আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

বঙ্গবন্ধু বাঙালির মুক্তির স্বপ্ন না দেখলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না

প্রকাশিত:সোমবার ০৭ জুন ২০২১ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৮ জুন ২০২১ | অনলাইন সংস্করণ
তাছনিম আদনান

Image

বঙ্গবন্ধু বাঙালির মুক্তির স্বপ্ন না দেখলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। সোমবার (০৭ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে দুগ্ধ সপ্তাহ ২০২১ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস প্রসঙ্গে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, সকল সময়ে সকল প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু অনিবার্য। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অনিবার্য। বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশ ভাবা যায় না, বাংলাদেশের আজকের উন্নয়ন ভাবা যায় না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যদি বাঙালির মুক্তির স্বপ্ন না দেখতেন, বাঙালিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে না চাইতেন, বাঙালি জাতিকে সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ করে ৭০-এ বিজয় ছিনিয়ে না আনতেন, ৭১ সালের ৭ মার্চ মুক্তিযুদ্ধের নির্দেশনা না দিতেন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিতেন, তাহলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। তিনি ১৯৬৬ সালের ৭ জুন বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ছয় দফা ঘোষণা করেছিলেন। ছয় দফার জন্য বঙ্গবন্ধুকে সাজা ভোগ করতে হয়েছিল। ছয় দফার ইতিহাস বাঙালি জাতির প্রতিটি মানুষকে জানতে হবে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধ, আমাদের স্বাধীনতা, স্বাধীনতার জন্য ত্যাগ স্বীকার-ইতিহাসের সে বণার্ঢ্য অধ্যায় অবশ্যই মনে রাখতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আজ বাংলাদেশ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে যে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে, যে বিপ্লব হয়েছে, সেই বিপ্লবের সৃষ্টি হতো না যদি দেশ স্বাধীন না হতো। আমার দেশের সম্পদের সমৃদ্ধির কারণে কোরবানির সময় এখন বিদেশ থেকে পশু আনতে হয় না। আমার দেশের সমৃদ্ধির কারণে মাছের উৎপাদন বিশ্বের বুকে একটা চ্যালেঞ্জিং জায়গায় পৌঁছে গেছে। আজ দুধ, ডিমের উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। আর এ উৎপাদিত দ্রব্য একদিকে খাদ্যের চাহিদা মেটাতে পারছে, অন্যদিকে পুষ্টির চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে। এসব কিছু  সম্ভব হয়েছে দেশ স্বাধীন হয়েছে বলে।

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী আরো যোগ করেন, গ্রামের সাধারণ মানুষ যাদের গবাদিপশু আছে তারা যাতে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে চমৎকার ব্যবহার ও ভালো সেবা পায় সেটা লক্ষ্য রাখতে হবে। করোনাকে মাথায় রেখেই প্রাণিসম্পদ খাতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এ খাতের উন্নয়নে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও লড়াই করতে হবে। সর্বোপরি সরকারি কর্মকর্তাদের মানুষের কল্যাণে, দেশের উন্নয়নে নিবেদিত রাখতে হবে।

