আজঃ সোমবার ১৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রেলওয়ের ‘ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর’, উদ্বোধন ২৭ এপ্রিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ এপ্রিল ২০২২ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৬ এপ্রিল ২০২২ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে তার জীবনের নানান গল্প নিয়ে ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর স্থাপন করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। মিটারগেজ ও ব্রডগেজ এই দুই ধরনের দুটি কোচে এই জাদুঘর স্থাপন করা হয়েছে। আগামী বুধবার (২৭ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই জাদুঘরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে রেল কোচে ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর তৈরির এ উদ্যোগ নেওয়া হয় গত বছর। ১৯২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্ম থেকে শুরু করে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক ও বেদনাবিধুর ঘটনার দিন পর্যন্ত নানা চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এই জাদুঘরে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম, তার শৈশব, কৈশোর থেকে শুরু করে ছাত্র রাজনীতি, ১৯৫৪ এর নির্বাচন, ১৯৬৯ এর গণ-অভ্যুত্থান, ৭০ এর নির্বাচন, সর্বোপরি ৭ মার্চের ঐতিহাসিক সাড়া জাগানো কাব্যিক ভাষণের মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ডাক দেওয়া থেকে শুরু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা এবং তার বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠা-এর সবই তুলে ধরা হয়েছে অত্যন্ত সুনিপুণভাবে।

দৃষ্টিনন্দন ইন্টিরিয়রের মাধ্যমে মিটার গেজ ও ব্রডগেজ এর দুটি কোচের ভেতর সাজানো হয়েছে। প্রত্যেক কোচের ভেতরে মধ্যের অংশ খালি রেখে চারপাশ সাজানো হয়েছে সাদাকালো ও রঙ্গিন ছবিতে। নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী এবং প্রত্যন্ত জনপদের সাধারণ মানুষ যেন সহজেই খুব স্বল্প সময়ে বঙ্গবন্ধুকে পাঠ করতে পারেন তেমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তারা।

ভ্রাম্যমাণ এই রেলওয়ে জাদুঘরের ভেতরে প্রবেশ করা যাবে দুই পাশের চারটি দরজা দিয়েই। তবে যে পাশে প্লাটফর্ম থাকবে সেই পাশের দরজা দুটিই শুধু খোলা থাকবে। ভিতরে ঢুকে প্রথমেই দর্শনার্থীরা দেখতে পাবেন ১৯২০ সালে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় যেখানে বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল সেই গ্রামের চিত্র। এই অংশে ১৯২০ থেকে ১৯৪২ সাল পর্যন্ত একে একে তুলে ধরা হয়েছে তার শৈশব, কৈশোর, তারুণ্য, যৌবনকাল।

এরপর আছে ১৯৪৩ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত তার জীবনের নানা ঘটনার স্থির চিত্র। আলাদা করে তুলে ধরা হয়েছে ১৯৫৩ থেকে ১৯৫৪ সালকে। বড় ফ্রেমে বাঁধাই করা এসব স্থির চিত্র একেবারেই দৃষ্টিনন্দন। ১৯৫৫ থেকে ১৯৬০ সাল, ১৯৬১ থেকে ১৯৬৫, ১৯৬৬ থেকে ১৯৬৮ সাল, ৬৬ এর ছয় দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ থেকে ১৯৭০ সালের গণঅভূত্থান ও নির্বাচনের কথা তুলে ধরা হয়েছে।

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ, ৭ মার্চের ভাষণ, দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৪ পর্যন্ত সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০ জানুয়ারি স্বদেশ প্রত্যাবর্তন, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণ, তার শাসনামল তুলে ধরা হয়েছে পৃথক পৃথক চিত্রে। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের পর টুঙ্গিপাড়ায় গড়ে উঠা বঙ্গবন্ধুর মাজারের একটি স্থির চিত্র তুলে ধরার মাধ্যমে শেষ হয়েছে বঙ্গবন্ধুর ঘটনাবহুল জীবনের অধ্যায়।

