আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন ও প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ ঘিরে চট্টগ্রামে ব্যাপক প্রস্তুতি

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৭ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৭ অক্টোবর ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
Image

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করতে আগামী ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পরেই টানেলের ভেতরে যান চলাচল সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। বঙ্গবন্ধু টানেল ছাড়াও এদিন প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের আরো ১৯টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন। এছাড়া তিনি চট্টগ্রামের আনোয়ারায় এক মহাসমাবেশে বক্তব্য দেবেন।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামান বলেন, আগামী ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু টানেলসহ মোট ২০টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সাতটি প্রকল্প রয়েছে। অনেকগুলোর কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। যেগুলো হয়নি সেগুলো আগামী বছরের জুনের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে যাবে।

বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন, প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে ১০ লাখ লোকসমাগমের প্রস্তুতি :

উদ্বোধনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত বঙ্গবন্ধু টানেল। শনিবার এটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পর তিনি চট্টগ্রামের আনোয়ারায় এক জনসমাবেশে যোগ দেবেন। তার এ সফরকে ঘিরে বন্দরনগরীতে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। এ জনসভায় ১০ লাখ লোকসমাগমের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে।

প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে টানেলের পতেঙ্গা ও আনোয়ারা প্রান্তে চলছে সাজানোর প্রস্তুতি। সমতল করা হচ্ছে জনসভার স্থান আনোয়ারার কেইপিজেডের মাঠ। সংস্কারের পাশাপাশি রং করা হচ্ছে সড়কগুলো। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে নগরী ও আনোয়ারা প্রান্তে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের পোস্টার আর ব্যানারে ছেয়ে গেছে পথঘাট।


টানেলের পতেঙ্গা প্রান্তে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে স্থাপন করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর নান্দনিক ম্যুরাল। সঙ্গে চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সাম্পান। জনসভার স্থানে চলছে মঞ্চ তৈরির কাজ। পরিদর্শন করছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

স্থানীয়রা জানান, ১০ হাজার কোটি টাকায় তৈরি ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ টানেল ঢাকা থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব কমাবে ৫০ কিলোমিটার। এতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ও শিল্পখাতে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সফরের প্রথম পর্বে পতেঙ্গা প্রান্তে টানেল উদ্বোধন করবেন। এরপর টানেলের ভিতর দিয়ে তিনি আনোয়ারা প্রান্তে যাবেন। তারপর আনোয়ারায় কেইপিজেডের মাঠে রাজনৈতিক জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবস্থান করবেন তিনি। এজন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী ও র‌্যাবের ডগ স্কোয়াড দিয়ে চালানো হচ্ছে তল্লাশি।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, দেশের প্রথম টানেল উদ্বোধন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রামে আসছেন। আমাদের টার্গেট প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে ১০ লাখ মানুষের সমাগম ঘটানো। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে আমাদের নেতাকর্মীদের মধ্যে চলছে আনন্দ। আশা করি, এটাই হবে দেশের সবচেয়ে বড় জনসভা।


পরিচালক প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জানান, কর্ণফুলী টানেলের সব কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু প্রধানমন্ত্রীর টানেল উদ্বোধনের অপেক্ষা। বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের সেতু বিভাগের লোকজন এবং প্রকল্পের লোকজন মিলে উদ্বোধনী কার্যক্রমের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, আগামী ২৮ অক্টোবর সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেভালে আসবেন। সেখান থেকে টানেলের পতেঙ্গা প্রান্তে টানেলের উদ্বোধন করবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী টানেল ক্রস করে আনোয়ারা প্রান্তে যাবেন। সেখানেও উদ্বোধনী ফলক লাগানো হয়েছে। আমরা চেষ্টা করবো প্রধানমন্ত্রীকে সেখানে নিয়ে যাওয়ার জন্য। প্রধানমন্ত্রী আনোয়ারায় জনসভা করবেন। টানেলের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পেরে এই জন্য গর্ববোধ করেন প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ।