দুগ্ধ সপ্তাহ পালনে ভূমিকা রাখা সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে এসময় মন্ত্রী আরো যোগ করেন, দুগ্ধ সপ্তাহে দেশব্যাপী একটা সাড়া জেগেছে। মানুষের ভেতর একটা উৎসাহ এসেছে, অনুপ্রেরণা এসেছে। তারা দুধ খাবার প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারছে। দুগ্ধ খাতের উন্নয়নের সাথে সাথে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে, গ্রামীণ অর্থনীতি সচল হচ্ছে, পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা পূরণ হচ্ছে। এভাবে দুগ্ধ খাতসহ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের সাথে সম্পৃক্ত সকল খাতকে বেগবান করতে হবে। এজন্য বেসরকারি খাতকে এগিয়ে যেতে হবে। বেসরকারি খাতকে সরকার বিভিন্নভাবে সহায়তা দিচ্ছে। বেসরকারি খাত বিকশিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী ১০২টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছেন। সরকারি ও বেসরকারি সকল খাত যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে বাংলাদেশকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডাঃ শেখ আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুল জলিল। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরী উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ আব্দুর রহিম এবং দুগ্ধ সপ্তাহের কার্যক্রম তুলে ধরেন একই প্রকল্পের প্রধান কারিগরী সমন্বয়ক ড. গোলাম রব্বানী। এছাড়া বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধি ক্রিশ্চিয়ান বার্গার ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মোঃ ইমদাদুল হক, শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, সুবোল বোস মনি ও মোঃ তৌফিকুল আরিফসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বর্তমান ও প্রাক্তন কর্মকর্তাবৃন্দ, ও গবেষকবৃন্দ, ডেইরি অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি এবং প্রাণিসম্পদ খাতের উদ্যোক্তা ও খামারিগণ সমাপনী অনুষ্ঠান ও সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, ২০০১ সালে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) ১ জুন তারিখকে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। একই বছর থেকে বৈশ্বিক খাদ্য হিসেবে দুধের গুরুত্ব তুলে ধরা এবং দৈনন্দিন খাদ্য গ্রহণে দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্য অন্তর্ভুক্ত করাকে উৎসাহিত করতে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী এ দিবসটি উদযাপন হয়ে আসছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এ বছর বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উদযাপনের পাশাপাশি প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ পান করুন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করুন-এ প্রতিপাদ্যে প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী ১ জুন থেকে ৭ জুন পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দুগ্ধ সপ্তাহ উদযাপন করেছে।


আরও খবর
আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস

সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪




আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মামুন হোসেন, পাবনা

Image

ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আনারস প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক রানা সরদারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার  আব্দুল্লাহ আল মামুন।

গত ১৪ মে রিটার্নিং অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রেরিত কারণ দর্শানোর নোটিশ সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিতব্য ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঈশ্বরদীতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এমদাদুল হক রানা সরদার। গত ১৩ মে সকালে তাঁকে আনারস প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। এই নির্বাচনে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বি চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ মিন্টু ১৪ মে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে এমদাদুল হক রানা সরদারের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তাঁর দাখিলকৃত অভিযোগপত্র ও অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সূত্রে জানা যায় যে, ১৩ মে আনারস প্রতীকের সমর্থনে শোডাউন ও মিছিল করা হয়েছে যা উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা সুষ্ট লঙ্ঘনের সামিল।

নোটিশে নির্বাচন বিধিমালা, ২০১৬ এর ১১ (২) ও ১৩ (ক) ধারার লঙ্ঘনের অভিযোগে এমদাদুল হক রানা সরদারকে আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রার্থীকে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শানো পত্রের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী এমদাদুল হক রানা সরদার বলেন, রিটার্নিং অফিসারের কারণ দর্শানোর চিঠি পেয়েছি। এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।


আরও খবর



গরমে ঘাম হওয়া ভালো না খারাপ, যা বলছেন চিকিৎসক

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জীবন ধারা ডেস্ক

Image

ঋতু পরিক্রময়া এখন গ্রীষ্মকাল। স্বাভাবিকভাবেই এখন গরম পড়বে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে এ সময় গরমের তীব্রতা যেন একটু বেশিই হচ্ছে। ফলে নাজেহাল জনজীবন। এ সময় বাইরে বের হলেও কিছুক্ষণ পরপর পানি তৃষ্ণা পায়। বেশিক্ষণ আবার থাকাও যায় না। আর ঘাম তো রয়েছেই।

