আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছেন জিয়া

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০১ আগস্ট ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০১ আগস্ট ২০২৩ | অনলাইন সংস্করণ
ফাহাদ মশিউর রহমান

Image

আগস্ট আমাদের শোকের মাস। ১৫ আগস্ট এক অভ্যুত্থানে আমরা হারিয়েছি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের স্থপতি ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের। এটা অভূতপূর্ব, অনাকাঙ্ক্ষিত ও বিয়োগান্ত। আমরা আগে ছিলাম পাকিস্তানি। এখন বাংলাদেশি। আমাদের পাকিস্তানবিরোধী রাজনৈতিক মনস্তত্ত্বে আছে সেনাশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ও দ্রোহ। পাকিস্তানে নিয়মিত বিরতিতে জারি হয় কোটালের রাজ। আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশেও এ রকম দেখেছি তিনবার। ১৯৭৫, ১৯৮২ ও ২০০৭ সালে। এই সব কটির মধ্যে ব্যতিক্রম হলো ১৯৭৫। অন্য সব অভ্যুত্থান ছিল রক্তপাতহীন। ১৯৭৫ ছিল রক্তাক্ত। কেন এমন হলো?

১৫ আগস্ট নিয়ে অনেক কাটাছেঁড়া হচ্ছে। আরও হবে। ৫২ বছর হয়ে গেল। অনেক কিছুই জানা গেল না। বলা হয়ে থাকে, এটা শুধু কতিপয় বিপথগামী সেনা কর্মকর্তার কাজ নয়, এর পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র ছিল। সেই ষড়যন্ত্রটি আজও উন্মোচন করা গেল না।

                   এটা এখন প্রমাণিত সত্য যে, সে সময়ের সেনাবাহিনীর উপপ্রধান জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যা ষড়যন্ত্রের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। খুনিদের সঙ্গে সহযোগিতার পুরস্কার হিসেবে ১৫ আগস্টের ৯ দিন পরই জিয়াকে সেনাপ্রধান করা হয়। এর পর জেনারেল জিয়া রাষ্ট্রপতিসহ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছেন এই জিয়াউর রহমান।

১৫ আগস্ট নিয়ে হাতের কাছে আছে দুটি বই, লরেন্স লিফশুলৎজের দ্য আনফিনিশড রেভল্যুশন আর অ্যান্থনি মাসকারেনহাসের দ্য লিগ্যাসি অব ব্লাড। দুটো বইকে অভ্রান্ত ধরে নিয়ে মন্তব্য করতে থাকলে তো আর অনুসন্ধানের দরকার পড়ে না। ১৫ আগস্ট ও তার পরপর আমরা দেখেছি কয়েকজন মেজর-ক্যাপ্টেন বঙ্গভবনে বসে ছড়ি ঘোরাত। তাদের নেতা ছিলেন রশিদ আর ফারুক। মসনদে ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা খন্দকার মোশতাক আহমদ। তার প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা হন জেনারেল (অব.) এম এ জি ওসমানী। তার নিচেই ছিলেন চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ মেজর জেনারেল খলিলুর রহমান। এটা অনুমিতই ছিল যে মেজর জেনারেল সফিউল্লাহকে সরিয়ে নতুন একজনকে সেনাপ্রধান করা হবে। এটি করতে ৯ দিন লেগে গেল। সেনাপ্রধান হিসেবে মোশতাক, ওসমানী, রশিদ ও ফারুকের প্রথম পছন্দ ছিলেন খালেদ মোশাররফ। ওসমানী জিয়াউর রহমানকে খুব অপছন্দ করতেন। কিন্তু অভ্যুত্থানকারীদের বেশির ভাগের পছন্দ হিসেবে জিয়াউর রহমানকে সেনাপ্রধান করা হয়।