তিনি বলেন, এই টানেলটি নির্মাণে প্রকৌশলীরা দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। এই টানেল সারাদেশের গর্বের প্রতীক। বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়ারদের অসাধারণ কর্মনৈপুণ্য ও স্থাপত্যশৈলী আমাদেরকে উপহার দিতে যাচ্ছে। এটা আমাদের বিশাল সাফল্য, এটা নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি। ৩ দশমিক ৪৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এ টানেলটি তিন থেকে সাড়ে ৩ মিনিট সময়ের মধ্যে পার হতে পারবে। টানেলটি শুধু দুই প্রান্তের সংযোগ করবে না, টানেলটি ওয়ান সিটি টু টাউন কনসেপ্টে নিয়ে নির্মিত হয়েছে। এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে এটি। কক্সবাজারের সঙ্গেও যোগাযোগ সহজ হবে।

ভূমিকম্প ও জলোচ্ছ্বাসে টানেলে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কি না জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক বলেন, দুটো ফ্লাডগেট আছে, গত সাইক্লোনে ট্রায়াল করে দেখা হয়েছে। পর্যালোচনা করে দেখা হয়েছে জলোচ্ছ্বাসে কোনো সমস্যা হবে না। তাছাড়া টানেলটি নদীর পৃষ্ঠ থেকে ১৮ থেকে ৩১ মিটার গভীরে স্থাপন করা হয়েছে। এখানে ভূমিকম্পের প্রভাব পড়বে না। ভূমিকম্পে টানেল নিরাপদ থাকবে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ১৮ মিটার থেকে ৩১ মিটার নিচ দিয়ে এ টানেল গেছে।

প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রাম আগমন ও বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন উপলক্ষে ট্রাফিক নির্দেশনা :

বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম আগমন করবেন। এ উপলক্ষে বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।

বৃহস্পতিবার সকালে গণমাধ্যমে প্রেরিত সিএমপির গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন উপলক্ষে ভিভিআইপি/ডিআইপি চট্টগ্রাম বিমানবন্দর এবং টানেল ও সি-বিচ এলাকায় সড়ক পথে চলাচল করবেন।

ভিভিআইপি/ডিআইপিদের নিরাপত্তা ও সড়ক পথে নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২৮ অক্টোবর ভোর ৫টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত যানবাহন ও সর্বসাধারণের চলাচলের ওপর নিম্নরূপ বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো।

ক) সিমেন্ট ক্রসিং-কাঠগড় হয়ে কোনো যানবাহন সি-বিচ বা এয়ারপোর্ট গমন করতে পারবে না।

খ) এয়ারপোর্টগামী সব সম্মানিত জনসাধারণকে সিমেন্ট ক্রসিং থেকে বাম দিকে মোড় নিয়ে বোটক্লাব হয়ে যাতায়াত করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

গ) বিমানবন্দর মোড় ক্রস করে বাটারফ্লাই পার্ক হয়ে টানেল ও সি-বিচ এলাকায় গমন করা যাবে না।

ঘ) ফৌজদারহাট আউটার লিংক রোডে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। সর্বসাধারণের সুবিধার্থে বন্দরগামী যানবাহন আউটার লিংক রোড পরিহার করে সিটি গেইট- একে খান- সাগরিকা রোড ক্রসিং- বড়পুল- নিমতলা হয়ে চলাচল করবে।

ঙ) ২৭ অক্টোবর সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত কেউ সি-বিচ এলাকায় প্রবেশ করতে পারবে না।

উল্লেখ্য, গত ১৩ জুলাই এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু টানেলের টোল নির্ধারণ করে দিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধু টানেল পারাপারে সর্বনিম্ন টোল ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাইভেটকার ও জিপের জন্য। সর্বোচ্চ টোল দিতে হবে ট্রাক ও ট্রেইলারকে। ট্রেইলারের ক্ষেত্রে নির্ধারিত টোলের সঙ্গে প্রতিটি এক্সেলের জন্য আরও ২০০ টাকা করে বাড়তি দিতে হবে।