রেলওয়ে জাদুঘরের প্রতিটি স্থির চিত্রের নিচে লেখা রয়েছে বঙ্গবন্ধু কখন কার কার সঙ্গে কোথায় কি কাজ করেছেন, কোন কোন আন্দোলনে তিনি যুক্ত ছিলেন। আছে শের-ই-বাংলা একে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীসহ বিভিন্ন নেতাদের সঙ্গে তার অন্তরঙ্গ ছবি। প্রতিটি চিত্রে ভাগ ভাগ করে দেওয়া হয়েছে শেখ মুজিবুর রহমান জীবন বৃত্তান্ত।

এই জাদুঘরে রয়েছে একটি ছোট বুক কর্ণার। যেখানে বঙ্গবন্ধুর লেখা আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচাসহ বিভিন্ন বই ও প্রকাশনা। আছে বঙ্গবন্ধুর হাতের লেখার কিছু পোট্রেট। এ ছাড়া ৭ মার্চের ভাষণের ভিজ্যুয়ালও রয়েছে।

এই জাদুঘর সম্পর্কে জানতে চাইলে রেলপথ মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আমাদের অনেকগুলো কর্মসূচীর মধ্যে এই ভ্রাম্যমান রেলওয়ে জাদুঘর প্রতিষ্ঠা হচ্ছে অন্যতম। আমরা চেয়েছি বঙ্গবন্ধুকে দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে দিতে। নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরতে। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে অনেক কাজ হয়েছে। কিন্তু আমাদের এই জাদুঘরটা হচ্ছে স্থায়ী একটা কাজ। মিটারগেজ ও ব্রডগেজ দু্টি কোচে আমরা এই জাদুঘর তৈরি করেছি। সারাদেশের প্রতিটি স্টেশনে এই জাদুঘর নিয়ে যাওয়া হবে। সেসব স্টেশনে রেখে প্রচারণা চালানো হবে। নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থী, শিশু-কিশোররা এবং গ্রামের সাধারণ মানুষ এই জাদুঘর বিনা পয়সায় দর্শন করে বঙ্গবন্ধুকে জানতে পারবেন। এটিই হচ্ছে জাদুঘর প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য।

রেলপথমন্ত্রী জানান, এটি মুজিববর্ষে তৈরি করা হলেও কোভিডের অভিঘাতের কারণে আমরা সেটি উদ্বোধন এবং চালু করতে পারিনি। আগামী ২৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী রেলওয়ের এই ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর উদ্বোধন করার জন্য সম্মতি দিয়েছেন। আশা করছি ওই দিন থেকেই এই জাদুঘরের কার্যক্রম শুরু হবে।

এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠার সঙ্গে জড়িত বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (আরএস) মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে যেসব কাজ হয়েছে সেগুলোর সবই ক্ষণস্থায়ী, মুজিববর্ষ শেষ হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবই শেষ হয়ে যাবে। তখনই আমার মাথায় একটা চিন্তা এলো বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে দীর্ঘস্থায়ী কোনো কাজ করা যায় কি না। এরই অংশ হিসেবে আমাদের রেলওয়ের এই ব্যতিক্রমী চিন্তা। বঙ্গবন্ধুর জীবন নিয়ে জাদুঘর করা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের ৮০ শতাংশ স্টেশন হচ্ছে প্রত্যন্ত অঞ্চলে। আমরা যদি এই জাদুঘর সেই স্টেশনগুলোতে নিয়ে যেতে পারি তাহলে প্রান্তিক মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধুর জীবনী অনেক সুন্দর ও সহজভাবে উপস্থাপন করা যাবে। সাধারণত আমরা শহরকেন্দ্রিক আলোচনা বেশি করে থাকি। আয়োজনও সেরকমই হয়ে থাকে। এসব চিন্তা থেকেই রেলপথ মন্ত্রীর সক্রিয় সহযোগিতা এবং নির্দেশনায় আমরা রেলপথ জাদুঘর গড়ে তোলার কাজ শুরু করি। প্রায় এক বছর সময় নিয়ে করোনাকালীন সময়ে আমরা এই জাদুঘর তৈরির কাজ করি রেলওয়ের দুটি কোচে। এই জাদুঘরে ১২টি এলইডি আছে। সেগুলোতে বঙ্গবন্ধুর জীবন ১৯২০ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তুলে ধরা হয়েছে। তার জীবনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনাগুলো লিপিবদ্ধ এবং অডিও, ভিজ্যুয়াল এবং স্থির চিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

