আজঃ মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু থাকবে : আইএসপিএবি সভাপতি

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

দেশে মোবাইলে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ হলেও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি এমদাদুল হক। রোববার (৪ জুলাই) দুপুরে এ কথা জানান তিনি।

এমদাদুল হক বলেন, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ করার কোনো নির্দেশনা এখানো আসেনি। আর তাই মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ হলেও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু থাকবে। তবে সোশ্যাল মিডিয়াগুলো বন্ধ থাকতে পারে। আমাদের দিক থেকে বলতে পারি, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হবে না।

এদিকে রোববার দুপুর ১টা থেকে মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলো ফোরজি নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের আইআইজি অপরেটররা ফেসবুক, হোয়াটঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামের ক্যাশ সার্ভারগুলো ডাউন করে দিয়েছে বলে জানা গেছে।

দেশব্যাপী সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় গত ১৭ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যায়। পাঁচ দিন পর ২৩ জুলাই রাতে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হয়। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কূটনীতিক পাড়া, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ, ফ্রিল্যান্সিং ও প্রযুক্তি এবং রপ্তানিমুখী খাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ সেবা চালু করা হয়। পরে ২৮ জুলাই বিকেল ৩টা থেকে সারা দেশে চালু হয় মোবাইল ইন্টারনেট সেবা। যদিও ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক ব্যবহার করা যায়নি। এরপর ৩১ জুলাই ইন্টারনেট স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরে।


আরও খবর



মার্কিন নির্বাচনে কমলা হ্যারিসকে সমর্থন দিলেন পুতিন

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক

Image

আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমলা হ্যারিসকে সমর্থন করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে মস্কোকে প্রভাবিত করার জন্য অভিযুক্ত করার একদিন পর তিনি এই মত দেন।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) ভ্লাদিভোস্টকে অনুষ্ঠিত ইস্ট ইকোনোমিক ফোরামের সম্মেলনে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি কমলার সমর্থনের কথা জানান।

আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও কমলা হ্যারিসকে সমর্থনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পুতিন জানান, তিনি সমর্থন করবেন কমলাকে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ডেমোক্রেট প্রার্থীর হাসির ভক্ত তিনি। হ্যারিসের হাসিকে প্রাণোচ্ছল বলেও মন্তব্য করেন পুতিন। তার এ বক্তব্যের পরই হাস্যরসে মেতে ওঠেন উপস্থিত সবাই।

কমলা হ্যারিস সম্পর্কে নিজের দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, তিনি অত্যন্ত খোলা মনের মানুষ এবং এমনভাবে সংক্রামক হাসি উপহার দেন যে, এর অর্থ তার সবকিছুই ঠিক আছে।

তিনি আরও বলেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় রাশিয়ার ওপর যতগুলো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন, এর আগে কোনো প্রেসিডেন্ট এত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেনি। হ্যারিস যদি প্রেসিডেন্ট হন, তাহলে সম্ভবত তিনি এ ধরনের পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকবেন।


আরও খবর



সাবেক বিচারপতি মানিকের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২০ আগস্ট ২০24 | অনলাইন সংস্করণ
দর্পণ নিউজ ডেস্ক

Image

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বীর উত্তম খেতাব প্রাপ্ত শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করায় সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি আবুল হোসেন মোহাম্মদ শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের বিরুদ্ধে নোয়াখালীর আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট রবিউল হাসান পলাশ বাদী হয়ে নোয়াখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নম্বর আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন সাবেক বিচারপতি আবুল হোসেন মোহাম্মদ শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। মানিক বলেছিল জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না, জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিস্তানের চর। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক পরিচয়ে মিথ্যাচারের উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে মনহানিকর বক্তব্য প্রদান করেন মানিক। যা প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত।

মানিকের এমন মন্তব্যে জিয়াউর রহমান ও তাহার পরিবারের সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে। বিশেষ করে গত জুলাই মাসে ছাত্র আন্দোলনের সময় চ্যানেল আই.এ প্রচারিত টকশোতে মানিক উদ্ধত ও কুরুচিপূর্ণ, নারী বিদ্বেষী, অপমানজনক বক্তব্য ও আচরণ করে, যা সারা দেশবাসী দেখেছে এবং তা সোশাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার বাদী এডভোকেট রবিউল হাসান পলাশ। তিনি বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আগামী বুধবার আদেশের দিন ধার্য্য করেছেন।