এ ছাড়া পিকআপ ২০০ টাকা, মাইক্রোবাস ২৫০ টাকা, বাস (৩১ সিটের কম) ৩০০ টাকা, বাস (৩২ আসনের বেশি) ৪০০ টাকা, বাস (৩ এক্সেল) ৫০০ টাকা, ট্রাক (৫ টন পর্যন্ত) ৪০০ টাকা, ট্রাক (৫ দশমিক ০১ থেকে ৮ টন) ৫০০ টাকা, ট্রাক (৮.০১ থেকে ১১ টন) ৬০০ টাকা, ট্রাক ও ট্রেইলার (৩ এক্সেল) ৮০০ টাকা, ট্রাক ও ট্রেইলার (৪ এক্সেল) ১০০০ টাকা এবং চার এক্সেলের বেশি ট্রাক ও ট্রেইলারগুলোকে ১০০০ টাকার সঙ্গে প্রতি এক্সেলের জন্য আরো ২০০ টাকা করে টোল দিতে হবে।

জানা যায়, টানেল নির্মাণে মোট ব্যয় প্রায় ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ও চীন সরকার জি-টু-জি অর্থায়নে টানেলটি নির্মাণ করছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দিচ্ছে ৪ হাজার ৪৬১ কোটি টাকা। বাকি ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা দিয়েছেন চীন সরকার। ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর কর্ণফুলী নদীর তলদেশে স্বপ্নের টানেল নির্মাণকাজের যৌথভাবে ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনা রাষ্ট্রপতি শিং জিনপিং। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম টানেল টিউবের বোরিং কাজের উদ্বোধন করেন। ৩ দশমিক ৪৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এ টানেলটির নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি।


আরও খবর



কুষ্টিয়ায় জাল ভোটের চেষ্টা, কাউন্সিলরসহ আটক ৩

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

Image

কুষ্টিয়া জাল ভোট দেওয়ার চেষ্টাকালে এক কাউন্সিলরসহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পরে পুলিশ তাদের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এর কাছে হস্তান্তর করেছে। গ্রেফতার কাউন্সিলরের নাম মীর রেজাউল ইসলাম বাবু।

তিনি কুষ্টিয়া পৌরসভার ১৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

বুধবার (৮ মে) দুপুরে তাকে কুষ্টিয়া শহরের চৌরহাস কেন্দ্র থেকে আটক করা হয়।

কুষ্টিয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মো. সোহেল রানা জানান, দুপুরে তাকে কুষ্টিয়া শহরের চৌরহাস কেন্দ্র থেকে আটক করা হয়।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, জাল ভোট ও বিশৃঙ্খলার চেষ্টাকালে কুষ্টিয়ার বাড়াদি কেন্দ্র থেকে আরও দুজনকে আটক করা হয়। তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।


আরও খবর



জামালপুরে পবিস কর্মচারীদের কর্মবিরতি চলছে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
জামালপুর প্রতিনিধি

Image

জামালপুরে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মধ্যে অভিন্ন চাকরবিধি বাস্তবায়নসহ ১৬টি দাবিতে ৫ম দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) কর্মচারীরা। এ সময় তারা 'বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায়, বৈষম্যের স্থান নাই, বৈষম্য নিপাত যাক, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মুক্তি পাক' স্লোগানে মুখর করে তোলেন সমিতির প্রাঙ্গণ।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল ১০টায় পৌরসভার বেলটিয়া এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি প্রাঙ্গণে কর্মচারীরা ব্যানার, ফেস্টুন ও প্লেকার্ড নিয়ে বিদ্যুৎব্যবস্থা সচল রেখে এ কর্মবিরতি পালন করেন।

