আজঃ বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে, আহত ৩০

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
মোঃ রাসেল আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

Image

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় তীর্থযাত্রার একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গেছে। এতে কমপক্ষে ৩০ জন যাত্রী আহত হয়েছে।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের মনকসাই নামক এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে কয়েকজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন জয় দাস (২২), সুমন (৩৬), বাপন দাস (৩৬), সংগীতা দাস (৩০), সুনাকা (৬০), খুশি রায় (৪), কবিতা রানী (৪০), আশা রায় (২৪), রাহুল রায় (১৭), রাকেশ (২৫), কেশব (২৬), গোপাল (৩০), জনি দাস (৩৬), মমতা দাস (৬৮) ও বাপন দাস (৪২)। আহতরা সবাই শহরের পাইকপাড়া ও মেড্ডার বাসিন্দা।

হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথ মন্দিরে শিব চতুর্দশী মেলার তীর্থযাত্রায় অংশগ্রহণের জন্য সনাতনী ধর্মাবলম্বী দুটি বাস জেলা শহরের পাইকপাড়া থেকে রাত ১০টার দিকে রওনা দেয়। একটি বাস জেলার কসবা উপজেলার মনকসাই এলাকায় অন্য একটি বাসকে ওভারটেক করতে গিয়ে তীর্থযাত্রার বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের খালে পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা ও কসবা থানার পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।

এ ব্যাপারে কসবা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, পিকনিকের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গিয়ে ২০ থেকে ২৫ যাত্রী আহত হয়। পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাসপাতালে পাঠিয়েছে। তবে এ ঘটনায় কেউ মারা যায়নি।


আরও খবর



যুক্তরাষ্ট্রে বসে সালমান খানের বাসায় গুলির পরিকল্পনা

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
বিনোদন ডেস্ক

Image

প্রায় ৪০ বছর ধরে মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে পরিবারসহ থাকেন বলিউড তারকা সালমান খান। রবিবার (১৪ এপ্রিল) ভোরে এই অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে গুলি চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সালমানের বাড়ির দেয়ালে গুলি লেগেছে। ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে।

এরই মধ্যে সালমানের বাসার বাইরের সিসিটিভির ফুটেজ এসেছে পুলিশের হাতে। সেখানে দেখা গেছে, রবিবার ভোরে দুজন বাইকে চেপে সালমানের বাসার বাইরে গুলি চালিয়ে পালিয়ে গেছে। এদের মধ্যে একজনের গায়ে সাদা টি-শার্টের ওপর কালো শার্ট, আর একজনকে লাল টি-শার্টে দেখা গেছে। দুজনের মধ্যে একজনের মাথায় কালো টুপি, অপরজনের মাথায় সাদা টুপি রয়েছে।

ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে, লরেন্স বিষ্ণইয়ের (বিষ্ণোই গ্যাংয়ের লিডার) ভাই আনমোল বিষ্ণই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরেক গ্যাংস্টার রোহিত গোদারার কাছে শুটার বাছাইয়ের দায়িত্ব অর্পণ করেছিলেন। গোদারার পেশাদার শুটারদের নেটওয়ার্ক পুরো ভারতজুড়ে। গোদারা এ হামলার পুরো দায়িত্ব দেন শুটার বিশালকে।

বিশাল গুরুগ্রামের বাসিন্দা। জেল খাটা আসামি। ২০২০ সালে প্রথমবার পুলিশের খপ্পড়ে পড়েন তিনি। মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে তিহাড়ে বন্দী ছিলেন বিশাল। তিনি বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য। পাশপাশি, রোহিত গোধরা গ্যাংয়ের সঙ্গেও কাজ করছেন। গত বছর গুরুগ্রামে দুই খুনের অভিযোগে নাম জড়ায় তার। এবার সালমানের বাড়িতে গুলি চালিয়ে রাতারাতি আলোচনায় এলেন এই ব্যক্তি।

এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে হুমকির চিঠি দিয়ে ঘটনার দায় স্বীকার করেছে বিষ্ণোই গ্যাং। এই গ্যাংয়ের লিডার লরেন্স বিষ্ণোই এর আগেও সালমানকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছেন। এই মুহূর্তে কারাগারে আছেন গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। তার হয়েই এবার সামাজিকমাধ্যমে হুমকি দিলেন তারই ভাই আনমোল বিষ্ণোই।

এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, আমদের ওপর হওয়া অত্যাচারের নিষ্পত্তি চাই। যদি তুমি সরাসরি যুদ্ধের ময়দানে নামতে চাও, তাই সই। আজ যা হয়েছে, তা শুধুই একটা ঝলক ছিল সালমান খান। যাতে তুমি বুঝতে পারো, আমরা কতদূর যেতে পারি। এটাই ছিল তোমাকে দেওয়া শেষ সুযোগ। এরপর গুলিটা তোমার বাড়ির বাইরে চলবে না দাউদ ও ছোটা শাকিল নামের যে দুজনকে তুমি ভগবান মানো, সেই নামের দুটি কুকুর পুষেছি বাড়িতে। বাকি বেশি কথা বলার লোক আমি নই। জয় শ্রী রাম।