১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট ভোরে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। ঘাতক মেজর ডালিম ভোর ৬টার দিকে বেতার ঘোষণায় জানায়, শেখ মুজিবকে হত্যা করা হয়েছে এবং খোন্দকার মোশতাক আহমদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করেছে। সকাল প্রায় ৮টায় খোন্দকার মোশতাক বেতারে প্রদত্ত ভাষণে বলেন- তার উপর রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে। জাতির পিতা ও তার পরিবারের সদস্যদের লাশ ধানমন্ডির বাড়িতে পড়ে থাকা অবস্থাতেই হত্যাকাণ্ডের মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর বঙ্গবন্ধু মন্ত্রিসভার সদস্য কয়েকজন বাদে প্রায় সবাই অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী মোশতাক মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে যোগদান করে। রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাত্র ৩-৪ ঘণ্টার মধ্যে সশস্ত্র বাহিনীর তিন প্রধান এবং বিডিআর, পুলিশ, রক্ষী বাহিনী প্রধানরা পৃথকভাবে বেতারে খুনি সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন।

হত্যার পর বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘদিনের বন্ধু, সহকর্মী ও মন্ত্রীদের মধ্যে কয়েকজন ছাড়া প্রায় সবাই ঘাতক সরকারের মন্ত্রী হন। সেনাবাহিনী প্রধান কে এম সফিউল্লাহ ও উপপ্রধান জিয়াউর রহমান দুজনকেই বঙ্গবন্ধু স্বল্প সময়ের মধ্যে কয়েকটি প্রমোশন দিয়ে মেজর থেকে মেজর জেনারেল বানিয়ে সেনাপ্রধান ও উপপ্রধানের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সেনাপ্রধান সফিউল্লাহর বঙ্গবন্ধু হত্যা ষড়যন্ত্রের সঙ্গে অদ্যাবধি কোনো সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাওয়া না গেলেও হত্যাকাণ্ডের পর কোনো প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হননি। অবশ্য তিনি গত সাড়ে চার দশকে বিভিন্নভাবে বলার চেষ্টা করেছেন- তার পদস্থ সহকর্মীদের মধ্যে কেউ কেউ বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িত ছিলেন আবার কেউবা প্রতিরোধের ব্যাপারে তাকে সহযোগিতা করেনি। তাছাড়া বঙ্গবন্ধু হত্যার ১০ দিনের মাথায় সফিউল্লাহকে সরিয়েও দেয়া হয়।

বঙ্গবন্ধু হত্যায় স্বাধীনতাবিরোধী চক্র খুবই উল্লসিত হয়। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে প্রবীণ জননেতা মওলানা ভাসানী সর্বাগ্রে ঘাতক মোশতাক সরকারকে সমর্থন দেন। তথাকথিত রাষ্ট্রপতির নিকট প্রেরিত তারবার্তায় নতুন সরকারের প্রতি অভিনন্দন ও তার পূর্ণ সমর্থনের কথা জানান। মওলানা এই পরিবর্তনকে একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করে দেশ হতে দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও অবিচার দূর করার আহ্বান জানান। (ইত্তেফাক, ১৭.৮.১৯৭৫)

যেই রক্ষীবাহিনীর জন্যে বঙ্গবন্ধু সরকারের প্রতি সেনাবাহিনীর অনেকের ক্ষোভ ছিল, সেই রক্ষীবাহিনী বঙ্গবন্ধু হত্যার পর একটি গুলিও ছোড়েনি। এখানে উল্লেখ্য, ১৫ আগস্ট সকালে সশস্ত্র ডালিমচক্র সেনাপ্রধানকে বেতার ভবনে নিয়ে যেতে এলে সেনাপ্রধান প্রতিরোধের আশায় ৪৬ ব্রিগেডে যান। সেখানে গিয়ে দেখলেন, জনৈক ক্যাপ্টেন হাফিজুল্লা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি পদতলে পিষ্ট করছে আর জোয়ানরা সরকার পতনে উল্লাস করছে।

