আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজতে রূপরেখা প্রস্তুত: আইনমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ আগস্ট ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ১৩ আগস্ট ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যায় জড়িত ষড়যন্ত্রকারীদের খোঁজার বিষয়ে কমিশন গঠন চলতি বছরের শেষ নাগাদ চূড়ান্ত হবে। ইতোমধ্যে কমিশনের রূপরেখা প্রস্তুত করা হয়েছে, সেটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হলে তিনি প্রয়োজনীয় সংশোধন করে চূড়ান্ত করবেন।

আজ শনিবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এস্টাবলিশ পাইলট প্রসেস টু ক্লাসিফাই কেসেস ইন কনসালটেশন উইথ দ্যা জাজেস অব দ্যা লেবার কোর্টস উইথ আ ভিউ টু এড্রেসিং কেস ব্যাকলগস শিরোনামে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কমিশনের অগ্রগতির বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ষড়যন্ত্রকারীদের খোঁজার বিষয়ে কমিশনের রূপরেখা তৈরি করেছি। এখন কমিশন গঠন ও এর কার্যপ্রণালী নির্ধারণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি। আপনারা জানেন, কোভিড যায় যায় করেও যাচ্ছে না, বর্তমান বৈশ্বিক অবস্থাও অনুধাবন করছেন। এখানে অর্থনৈতিক বিষয়েও কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। সেজন্য কমিশনের রূপরেখার বিষয়ে নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়ে উঠছে না। আশা করছি কিছুদিনের মধ্যে আলোচনায় বসতে পারব। এই বছর নাগাদ আমরা হয়তো কমিশন চালু করতে পারব।

কমিশনের একটি রূপরেখাটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে বলেও জানান আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, পরে প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনে সংযোজন-বিয়োজনের মাধ্যমে বিষয়টি চূড়ান্ত অনুমোদন করবেন।

অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. সেলিনা আক্তারের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য দেন- শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, আইন মন্ত্রণালয় সচিব মো. গোলাম সারওয়ার এবং শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারক মো. ফারুক প্রমুখ।


আরও খবর



বাংলাদেশে ফের প্রবেশ করলো ৪০ বিজিপি সদস্য

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কক্সবাজার প্রতিনিধি

Image

মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীসহ (বিজিপি) মিয়ানমারের ৪০ নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। আজ শনিবার (৪ মে) ভোরে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে তারা প্রবেশ করেন। পরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর সদস্যরা তাদের নিরস্ত্র করে হেফাজতে নিয়ে নেয়।

সাবরাং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূর হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। জানা যায়, টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন থেকে ১৫ জন এবং নাজিরপাড়া সীমান্ত দিয়ে ২৫ জন প্রবেশ করে।

এর আগে সর্বশেষ গত ২৫ এপ্রিল মিয়ানমারে চলমান অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ২৮৮ জন মিয়ানমারের বিজিপি, সেনা, ইমিগ্রেশন ও অন্যান্য সদস্যকে ফেরত পাঠায় বাংলাদেশ। তার আগে প্রথম ধাপে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বিজিপির কর্নেল মিও থুরা নউংয়ের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল ৩৩০ জনকে মিয়ানমার নিয়ে যান।


আরও খবর



সেলিম প্রধানের প্রার্থিতা বাতিলের আদেশ বহাল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

আদালতের সময় নষ্ট করায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত এবং অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত সেলিম প্রধানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তার প্রার্থিতা বাতিলের আদেশ বহাল রেখেছেন সর্বোচ্চ আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৮ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

সেলিম প্রধান নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। তিনি ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত এবং অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত। অনলাইন ক্যাসিনোর মূল হোতা সাজাপ্রাপ্ত সেলিম প্রধান এবার উপজেলা নির্বাচনে গণসংযোগ করেছেন এবং একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করে বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন। 