মঞ্জুর-উল-আলম চৌধুরী জানান, জাদুঘর দেখতে আসা দর্শকরা যেমন স্থির চিত্র দেখতে পাবেন, তেমনি কানে হেডফোন লাগিয়ে অডিও-ভিজ্যুয়াল শুনতে পারবেন। বঙ্গবন্ধুর মুজিব কোট, চশমা, পাইপ এগুলোর রেপ্লিকাও আমরা তৈরি করে জাদুঘরে স্থান দিয়েছি। একইভাবে শহীদ মিনার, জাতীয় স্মৃতিসৌধ এবং বঙ্গবন্ধুর মাজারের রেপ্লিকাও রাখা হয়েছে। একটি বড় এলইডিতে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণসহ অন্যান্য ভাষণও এখানে তুলে ধরা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা মনে করি, এই ভ্রাম্যমাণ জাদুঘর মানুষের কাছে স্বল্প পরিসরে চিত্তাকর্ষকভাবে বঙ্গবন্ধুর জীবন তুলে ধরতে সম্ভব হবে। দেশের মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধুর জীবন সম্পর্কে পৌঁছে দিতে একটা বিশেষ ভূমিকা রাখবে বাংলাদেশ রেলওয়ের এই উদ্যোগ। আমরা এই দুটি কোচের বাহিরের অংশ সাজিয়েছি ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত যেসব ধারাবাহিক ঘটনা রয়েছে সেগুলোর ম্যুরাল দিয়ে।  মুজিববর্ষ শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু বাংলাদেশ রেলওয়ের এই চেষ্টা বছরের পর বছর দেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ঘুরে বেড়াবে। বিভিন্ন স্টেশনে প্রচারণা চালাবে।


আরও খবর



বনানীতে সড়কের মাঝে যাত্রীবাহী বাসে আগুন

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর বনানীতে সড়কের মাঝে চলন্ত একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন লেগেছে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল ৪টা ২ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার খালেদা ইয়াসমিন বলেন, বিকেল ৪টা ২ মিনিটে যাত্রীবাহী একটি বাসে আগুন লাগার সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। এরপর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, জে কে এন্টারপ্রাইজ (ঢাকা-শেরপুর রুটে চলাচল করে) পরিবহনের একটি বাস বনানী আর্মি স্টেডিয়ামের সামনে একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। সেটি বাসের চাকার নিচে পড়ে যায়। ওই অবস্থায় মোটরসাইকেলটিকে টেনে হিঁচড়ে বাসটি অনেক দূর নিয়ে আসে। এতে মোটরসাইকেলের তেলের ট্যাঙ্কে বিস্ফোরণ ঘটে এবং সেখান থেকে বাসে আগুন লেগে যায়। এ ঘটনায় মোটরসাইকেলের চালক গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।

নিউজ ট্যাগ: বাসে আগুন

আরও খবর



ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিবের ঢাকা সফর স্থগিত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

আগামী শনিবার (২০ এপ্রিল) ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকায় আসার কথা ছিল। তবে তার সফরটি স্থগিত করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) কূটনৈতিক একটি সূত্র জানিয়েছিল, বিনয় মোহন কোয়াত্রা একদিনের জন্য ঢাকা সফরে আসতে পারেন। সফরকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাঠানো আমন্ত্রণপত্র তুলে দেবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গেও তার বৈঠক হওয়ার কথা ছিল।

এর আগে, ৪ এপ্রিল পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, ‌প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর অবশ্যই হবে। তবে ভারতের লোকসভা নির্বাচনের পর। সেটি কখন হবে, তা নিয়ে কোনো আলোচনা এখনো অফিশিয়াল লেভেলে হয়নি।