হয়তো কেউ বলবেন, বঙ্গবন্ধুর লাশ বত্রিশ নম্বরে- রাস্তায় সশস্ত্র আর্মি, ট্যাঙ্ক নিয়ে ঘাতকের মহড়া, এর মধ্যে কীভাবে প্রতিরোধের ডাক দেয়া সম্ভব। তবে এটাও ঠিক রাজধানী ছাড়া সারা বাংলাদেশে কিন্তু আর্মি বা ট্যাঙ্কের মহড়া ছিল না। তাছাড়া বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আর্মির হত্যাকারী ওই ক্ষুদ্র অংশ ভয়ে ভয়ে ছিল। ওরা ঊর্ধ্বতনদের বলছিল- আমরা দেশের স্বার্থেই এই পদক্ষেপ নিয়েছি। আপনারা পরিস্থিতি সামলান। উপ-প্রধান জিয়াউর রহমানসহ পাকিস্তান প্রত্যাগত প্রায় সকল সেনা কর্মকর্তা ঘাতক চক্রের প্রতি সমর্থন, আর সিজিএস খালেদ মোশাররফসহ আরও অনেকের যা হবার হয়ে গেছে এই মনোভাব- সর্বোপরি রাষ্ট্রপতি ও মন্ত্রী পদে বঙ্গবন্ধু সরকারের মন্ত্রীরাই শপথ নেয়ায় জনগণ যেমন বিভ্রান্ত হয়, তেমনি খুনি চক্রও সময় পেয়ে যায়।

যে কারণে ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ হয়নি তা হচ্ছে: ১. বঙ্গবন্ধুর মতো নেতাকে হত্যা করা হয়েছে- এ কথা প্রথমে অনেকেই বিশ্বাস করতে পারেনি; ২. আবার হত্যাকাণ্ডের ভয়াবহতায় বড় বড় নেতাসহ কেউ কেউ হতভম্ব ও কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন; ৩. হত্যাকাণ্ডের পর পর বঙ্গবন্ধুর সহকর্মীরাই খুনি সরকারের রাষ্ট্রপতি ও মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়। তাছাড়া সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীপ্রধান, রক্ষীবাহিনীর ভারপ্রাপ্ত প্রধান, পুলিশ বাহিনীসহ সকল প্রধানদের খুনি সরকারের প্রতি আনুগত্য ও সমর্থনের ঘোষণা বেতার-টিভিতে প্রচারিত হওয়ায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও জনগণ বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। ঢাকার রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্যাঙ্ক মোতায়েন, কারফিউ জারি ও সঙ্গীন উঁচিয়ে সেনা টহলে মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ে। যেসব নেতারা খুনিদের সমর্থন করেননি তাদেরকে গৃহবন্দি করা হয়। এসব কারণেই খুনিচক্র তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়নি।

মোশতাক-ফারুক-রশীদ-ডালিম চক্র বঙ্গবন্ধু পরিবারকে হত্যা করেই ক্ষান্ত থাকেনি, ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতিও তারা অবমাননা করেছে। বঙ্গবন্ধুর মরদেহ ১৫ আগস্ট সারা দিন, ১৫ আগস্ট দিবাগত রাত শেষে ১৬ আগস্ট বিকেলে গ্রামের বাড়ি টুঙ্গিপাড়া নিয়ে যাওয়া হয়। আর্মির যে কজন বঙ্গবন্ধুর মরদেহ টুঙ্গিপাড়া নিয়ে যায় তারা দাফন-কাফন অর্থাৎ ইসলামি নিয়ম-কানুন পালন না করেই লাশ কবরস্থ করতে চেষ্টা চালায়। কিন্তু স্থানীয় মৌলবির চাপের মুখে কফিন খুলে বঙ্গবন্ধুর মুখ দেখানো হয় এবং খুব দ্রুত ১০/১৫ জনের উপস্থিতিতে জানাজা দিয়ে লাশ দাফন করা হয়। আর্মির উদ্যত আচরণের কারণে স্থানীয় লোকজন বঙ্গবন্ধুর লাশ দেখাতো দূরের কথা- তারা আশেপাশের গ্রাম ছেড়ে দূরে চলে যায়। বঙ্গবন্ধু ছাড়া অন্যদের লাশ বনানী গোরস্তানে ১৫ আগস্ট দিবাগত শেষ রাতে জানাজা-গোসল ছাড়াই কবরস্থ করা হয়।