জানা গেছে, সেলিম প্রধান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় চার বছর সাজা খেটেছেন। তার বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তিনি গ্রেপ্তারও হয়েছিলেন। দুদক বলছে, অনুসন্ধানের সময় রাজধানীর ধানমন্ডি, গুলশান, উত্তরা ও বনানীসহ একাধিক জায়গায় তার বাড়ি ও ফ্ল্যাট আছে, যার বাজারমূল্য শতাধিক কোটি টাকা, যা তার আয়কর নথিতে প্রদর্শন করা হয়নি।

২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থাইল্যান্ডগামী বিমানের একটি ফ্লাইট থেকে নামিয়ে এনে সেলিম প্রধানকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তাকে নিয়ে তার অফিস ও বাসায় অভিযান চালিয়ে ২৯ লাখ ৫ হাজার ৫০০ টাকা, ৭৭ লাখ ৬৩ হাজার টাকার সমপরিমাণ ২৩টি দেশের মুদ্রা, ১২টি পাসপোর্ট, ১৩টি ব্যাংকের ৩২টি চেক, ৪৮ বোতল বিদেশি মদ, একটি বড় সার্ভার, চারটি ল্যাপটপ ও দুটি হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়। হরিণের চামড়া উদ্ধারের ঘটনায় বন্য প্রাণী সংরক্ষণ নিরাপত্তা আইনে তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও মানি লন্ডারিং আইনে দুটি মামলা হয়।


আরও খবর



প্রার্থীতা ফিরে পেলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিক

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
Image

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি:

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম রফিকের প্রার্থীতা বহাল রেখেছে হাইকোর্টের আপিল বিভাগের ব্রেঞ্চ। 

সোমবার (৬ মে) দুপুরে বিচারপতি মো: ইকবাল কবির ও বিচারপতি মো.আক্তারুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানা যায়। 

জানা যায়, গত রবিবার (৫ মে) নির্বাচন আচারণবিধি ভঙ্গ করার অভিযোগ এনে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকের  প্রার্থী রফিকুল ইসলামের প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।

সেই আদেশকে বিরোদ্ধ চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম হাইকোর্টে আপিল বিভাগে (৫৩০৩/২০২৪) রিট পিটিশন আবেদন করেন। সেই আপিল রিট পিটিশন মঞ্জুর করে বিচারপতি নির্বাচন কমিশনের আদেশ স্থগিত করে।

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, গত ৫ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন থেকে আমার প্রার্থীতা বাতিল করে দিয়েছিল। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে মহামান্য হাইকোর্টে এসে সেই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে রিট পিটিশন করি। সেই রিট পিটিশনে মহামান্য হাইকোর্ট আমার প্রার্থীরা বহাল রেখেছে। নির্বাচন করতে আমার কোন আইনগত বাধা নাই।

এ দিকে আনারস প্রতিকের নির্বাচনী চীফ এজেন্ট আইনজীবী শহিদুল ইসলাম জানান, গত ২ তারিখে নির্বাচন কমিশনে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য প্রার্থী সহ আমি গিয়েছিলাম। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের সামনে আমি কিছু যুক্তি তুলে ধরি। কিন্তু কোন তদন্ত ছাড়াই অন্যায়ভাবে নির্বাচন কমিশন রফিকের প্রার্থীতা বাতিল করে। ২ তারিখে শুনানি করে আমাদের ৫ তারিখে আদেশ দিয়েছে। আমরা সেই আদেশে হাইকোর্টে রিট পিটিশন আবেদন করলে হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনের আদেশ স্থগিত করেন। ৮ মে নির্বাচনে রফিকুল ইসলাম রফিক আনারস প্রতিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এই আদেশই মহামান্য হাইকোর্ট জারি করেছেন।


আরও খবর



ধর্ম নিয়ে কটূক্তি: জবি শিক্ষার্থীর পাঁচ বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী তিথি সরকারকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (১৩ মে) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ রায় ঘোষণা করেন।