গরমে ঘামের কারণে শরীর থেকে প্রচুর পানি ও লবণ বের হয়। শরীর থেকে প্রয়োজনীয় লবণ বের হওয়ায়র ফলে এর ঘাটতি দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে। আবার পানিশূন্যতারও আশঙ্কা থাকে। এ সময় সচেতন থাকা জরুরি। কারণ, গরমে ঘাম থেকে যেমন শরীর থেকে দুর্গন্ধ বের হয়, একই সঙ্গে ঘাম মুছে না ফেললে তা থেকে জীবাণুর মাধ্যমে সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। সম্প্রতি গরমে ঘাম হওয়ার ব্যাপারে দেশর একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মতলেবুর রহমান।

এ চিকিৎসক জানিয়েছেন, গরমে যাদের ঘাম হয় তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে। ঘাম অতিরিক্ত হলে ওরস্যালাইন বা ডাবের পানি পান করতে হবে। এসবের বিকল্প হিসেবে লবণ মিশ্রিত পানীয় পান করা যেতে পারে। অনেকেই মনে করেন গ্লুকোজ বা চিনি মিশ্রিত পানি পানে লবণের ঘাটতি পূরণ হয়। এটি আসলে ভুল ধারণা। অতিরিক্ত চিনি বা গ্লুকোজ গ্রহণ মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়।

তিনি বলেন, যারা ব্লাড প্রেশার, দীর্ঘমেয়াদি কিডনির রোগ বা হৃৎপিণ্ডের বৈকল্যজনিত সমস্যায় আক্রান্ত, তাদের বাড়তি লবণ খাওয়া যাবে না। এমন রোগীদের ক্ষেত্র বিশেষ আবার পানি পানেও বিধিনিষেধ থাকে। তবে অতিরিক্ত ঘাম হলে ডাবের পানি, ওরস্যালাইন বা সামান্য লবণ মিশ্রিত পানি পান করতে পারেন। ঘামের মাধ্যমে বের হওয়া পানি ও লবণের শূন্যতা পূরণ করতে হবে।

ত্বকের জন্য করণীয়: গরমের সময় ঘাম থেকে দুর্গন্ধ হয়। এ থেকে রক্ষা পেতে প্রসাধনী ব্যবহার করতে পারেন। তবে সেই প্রসাধনী অবশ্যই মানসম্মত হতে হবে। ঘামের সময় ঠান্ডা পানিতে কাপড় বা তোয়ালে ভিজিয়ে নিয়ে শরীর মুছতে পারেন। এমনটা সম্ভব না হলে যেকোনো শুকনা কাপড়, টিস্যু বা রুমাল দিয়েও ত্বক মুছতে পারেন। ভেজা কিছু দিয়ে শরীর মোছার পর আবার শুকনা কিছু দিয়ে ত্বক মুছা উচিত। কারণ, ত্বক যদি ভেজা থাকে তাহলে ত্বকে ছত্রাক সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

শরীরের কিছু কিছু জায়গায় লোম বেশি থাকে। সেসব স্থানে ঘামও বেশি হয়। এসব স্থান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। লোম ছোট রাখতে হবে। যে পোশাক পরিহিত অবস্থায় ঘাম হয়, ওই পোশাক যত দ্রুত সম্ভব বদলাতে হবে।

অতিরিক্ত ঘামলে করণীয়: ঘাম যদি অতিরিক্ত হয় তাহলে মাথাব্যথা, মাথা ঘোরানো, ক্ষুধামান্দ্য বা অবসন্নতার মতো উপসর্গ দেখা দেয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনটা হলে ঠান্ডা জায়গায় কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিন। যদি সম্ভব হয় ঠান্ডা পানি দিয়ে শরীর ধুয়ে নিন। মাথায়ও পানি ঢালতে পারেন। যদি এসব সম্ভব না হয় তাহলে পানি দিয়ে শরীর ও মাথা মুছে নিতে পারেন। আর এ অবস্থায় তরল খাবার বেশি খেতে পারেন।