আরেকটি আশ্চর্যজনক ব্যাপার হলো বঙ্গবন্ধুর আর্মি, পুলিশ, বিডিআর, প্রায় তিনশ জন সংসদ সদস্য, সহকর্মী যারা সেদিন রাষ্ট্রপতি, মন্ত্রী হলেন- তাদের অন্তত একজনও শেষবারের মতো বঙ্গবন্ধুর মুখ দেখার সাহস করেননি। অথচ এই বঙ্গবন্ধুর কারণেই বাংলাদেশ হলো- ক্যাপ্টেনরা জেনারেল হলো- অনেক অখ্যাত লোক খ্যাত হলো, মন্ত্রী-রাষ্ট্রপতি হলো।

হত্যা-ষড়যন্ত্রে জড়িত জিয়াউর রহমান, খালেদ মোশাররফ, তাহের, মঞ্জুরসহ আরও অনেকের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। মাহবুব আলম চাষী- দেশের বাইরে দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। প্রায় দুই যুগ চোরের মতো গৃহবন্দি এবং দুর্নীতির দায়ে কয়েক বছর জেল খেটে ১৯৯৬-এর মার্চে বিশ্বাসঘাতক মোশতাকের মৃত্যু হয়েছে। ৩৫ বছর পরে হলেও ২০১০-এর ২৮ জানুয়ারি রাতে বঙ্গবন্ধুর ৫ ঘাতকের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।

এতসব কিছুর পরেও যতদিন মানুষের হৃদয়ে স্পন্দন থাকবে, বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ ও বাঙালি থাকবে- হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা, ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ততদিন শ্রদ্ধাভরে উচ্চারিত হবে।


আরও খবর



দিনাজপুরে অনুষ্ঠিত হলো দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দিনাজপুর প্রতিনিধি

Image

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর-এ-শহীদ বড় ময়দানে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল ৯টায়  লাখ লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে ঈদের এ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

ঐতিহাসিক এ ঈদের জামাতে অংশ নিতে সদর উপজেলা ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও আশপাশের কয়েকটি জেলার মুসল্লিরা আসেন। জামাতে ইমামতি করেন দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতাল জামে মসজিদের ইমাম শামসুল হক কাসেমি।

বৃহৎ এ জামাতকে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ছিল কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা। সিসিটিভি ক্যামেরার পাশাপাশি ছিল কঠোর গোয়েন্দা নজরদারি। মাঠের আশপাশে র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরাও তৎপর ছিলেন।

নামাজে অংশ নেন স্থানীয় সংসদ সদস্য হুইপ ইকবালুর রহিম ও প্রধান বিচারপতি (ভারপ্রাপ্ত) এনায়েতুর রহিম, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ, দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) তৌয়বুল আলম দুলাল, দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুজ্জামান মিতাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সর্বস্তরের জনগণ।

রংপুর জেলা থেকে ঈদের জামাতে আসা অলিউল ইসলাম ইসলাম বলেন, এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় ও দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাতে নামাজ আদায় করার অন্য অনেক দিনে ইচ্ছে ছিল। আল্লাহ আজ সে আশা পুরণ করেছে। জীবনে প্রথম লাখ লাখ মুসল্লির সঙ্গে ঈদের নামাজ পড়তে পেরে ভালো লাগছে।

