আজঃ রবিবার ১৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

বন্য হাতির জন্য গারো পাহাড়ে তৈরি হচ্ছে ‘অভয়ারণ্যে’

প্রকাশিত:বুধবার ০২ মার্চ 2০২2 | হালনাগাদ:বুধবার ০২ মার্চ 2০২2 | অনলাইন সংস্করণ
Image

শেরপুর থেকে শাহরিয়ার শাকির

হাতি ও মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে শেরপুরের গারো পাহাড়ে তৈরি হচ্ছে বন্য হাতির জন্য অভয়ারণ্যে। ইতোমধ্যে জমি নির্ধারণ ও মালিকানা চিহ্নিত করার কাজ শুরু করছে বন বিভাগ। পাশাপাশি জবর দখলে থাকা বনভূমিও উদ্ধারে কাজ করছে।

জানা যায়, জেলার শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার বিশাল এলাকা জুড়ে অবস্থিত গারো পাহাড়। এক সময় এই বনাঞ্চলে অবাধে ঘুরে বেড়াতো বন্য হাতির দল। কিন্তু পাহাড়ে মানুষের দিন দিন বসতি করায় বন্ধ হয়ে যায় হাতি চলাচল। এতে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে নামে হাতির দল, তখনই শুরু হয় হাতি মানুষের দ্বন্দ্ব। এ দ্বন্দ্বে গত তিন মাসের ব্যবধানে গারো পাহাড়ে চারটি বন্য হাতির মৃত্যু হয়। এনিয়ে গত ১৫ বছরে নানা কারণে প্রায় ৩০/৩৫টি বন্য হাতির মৃত্যু হয়। বিপরীতে বন্য হাতির আক্রমণে জেলায় প্রায় ৯০ জন মানুষ মারা যায়। আর আহত হন শতাধিক মানুষ। কিন্তু শ্রীবরদীর মালাকোচা এলাকায় বিদ্যুতের সংযোগ দিয়ে একটি হাতি হত্যায় এবারই প্রথমবারের মতো মামলা হয়। এই মামলায় চারজনই কারাগারে যান।

অবশেষে হাতি মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে গারো পাহাড়ের সীমান্ত দিয়ে তৈরি হচ্ছে বন্য হাতির অভয়ারণ্যে। ইতোমধ্যে জরিপ কাজ শুরু করেছে বন বিভাগ। স্থানীয়দের আশা, হাতিদের জন্য অভয়ারণ্যে হলে কৃষকদের ফসলের কোন ক্ষতি হবে না, পাশাপাশি বাড়ি-ঘরে হামলা করবে না হাতির দল।

বালিজুড়ি এলাকার কৃষক রমজান আলী বলেন, বাপু হাত্তি (হাতি) যদি আমগর (আমাদের) হইতি (এদিকে) না আহে (আসে), তাইলেতো ভালাই হবো, আঙগর (আমাদের) কোন ক্ষতি হবো না। সরহার (সরকার) যে সিস্টেম (উদ্যোগ) হাতে নিছে খুব বালা (ভালো) হবো।

একই এলাকার আরেক কৃষক রহমত আলী বলেন, হুনতাছি (শুনতেছি) হাত্তির (হাতি) জন্য রাস্তা করবো, যদি রাস্তা করে তাহলেতো বালাই (ভালো) হবো, আমরা শান্তিতে এল্লা (একটু) ঘুমাবার পামু, আমাদের ঘরে আর হাত্তি (হাতি) আইবো না।

ঝিনাইগাতীর ছোট গজনী এলাকার বাসিন্দা আছমত আলী, সরুফা বেগম ও লাল চাঁন জানান, এ এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই হাতির দল আসে, এজন্য বেশিরভাগ সময় এ এলাকার মানুষ রাত পর্যন্ত জেগে থাকে। যদি অভয়ারণ্যে হয় খুব ভালো হবে।

ছোট গজনী এলাকার বাসিন্দা হোসেন আলী বলেন, ভাই খুব একটা ভালো খবর দিলেন, আমরা খুব খুশি। কারণ আমাদের এ এলাকা গজনীর পাশাপাশি, এজন্য প্রায় প্রতিদিনই হাতির দল আসে এবং হানা দেয় বাড়ি-ঘরে। পরে আমরা ঢাক, ঢোল পিটিয়ে হাতির দলকে তাড়া দেই।

প্রকৃতি ও পরিবেশ বাদী সংগঠন সবুজ আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মেরাজ উদ্দিন বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে গারো পাহাড়ে অভয়ারণ্যে করার জন্য দাবি করে আসছিলাম, অবশেষে সীমান্তে অভয়ারণ্যে করার ঘোষণা এসেছে, এতে আমরা খুব খুশি। আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যে তা বাস্তবায়ন হবে।

