবিধা।

তিন বছর ধরে জায়েদ খান (ষাঁড়) কে লালন-পালন করছেন রমজান আলী বাচ্চু ও আনোয়ার হোসেন। চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার দক্ষিণ পরাগলপুর গ্রামে নিরব এগ্রো ফার্মে প্রস্তুত করা হয়েছে এই ষাঁড়টি।

রমজান আলী বাচ্চু বলেন, গম, ভুট্টা, সবুজ ঘাস ও ফলমূল খাওয়ানোর মাধ্যমে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে মোটাতাজা করা হয়েছে ষাঁড়টি। সময়মতো খাবার না পেলে রেগে যায় জায়েদ খান। গরম সহ্য করতে পারে না। এ কারণে সবসময় ফ্যানের বাতাস দিতে হয় তাকে। না হলে শুরু হয় পাগলামি। শরীর ঠান্ডা রাখতে দুবেলা গোসল করাতে হয়।

বিশেষ নামের এই ষাঁড়টির খাবার ও দেখাশোনার জন্য দৈনিক প্রায় ৫০০ টাকা খরচ করতে হয় তার মালিককে। সর্বদা দেখভালের জন্য নিয়োজিত রয়েছেন একজন কর্মচারী।

জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মাস্টার বলেন, আমার ইউনিয়নের নিরব এগ্রো বিগত কয়েক বছর ধরে গরু মোটাতাজা করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও গরু প্রস্তুত করেছে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জাকিরুল ফরিদ জানান, খামারি ও প্রান্তিক কৃষক মিলে এবার ৫০ হাজার ৭৩৯টি পশু প্রস্তুত করেছেন। এর মধ্যে ২২ হাজার ৪১৩টি ষাঁড় ও বলদ, ১৪ হাজার ১৫২টি গাভি, চার হাজার ৬১১টি মহিষ, ৯ হাজার ৫৬৩৫টি ছাগল ও ভেড়া রয়েছে। উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা ও চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন হাটে বিক্রি হবে।


আরও খবর