আজঃ শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
শিরোনাম

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির মহাকাব্য : রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বাঙালির জন্য পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির মহাকাব্য বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। গতকাল ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বুধবার (৬ মার্চ) দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।

মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, ১৯৭১ সালের এই দিনে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বজ্রকণ্ঠে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। পুরো বাঙালি জাতি সেদিন মন্ত্রমুগ্ধের মতো অবগাহন করেছিল রাজনীতির মহাকবি বঙ্গবন্ধুর অমর কবিতা। মাত্র ১৮ মিনিটের এই মহাকাব্যে ধ্বনিত হয়েছিল বাঙালি জাতির মুক্তির মহামন্ত্র। বঙ্গবন্ধুর শাণিত ও প্রদীপ্ত উচ্চারণে কেঁপে উঠেছিল পাকিস্তানি স্বৈরশাসকের মসনদ। মূলত ৭ মার্চের ভাষণেই নিপীড়িত-নির্যাতিত বাঙালি জাতি খুঁজে পেয়েছিল শোষণমুক্তির কাঙ্ক্ষিত পথ। তাই ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বাঙালির জন্য পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির মহাকাব্য।

তিনি বলেন, ৭ মার্চ বাঙালি জাতির মুক্তিসংগ্রাম ও স্বাধীনতার ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় দিন। স্বাধীনতা বাঙালির শ্রেষ্ঠ অর্জন। তবে তা একদিনে অর্জিত হয়নি। মহান ভাষা আন্দোলন থেকে ১৯৭১ এর চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের দীর্ঘ বন্ধুর পথে বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম সাহস, সীমাহীন ত্যাগ-তিতিক্ষা, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং সঠিক দিকনির্দেশনা জাতিকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়। ১৯৭০ এর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তরে তালবাহানা শুরু করে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১ মার্চ থেকে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রেসকোর্স ময়দানে লাখো জনতার উদ্দেশে এক ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদান করেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, অনন্য বাগ্মিতা ও রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় ভাস্বর ওই ভাষণে বাঙালির আবেগ, স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষাকে একসূত্রে গেঁথে বঙ্গবন্ধু বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। ঐতিহাসিক সেই ভাষণের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন বাঙালি জাতির বহুকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ পৃথিবীর কালজয়ী ভাষণগুলোর অন্যতম। একটি ভাষণ কীভাবে গোটা জাতিকে জাগিয়ে তোলে, স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উৎসাহিত করে, বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ তার অনন্য উদাহরণ। বাংলার মানুষের সাথে বঙ্গবন্ধুর আত্মার সম্পর্ক ছিল। তাই, তার ভাষণে মূলত মানুষের মনে কথাগুলো ফুটে উঠেছিল। বঙ্গবন্ধুর এই ঐতিহাসিক ভাষণ কেবল আমাদের নয় বিশ্বব্যাপী স্বাধীনতাকামী মানুষের জন্যও প্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে থাকবে।


আরও খবর



চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২.৩ ডিগ্রি

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তীব্র তাপপ্রবাহ এখন প্রকট আকার ধারণ করে রূপ নিয়েছে অতি তাপপ্রবাহে। প্রতিদিনই বাড়ছে তাপমাত্রা। তাপমাত্রার পারদ ৪০ থেকে ৪১ ডিগ্রির ঘরে ওঠানামা করলেও তা ৪২ ডিগ্রি ছাড়ালো।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একইসঙ্গে তীব্র তাপ প্রবাহ শুরু হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) তীব্র দাবদাহের কারণে জেলায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করেছে জেলা প্রশাসন।

চলতি বছরের এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু, মাঝারি ও তীব্র তাপপ্রবাহ। শুধু চলতি বছর নয়, আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর টানা প্রায় ১৩ দিন ধরেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে। আর এটি ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর আশপাশেই থাকছে। টানা তাপপ্রবাহে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গার জনজীবন। বর্তমানে সে তাপমাত্রা ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, বৈশাখের প্রথম সপ্তাহ থেকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি থেকে তীব্র দাবদাহ চলমান রয়েছে। দাবদাহের কারণে মানুষের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। আজও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। এখনও পর্যন্ত কোনো বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তাপমাত্রা কমবে না। ২০২৩ সালে ১৯ ও ২০ এপ্রিল জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ বছর ৪৩ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যেতে পারে। তাপমাত্রা বেশি হওয়ার কারণে গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে।


আরও খবর



বিয়ে করলেন অভিনেত্রী আরুশি, পাত্র বলিউডেরই একজন

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

সাত পাকে বাঁধা পড়লেন কার্তিক আরিয়ানের লাভ আজ কাল সিনেমার নায়িকা আরুশি শর্মা। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে তাদের বিয়ের ছবি। পাত্র কে, কী তার পরিচয়?