জেলার খানসামা  উপজেলা থেকে নামাজ পড়তে আসা ফারুক আহম্মেদ বলেন, আমি এর আগেও ঐতিহ্যবাহী এই ময়দানে নামাজ পড়েছি। সবাই মিলে একসঙ্গে লাখ লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করলাম। সবাই মিলে নামাজ পড়ে বেশ ভালো লাগলো।

নামাজ শেষে ঈদগাহ মাঠের সমন্বয়ক, পৃষ্ঠপোষক ও জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, আয়তনের দিক দিয়ে এটি উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাহ মাঠ। এর আয়তন প্রায় ২২ একর। এবার দিনাজপুর জেলাসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলার প্রায় ছয় লাখ মুসল্লি এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।

তিনি আরও বলেন, মাননীয়  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্থায়নে এ মাঠের সুন্দর মিনারটি নির্মিত হয়েছে। ভবিষ্যতে এটিকে আরও সুন্দর করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান ঈদগাহ মাঠের এ সমন্বয়ক।

ঈদের নামাজের আগে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) তৌয়বুল  আলম দুলাল, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমে, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম।

জানা যায়, বিভিন্ন স্থান থেকে বড় বড় ঈদগাহ মাঠের চিত্র নিয়ে এসে এ মাঠের নির্মাণ পরিকল্পনা করা হয়। সর্বপ্রথম মাঠের পশ্চিম প্রান্তে গত ২০১৫ সালে এ ঈদগাহ মাঠের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রায় দেড় বছর পর এটি নামাজের জন্য পুরো প্রস্তুত করা হয়। এ ঈদগাহে রয়েছে ৫২টি গম্বুজের দুই ধারে ৬০ ফুট করে দুটি মিনার, এর মধ্যের দুটি মিনার ৫০ ফুট করে এবং প্রধান মিনারের উচ্চতা ৫৫ ফুট। এসব মিনার আর গম্বুজের প্রস্থ হলো ৫১৬ ফুট। দেশের বড় ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ ময়দানের পশ্চিম দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এ ঈদগাহ মিনারটি। প্রত্যেকটি গম্বুজে দেওয়া হয়েছে বৈদ্যুতিক বাতি সংযোগ। ৫২টি গম্বুজ ২০ ফুট উচ্চতায় স্থাপন করা হয়েছে। গেট দুটির উচ্চতা ৩০ ফুট নির্মাণে নান্দনিক স্থাপনা দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।

উল্লেখ্য, আগে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হতো কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায়। এখন দিনাজপুরের ৫২ গম্বুজের ঈদগাহ মাঠে সবচেয়ে বড় ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর



দ্বিপক্ষীয় রাষ্ট্রীয় সফরে থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ছয়দিনের দ্বিপক্ষীয় রাষ্ট্রীয় সফরে থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ২৪ এপ্রিল তিনি এই সফর শুরু করবেন। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রধানমন্ত্রীর এ সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন ও জাতিসংঘের একটি সংস্থা এসকাপের যৌথ আমন্ত্রণে এ সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সফরের দ্বিতীয় দিন আগামী ২৫ এপ্রিল শেখ হাসিনা ব্যাংককে এসকাপ কমিশনের ৮০ তম অধিবেশনে বক্তৃতা করবেন। দুই প্রধানমন্ত্রী আগামী ২৬ এপ্রিল আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় শীর্ষ বৈঠক করবেন। একইদিন দুই দেশের মধ্যে কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী হাসিনা থাইল্যান্ডের রাজপ্রাসাদে রাজা মহা ভাজিরালংকর্নের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। আগামী ২৯ এপ্রিল শেখ হাসিনা দেশে ফিরবেন।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের কোনো সরকার প্রধানের এটাই প্রথম দ্বিপক্ষীয় সরকারি সফর।


আরও খবর



শ্যামবাজার ঘাটে লঞ্চে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

রাজধানীর শ্যামবাজার ঘাটে এমভি বাঙালি লঞ্চের তৃতীয় তলায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিটের প্রায় ৫০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ২টা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম।