নির্দিষ্ট কিছু হরমোনের তারতম্য থেকে ঘাম অতিরিক্ত হতে পারে। কখনো এমনটা মনে হলে একই তাপমাত্রায় আগের থেকে বেশি ঘাম ও বা ঘামের কারণে যদি লাইফস্টাইল ব্যাহত হয়, তাহলে অবশ্য বিশেষজ্ঞ কোনো চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আবার যদি ঘাম হওয়ার কোনো কারণ না থাকার পরও ঘাম হয়, তাহলে হঠাৎ ঘেমে যাওয়া বা অতিরিক্ত ঘাম হওয়া অন্য কোনো অসুখের উপসর্গ হতে পারে। কারণ, রক্তে সুগার কমে যাওয়া বা হার্ট অ্যাটাক হলেও ঘাম হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের সুগার কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাদের অতিরিক্ত ঘাম হলে তাৎক্ষণিক চিনি মিশ্রিত পানি পান করাতে হয় এবং সুগার মাপতে হয়। এছাড়াও যেকোনো কারণে ঘামকে অস্বাভাবিক মনে হলে কালক্ষেপণ না করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।


আরও খবর



চট্টগ্রামের উন্নয়নে সিঙ্গাপুরের সহায়তা চাইলেন চসিক মেয়র রেজাউল

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রাহুল সরকার, চট্টগ্রাম ব্যুরো

Image

চট্টগ্রাম নগরীর উন্নয়নে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতে সিঙ্গাপুরের সহায়তা চেয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।

রোববার সকালে টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে সিঙ্গাপুরের হাই কমিশনার ডেরেক লোহের সাথে এক মতবিনিময়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।

চসিক মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নাগরিক সেবার জন্য ৮২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ৫৬টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিচালনা করছে। এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কারিগরি সহায়তা, প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি সরবরাহের মাধ্যমে চট্টগ্রামবাসীর পাশে সহায়তা করতে পারে। এছাড়া নদী-সমুদ্র-পাহাড়বেষ্টিত চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে কাজে লাগিয়ে পর্যটন সম্ভাবনার বিকাশে সিঙ্গাপুর বিনিয়োগ করতে পারে।

সিঙ্গাপুরের হাই কমিশনার ডেরেক লোহে বলেন, বে-টার্মিনালসহ বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে চায় সিঙ্গাপুর। বন্দর নগরীর সাথে সিঙ্গাপুরের ভৌগলিক মিল থাকায় চট্টগ্রাম সিঙ্গাপুরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে খাদ্য আমদানির পাশাপাশি বিভিন্ন খাতে সহায়তা করতে চায় সিঙ্গাপুর।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ব্যাপারে সিঙ্গাপুরের সফট স্পট রয়েছে। বাংলাদেশের কর্মীরা কঠোর পরিশ্রমী এবং সৎ বিধায় সিঙ্গাপুর বিভিন্ন খাতে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশিকে নিয়োগ দিয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরো দিবে। বিভিন্ন দেশে সিঙ্গাপুর যে কো-অপারেশন প্রোগ্রাম চালায় তার আওতায় চট্টগ্রামের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতের প্রসারে কীভাবে সহায়তা করা যায় তা বিবেচনা করবে সিঙ্গাপুর।

সভায় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক মিচেল লি,  সিঙ্গাপুর হাই কমিশনের চার্জ ডি' অ্যাফেয়ার্স শিলা পিল্লাইসহ সিঙ্গাপুরের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।


আরও খবর



অন্তরঙ্গ অবস্থায় ধরা খেলেন প্রধান শিক্ষক, গাছের সঙ্গে বেঁধে গণধোলাই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাইবান্ধা প্রতিনিধি

Image

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের তালুক ফলগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানী বকুল (৫০) পরকীয়া প্রেমিকার সঙ্গে অনৈতিক কাজ করতে গিয়ে মধ্যরাতে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) মিলন কুমার চ্যাটার্জি।