জানা যায়, পাত্র বলিউডেরই একজন। তবে সে কোনও অভিনেতা নয়, কাস্টিং ডিরেক্টর। পাত্রের নাম বৈভব বিশান্ত। হালফিলের ময়দান, বড় মিঞা ছোট মিঞা সিনেমার কাস্টিংয়ের নেপথ্যেও নাকি তিনি ছিলেন।

এদিকে আরুশির জন্ম হিমাচল প্রদেশের শিমলায়। তার মা ও বাবা দুজনই আইনজীবী। অভিনেত্রী নিজে ইনফরমেশন টেকনোলজি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। চাকরিও করছিলেন। কিন্তু তার ভাগ্যে ছিল গ্ল্যামার জগৎ।

রণবীর-দীপিকার তামাশা সিনেমায় তিনিও ছিলেন। তবে অভিনেত্রী হিসেবে লাভ আজ কাল সিনেমাতেও নজর কাড়েন। এ ছবি আসলে সাইফ আলি খান, দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত লাভ আজ কাল সিনেমার সিক্যুয়েল। পরিচালক নামটি এক রেখেছিলেন। তবে সিনেমা বক্স অফিসে বিশেষ আয় করতে পারেননি।

এতে অবশ্য থেমে থাকেননি আরুশি। নেটফ্লিক্স অরিজিনাল সিনেমা জাদুঘর-এ ডা. দিশার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। ছবির নায়ক পঞ্চায়েত ওয়েব সিরিজ খ্যাত জিতেন্দ্র কুমার। নেটফ্লিক্সের ওয়েব সিরিজ কালা পানিতে আবার জ্যোৎস্নার চরিত্রে দেখা গিয়েছিল অভিনেত্রীকে। এবার বাস্তবের জীবনে নতুন ভূমিকায় আরুশি। বৈভবের হাতে হাত রেখে নতুন জীবনের অঙ্গীকার করেছেন তিনি।


আরও খবর



আজও অস্বাস্থ্যকর ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

তীব্র তাপদাহের মধ্যে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি হওয়ার পর তাপমাত্রা কমলেও কমেনি ঢাকার বায়ুদূষণ। বেড়ে চলেছে বায়ুদূষণের মাত্রা।

শনিবার (৪ মে) সকাল ৯টা ২০মিনিটে ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর অবস্থাতে রয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তবে সবচেয়ে বেশি দূষণ ভারতের দিল্লিতে।

আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ৩৫৮ স্কোর নিয়ে বায়ুদূষণের র্শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর। ২১০ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু। ১৭৫ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই শহর। এছাড়া ১১৯ স্কোর নিয়ে তালিকার ১১ নম্বরে অবস্থান করছে ঢাকা। যা সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত।

এদিকে গতকাল শুক্রবার (৩ মে) টানা একমাস তীব্র দাবদাহে পর শেষ পর্যন্ত বৃষ্টির দেখা পেয়েছে ঢাকাবাসী। তবে এই স্বস্তির বৃষ্টিতে নগরবাসী কিছুটা প্রাণ ফিরে পেলেও বায়ুদূষণে বিশ্বের ১০০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ছিল সপ্তম।

উল্লেখ্য, একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ পর্যন্ত ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ পর্যন্ত স্কোর মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। অন্যদিকে স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর বায়ু বলে মনে করা হয়। পাশাপাশি ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়।

ঢাকার জন্য বায়ুদূষণ বড় একটি সমস্যা। এ জন্য মোটাদাগে তিনটি কারণ চিহ্নিত করা হয়। এগুলো হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণকাজের ধুলা। পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের এক যৌথ প্রতিবেদনে এই তিন কারণের কথা বলা হয়েছে।


আরও খবর



কেনিয়ায় বৃষ্টি-বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ১৬৯, নিখোঁজ ৯১

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় বৃষ্টি ও বন্যায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গত ১ মার্চ থেকে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৯। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন ৯১ জন। খবর বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

কেনিয়ার সরকারের মুখপাত্র আইজ্যাক মওয়াউরা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মঙ্গলবার ভূমিধসে ৪৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬৯ জনে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় আমরা সারাদেশে ৬৬ জনকে হারিয়েছি। এর মধ্যে ৬০ জন প্রাপ্তবয়স্ক এবং ৬ জন শিশু রয়েছে।

কেনিয়ার সরকারের মুখপাত্র বলেন, বন্যার কারণে ৩০ হাজার ২১৪টি কেনিয়ান পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আর জনসংখ্যার হিসেবে বাস্তুচ্যুতদের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৯০ হাজার ৯৪২ জন। কেনিয়ার রাজধানীতে বাস্তুচ্যুতরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