শ্রীবরদীর বালিজুড়ি রেঞ্জ ভারপ্রাপ্ত রেঞ্জ অফিসার মো. রবিউল ইসলাম বলেন, বালিজুড়ি, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী পর্যন্ত হাতির জন্য অভয়ারণ্যে হবে। ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আমরা জমি নির্ধারণ ও মালিকানা চিহ্নিত করার কাজ করছি। পাশাপাশি অবৈধভাবে জবর দখল করে থাকা জমিগুলোও উদ্ধার শুরু করেছি। আমরা আশা করি, গারো পাহাড়ের যে একটা ঐতিহ্য তা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ফিরে আসবে।

জেলা প্রশাসক মো: মোমিনুর রশীদ বলেন, অভয়ারণ্যের প্রস্তাবটি পাস হয়ে বন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বন বিভাগে রয়েছে। ইতোমধ্যে শুরু করেছে প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। আশা করছি, হাতি-মানুষের যে একটা দীর্ঘদিনের সংঘাত তা শেষ হবে।


আরও খবর



বৃষ্টির পরও ‘অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বাতাস

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

সারা দেশে চলমান তীব্র দাবদাহের মধ্যে কিছুটা কমেছে রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টি হয়। এরপর তাপমাত্রা কমলেও বায়দূষণ কমেনি।

শুক্রবার (৩ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১৫৯ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৫ নম্বরে উঠে এসেছে ঢাকা। এদিন ঢাকার বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

এদিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ২৮৩ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি; ২২০ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, ১৯৭ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে নেপালের কাঠমান্ডু। এ ছাড়া ১৬২ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা শহর। একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।

বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।


আরও খবর



গরমে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যেসব পরামর্শ দিলেন চিফ হিট অফিসার

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

তীব্র তাপপ্রবাহের এই সময়ে অতিরিক্ত গরম মোকাবিলায় সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন।

তিনি বলেন, পরিবার ও সমাজের সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি সম্ভব। খুব সাধারণ কিছু পন্থা অবলম্বন করে আমরা নিজেদের ঝুঁকিমুক্ত রাখতে পারি। যেমন, বেশি বেশি পানি পান করা, ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করা, যথাসম্ভব ছায়ার মধ্যে থাকার চেষ্টা করা এবং অসুস্থ বোধ করলে বিশ্রাম নেওয়া বা বেশি খারাপ বোধ করলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া।

রোববার (২১ এপ্রিল) সাধারণ মানুষের জন্য এসব পরামর্শ তুলে ধরেন বুশরা আফরিন।

খাবার পানির সুব্যবস্থা ও ছায়াযুক্ত স্থান বাড়াতে সিটি কর্পোরেশন যথাসাধ্য চেষ্টা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, কুলিং স্পেস-এর ব্যবস্থা করার জন্য, যেন পথচারীরা বিশ্রাম নেওয়ার সুযোগ পায়, চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের অবশ্যই আরও বেশি করে গাছ লাগাতে হবে এবং পরিবেশবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণে এগিয়ে আসতে হবে।

গত এক বছরে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে বুশরা আফরিন বলেন, এর মধ্যে অন্যতম হলো বস্তি এলাকায় জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা। কারণ তারা অন্যতম প্রবল ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠী। সেসব জায়গায় গাছ লাগানোর মাধ্যমে তাদের সম্পৃক্ত করা হয়েছে, সেসব গাছের রক্ষণাবেক্ষণের জন্যও সচেতন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, এছাড়া, আবহাওয়া অধিদপ্তরসহ আরও বেশ কিছু সরকারি-বেসরকারি ও এনজিওর সঙ্গে আমরা যুক্ত হয়ে বেশ কিছু কার্যক্রম শিগগিরই চালু করতে যাচ্ছি। এগুলো সম্পর্কে আপনাদের বিশদভাবে অবহিত করা হবে। কল্যাণপুর ও বনানীতে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে আমরা নগর বন তৈরি করতে যাচ্ছি, যা একই সঙ্গে শীতলকরণ, বায়ু দূষণ রোধ ও মাটির গুণাগুণ বৃদ্ধি করবে।


আরও খবর



এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় বাড়ল

প্রকাশিত:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১২ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় আগামী ২০ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। রোববার (১২ মে) ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশারের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে, ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার শিক্ষার্থীদের বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের চলমান কার্যক্রমের সময় আগামী ২০/০৫/২০১৪ তারিখ পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। সোনালী সেবার মাধ্যমে ফি পরিশোধের সর্বশেষ তারিখ ২১/০৫/২০২৪ পর্যন্ত পুনঃনির্ধারণ করা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উল্লিখিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের কাজ সম্পন্ন করবে। প্রতিষ্ঠানপ্রধান বিষয়টি নিশ্চিত করবেন।