কূটনৈতিক সূত্র অনুযায়ী, ভারতের লোকসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জুনের শেষ সপ্তাহ কিংবা জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে ভারত সফর করতে পারেন।

প্রসঙ্গত, গত মার্চে পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে বিনয় মোহন কোয়াত্রার কার্যকালের মেয়াদ ছয় মাস বাড়িয়েছে ভারত সরকার। ১৯৮৮ সালে ভারতীয় পররাষ্ট্র পরিষেবায় যোগ দেওয়া কোয়াত্রা ২০২২ সালের ১মে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পান।


আরও খবর



‘বুবলীর আগের সংসারে একটি মেয়ে আছে’

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী সবসময় থাকেন আলোচনায়। এবার ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত তার সিনেমা দেয়ালের দেশ ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছে। তিনি পারিবারিক জীবন নিয়েও বেশ সমালোচিত। বুবলীর অতীত নিয়ে কথা বললেন জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা সুরুজ বাঙালি।

ঈদ উপলক্ষে টিভি অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বুবলী। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তিনি (বুবলী) এখনও শাকিব খানের স্ত্রী। তাদের মধ্যে আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হয়নি, তবে আলাদা থাকছেন। বীরের কথা ভেবে তারা সময় নিচ্ছেন।

বুবলী জানান, শাকিবের বাসায় গেলে অপু-জয়ের সঙ্গে দেখা হয় বুবলী ও বীরের। একবার বীর ও শাকিবের সাথে রুমে সময় কাটাচ্ছিলেন বুবলী, এ সময় জয়কে নিয়ে উপস্থিত হন অপু। বুবলীর এমন মন্তব্যে নেট দুনিয়ায় শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা। এদিকে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর শুনে নাকি বিরক্ত শাকিব ও অপু।

একটি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা সুরুজ বাঙালি। তিনি বলেন, বর্তমানে শাকিব-অপু দুজনেই ভালো আছে, তাদের মধ্যে বুবলী ঢুকে সবকিছু নষ্ট করতে চাইছে।

তিনি আরও বলেন, বুবলী শাকিব খানের লেজ ধরে এই পর্যন্ত আসছে। তাকে ধরে ১০টি ছবিও করেছে। তাকে শাকিবই উপরে উঠাইছে। আর বুবলী কিন্তু আগে থেকেই বিবাহিত, এটা শাকিব জানতো না। তার আগের ঘরে একটি মেয়েও আছে। এটা পরে জানতে পেরে শাকিব তাকে এড়িয়ে চলেছে। কিন্তু বীরতো শাকিবের রক্তের তাই শাকিব বীরকে কখনওই ফেলে দেবে না।

বুবলীকে নিয়ে সুরুজ আরও বলেন, বুবলী চায় বীরকে দিয়ে শাকিবের সম্পত্তিতে ভাগ বসাতে। যেখানে শাকিব-অপু এখন এক হয়ে গেছে তখন তার এর মধ্যে নাক গলানোর কি দরকার?

শবনম বুবলী ২০১৬ সালে বসগিরি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পে তার অভিষেক ঘটে। চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে তিনি শ্রেষ্ঠ নবীনশিল্পী বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অর্জন করেন। বর্তমানে বুবলী জনপ্রিয় সব সিনেমা উপহার দিয়ে যাচ্ছেন দর্শকদের।


আরও খবর



শিশুদের নিডো-সেরেলাকে বাড়তি চিনি মেশাচ্ছে নেসলে

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান নেসলের শিশুখাদ্য সেরেলাকে বাড়তি চিনি পাওয়া গেছে বলে উঠে এসেছে এক গবেষণায়। বাড়তি চিনির এসব পণ্য বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল বা দরিদ্র দেশগুলোতে সরবরাহ করছে প্রতিষ্ঠানটি। সুইজারল্যান্ডের অলাভজনক বেসরকারি সংগঠন পাবলিক আই ও ইন্টারন্যাশনাল বেবি ফুড অ্যাকশন নেটওয়ার্কের যৌথ গবেষণা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসারে- বাংলাদেশ, নাইজেরিয়া, সেনেগাল, থাইল্যান্ড, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো উন্নয়নশীল বা দরিদ্র দেশগুলোতেই এই প্রবণতা বেশি। এসব দেশে নেসলের ব্র্যান্ড নিডো বেশ পরিচিতি। আশঙ্কাজনক ব্যাপার হলো, শিশুদের জন্য নিডোর যেসব পণ্য আছে তার সবগুলোতেই বাড়তি চিনি আছে।