আরও খবর



সময় টিভির সম্প্রচার নিয়ে আপিল বিভাগের আদেশ মঙ্গলবার

প্রকাশিত:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৫ আগস্ট ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
আদালত প্রতিবেদক

Image

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সময় টিভির সম্প্রচার সাত দিনের জন্য বন্ধের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী মঙ্গলবার আদেশ দেবেন আপিল বিভাগ। এ পর্যন্ত সময় টিভির সম্প্রচার বন্ধ থাকবে।

রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ আদেশের জন্য এদিন ধার্য করেন। 

সময় টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ জোবায়েরের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার সাকিব মাহবুব। সময় মিডিয়া লিমিটেডের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট ফারজানা খান নীলা।

এর আগে গত ২১ আগস্ট বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল সময় টিভির সম্প্রচার সাত দিনের জন্য বন্ধের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন আপিল বিভাগে শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন চেম্বার আদালত। বুধবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম এই আদেশ দেন।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত ১০ আগস্ট গুলশানের সিটি হাউজে সময় মিডিয়া লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সময় টিভির নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নির্ধারণ করা হয়।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সময় টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে আহমেদ জোবায়েরকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পরিচালক শম্পা রহমানকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সময় মিডিয়া লিমিটেডের সব কার্যক্রম এখন থেকে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নির্দেশনায় পরিচালিত হবে।

এ অব্যাহতির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ১৪ আগস্ট হাইকোর্টের কোম্পানি বেঞ্চে রিট আবেদন করেন আহমেদ জোবায়ের। যার শুনানি আগামী ২২ আগস্ট হওয়ার কথা রয়েছে।

গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জেরে সৃষ্ট উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এই খবর সারাদেশে ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা সময় টিভিসহ বেশ কয়েকটি মিডিয়া কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এতে সাময়িক সময়ের জন্য সময় টিভি বন্ধ হয়ে যায়। পরে অবশ্য আবারও সম্প্রচারে আসে সময় টেলিভিশন। এরপরই সামনে আসে মালিকানা সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব। শেষ পর্যন্ত তা আদালতে গড়ায়।

২০০৯ সালে লাইসেন্সের জন্য আবেদন করা সময় টেলিভিশন ২০১১ সালের ১৭ এপ্রিল বাণিজ্যিক সম্প্রচারে আসে। লাইসেন্স নেওয়ার সময় তৎকালীন মন্ত্রী কামরুল ইসলামের ভাগ্নে আহমেদ জোবায়েরের নামে ৯৩ শতাংশ শেয়ার ছিল। ব্যবসায়িক ও পারিবারিক সূত্রের তথ্য- এর মধ্যে ৯০ শতাংশ শেয়ার কামরুল ইসলামের হলেও কাগজে কলমে তা ছিল আহমেদ জোবায়েরের নামে।

অন্য অংশীদারদের মধ্যে কামরুল ইসলামের ভাই মোরশেদুল ইসলামের ৩ শতাংশ এবং নিয়াজ মোরশেদ ও তুষার আবদুল্লাহর ২ শতাংশ করে শেয়ার ছিল। এরপর দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়ী গোষ্ঠী সিটি গ্রুপ সময় টেলিভিশনে ৬৫ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে।

নিউজ ট্যাগ: আদালত সময় টিভি

আরও খবর



দিল্লিতে শামীম ওসমান, দেখা মিলল নিজামউদ্দিন আউলিয়ার মাজারে

প্রকাশিত:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদক

Image

ছেলে ও রাজনৈতিক অনুসারীদের নিয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি চালিয়ে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন নারায়ণগঞ্জের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালালে ওসমান পরিবারের সদস্যদের আর দেখা পাওয়া যায়নি। শামীম ওসমান ও তার স্বজনরা দেশে নাকি বাইরে আছেন তা নিয়েও ছিল আলোচনা-সমালোচনা। এরই মধ্যে দেখা মিলল সাবেক এ সংসদ সদস্যের।

শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে শামীম ওসমানকে ভারতের দিল্লির নিজাম উদ্দিন আউলিয়ার মাজারে দেখা গেছে।

ভারতের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আকাশ হক তাকে মাজারে দেখেছেন। রাত ৯টা ৫ মিনিটে শামীম ওসমানের ছবি তুলেছেন তিনি।

ছবিতে দেখা গেছে, শামীম ওসমান গাঢ় গোলাপি রঙের হাফ হাতা একটি শার্ট ও ছাই রঙের একটি প্যান্ট পড়ে মাজারের মূল বেদির সামনে দাঁড়িয়ে আছেন।

পোস্টে আকাশ লিখেছেন, শামীম ওসমান ও তার পরিবারের সদস্যরা আমার সামনে নিজাম উদ্দিন আউলিয়ার দরবারে দাঁড়িয়ে আছেন। ভালো মন্দ কিছু জিজ্ঞেস করবো কিনা ভাবতেছি। আবার কবে দেখা হয়- না হয় কে জানে?