এবার বিজ্ঞান শাখার পরীক্ষার্থীদের ২ হাজার ৬৮০ টাকা এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষার জন্য ২ হাজার ১২০ টাকা করে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার কোনো পরীক্ষার্থীর চতুর্থ বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা থাকলে এ ফির সঙ্গে অতিরিক্ত ১৪০ টাকা যুক্ত হবে। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার কোনো শিক্ষার্থীর নৈর্বাচনিক বিষয়ে ব্যবহারিক থাকলে বিষয়প্রতি আরও ১৪০ টাকা যোগ করা হবে।

এ ছাড়া পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফি বাবদ পত্রপ্রতি ১১০ টাকা, ব্যবহারিকের ফি বাবদ পত্রপ্রতি ২৫ টাকা, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের ফি বাবদ পরীক্ষার্থীপ্রতি ৫০ টাকা, মূল সনদ বাবদ ১০০ টাকা, বয়েজ স্কাউট ও গার্লস গাইড ফি বাবদ ১৫ টাকা এবং জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি বাবদ পরীক্ষার্থীপ্রতি ৫ টাকা নেওয়া হবে। অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা অনিয়মিত ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। জিপিএ উন্নয়ন ও প্রাইভেট পরীক্ষার্থীদের জন্য ১০০ টাকা তালিকাভুক্তি ফি নির্ধারণ এবং রেজিস্ট্রেশন নবায়ন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫০ টাকা। বিলম্ব ফি ১০০ টাকা।

কেন্দ্র ফি বাবদ প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে ৪৫০ টাকা ও ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি বাবদ পরীক্ষার্থীদের পত্রপ্রতি ২৫ টাকা দিতে হবে। আর ব্যবহারিক উত্তরপত্র মূল্যায়ন ফি দিতে ২০ টাকা।

উল্লেখ্য, গত ১৬ এপ্রিল এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হয়। এ কার্যক্রম ছিল ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত। বিলম্ব ফি দিয়ে ফরম পূরণ করার সুযোগ ছিল ২৯ এপ্রিল থেকে ২ মে পর্যন্ত। এরপর ফরম পূরণের সময় ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের সময় ছিল ৭ মে থেকে ১২ মে পর্যন্ত। এবার আবারও ফরম পূরণের সময় বাড়ানো হলো।


আরও খবর
একাদশের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪




চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণ

সিংড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি-সম্পাদককে অব্যাহতি

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

নাটোরের সিংড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো. হাসান ইমাম ও সাধারণ সম্পাদক মো. মোহন আলীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার ইশতিয়াক আহমেদ ডলার ও সাধারণ সম্পাদক মো. শফিউল আযম স্বপন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

একই বিজ্ঞপ্তিতে বিএমএম ওয়াহিদুজ্জামান পিন্টুকে সিংড়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সোহেল রানা মুন্নুকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য, সিংড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিমন্ত্রীর শ্যালক রুবেল এবং দেলোয়ার হোসেন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। গত ১৫ এপ্রিল নাটোর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের ভেতর থেকে পলকের শ্যালক রুবেলের নির্দেশে দেলোয়ার হোসেনকে অপহরণ ও নির্যাতন করা হয়।

এ ঘটনায় পুলিশের তদন্তে অব্যাহতি পাওয়া এ ২ সেচ্ছাসেবক লীগ নেতার সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ। এ ঘটনায় দেশব্যাপী সমালোচনা শুরু হলে পলকের নির্দেশে তার শ্যালক মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। ফলে নির্যাতিত দেলোয়ারকে মঙ্গলবার বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচনি কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখ।


আরও খবর



কুষ্টিয়ায় গ্যাস লাইট বিস্ফোরণে ঝলসে যাওয়া কিশোরের মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

Image

কুষ্টিয়ায় গ্যাস লাইট বিস্ফোরণে ঝলসে যাওয়ার দুই সপ্তাহ পর সাজিদ (১৬) নামের এক কিশোর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকালের দিকে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাজিদ মৃত্যুবরণ করে।

মৃত সাজিদ কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পরিচালক আব্দুর রহিম লাল্টুর ছেলে।

উল্লেখ্য, গত ২৫ এপ্রিল গ্যাস লাইট বিস্ফোরণে ওই কিশোরের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারাত্মকভাবে পুড়ে গুরুতর আহত হয় । পরে তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাস্থ শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।


আরও খবর