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে কৃষ্ণসার হরিণ শিকারে সালমানের নাম জড়িয়েছিল। এর বদলা নিতে সালমানকে খুনের হুমকি দেয় বিষ্ণোই গোষ্ঠী। গত বছর জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) জানিয়েছিল, জেলবন্দী গ্যাংস্টার বিষ্ণোই যে ১০ জনকে হত্যার তালিকায় রেখেছে, তাদের মধ্যে প্রথমেই রয়েছে সালমানের নাম। এরপর থেকেই সালমানকে নানাভাবে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেছে এই গ্যাংস্টার। এবার তো অভিনেতার বাড়িতে হামলা করার মতো ঘটনা ঘটিয়ে ফেললেন তারা।


আরও খবর



‘মানুষের হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ পেত মিল্টন’

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

জালিয়াতি ও প্রতারণাসহ নানা অভিযোগে গ্রেপ্তার চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দার মানুষের হাত-পা কেটে পৈশাচিক আনন্দ পেতেন বলে জানিয়েছে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। আজ রবিবার (০৫ মে) ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, মিল্টন সমাদ্দার সাইকোতে (মানসিক রোগী) আক্রান্ত। তিনি কীভাবে মানবতার ফেরিওয়ালা’ হলেন, তা বোধগম্য নয়।’

তিনি আরও বলেন, মিল্টন কিন্তু স্বীকার করেছেন, তার অপারেশন থিয়েটারে ব্লেড-ছুরি আছে। এগুলো দিয়েই তিনি অপারেশন করতেন।’

ডিবির হারুন বলেন, তার স্ত্রী মিতু হালদার ছাড়াও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও বানাতে কারা সাহায্য করতেন, তার ব্যাংক হিসাবে কারা টাকা পাঠাতেন, কীভাবে তিনি মানবতার ফেরিওয়ালা’ হলেন, সবকিছুর তদন্ত করা হচ্ছে।’

এদিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী মিঠু হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবিতে ডাকা হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ডিবি কার্যালয়ে যান তিনি।

এদিকে রাজধানীর মিরপুর মডেল থানায় করা মামলায় রিমান্ড শেষে মিল্টন সমাদ্দারকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। দুপুর ১টার দিকে ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।

এর আগে গতকাল শনিবার দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে হারুন অর রশীদ বলেন, মিল্টন সমাদ্দার রিমান্ডে রয়েছেন। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ রয়েছে সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার আশ্রমের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে মিল্টনের স্ত্রীকে ডিবিতে ডাকা হয়েছে। তাকেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব।’


আরও খবর



চেলসিকে হারিয়ে ফের এফএ কাপের ফাইনালে সিটি

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
ক্রীড়া প্রতিবেদক

Image

চ্যাম্পিয়নস লিগ ধরে রাখার স্বপ্ন ভেঙে গেলেও ম্যানচেস্টার সিটির সামনে এখন লিগ শিরোপা ও এফ এ কাপের ট্রফি জয়ের সুবর্ণ সুযোগ। সে পথে একধাপ এগিয়ে গেল পেপ গার্দিওলার দল।

শনিবার (২০ এপ্রিল) ওয়েম্বলিতে চেলসিকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার এফএ কাপের ফাইনালে উঠলো সিটিজেনসরা।

ম্যাচের ৮৪তম মিনিটে একমাত্র গোলটি আসে সিটির বার্নান্দো সিলভার পা থেকে। এর আগে, একাধিক গোলে সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি সিটি।

অন্যদিকে চেলসি প্রথমার্ধে বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেও গোলের দেখা পেতে ব্যর্থ হয়।

প্রথমার্ধে বলের দখলে এগিয়ে থেকেও লক্ষ্যে কোনো শটই নিতে পারেনি সিটি। অন্যদিকে চেলসির লক্ষ্যে শট ছিল তিনটি।

ম্যাচের ২৯তম মিনিটে গোলের সুবর্ণ সুযোগ হারান নিকোলাস জ্যাকসন। সিটির গোলকিপার ওর্তেগাকে একা পেয়েও সুযোগ নষ্ট করেন সেনেগালের এই স্ট্রাইকার।

গত বছর এফএ কাপের ট্রফি জিতেছিল ম্যান সিটি। এ নিয়ে তৃতীয়বার টানা দুই বছর ফাইনালে উঠল ইংলিশ জায়ান্টরা। আগের দুটি ছিল ১৯৩৩-৩৪ ও ১৯৫৫-৫৬ সালে। ফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটির প্রতিপক্ষ নির্ধারণ হবে রোববার (২১ এপ্রিল)। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-কোভেন্ট্রি সিটির মধ্যে জয়ী দল খেলবে ফাইনালে তাদের বিপক্ষে খেলবে।


আরও খবর



সব রেকর্ড ভেঙে চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ৪৩.৭ ডিগ্রি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

Image

চুয়াডাঙ্গায় সোমবার (৩০ এপ্রিল) ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা ১৯৮৯ সালের পর দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর আগে রোববার (২৯ এপ্রিল) ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় এ জেলায়।