এ নিয়ে আকাশ হকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে দেশের একটি গণমাধ্যম।

আকাশ হক গণমাধ্যমটিকে জানান, রাতে তিনি দিল্লির নিজাম উদ্দিন আউলিয়ার মাজার জিয়ারত করতে যান। এ সময় তিনি শামীম ওসমানকে দেখতে পান। শামীম ওসমানের সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন। প্রমাণস্বরুপ তিনি ছবিও তুলে রেখেছেন বলে জানান।


আরও খবর



ভারতীয় কর্মকর্তাদের অপসারণসহ বিভিন্ন দাবিতে গাজীপুরে শ্রমিক বিক্ষোভ

প্রকাশিত:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | অনলাইন সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি

Image

গাজীপুরের শ্রীপুরে বেতন বৃদ্ধি ও ভারতীয় কর্মকর্তাদের অপসারণসহ ১১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন আরএকে সিরামিক কারখানার শ্রমিকরা। এছাড়া, গাজীপুর মহানগর, সদর, কালিয়াকৈর, রাজেন্দ্রপুরসহ আরও কয়েকটি এলাকাতেও বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ করছেন একাধিক কারখানার শ্রমিকরা।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় উপজেলার ধনুয়া এলাকায় অবস্থিত আরএকে সিরামিক কারখানা থেকে মিছিল নিয়ে বের হন শ্রমিকরা। সকাল ৭টায় তারা কারখানার সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিলে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শ্রমিক ও কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা কথা বললে বেলা ১১টায় অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করেন বিক্ষোভকারীরা। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

আন্দোলনরত শ্রমিকদের অভিযোগ, কোনো বিষয়ে ভারতীয় কর্মকর্তারা তাদের মূল্যায়ন করে না। ভালো কোনো প্রতিক্রিয়াও তাদের কাছ থেকে পাওয়া যায় না। তারা দায়িত্বে আসার পর বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন শ্রমিকরা। এছাড়া শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী শ্রমিক ও বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয় না। বিষয়গুলো নিয়ে গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে একাধিকবার কোম্পানি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো সমাধান দেননি। তাই এই ভারতীয় কর্মকর্তাদের অপসারণ এবং বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে মানসম্মত বেতন ও ইনক্রিমেন্ট নিশ্চিতসহ ১১টি দাবি জানানো হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে।

এদিকে, শ্রমিক নিয়োগে নারী-পুরুষের বৈষম্য রোধে গাজীপুর মহানগরের বাসন এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে আরেকটি শ্রমিক বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। আন্দোলনরত শ্রমিকদের দাবি, চাকরিতে পুরুষদের চাইতে নারী শ্রমিকদের নিয়োগে অগ্রাধিকার বেশি দেওয়া হয়। তারা এ ধরনের বৈষম্য চান না।

একইদিন সকালে গাজীপুর সদর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকায় গোল্ডেন রিফিট গার্মেন্টস লিমিটেডের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে চাকরিপ্রত্যাশী শ্রমিকরা।

রাজন্দ্রেপুর এলাকায় আন্দোলন করছে ইউনি হেলথ্ ফার্মাসিউটিক্যালস নামের একটি ওষুধ উৎপানদকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা। বেতন বৈষম্যসহ দূর করাসহ কয়েকটি দাবি তুলেছেন তারা।

এছাড়া কালিয়াকৈর উপজেলার তেলিরচালা এলাকায় ট্রান্সকম বেভারেজে ২০ দফা দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার থেকেই আন্দোলন করে আসছিল শ্রমিকরা। বুধবার সকালেও তারা ভারতীয় কর্মকর্তাদের অপসারণ, দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে নিয়োগকৃত শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ীকরণ, ৫ তারিখের মধ্যে বেতন প্রদান, নারী শ্রমিকদের নৈশকালীন ডিউটি বাতিলসহ ২০ দফা দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছেন।

গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর শ্রীপুর ক্যাম্পের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম আজিজুল হক জানান, বুধবার সকাল থেকেই কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকরা আন্দোলন করছে। কারখানা কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসে সমাধানের পথ খোঁজা হচ্ছে।


আরও খবর