এদিকে, ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়া হিসেবে কেনিয়ার সরকার ঘোষণা করেছে, তারা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য হাসপাতালের সব বিল বহন করবে। বিশেষ করে মঙ্গলবার যারা ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের। এছাড়া বাস্তুচ্যুতির পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির শিকার পরিবারগুলোর আর্থিক বোঝাও কমিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

ভারী বৃষ্টিপাত ও নদীর পানি উপচে পড়ে সৃষ্ট বন্যায় ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়েছে, অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় পরিষেবা ব্যাহত হয়েছে। মানবিক সংস্থা এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জরুরি সহায়তা দিতে কাজ করছে কেনিয়ার সরকার।


আরও খবর



বাংলাদেশের স্বপ্ন ভঙ্গ, হোয়াইটওয়াশ এড়ালো জিম্বাবুয়ে

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়েকে বাংলাওয়াশ’ করার দুর্দান্ত সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত সান্ত্বনার জয়ে লজ্জা এড়ালো রোডেশিয়ানরা। এই জয়ে ৪-১ ব্যবধান শেষ হলো বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।

রবিবার (১২ মে) মিরপুরে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ তুলে বাংলাদেশ। দলের হয়ে ৪৪ বলে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন রিয়াদ। জবাবে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৮ দশমিক ৩ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় জিম্বাবুয়ে।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দেখেশুনেই এগোতে থাকে সফরকারীদের দুই ওপেনার। তবে সাকিবের ওপর চড়াও হতে গিয়ে নিজের উইকেট বিলিয়ে দেন মারুমানি। এতে ৩৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় রোডেশিয়ানরা। সাকিবের আউট সাইট অফের ডেলিভারিতে তার স্টাম্প ভাঙেন জাকের আলী।

একপর্যায়ে সাকিব, মোস্তাফিজ, রিশাদ-ত্রয়ীতে বেশ চাপে পড়েছিল জিম্বাবুয়ে। ৬ ওভার হাত ঘুরিয়ে মোটে ১৩ রান দেন তারা। তবে পানি পানের বিরতির পর রিশাদের ওপর চড়াও হয়ে ১৬ রান তুলে নেয় সফরকারীরা।

টাইগার বোলারদের সামনে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নেন বেনেট। ৩৬ বলে এই মাইলফলক পূর্ণ করেন তিনি। তাকে থামান সাইফউদ্দিন। তার শর্ট বলে তুলে মারতে গিয়ে মিডউইকেটে ধরা পড়েন এই ওপেনার। ফেরার আগে খেলেন ৪৯ বলে ৭০ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।

এরপর বাকি কাজটা সারেন দলপতি রাজা। তার ৪৬ বলে ৭২ রানের ইনিংসে ৯ বল বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সফরকারীরা। এই জয়ে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ালো জিম্বাবুয়ে।

এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনিং জুটিতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। দলীয় ৯ রানেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন দুই ওপেনার সৌম্য (৭) ও তামিম (২)। এরপর ক্রিজে এসে থিতু হতে পারেননি হৃদয়ও। বেনেটের বলে কাট করতে গিয়ে কট বিহাইন্ড হন এই ব্যাটার। এতে ৪ দশমিক ১ ওভারেই ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৬ ওভারে মাত্র ৩৩ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ।

পরপর তিন উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। তবে শুরুর সেই ধাক্কা সামলে ভিন্ন পথে দলকে এগিয়ে নেন মাহমুদউল্লাহ ও নাজমুল। এই জুটি ইনিংসের অষ্টম ওভারে ৫০ ছাড়ায় বাংলাদেশ।

তবে রিয়াদের সঙ্গে ৬৯ রানের জুটির পর আউট হয়ে যান শান্ত। সুইপ করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে ২৮ বলে ৩৬ রানে ফেরেন টাইগার দলপতি।

শান্ত ফিরলেও সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় রানের গতি বাড়ান রিয়াদ। এই জুটিতে ইনিংসের ১৪তম ওভারে এসে দলীয় ১০০ পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ।

তবে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ১ হাজার রান পূর্ণ করার পর বেশিক্ষণ ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি সাকিব। মিডউইকেটে দারুণ ডাইভে সাকিবের ক্যাচ নেন ক্যাম্পবেল জুনিয়র। এতে ১৭ বলে ২১ রান করে সাকিবকে ফিরতে হয়।

অন্যদিকে ইনিংসের ১৬তম ওভারে এসে ক্যারিয়ারের অষ্টম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ফিফটি তুলে নেন রিয়াদ। তবে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। মুজারাবানির বলে রাজার হাতে ক্যাচ দিয়ে ১ ছক্কা ও ৬ চারে ৫৪ রানে ফেরেন মিডল-অর্ডার এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত জাকের আলীর ১১ বলে ২৪ রানের ক্যামিওতে ১৫৭ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ।


আরও খবর