এ সময় বক্তব্য রাখেন জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির লাইনম্যান আতাউর রহমান ও রাকিবুল হাসান, ডাটাএন্টি অপারেটর নাঈমা সিদ্দিকী, কানামুনা (কাজ নাই মজুরি নাই) প্রকল্পের বিলিং সহকারী আইরিন আক্তার, মিটার রিডার কাম মেসেঞ্জার (চুক্তিভিত্তিক) আসাদুজ্জামান আসাদ ও ফজলুল হক, লাইন ক্রু হৃদয় সূত্রধর ও সুখরঞ্জন রায়।

জানা গেছে, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা/কর্মচারীদের পদমর্যাদা (সরকার ঘোষিত গ্রেডিং ১-২০) ৬ মাস পিছিয়ে পে-স্কেল ও ৫% বিশেষ প্রণোদনা প্রদান, এপিও বোনাস সমহারে না দেওয়া লাইনম্যানদের নির্দিষ্ট কর্মঘন্টা ও কাজের জন্য প্রয়োজনীয় লাইনম্যান ও বিলিং সহকারি পদায়ন না করা, যথাসময়ে পদন্নোতি না করা, লাইনক্রু লেভেল-১ ও মিটার রিডার কাম মেসেঞ্জার (চুক্তিভিত্তিক), বিলিং সহকারি (কানামুনা) চাকরি নিয়মিত না করা স্মারকলিপিতে অংশগ্রহণ করায় ভোলা পবিস-এর এজিএম আইটি ও এজিএম অর্থকে সাময়িক বরখাস্ত, সিরাজগঞ্জ পবিস-২ এর ডিজিএম (কারিগরি) ও এজিএম আইটি-কে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে সংযুক্ত করায়, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের শোষণ, নির্যাতন, নিপীড়ন বন্ধ ও ভবিষ্যতে আধুনিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা গড়ার লক্ষ্যে বাপবিবো/পবিস এ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের জন্যই এই কর্মবিরতি পালন করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় আড়াইশ কর্মচারী এই কর্মবিরতিতে যোগ দেন। পরে তারা ১৬টি দাবি ও বৈষম্যগুলো উত্থাপন করেন।


আরও খবর



শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ: রাবি ছাত্রলীগের চার নেতা বহিষ্কার

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আসিক আদনান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Image

শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের চার নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ মে) দিবাগত রাত ১১টার পর কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়- সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহিনুল সরকার ডন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ, আশিকুর রহমান অপু ও সাংগঠনিক সম্পাদক কাবিরুজ্জামান রুহুলকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো। পরবর্তীতে তাদের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে না, সেটা লিখিতভাবে সাত দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় দপ্তর সেলকে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে বহিষ্কৃত নেতা আশিকুর রহমান বলেন, গত কয়েকদিনের সংঘর্ষে আমার কোনও সম্পৃক্ততা ছিল না। কোনও তদন্ত ছাড়া এভাবে বহিষ্কার সম্পর্কে আমার জানা নেই। তাছাড়া এ ঘটনায় আমার কক্ষে সন্ত্রাসী কায়দায় ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই বহিষ্কারাদেশ অযৌক্তিক বলেছেন অন্য নেতারাও।

গত ১১ মে রাতে শহিদ সোহরাওয়ার্দী হলের অতিথি কক্ষে বসাকে কেন্দ্র করে হল ছাত্রলীগ ও শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। অস্ত্রের মহড়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণে সাতজন আহত হয়। সেদিন রাতভর সংঘর্ষ চলে। গত ১৩ মে মধ্যরাতে ফের দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রাতেই হলে তল্লাশি চালিয়ে অনাবাসিক ২০ জনকে নামিয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় ১৪ মে তদন্ত কমিটি গঠন করে হল প্রশাসন।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম: শাবিপ্রবি উপাচার্য

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিলেট প্রতিনিধি

Image

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমূলক সফলতার অবদান রাখছে। দেশের গণ্ডি পেরিয়ে তারা এখন নাসা জয় করেছে। এ সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম।