এর আগে ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগে ২০০৫ সালে ২ জুন চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ২০১২ সালে ৪ জুন চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৪২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

জানা গেছে, চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমের শুরু থেকে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড হয়ে আসছে চুয়াডাঙ্গায়। টানা ১৯ দিন তীব্র থেকে অতি তীব্র দাবদাহে হাসপাতালগুলোতে বেড়েই চলেছে জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস প্রতিষ্ঠার পর সর্বোচ্চ।

তিনি আরও বলেন, আপাতত দু-একদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে বা একইরকম থাকবে।


আরও খবর



তালতলীতে এইচএসসিতে ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
উপজেলা প্রতিনিধি

Image

বরগুনার তালতলী সরকারি কলেজে এইচএসসি পরিক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। বাধ্যতামূলক করে অতিরিক্ত এই অর্থ আদায় করা হচ্ছে বলে ভুক্তভোগী শিক্ষাথীরা জানিয়েছে। ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের কথা স্বীকার করেছেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।

জানা যায়, ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে বোর্ড নির্ধারিত ফি বিজ্ঞান শাখায় ২ হাজার ৬৮০ টাকা এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ২ হাজার ১২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীদের নৈর্বাচনী বিষয়ে এবং চতুর্থ বিষয়ে ব্যবহারিক থাকলে বিষয় প্রতি আরও ১৪০ টাকা যুক্ত হবে। কিন্তু তালতলী সরকারী কলেজে কতৃপক্ষ বিজ্ঞান শাখায় ৩ হাজার ১০০ টাকা এবং মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ২ হাজার ৮০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই বছর এই কলেজ থেকে ২৯০ জন শিক্ষার্থী পরিক্ষায় অংশ গ্রহন করবেন।

এছাড়া অনিয়মিতি পরিক্ষার্থী আছে শতাধিক এর বেশি। ব্যবসায় ও মানবিক বিভাগে যাদের দুই বিষয়ে ব্যবহারিক আছে তাদের ২ হাজার ৪০০ টাকা ও এক বিষয়ের ব্যবহারিক ২ হাজার ২৬০ টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও সেই নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নেওয়া হচ্ছে এই অতিরিক্ত টাকা। এই টাকা কোন কোনে ফান্ডে যায় তাও জানিয়েছেন কলেজ কতৃপক্ষ।

প্রতি শিক্ষার্থীদের থেকে অতিরিক্ত যে টাকা নেওয়া হচ্ছে তা শিক্ষক কল্যাণ ফান্ডে ১০০,উন্নয়ন ফান্ডে ১০০, মসজিদ ফান্ডে ১০০ ও ফরমের জন্য ১০০। বাকি টাকা কই যায় তা বলতে পারেনি তারা। এ দিকে প্রতি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২ দুই হাজার ৮০০ টাকা আদায় করা হলেও কোনো রশিদ দিচ্ছে না কলেজ কর্তৃপক্ষ।

তবে মুখ চেনা প্রভাবশালীদের কাছ থেকে কিছু কম টাকা নেওয়া হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। সরকারী কলেজে এমন ফান্ড থাকতে পারে না । এই সব ফান্ড কলেজ শিক্ষকদের বানানো বলে অভিযোগ শিক্ষার্থী ও অভিবাবকদের।

কলেজে গিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিবাবকদের সাথে কথা বললে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সরকারি ফি এর চেয়ে ৪শ থেকে সাড়ে ৫শ টাকা বেশি নিচ্ছেন। মানবিক ও ব্যবসা শিক্ষা শাখার জন্য প্রায় দুই হাজার ১২০  টাকা সরকার নির্ধারিত ফি থাকলেও শিক্ষকরা ২ হাজার ৮০০ টাকার নিচে নিচ্ছে না। এছাড়াও বিজ্ঞান বিভাগের জন্য দুই হাজার ৬৮০ টাকা নির্ধারিত থাকলেও তিন হাজার টাকার নিচে ফরম ফিলাপ করা যাচ্ছে না। কম দিতে চাইলে শিক্ষকরা মন খারাপ করেন।

তারা আরও বলেন, ফরম ফিলাপে জন্য শিক্ষকরা মাথা কাটা ফি আদায় করছে। ঋণ করে ছেলে-মেয়েদের ফরম ফিলাপ করিয়েছি। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

ফরম ফিলাপ কমিটির আহবায়ক ও সহযোগি অধ্যাপক আ. রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের থেকে সরাসরি টাকা নিয়ে ফরম ফিলাপ করা হচ্ছে। পরে আমরা তাদের টাকা ব্যাংকে জমা দিয়ে রশিদ দিয়ে দিবো।

তালতলী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রবীন্দ্র নাথ হাওলাদার বলেন, ফরম ফিলাপে শিক্ষার্থী প্রতি ২ হাজার ৮০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। নির্ধারিত টাকার চেয়ে যেটা বেশি নেওয়া হচ্ছে তা বিবিধ খরচ আছে। অন্য কলেজে তো ৫ হাজার টাকা নেয় তা তো আমরা করিনা।

তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুপমা বলেন, নির্ধারিত টাকার বাহিরে অতিরিক্ত কোনো ধরনের টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি


আরও খবর