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী জুয়েল মিয়া গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে আবু মুসা রিফাত নামে এক ব্যক্তি মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগ বলা হয়, আসামি তিথি সরকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের একজন শিক্ষার্থী। তিনি ১৬ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে ইচ্ছাকৃতভাবে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করেন। যা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে।

আসামি তিথি সরকার বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের (জ.বি) শাখার দপ্তর সম্পাদক ছিলেন। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার কারণে তাকে সংগঠন থেকে বরখাস্ত করা হয়। একই অভিযোগে ২০২০ সালের ২৬ অক্টোবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত আদেশে তিথি সরকারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়।


আরও খবর



উজানের ঢলে প্লাবিত হচ্ছে সিলেটের নিম্নাঞ্চল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

তীব্র তাপদাহ শেষে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। একই সঙ্গে সুরমা, কুশিয়ারা, পিয়াইন, ধলাই ও সারিসহ বিভিন্ন নদনদীর পানিও বাড়তে শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) রাত ৯টা পর্যন্ত সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারার পানি আমলশীদ পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে আমলশীদ পয়েন্টের পানিও বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। ফলে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে।

এদিকে, উজানের ঢলে ও গত কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ও জৈন্তাপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে তলিয়ে গেছে হাওরের বোরো ধান।

একই অবস্থা কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ ও জকিগঞ্জের নিম্নাঞ্চলেও। বৃষ্টি ও ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে বোরো ফসল। এতে কৃষকদের মধ্যে ফসল হারানোর শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

শিলাবৃষ্টি কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর এবার বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়তে হবে কৃষকদের। বড় ধরনের ক্ষতি এড়াতে অনেকে আধাপাকা ধান কেটে আনছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। যা ছিল বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৩১ সেন্টিমিটার ওপরে। রাত ৯টায় তা আরও বেড়ে ১১ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশীদ পয়েন্টে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ১১ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। রাত ৯টায় তা আরও বেড়ে ১২ দশমিক ২৯ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ১৩ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার।

সারি নদীর পানি সারিঘাট পয়েন্টে সকাল ৯টায় ১১ দশমিক ৮৭ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। যা বিপৎসীমার শূন্য দশমিক ৪১ সেন্টিমিটার উপরে ছিল। তবে রাত ৯টায় তা কমে ১০ দশমিক ৬২ সেন্টিমিটার দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস জাগো নিউজকে বলেন, পাহাড়ি ঢলের কারণে নদনদীতে পানি বাড়ছে। বৃহস্পতিবার সকালে সারি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে ছিল। এখন তা কমে গেছে। তবে বরাক দিয়ে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে।

তিনি বলেন, বরাক দিয়ে পানি নামার কারণে কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। রাত ৯টায় বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। এভাবে অব্যাহত থাকলে সকালে বিপৎসীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

এদিকে, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার নয়াবাড়ি, ফুলবাড়ি, কেন্দ্রী, ডিবিরহাওর, ঘিলাতৈল, মুক্তাপুর, বিরাইমারা হাওর, খারুবিল, চাতলারপাড়, ডুলটিরপাড়, ১ নম্বর লক্ষীপুর, ২ নম্বর লক্ষীপুর, আমবাড়ি, ঝিঙ্গাবাড়ি, কাঠালবাড়ির নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন এসব এলাকার কৃষক। একই অবস্থা জকিগঞ্জ, কানাইঘাট ও কোম্পানীগঞ্জেও।

জকিগঞ্জের কাজলশার এলাকার কৃষক জুবেল আহমদ বলেন, শিলাবৃষ্টির কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখন বন্যা হলে ফসলের অবশিষ্ট যা ছিল তাও হারাতে হবে।

জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া বলেন, জৈন্তাপুর উপজেলায় অনেক বেশি বৃষ্টিপাত হয়। পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে টানা বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যা (ফ্ল্যাশ ফ্লাড) পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।


আরও খবর