সোমবার রাতে এ-সংক্রান্ত ২৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এর আগে রোববার (১২ মে) রাতে উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের হুড়াভায়া খাঁ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গণধোলাইয়ের শিকার গোলাম রব্বানী বকুল ওই ইউনিয়নের আরাজি দহবন্দ গ্রামের নিয়ামতুল্লাহ সরকারের ছেলে ও দহবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম কবির মুকুলের বড় ভাই।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের হুড়াভায়া খাঁ গ্রামের মোস্তাফিজার রহমানের স্ত্রী আলেমা বেগমের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষক গোলাম রব্বানী বকুলের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। প্রায় রাতেই তিনি ওই নারীর বাড়িতে আসা-যাওয়া করতেন। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার গভীর রাতেও ওই নারীর সঙ্গে তার বাড়িতে দেখা করতে যান গোলাম রব্বানী বকুল। তাদেরকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখতে পেয়ে ওই নারীর ছেলে গোলাম রব্বানীকে আটক করে স্থানীয়দের খবর দেন। স্থানীয়রা এসে তাকে গণধোলাই দিয়ে বাড়ির পাশে একটি সুপারি গাছে রশি দিয়ে বেঁধে রাখেন।

পরে অভিযুক্ত শিক্ষক গোলাম রব্বানীর ছোট ভাই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কবির মুকুল ও সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম ফুলবাবুসহ তার কয়েকজন আত্মীয় এসে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানী বকুল ও তার ছোট ভাই সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কবির মুকুলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা কেউ ফোন রিসিভ করেননি।

তবে সাবেক ইউপি সদস্য রেজাউল করিম ফুলবাবু বলেন, বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি স্থানীয়রা গোলাম রব্বানী বকুলকে সুপারি গাছে বেঁধে রেখেছেন। পরে তার ছোট ভাই গোলাম কবির মুকুল ও ভাতিজারা এসে নিয়ে যান।’

তিনি এর আগেও এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছিলেন বলে এ ইউপি সদস্য জানান।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার (প্রাথমিক) মো. আশিকুর রহমান বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি আমার ক্লাস্টারের আওতাভুক্ত ফলগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তবে আমাদেরকে বিষয়টি এখনও কেউ জানায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

দহবন্দ ইউপি চেয়ারম্যান মো. রেজাউল আলম সরকার রেজা বলেন, এক নারীর সঙ্গে অনৈতিক কাজ করার সময় গোলাম রব্বানী বকুলকে স্থানীয়রা গণধোলাই দিয়েছেন বিষয়টি শুনেছি।’

সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মো. মাহবুব আলম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনও কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’


আরও খবর



৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল ফিলিপাইন

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

ফিলিপাইনে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টা ১৬ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পে প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

দেশটির ভূমিকম্প এবং আগ্নেয়গিরি পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা সংস্থা ফিলিপাইন ইনস্টিটিউট অব ভলকানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজি (পিআইভিএস) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তি স্থল ছিল মধ্যাঞ্চলীয় লেইতে প্রদেশের উপকূলীয় শহর দুলাংয়ের উপকূল থেকে ৩২ কিলোমিটার দক্ষিণপূর্বে সমুদ্রের তলদেশের ৮ কিলোমিটার গভীরে।

এতে আরও বলা হয়েছে, ভূগর্ভস্থ টেকটোনিক প্লেটের অবস্থান পরিবর্তনের কারণে আগামীতে আরও ভূমিকম্প হতে পারে।

লেইত প্রদেশের দুলাং শহরের পলিশ অফিসার হ্যারল্ড গিগান্টো বলেন, ভূমিকম্পের সময় স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে শপিং মল থেকে বাইরে বের হয়ে আসেন।

প্রসঙ্গত, প্রশান্ত মহাসাগরের আগ্নেয় মেখলা (রিং অব ফায়ার) অঞ্চলের টেকটোনিক প্লেটের ওপর অবস্থান হওয়ার কারণে ফিলিপাইনে প্রায়ই ভূমিকম্প আঘাত হানে।


আরও খবর