এর আগে দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে এমভি বাঙালি লঞ্চের তৃতীয় তলায় আগুন লাগে।

তালহা বিন জসিম বলেন, রাজধানীর শ্যামবাজার ঘাটে এমভি বাঙালি লঞ্চের তিন তলায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। সদরঘাট নদীর ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ও পোস্তগোলা ফায়ার স্টেশনের দুইটি ইউনিটসহ মোট পাঁচটি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ, ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের কোনো খবর জানা যায়নি।


আরও খবর



১৯ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৪০৯৬ কোটি টাকা

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ১৯ দিনে বৈধ পথে দেশে ১২৮ কোটি ১৫ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় পাঠিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। দেশীয় মুদ্রায় যার (প্রতি এক ডলার সমান ১১০ টাকা ধরে) পরিমাণ প্রায় ১৪ হাজার ৯৬ কোটি টাকার বেশি। এ হিসাবে গত ১৯ দিনে দৈনিক গড়ে ৬ কোটি ৭৪ লাখ ডলার বা ৭৪১ কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। প্রবাসী আয়ের এ ধারা অব্যাহত থাকলে পুরো মাস শেষে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি এপ্রিল মাসের ১৯ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১২৮ কোটি ১৫ লাখ ১০ হাজার ডলার এসেছে। তার মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১১ কোটি ৩২ হাজার ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে একটি ব্যাংকের (কৃষি ব্যাংক) মাধ্যমে ৭ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০৮ কোটি ৮১ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৯ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।

অন্যদিকে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের সংখ্যা রয়েছে ৯টি। যার মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক ও আইসিবি ইসলামী ব্যাংক। বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।

এর আগে বিদায়ী মার্চ মাসের পুরো সময়ে বৈধ পথে প্রায় দুই বিলিয়ন (১ দশমিক ৯৯ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স আসে। ওই মাসটির পুরো সময়ে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন্স ব্যাংক, বিদেশি খাতের হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে।

এর আগে চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১০ কোটি বা ২ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল এবং দ্বিতীয় মাস ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ২১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। ২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।

গত বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ডলার, ফেব্রুয়ারিতে আসে ১৫৬ কোটি ডলার, মার্চে ২০২ কোটি, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি, মে মাসে ১৬৯ কোটি, জুনে ২২০ কোটি, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বর মাসে এসেছিল ১৯৩ কোটি ডলার এবং শেষ মাস ডিসেম্বরে আসে ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স।

২০২০ সালে হুন্ডি বন্ধ থাকায় ব্যাংকিং চ্যানেলে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছিল। বিদায়ী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল দেশে।


আরও খবর



২ মে পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হাইকোর্টের নির্দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর ১৮ জনের মৃত্যুর ঘটনায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক স্কুল ও মাদ্রাসার ক্লাস আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আজ সোমবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।

এদিন আদালতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কয়েকটি দৈনিক পত্রিকার নিউজ উপস্থাপন করেন আইনজীবী মো. মনির উদ্দিন। তিনি আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শনিবার (২০ এপ্রিল) দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয় সরকার। সে সময় বলা হয়, সারাদেশে চলমান তাপপ্রবাহ ও আবহাওয়া অধিদফতরের সতর্কতা জারির প্রেক্ষিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন সব সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পূর্বনির্ধারিত ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল খোলার পরিবর্তে আগামী ২৮ এপ্রিল যথারীতি খুলবে। শিগগিরই এ বিষয়ে অফিস আদেশ জারি করা হবে।

এরপর শনিবার (২৭ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব আক্তারুন্নাহার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলমান তাপপ্রবাহের কারণে কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারগুলোর শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চলমান থাকবে। এক শিফটে বিদ্যালয় প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। আর দুই শিফটের বিদ্যালয়গুলোতে প্রথম শিফট সকাল ৮টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট পৌনে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব পর্যায়ে অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।


আরও খবর