বুধবার (১৫ মে) জেলা স্টেডিয়ামের মোহাম্মদ আলী জিমনেসিয়ামে বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের আয়োজনে সিলেট বিভাগীয় বিজ্ঞান মেলা ২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ একথা বলেন।

বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী, এনডিসির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান, পিপিএম, অতিরিক্ত ডিআইজি হুমায়ুন কবীর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হোসাইন মো. আল-জুনায়েদ। এতে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক ও পরিচালক, স্থানীয় সরকার) দেবজিৎ সিংহ।    

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আজকের শিক্ষার্থীরা আগামীর ভবিষ্যৎ, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মূল কারিগর। এজন্য তাদের আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে যাতে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরিতে অবদান রাখতে পারে। এছাড়াও বর্তমানে সময়ের সাথে টিকে থাকতে হলে বিজ্ঞানমনস্ক হতে হবে তাই শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান চর্চা ও বিজ্ঞানের চর্চার তৃষ্ণা বৃদ্ধি করতে হবে।  

অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষা প্রশাসনের সাথে সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা শিশুদের বিজ্ঞান শিক্ষা ও চর্চায় উৎসাহিত করুন। শিক্ষার্থীদের ওপর জোরপুর্বক পড়াশোনা চাপিয়ে দিবেন না। তিনি আরো বলেন, বিভাগীয় বিজ্ঞান মেলা ২০২৪ শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন এক অভিজ্ঞতার সঞ্চার করবে যাতে তারা ভবিষ্যতে আরো গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারে উৎসাহিত হবে।


আরও খবর



উপজেলা নির্বাচন

কেন্দ্রে থাকবে সর্বোচ্চ পুলিশ-আনসার, প্রতি ইউনিয়নে ম্যাজিস্ট্রেট

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ সংখ্যক সশস্ত্র সদস্য মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

সভা শেষে সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সর্বোচ্চ সংখ্যক সশস্ত্র সদস্য মোতায়েন করা হবে। ভোটকেন্দ্রগুলোতে ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য থাকবে। এর আগে কখনো এত বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ভোটকেন্দ্রে ছিল না।

তিনি জানান, প্রতিটি বুথ ব্যবস্থাপনার জন্য সর্বনিম্ন ১০ জন আনসার সদস্য থাকবে ও ৬টির বেশি বুথ আছে, এমন জায়গাগুলোতে একজন করে অতিরিক্ত আনসার থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে অস্ত্রসহ চার পুলিশ সদস্য থাকবে। আনসার থাকবে তিনজন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোট ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য থাকবে।

সচিব বলেন, ভোটের দিন ব্যালট পেপার পৌঁছানো হবে। এটা পৌঁছানোর কাজে নিয়োজিত থাকবে মোবাইল ফোর্স, স্ট্রাইকিং ফোর্স। ব্যালট পেপার সেন্টারে পৌঁছানোর পর তাদের এলাকাভিত্তিক যে দায়িত্ব বণ্টন করা হবে, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার ও রিটার্নিং অফিসার যেটা বলবেন, সেভাবে তারা (আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য) দায়িত্ব পালন করবে।

স্বরাষ্ট্রসচিব বলেন, প্রতিটি ইউনিয়ন একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবে। প্রতিটি উপজেলায়ও একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। ভোটের আগের দিন ও পরের দিন পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবেন। গড়ে ৫টি সেন্টারের জন্য স্ট্রাইকিং ফোর্স ও মোবাইল ফোর্স থাকবে। আনসার, পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব ও কোস্ট গার্ডের সমন্বয়ে এই মোবাইল ফোর্স গঠন করা হবে। আর উপকূলীয় এলাকাগুলোতে বিজিবির বদলে কোস্টগার্ড বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। পার্বত্য এলাকার কিছু দুর্গম সেন্টারে হেলিকপ্টারে পোলিং কর্মকর্তা ও ভোটের উপকরণ পৌঁছানো হবে।


আরও খবর