যৌথ এ গবেষণায় উঠে এসেছে, বাংলাদেশের বাজারে নেসলের ৯টি পণ্য চালু আছে। যার প্রতিটিতেই বাড়তি চিনি আছে। গড়ে এসব পণ্য থেকে একটি শিশুকে সাধারণভাবে একবার যে পরিমাণ খাবার খাওয়ানো হয় তাতে বাড়তি চিনির পরিমাণ প্রায় ৩ দশমিক ৩ গ্রাম।

বাংলাদেশ ছাড়াও ফিলিপাইন, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, সেনেগাল, ব্রাজিল, ইথিওপিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দেশগুলোতেও নেসলের শিশুখাদ্য বাড়তি চিনির প্রমাণ মিলেছে। বিপরীতে, যুক্তরাজ্য ও জার্মানির মতো ইউরোপীয় দেশগুলোতে এসব পণ্যে বাড়তি চিনির উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



সিরাজগঞ্জে শেষ মুহূর্তে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা ও স্বজনেরা

প্রকাশিত:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

Image

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে নির্বাচনে আর মাত্র এক দিন বাকি। শেষ মূহুর্তের প্রচারণায় জমে উঠেছে সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। প্রথম ধাপের ৮ই মে নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোর থেকে রাত পর্যন্ত ভোটারদের কাছে ছুটছেন প্রার্থীরা। সভা-সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায়।

ভোটারদের মন জয় করতে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা প্রতিদিন ব্যবহার করছেন নতুন নতুন কৌশল। চলছে পোস্টার, ফেস্টুন ও লিফলেট বিতরণ। সেই সঙ্গে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গণসংযোগ, পথসভা ও উঠান বৈঠকের মাধ্যমে প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা।

বিগত নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে কে কি করেছেন, নতুন রা জয়ী হলে কি করবেন, সেই প্রতিশ্রুতি নিয়ে ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। তাদের বিরামহীন প্রচারণায় ইতোমধ্যে জমে উঠেছে সিরাজগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ভোটারদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে বেশ আগ্রহ। তারাও হিসাবনিকাশ করতে শুরু করছেন-কার হাত ধরে হবে উপজেলা বাসীর ভাগ্য উন্নয়ন। যোগ্য প্রার্থী বেছে নেয়ার পাশাপাশি নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ চান ভোটাররা। ৮ই মে ভোটাররা ভোট দিয়ে আগামী পাঁচ বছরে জন্য যোগ্য চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করবেন।

সাধারণ ভোটাররা জানান, জনপ্রতিনিধি হিসেবে বিপদে-আপদে পাশে পাওয়া যাবে এমন প্রার্থীকেই ভোট দেবেন তারা। জনবিচ্ছিন্ন কোনো প্রার্থীকে তারা চান না। আগামী ৮ই মে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনবান্ধব ও পছন্দের প্রার্থীর পক্ষেই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চান।

জানা গেছে, এ উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ১২ জন প্রার্থী। চেয়ারম্যান পদে ৫ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন। গত ২৩ শে এপ্রিল প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের পরপরই নির্বাচনের মাঠ সরব হয়ে উঠেছে এ উপজেলায়। এর আগে এই উপজেলায় মোট ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় মোট ১০টি ইউনিয়ন। মোট ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৭১ টি। কক্ষের সংখ্যা ১৪২৪, মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লক্ষ ৫৬ হাজার ২২২জন।

প্রতিটা কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়ে ভোটাররা যেন বাড়ি ফিরতে পারে এমন প্রস্তুতি রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।


আরও খবর